ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অকালমৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে হওয়ার দরুন দেশের উপর দীর্ঘ প্রভাব পড়েছে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের মাধ্যমে মাসুদ পেজেশকিয়ানের জয়কে তেহরান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থবির পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে একটি আশার আলো বলে মনে করা হচ্ছে। হৃদ্রোগবিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেজেশকিয়ান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় বিষয়ের প্রতি সংস্কারবাদী দৃষ্টিভঙ্গি-সহ আরও বাস্তববাদী পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করেন। রাষ্ট্র বর্তমানে যে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা প্রত্যাহারের পর চুক্তিটি অকেজো হয়ে গেছে। আসন্ন মার্কিন নির্বাচন এবং সংস্কারপন্থী ইরানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দরুন চুক্তি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির কৌশলগত জটিলতাগুলি বুঝলে চুক্তি পুনরুজ্জীবনের শর্তগুলি বোঝা সহজ হবে।
চুক্তি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সমীকরণ
২০১৫ সালের জেসিপিওএ চুক্তি - যা ইরান পারমাণবিক চুক্তি নামে পরিচিত - আসলে ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল এবং আগামী বছর এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এটি প্রায় মাঠে মারা গিয়েছে। এর ফলে ইরানিরা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু বিশেষজ্ঞ এ-ও বলছেন যে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিন বা তার বেশি বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট জ্বালানি এই মুহূর্তে ইরানের কাছে রয়েছে। ইরান দাবি করে যে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং ২০০৩ সালে সুপ্রিম লিডার কর্তৃক জারি করা একটি ‘পারমাণবিক ফতোয়া’র দরুন দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তবে ইজরায়েলিদের দ্বারা সমর্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত যে, এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে।
ইরান দাবি করে যে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং ২০০৩ সালে সুপ্রিম লিডার কর্তৃক জারি করা একটি ‘পারমাণবিক ফতোয়া’র দরুন দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
এখনও পর্যন্ত পেজেশকিয়ান পশ্চিমের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট বিদেশনীতির প্রস্তাব দেননি। তবে তাঁর প্রচারের প্রধান বিদেশনীতি উপদেষ্টা মহম্মদ জাভেদ জারিফ – যিনি আবার প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীও বটে এবং ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন - অবশ্যই এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহী হবেন। এমনটা হলে ইরান কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাই শুরু করবে না, এর পাশাপাশি ইরানের অর্থনীতির বোঝাও লাঘব করবে, যেটি বর্তমানে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত। অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি নির্বাচনী প্রচারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে যে কোনও আলোচনা শুরু হওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ইরানি প্রশাসনকে তাদের পূর্বের প্রতিশ্রুতি পূরণের উপর জোর দেবে বলে আশা করা যেতে পারে।
সীমিত ক্ষমতা: সর্বোচ্চ নেতার ক্ষমতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিসরটি সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী দলগুলির মধ্যে একটি জটিল আন্তঃসমীকরণ দ্বারা চিহ্নিত এবং প্রতিটি দেশের অনন্য থিওক্র্যাটিক বা ধর্মতান্ত্রিক-প্রজাতন্ত্রী কাঠামোর মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট - যিনি অনমনীয় স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চান - এখনও সর্বোচ্চ নেতা বা সুপ্রিম লিডারের অধীনস্থ থাকবেন। সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনি প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে সংস্কারের অগ্রগতি সীমিত করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আয়াতুল্লাহ খোমেইনি ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিসরের উপর চূড়ান্ত কর্তৃত্ব রাখেন, যা উল্লেখযোগ্য ভাবে সংস্কারবাদী কর্মসূচিকে বাধা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মতাদেশ-সহ একটি সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিম লিডারের অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর ভাবে এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে দেয়। এ ছাড়াও ইসলামি বিপ্লবের প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলি রক্ষা করার জন্য ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে বিকশিত হয়েছে। সুপ্রিম লিডারের প্রতি এর অটল আনুগত্য এবং তাঁর ক্ষমতা এটিকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশনীতির ক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্টের যে কোনও উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
আয়াতুল্লাহ খোমেইনি ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিসরের উপর চূড়ান্ত কর্তৃত্ব রাখেন, যা উল্লেখযোগ্য ভাবে সংস্কারবাদী কর্মসূচিকে বাধা দেয়।
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতার অবস্থান বেশ কঠোর বলে মনে হচ্ছে। কারণ তিনি বলেন, ‘যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বাসী, তারা বিভ্রান্ত হয়েছে।’ এই বক্তব্য এই সত্যকেই দর্শায় যে, ইরান নয়, আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের মধ্যেই অনেক শক্তি থাকার দরুন পেজেশকিয়ানের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সুপ্রিম লিডারের সঙ্গে একটি কাজের সম্পর্ক তৈরি করা যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতাময় হবে। কারণ তিনি নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণ করতে পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান, যা দীর্ঘকাল ধরে দেশের অর্থনীতিকে দমিয়ে রেখেছে।
পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা
চুক্তিটি পুনঃস্থাপনের জন্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বর্তমান অবস্থার দিকে নজর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেহেতু ২০১৮ সালে চুক্তিটি নিষ্ক্রিয় হওয়ার পরে এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুনরায় শুরু করেছিল। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ২০১৯ সাল থেকে জেসিপিওএ চুক্তির শর্তাবলি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। চুক্তিটি তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের উপর যে সীমাবদ্ধতা রেখেছিল, সেটি অস্বীকারও করা হয়। এটি দেশের ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধি স্তরকে ৬০ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা অনুমোদিত স্তরের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি।
জেসিপিওএ অনুযায়ী, সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৩.৬৭ শতাংশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে, যা পারমাণবিক শক্তির বেসামরিক ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ইরান তার সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা প্রসারিত করেছে এবং চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে পূর্বে নিষিদ্ধ করা স্থাপনায় পারমাণবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। জেসিপিওএ-র শর্ত অনুসারে, ইরানের ব্রেকআউট সময় – অর্থাৎ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ফিসাইল উপাদান তৈরি করতে যে সময় লাগতে পারে - শূন্যে এসে পৌঁছেছিল। ২০২৩ সালের আইএইএ রিপোর্ট বলছে যে, ফোরডোতে একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ইউরেনিয়াম ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এর জন্য ইরান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যে, সেন্ট্রিফিউজ অপারেশনের একটি ট্রানজিশন ফেজ চলাকালীন সমৃদ্ধকরণের স্তরে অনিচ্ছাকৃত ওঠানামার ফলে এমনটা ঘটেছিল।
ইরান সরকার এই লঙ্ঘনের জন্য জেসিপিওএ-র স্বাক্ষরকারীদের চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি শেষ করতে এবং নিষেধাজ্ঞা উপশম প্রদানে ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের লঙ্ঘনকে ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছে এবং ‘ইরানের লঙ্ঘনের জন্য কোনও বিশ্বাসযোগ্য বেসামরিক ন্যায্যতা নেই… এ হেন দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।’
বাইডেন প্রশাসন ২০২২ সালে চুক্তিটি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল এবং সেই বছরের গ্রীষ্মের শেষে এমনটা হওয়ার কথা ছিল। তবে আনুষ্ঠানিক আলোচনা থমকে গেলেও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি। সমৃদ্ধকরণ লঙ্ঘনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে মার্কিন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী তালিকা থেকে আইআরজিসি-কে অপসারণ এবং চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অঘোষিত পারমাণবিক স্থাপনায় চলমান আইএইএ তদন্ত বন্ধ করার মতো ‘বহির্ভূত’ দাবি করার অভিযোগ করেছে। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ভাবে এই উদ্বেগও রয়েছে যে, মাহসা আমিনী ঘটনার পর একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর রাজনৈতিক আগ্রহও খানিক হ্রাস পেয়েছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়াকে ইরানের ড্রোন সরবরাহ, এবং গাজায় হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের প্রতি গোপন সমর্থন এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে।
বাইডেন প্রশাসন ২০২২ সালে চুক্তিটি পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল এবং সেই বছরের গ্রীষ্মের শেষে এমনটা হওয়ার কথা ছিল। তবে আনুষ্ঠানিক আলোচনা থমকে গেলেও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়নি।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অধীনে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাবনাগুলি সতর্ক আশাবাদকে অনুপ্রাণিত করে, সম্ভাব্য ভাবে ইরানের অর্থনৈতিক সঙ্কটকে প্রশমিত করে এবং এর বৈদেশিক নীতিকে সংযত করে তোলে। পেজেশকিয়ান প্রশাসন পশ্চিমী শক্তিগুলির সঙ্গে আলোচনার দিকে ঝুঁকছে এবং এর নেপথ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রশমিত করা এবং আরও স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইরানকে লালন করার লক্ষ্য। তা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্কের অন্তর্নিহিত জটিলতাগুলি ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। আইআরজিসি-র প্রভাবশালী ভূমিকার পাশাপাশি সর্বোচ্চ নেতার সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব ইরানকে আরও রক্ষণশীল বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার জন্য প্রায়ই সংস্কারবাদী প্রচেষ্টাকে বাধা দান করে।
এই গতিশীলতার জন্য ইরানের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক কার্যকলাপের একটি সংক্ষিপ্ত উপলব্ধি প্রয়োজন। নতুন প্রেসিডেন্ট দৃশ্যত পরিবর্তনের জন্য কোনও মতাদেশ ধারণ করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নিবিড় ক্ষমতার কাঠামো এবং গভীর ভাবে উপস্থিত ঐতিহাসিক অবিশ্বাস একটি পুনর্নবীকরণ চুক্তির পথকে জটিল করে তোলে। তদুপরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করেছে। জেসিপিওএ থেকে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সম্ভাব্য পুনঃনির্বাচন বর্তমান আলোচনার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অগ্রগতির জন্য কিছু আশা থাকলেও ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কঠিন বাস্তবতা ও এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্থায়ী জটিলতার মাঝে জর্জরিত। সুতরাং, অবশ্যই কূটনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক পরিসরের পরিবর্তন-সহ উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাকে স্বীকার করার পাশাপাশি একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে চলতে হবে।
অময় ভেলাঙ্গি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.