-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতের নতুন পরিষেবা ক্ষেত্রের সমীক্ষাগুলি প্রমাণভিত্তিক নীতি নির্ধারণ এবং আরও উৎপাদনশীল, ন্যায়সঙ্গত অর্থনীতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকেই দর্শায়।
তথ্যের ঘাটতি প্রায়শই দক্ষ নীতি নির্ধারণে বাধা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে ভারতের মতো বৃহৎ এবং ভিন্নধর্মী অর্থনীতিতে। ভারতীয় আর্থ-সামাজিক তথ্যের দুর্বল প্রাপ্যতা এবং গুণমান দীর্ঘকাল ধরে সময়োপযোগী ও গুণমানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে বাধা, যার ফলে নীতিমালা প্রণয়ন কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি বৃহৎ অর্থনীতিতে তথ্য সংগ্রহ একটি ব্যয়বহুল কাজ এবং সমীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয়ও যথেষ্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুরনো তথ্য কাঠামো কার্যকর হতে পারে না। এ কথা স্বীকার করে নিয়েই ভারত সরকার, পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের (এমওএসপিআই) মাধ্যমে সম্প্রতি তার তথ্য ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের জন্য প্রশংসনীয় পদক্ষেপ করেছে।
বাজারের দুই-তৃতীয়াংশ মূল্য সংযোজনের মাত্র ১ শতাংশ উৎপাদন করে, যেখানে শীর্ষ ৩ শতাংশ মূল্যের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে, যা উৎপাদনশীলতার ব্যবধানকেই দর্শায়।
উন্নত মঞ্চ থেকে শুরু করে নতুন সমীক্ষা এবং তথ্য সংক্রান্ত ল্যাব চালু করা পর্যন্ত… এমওএসপিআই-এর হস্তক্ষেপগুলি আরও স্বচ্ছ ও সংবেদনশীল পরিসংখ্যানগত কাঠামোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকেই দর্শায়। ত্রৈমাসিক শ্রম সমীক্ষা এবং ভোগ ব্যয় সংক্রান্ত সমীক্ষার পুনঃপ্রবর্তন জনসাধারণের আলোচনায় যুক্ত হয়ে তথ্যমূলক নীতি নির্ধারণকে সহজতর করে। সম্প্রতি, সরকার দু’টি নতুন সমীক্ষা চালু করেছে: অ্যানুয়াল সার্ভে অফ সার্ভিস সেক্টর এন্টারপ্রাইজেস সংক্রান্ত পাইলট স্টাডি (এএসএসএসই) এবং প্রাইভেট সেক্টর ক্যাপেক্স ইনভেস্টমেন্ট ইনটেনশনস সংক্রান্ত ফরওয়ার্ড-লুকিং সার্ভে (পিএসসিআইআই)। এই দুই পর্বের সিরিজটিতে আলোচনা করা হয়েছে যে, কী ভাবে এই দু’টি সমীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের শূন্যস্থান পূরণ করে এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রদান করে।
ভারতের পরিষেবা ক্ষেত্রের মানচিত্র: নতুন এএসএসএসই সমীক্ষার অন্তর্দৃষ্টি
১৯৯১ সালের সংস্কারের পর থেকে পরিষেবা খাত ভারতের প্রধান প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় অর্ধেক। পরিষেবা খাতও একটি প্রধান নিয়োগকর্তা, যা ভারতীয় কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশেরও বেশি তৈরি করে। সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত ভারতের পরিষেবা খাতের উপর কোনও বিস্তৃত ডেটাবেস বা তথ্যভাণ্ডার ছিল না। অনিবন্ধিত সেবা খাতের তথ্য অ্যানুয়াল সার্ভে অফ আন-ইনকর্পোরেটেড সেক্টর এন্টারপ্রাইজেসের (এএসইউএসই) সমীক্ষা থেকে পাওয়া গেলেও, এটি সমগ্র ক্ষেত্রের তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যবধান স্বীকার করে নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) অ্যানুয়াল সার্ভে অফ সার্ভিস সেক্টর এন্টারপ্রাইজেস সংক্রান্ত পাইলট স্টাডি (এএসএসএসই) চালু করেছে, যা নিয়মিত পরিষেবা খাতের সংস্থাগুলির ব্যবসায়িক বৈশিষ্ট্যগুলির তথ্য প্রদান করবে। এই সময়োপযোগী পদক্ষেপটি খাতটির ক্ষুদ্রতর অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণকে সক্ষম করে এবং কৌশলগত নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে।
পরিষেবা এমএসএমই-তে সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ উচ্চ দক্ষতার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে, মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং ফলস্বরূপ, আপেক্ষিক মজুরি বৃদ্ধি করতে পারে।
পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা শুরু করার আগে দু’টি পর্যায়ে পাইলট স্টাডিটি পরিচালিত হয়েছিল - প্রথমটি, একটি উপযুক্ত নমুনা কাঠামো যাচাই এবং প্রতিষ্ঠা করার জন্য; দ্বিতীয়টি, ফার্মের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর মূল পরিসংখ্যান সংগ্রহ করার জন্য। পণ্য ও পরিষেবা কর নেটওয়ার্ক (জিএসটিএন) অন্তর্ভুক্ত পরিষেবা খাতের উদ্যোগগুলির উপর এই সমীক্ষা পরিচালনা করার জন্য একটি নমুনা কাঠামো হিসাবে কাজ করেছিল। প্রথম পর্যায়ে ১০,০০৫টি উদ্যোগের উপর সমীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৫০২০টি উদ্যোগকে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৪,০৮৬টি উদ্যোগ কার্যকর ছিল। বেশিরভাগ অ-কৃষি, অ-উৎপাদন পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, অর্থ/বিমা, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ইত্যাদির মতো কিছু কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিষেবা খাতের বিশাল আকারের কারণে - প্রায় ৬.৮৫ লক্ষ উদ্যোগ - ৫,০২০টির নমুনার আকার নগণ্য এবং তাই এটি কেবল বৃহত্তর বৈশিষ্ট্যগুলির ইঙ্গিত দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত মূল তথ্য এবং তাৎপর্য
জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৮৩ শতাংশ পরিষেবা উদ্যোগ হল বেসরকারি সীমিত সংস্থা এবং ২৯ শতাংশেরও বেশি সংস্থা একাধিক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাজ করে। এর অর্থ হল এই সংস্থাগুলির এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন রাজ্য-নির্দিষ্ট নিয়মের অধীন এবং একই ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন খরচ বহন করে, যা একটি অভিন্ন ভারতব্যাপী ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। যেহেতু ব্যবসা ও বাণিজ্য রাজ্য তালিকার অধীনে আসে, তাই ব্যবসা-বান্ধব কাঠামো তৈরি করা তাদের অধিকার। জন বিশ্বাস আইন, ২০২৩-এর মতো উদ্যোগগুলি ব্যবসা করার সহজতা বৃদ্ধি করলেও, সর্বভারতীয় পরিষেবা ক্ষেত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র-রাজ্যের শক্তিশালী সহযোগিতা অপরিহার্য।
