Published on Nov 11, 2025 Updated 0 Hours ago

ইসলামাবাদকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা থেকে বিরত রাখতে  ভারতকে পাকিস্তানকে নিয়ে মার্কিন-চিন উত্তেজনা কাজে লাগাতে হবে

পাকিস্তানকে নিয়ে মার্কিন-চিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝেই ভারতের কৌশলগত সুবিধা

৪ জুলাই সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল রাহুল আর. সিং-এর সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে অপারেশন সিঁদুর (৭-১০ মে, ২০২৫) চলাকালীন চিন যে পাকিস্তানকে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং চিন-পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রের যোগসাজশ বিষয়টিকে নজরে আনা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বিতর্ক করেছেন যে, ভারত কী ভাবে তীব্রতর চিন-পাকিস্তান কৌশলগত সংযোগের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে, যা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক ভাবে সক্রিয়। এই বিষয়ে ভারতের কৌশলগত সম্প্রদায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হল অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা তৈরি করা, সামরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অসম চাপ বিন্দু বিকাশ করা এবং বহিরাগত ভারসাম্য বৃদ্ধি করা। বিদ্যমান বিতর্ক তুলে ধরার পাশাপাশি চিনা ভাষ্য অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে এই গবেষণাপত্রটিতে পশ্চিম ফ্রন্টকে সুরক্ষিত করার জন্য পাকিস্তানকে নিয়ে তীব্রতর মার্কিন-চিন প্রতিযোগিতাকে ভারত কী ভাবে ব্যবহার করতে পারে সেই সম্ভাবনা অন্বেষণ করা  হয়েছে

অনেক চিনা ভাষ্যকার উল্লেখ করেছেন যে, কী ভাবে পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষার জন্য চিনা যুদ্ধবিমান ওড়ালেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের কূটনীতিকরা আমেরিকানদের কৃতিত্ব দিয়েছিলেন।

ভারত ছাড়া চিনও ২০২৫ সালের ১৮ জুন পাকিস্তানি ফিল্ড মার্শাল মুনিরের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে সমান ভাবে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তান এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলে তা চিনে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যখন চি ট্রাম্পের শুল্ক অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমতকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে, তাঁকে বিশ্বব্যবস্থার ধ্বংসকারী হিসেবে চিহ্নিত করছে, তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রকৃত শান্তিরক্ষী হিসেবে সমর্থন করায় চিনের জনসাধারণের কাছে পাকিস্তান লজ্জাজনক প্রমাণিত হয়েছে। অনেক চিনা ভাষ্যকার উল্লেখ করেছেন যে, কী ভাবে পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষার জন্য চিনা যুদ্ধবিমান ওড়ালেও শেষ পর্যন্ত তাঁদের কূটনীতিকরা আমেরিকানদের কৃতিত্ব দিয়েছিলেন। এটি এমন এক সময়ে হয়, যখন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) অধীনে চিনের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়া, সিন্ধু জল চুক্তি পুনরুদ্ধার করা, সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল শক্তিশালী করা ইত্যাদির নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল।

একই ভাবে, মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলার পাকিস্তানকে আমেরিকার অসাধারণ অংশীদার হিসেবে সমর্থন কেবল নয়াদিল্লিতেই নয়, বেজিংয়েও উদ্বেগের ঘণ্টা বাজিয়েছে। বেজিং পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুর ঐতিহাসিক মার্কিন সফরের প্রতিও গভীর মনোযোগ দিয়েছে এবং এর পরপরই ইসলামাবাদে একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেছে।

মার্কিন সেন্টকম প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলার পাকিস্তানকে আমেরিকার অসাধারণ অংশীদার হিসেবে সমর্থন কেবল নয়াদিল্লিতেই নয়, বেজিংয়েও উদ্বেগের ঘণ্টা বাজিয়েছে।

বেশ কয়েকজন চিনা ভাষ্যকারের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্কের হঠাৎ উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে চিনের মূল উদ্বেগগুলি নিম্নরূপ:

. মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কের উষ্ণতার কারণে কি ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে অনুপ্রবেশ ঘটবে এবং তা বিনষ্ট করা হবে? তাঁদের যুক্তি, চিন গোয়াদর বন্দর নির্মাণে শত শত বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা এই বছরের মে মাসে আফগানিস্তানের খাইবার পাসের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, মালাক্কা প্রণালী বাইপাস করে সরাসরি ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল পথটি ২,৬০০ কিলোমিটার পথ হ্রাস করে। এখন ট্রাম্প মুনির করমর্দন করায় আমেরিকান পুঁজি কি চিনের সিপিইসি লাইফলাইন’- অনুপ্রবেশ ঘটাবে এবং তা সমূলে বিনষ্ট করবে?

