Published on Nov 10, 2025 Updated 0 Hours ago

বেজিংয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নত করে নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনের অনিশ্চয়তার মধ্যে তার অর্থনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে

চিনের প্রতি ভারতের বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গি

৩০ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, তিনি ভারত থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন। চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য নয়াদিল্লির প্রচেষ্টা বেজিংয়ের প্রতি ভারতের আনুগত্য প্রতিফলিত করার অভিযোগের মধ্যে এই বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চি ভারতের মধ্যে ত্রিভুজাকার গতিশীলতায় প্রকৃতপক্ষে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ট্রাম্প চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন, যার ফলে নয়াদিল্লি ওয়াশিংটন বেজিংয়ের মধ্যে নিজস্ব ভারসাম্য খুঁজে পেতে প্ররোচিত হয়েছে। কিন্তু চিনের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক যোগাযোগকে কৌশলগত দুর্বলতার কারণে পরিচালিত একটি ভারতীয় ছাড় হিসাবে দেখা ভুল হবে। বরং এটি ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে কৌশলগত ভাবে মানিয়ে নেওয়ার একটি রূপ বলা চলে বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক মূল নিরাপত্তা স্বার্থের সঙ্গে আপস না করে সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে গড়ে উঠছে

ট্রাম্প চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন, যার ফলে নয়াদিল্লি ওয়াশিংটন বেজিংয়ের মধ্যে নিজস্ব ভারসাম্য খুঁজে পেতে প্ররোচিত হয়েছে।

২০২০ সালে গলওয়ানে সীমান্ত সংঘর্ষ এর ফলে সৃষ্ট সামরিক অচলাবস্থার পর থেকে চিনের সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়ে। সেই সময়ে ভারত একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য বেজিংয়ের প্রচেষ্টার জবাবে ঘোষণা করে যে, দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিকটক-সহ ৩০০টিরও বেশি চিনা অ্যাপ  নিষিদ্ধ করা হয় এবং ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করা থেকে চিনা টেলিকমগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। উপরন্তু, সরকার বাধ্যতামূলক করেছিল যে, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া দেশগুলিতে অবস্থিত সংস্থাগুলি কেবলমাত্র সরকারি অনুমতি পাওয়ার পরেই বিনিয়োগ করতে পারবে।

তবে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দুই দেশ পরিস্থিতি শান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই বছর ব্রিকস নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখা করেন। ভারত দুই দেশের মধ্যে ফলস্বরূপ বোঝাপড়াকে একটি জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার ক্ষমতা নিশ্চিত করে এবং ভারতীয় পশুপালকরা আবার পশুপালন শুরু করতে সক্ষম হয়। নতুন করে ভারতীয় টহলকে গ্রহণ রার মাধ্যমে চিনা পক্ষ বাস্তব জমিতে মানুষের উপর নতুন তথ্য চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকে সরে এসেছে। সর্বোপরি পাঁচ বছর পর চি আবারও ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কৈলাস পর্বত, মানস সরোবর রাক্ষসতা হ্রদ পরিদর্শনের অনুমতি দিয়েছে। বিনিময়ে ভারত চিনা নাগরিকদের পর্যটন ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করেছে। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যম নাগরিক সমাজের মধ্যে নিয়মিত ভাবে বিনিময় চলছে এবং ভারত চিনা শহরগুলির মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা চলছে।

এখন ভারতীয় অর্থনৈতিক আমলাতন্ত্র নতুন করে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শুরু করতে আগ্রহী। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি মূলধন বিধিনিষেধ শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগ কোনও অতিরিক্ত ছাড়পত্র ছাড়াই চিনা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভারতীয় সংস্থাগুলিতে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত অংশীদারিত্ব অর্জনের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে এর নেপথ্যের যুক্তি হল এই যে, বেজিং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশের মালিক এবং চিনকে এই খাত থেকে সম্পূর্ণ রূপে বহিষ্কার করা সম্ভব হবে না। সর্বোপরি, ভারত সরকারের ২০২৩-২৪ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ফতানি বাজারের উদ্দেশ্যে পণ্য তৈরির জন্য ভারতে কারখানা স্থাপনের জন্য চিনা সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে কথা বলা হয়েছে।

বেজিং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশের মালিক এবং চিনকে এই খাত থেকে সম্পূর্ণ রূপে বহিষ্কার করা সম্ভব হবে না।

তা হলে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ভারতের তরফেই দুকদম বাড়ানোর নেপথ্যে আসল কারণ কী?

প্রথমত, ব্যবসায়িক বিষয়টিকে অস্বীকার করা যায় না। সীতারামন জানিয়েছেন যে, ভারতের বড় বড় কর্পোরেশনগুলি বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি অভিযোগ করেছে যে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভিসা সরবরাহকারীদের জন্য ছাড়পত্রের অভাবের কারণে তাদের ১৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে এবং ১০০,০০০ কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। সরকার চি থেকে দেশীয় উৎসে উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে তবে সরবরাহ থেকে শুরু করে ক্ষমতা প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা এটিকে কঠিন করে তুলেছে।

তবে ভূ-রাজনীতিও স্পষ্টতই একটি কারণ, বিশেষ করে এই বিশ্বাস বিদ্যমান যে, ওয়াশিংটন পাকিস্তান চিনের প্রতি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। ভারতীয় বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে চি থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য একই সঙ্গে বেজিং ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ হতে পারে। পরিবর্তে, নয়াদিল্লি আশা করে যে, চিনে প্রতি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে ভারত এই প্রবণতাগুলির প্রথমটিকে কাজে লাগাতে পারে এবং দ্বিতীয়টি থেকে উদ্ভূত যে কোন নেতিবাচক পরিণতি এড়াতে পারে।