. ট্রাম্প মুনিরের মধ্যে গোপন বৈঠকটি কেবল পাকিস্তানকে ইরানকে সাহায্য করা থেকে বিরত রাখার জন্য ছিল, না কি চিনা সামরিক গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার জন্যও ছিল? ট্রাম্প কি ভারত-পাকিস্তান বিমান যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত চিনের অস্ত্র যুদ্ধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ সামরিক অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুসন্ধান করতে চেয়েছিলেন? চিনের সামরিক শক্তির মূল কথা জানতে এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর কৌশলগত মোতায়েনের পথ প্রশস্ত করতে কি ট্রাম্প এমনটা করেছিলেন?

. আমেরিকা কি পাকিস্তানকে চিনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি পরিকল্পনা ব্যাহত করার জন্য প্ররোচিত করতে চেয়েছিল? যদি ইসলামি বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশটি ইরানের বিরুদ্ধে যায়, তা হলে চিনের ইরায়েলি আক্রমণের নিন্দা করার নৈতিক অবস্থান তার নিকটতম অংশীদারের দিক থেকে বিপন্নতার মুখে পড়বে

. কিছু চিনা পর্যবেক্ষক এমনকি মার্কিন-পাকিস্তান ক্রিপ্টোকারেন্সি জোটের প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলামাবাদকে দক্ষিণ এশীয় এনক্রিপশন কেন্দ্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে চিনাদের যুক্তি হল, এই পরিকল্পনা পাকিস্তানে আরএমবি-র আন্তঃসীমান্ত বন্দোবস্ত দুর্বল করতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ডিজিটাল মুদ্রা বিন্যাসকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) থেকে জ্বালানি সম্পদ সরিয়ে নিতে পারে এবং পাকিস্তানে চিনের সামগ্রিক কৌশলগত বিন্যাসকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আরও যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, চিন সিপিইসি নির্মাণে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যাতে পাকিস্তান ধাপে ধাপে উন্নয়ন করতে পারে এবং এই উন্নয়ন হবে প্রথমে শিল্প উৎপাদনের উপর মনোযোগ দিয়ে। কিন্তু এখন পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে এবং আর্থিক মূলধন বিকাশের জন্য তুলনায় সহজ পথ নিতে চায়, যা পাকিস্তানের প্রকৃত অর্থনীতিতে চিনের পূর্ববর্তী বিনিয়োগকে চাপের মুখে ফেলেছে

চিনের অনেকেই পাকিস্তানের আকস্মিক সুযোগসন্ধানী পরিবর্তনকে আক্ষরিক অর্থেই চিনের পিঠে ছুরি মারা বলে অভিহিত করেছেন, যা চিন-পাকিস্তান সম্পর্কের মূল স্তম্ভ অর্থাৎ কৌশলগত পারস্পরিক আস্থাকে আঘাত করেছে। তারা এটিকে চিনের জন্য একটি জাগরণের আহ্বান বলে অভিহিত করেছেন তাই এখন চিনের জন্য শিক্ষা হল বন্ধুত্বের আগে আসে স্বার্থ... এমনকি জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধুরাও হতাশ করতে পারে... এবং পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা ছাড়া সিপিইসি- কাজ এগিয়ে যেতে পারে না

চিনের অনেকেই পাকিস্তানের আকস্মিক সুযোগসন্ধানী পরিবর্তনকে আক্ষরিক অর্থেই চিনের পিঠে ছুরি মারা বলে অভিহিত করেছেন, যা চিন-পাকিস্তান সম্পর্কের মূল স্তম্ভ অর্থাৎ কৌশলগত পারস্পরিক আস্থাকে আঘাত করেছে।