জুন মাসে ইসলামাবাদ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অনুমোদন করার পর ট্রাম্প তাঁকে আতিথ্য দেন। মার্কিন সেন্ট্রাল ম্যান্ডে প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলাকেও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননাগুলির মধ্যে একটি দেওয়া হয় এবং কুরিলা সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদের এই আকস্মিক ঘনিষ্ঠতা বেজিংয়ে মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে ওয়াশিংটন কি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে ব্যাহত করতে চাইছে? না কি পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে চিনা অস্ত্র ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য পেতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিন চিনা ভাষ্যকাররা আরও অনুমান করেন যে, পাকিস্তানে দক্ষিণ এশীয় এনক্রিপশন সুবিধা স্থাপনের মার্কিন পরিকল্পনা রেনমিনবির জন্য আন্তঃসীমান্ত নিষ্পত্তি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সুতরাং, ভারতীয় কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুভূতি বিদ্যমান যে, চিন-পাকিস্তান লৌহসম অটুট বন্ধুত্ব-তে টানাপড়েনের মাঝেই বেজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক পরিসর পুনরায় উন্মোচন করা আসলে ভারত চিন উভয় দেশের স্বার্থে জন্য অনুকূল হতে পারে।

শুল্কের আক্রমণ সত্ত্বেও চিনের অর্থনীতিও প্রত্যাশার তুলনায় ভাল হয়েছে এবং বছরের প্রথমার্ধে তা . শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নয়াদিল্লির দৃষ্টিকোণ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হল এই ধারণা যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক  মার্কিন প্রশাসনগুলি ক্রমাগত চিনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে, যা তার সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তবুও সম্প্রতি মনে হচ্ছে মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে, হোয়াইট হাউস চিনের কাছে এনভিডিয়ার এইচ২০ চিপ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। আবার এই অনুভূতি বিদ্যমান যে, চি রেয়ার-আর্থ খনিজ এবং চুম্বকের উপর তার নিয়ন্ত্রণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার শুল্ক দ্বন্দ্বে উল্লেখযোগ্য সুবিধা অর্জন করেছে। শুল্কের আক্রমণ সত্ত্বেও চিনে অর্থনীতিও প্রত্যাশার তুলনায় ভাল হয়েছে এবং বছরের প্রথমার্ধে তা . শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তিন দফা বাণিজ্য আলোচনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিন উভয়ই তাদের শুল্ক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ট্রাম্প কৌশলগত ক্ষেত্রে নরম হয়ে উঠছেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে বরে প্রকাশিত হয় যে, বেজিংয়ের আপত্তির কারণে হোয়াইট হাউস তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে মধ্য আমেরিকা যাওয়ার পথে নিউ ইয়র্কে থামার অনুমতি দেয়নি। এবং এই সমস্ত কিছুর পরে এই বছরের শেষের দিকে ট্রাম্প শি- মধ্যে সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলনের কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না

ভারত এই দশকের শেষ নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ্যে প্রকাশ করেছে। নীতিনির্ধারকরা - জানেন যে, ভারত যদি একটি উন্নত দেশ হতে চায়, তা হলে মূলধন থেকেই আয় বৃদ্ধি করা আবশ্যক। কিন্তু এই উভয় লক্ষ্যের জন্য প্রযুক্তি মূলধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা ফার্স্টের উত্থান-পতনের পাশাপাশি আলোচনা করার সময় প্রযুক্তি মূলধন সরবরাহে ভারত চিনের নতুন ভূমিকা সম্পর্কে অবগত।

তবে এই সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করার সময় নয়াদিল্লি এখনও মূল সামরিক স্বার্থের বিষয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সহমত হয়নি উদাহরণস্বরূপ, জুনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক থেকে উদ্ভূত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে ভারত অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বলেছে যে এটি সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে নয়াদিল্লির উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে না। জুলাই মাসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাঁচ বছর পর এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে যান। সেখানে থাকাকালীন জয়শঙ্কর আবারও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলিকে মনে করিয়ে দেন যে, এই  গোষ্ঠীটি মূলত সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ চরমপন্থা মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এবং কথা অনুযায়ী কাজ হয়েছে। এপ্রিল মাসে পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে, যা ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকে তাদের সবচেয়ে বিস্তৃত সামরিক অভিযানগুলির মধ্যে একটি। সংঘাতের সময় ভারত বলেছিল যে, তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলিতে আঘাত করেছে। মনটা করার মাধ্যমে ভারত ঘোষণা করেছে যে, তার নিউ নর্মাল বা নতুন স্বাভাবিক অবস্থা হবে সীমান্তের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপকে যুদ্ধের পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা।

বেজিংয়ের সঙ্গে সাবধানতার সঙ্গে সম্পর্কের অবস্থান উন্মুক্ত করার মাধ্যমে নয়াদিল্লি একটি জটিল বিকশিত কৌশলগত পরিবেশের প্রতি বিচক্ষণতার সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। ভারত সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বহিরাগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা তৈরি করতে থাকবে। তবে ভারত ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে, প্রয়োজনে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা যথেষ্ট সক্ষম। এলএসি বরাবর স্থিতাবস্থা একতরফা ভাবে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেজিংয়ের ভূমিকার প্রতি অনিচ্ছুক স্বীকৃতিই চিন-ভারত পুনর্মিলনের সর্বশেষ দফা শুরু করেছিল

 


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ফরেন পলিসি-তে।


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Harsh V. Pant

Harsh V. Pant

Professor Harsh V. Pant is Vice President – Studies and Foreign Policy at Observer Research Foundation, New Delhi. He is a Professor of International Relations ...

Read More +
Kalpit A Mankikar

Kalpit A Mankikar

Kalpit A Mankikar is a Fellow with Strategic Studies programme and is based out of ORFs Delhi centre. His research focusses on China specifically looking ...

Read More +