তবে অন্যরা মনে করেন,চিন-পাকিস্তানের লৌহসম বন্ধুত্ব ব্যাহত করার জন্য আমেরিকার পাকিস্তানের উপর বর্তমান ২৯ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া বা অস্ত্র বিক্রিকে (যেমন এফ৩৫ বিক্রি) টোপ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে, এ নিয়ে চিনের আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। বিশ্লেষকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, চিন-পাকিস্তানের পরিস্থিতির কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তি দৃঢ় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ইতিবাচক উদ্যোগ সহজেই তা নাড়িয়ে দিতে পারে না। চিন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব কেবল কূটনৈতিক  বক্তব্যেই প্রতিফলিত হয় না, বরং উভয় পক্ষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিকগুলিতেও গভীর ভাবে প্রোথিত।

অন্য দিকে, তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে, পাকিস্তানের প্রশ্নে আমেরিকা কঠিন পছন্দের সম্মুখীন হয়েছে। তাই আমেরিকা পাকিস্তানের সঙ্গে যে ভাবেই জড়িত থাকুক না কেন, এটি চিনের জন্য একটি নৈতিক জয় বটেইউদাহরণস্বরূপ, চিনা মূল্যায়নে দেখা যায়, পাকিস্তান এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সবচেয়ে উন্নত এইম-১২০ডি মাঝারি-পাল্লার আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনের জন্য দর কষাকষির চিপ হিসাবে চিনের জে-৩৫ ব্যবহার করছে। যদি আমেরিকা তার প্রাক্তন মিত্র-এর উপর সাময়িক ভাবে জিততে পাকিস্তানের দাবিতে রাজি হয়, তা হলে তাকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। প্রথমত, এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লিতে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পূর্ণ রূপে ব্যাহত করবে, যা চিনের জন্য একটি স্বাগত অগ্রগতি হবে। দ্বিতীয়ত, মনটা করার মাধ্যমে আমেরিকাকে চিন-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব স্তরের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে, যার ফলে তাদের শীর্ষ প্রযুক্তি চিনের কাছে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান আধিপত্যকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলবে। বিপরীতে, যদি আমেরিকা চুক্তিটি করতে অস্বীকৃতি জানায়, তা হলে এই পদক্ষেপ পাকিস্তানকে আরও বেশি করে চিনের কাছে ঠেলে দেবে। ইতিমধ্যে আলোচনা চলাকালীন আমেরিকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণের মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার বিষয়টিও চিনের জন্য ইতিবাচক। কারণ এটি পাকিস্তানকে চিনা ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে সহায়তা করবে।

এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লিতে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সম্পূর্ণ রূপে ব্যাহত করবে, যা চিনের জন্য একটি স্বাগত অগ্রগতি হবে।

ভারতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন-পাকিস্তান ত্রিভুজের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ() কথা ত্যি যে, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান চি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কগুলিকে খুব কম স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছাড়াই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছে। যাই হোক, চিন-মার্কিন বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার কাজটি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নিরাপত্তাহীনতা, অবিশ্বাস বিভ্রান্তি এই ত্রিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রধান প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেটিকে ভারতীয় কৌশলগত সম্প্রদায়কে কৌশলগত ভাবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে চিন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেউই তাদের শীর্ষ সামরিক প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে বিনিয়োগ বা অস্ত্র সরবরাহ করার আত্মবিশ্বাস না পায়।

 


অন্তরা ঘোষাল সিং অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

 


) এটি বাংলাদেশেও সম্প্রসারিত হতে পারে। এক দিকে চিন পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে ত্রিপাক্ষিক ভাবে একত্রিত করার চেষ্টা করছে এবং অন্য দিকে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের আমেরিকান রাজনৈতিক অভিজাতদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক নিয়ে চিন সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

 


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Antara Ghosal Singh

Antara Ghosal Singh

Antara Ghosal Singh is a Fellow at the Strategic Studies Programme at Observer Research Foundation, New Delhi. Her area of research includes China-India relations, China-India-US ...

Read More +