আকারের দিক থেকে বণ্টনের বিষয়টি ছোট সংস্থাগুলির দিকে ঝুঁকে পড়েছে, যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সংস্থা ১০০ মিলিয়ন টাকারও কম উৎপাদন করে। অন্য দিকে, ৩ শতাংশেরও কম সংস্থা ৫ বিলিয়ন টাকারও বেশি উৎপাদন করে। নমুনা পক্ষপাতের কারণে এটি সঠিক খাতগত প্রতিনিধিত্ব না-ও করতে পারে এবং মূল্য সংযোজনের তথ্য একটি আকর্ষক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। বাজারের দুই-তৃতীয়াংশ মূল্য সংযোজনের মাত্র ১ শতাংশ উৎপাদন করে, যেখানে শীর্ষ ৩ শতাংশ মূল্যের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে, যা উৎপাদনশীলতার ব্যবধানকেই দর্শায়। এই অসম বণ্টন পরিষেবা শিল্প, যেমন বাণিজ্য, নির্মাণ এবং অন্য পরিষেবাগুলিতেও বিস্তৃত। আর একটি আকর্ষক বৈশিষ্ট্য হল এই যে, বৃহত্তর সংস্থাগুলি ইনপুটের তুলনামূলক ভাবে কম অংশ গ্রহণ করে এবং বেশি উৎপাদন করে, যা এক ধরনের মাত্রাগত অর্থনীতিকেই বোঝায়। তবে এটি কেবল তখনই যাচাই করা যেতে পারে, যখন পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা শুরু করা হয়।
সারণি ১: বিভিন্ন আকারের আউটপুট শ্রেণির অর্থনৈতিক সূচকগুলির শতাংশ ভাগ (২০২২-২৩)
|
|
|
সূচক (শতাংশে) |
||||||
|
আউটপুটের আকার শ্রেণি (X) |
সমীক্ষাকৃত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা |
স্থায়ী সম্পদ |
নেট ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন |
গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন |
গ্রস ক্যাপিটাল ফর্মেশন |
বকেয়া ঋণ |
জিভিএ |
এনভিএ |
|
ভারতব্যাপী |
||||||||
|
X < ১০ কোটি |
২৭২০ |
২.৬৪ |
২.১৯ |
২.৪৪ |
২.৭৮ |
৫.৯১ |
১.১৯ |
১.০৭ |
|
১০ কোটি ≤ X < ১০০ কোটি |
৯২৭ |
৯.৫৮ |
৬.০০ |
৮.৩২ |
১২.৬৭ |
১৫.৮৩ |
৯.৪৫ |
৯.৩৮ |
|
১০০ কোটি ≤ X < ৫০০ কোটি |
৩২৬ |
২৫.০০ |
২৯.০৮ |
২৬.৯৬ |
২৭.১৯ |
৪২.১২ |
১৯.৯০ |
১৯.৩৩ |
|
X ≥ ৫০০ কোটি |
১১৩ |
৬২.৭৭ |
৬২.৭৩ |
৬২.২৮ |
৫৭.৩৬ |
৩৬.১৪ |
৬৯.৪৭ |
৭০.২১ |
|
মোট |
৪০৮৬ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
এএসএসএসই কর্মসংস্থান ও মজুরি বিলের তথ্যও সংগ্রহ করেছে। যেমনটা সারণি ২-এ দেখানো হয়েছে, ছোট সংস্থাগুলি ৯ শতাংশেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করে, যেখানে বৃহৎ সংস্থাগুলি প্রায় ৩৭ শতাংশ কর্মী নিয়োগ করে। এটি একটি আরও সুনির্দিষ্ট সূচক যে, বৃহৎ সংস্থাগুলি ৭০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং মাত্র ৩৭ শতাংশ শ্রমশক্তি প্রদান করে। তা ছাড়া, বৃহৎ সংস্থাগুলি মজুরির একটি বৃহত্তর অংশও প্রদান করে, যা নিওক্লাসিক্যাল বা নব্যধ্রুপদি অর্থনৈতিক তত্ত্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই সংস্থাগুলিতে শ্রমের উচ্চ উৎপাদনশীলতা তাদের উচ্চতর মজুরির জন্য দর কষাকষি করার সুযোগ করে দেয়। এটি পরিষেবা শিল্পগুলিতে দক্ষতার পার্থক্য সম্পর্কেও প্রশ্ন উত্থাপন করে।
সারণি ২: বিভিন্ন আকারের উৎপাদন শ্রেণি অনুসারে কর্মসংস্থান সূচকগুলির শতাংশ ভাগ (২০২২-২৩)
|
|
|
সূচক |
|||||
|
আউটপুটের আকার শ্রেণি (X) |
সমীক্ষাকৃত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা |
পরিষেবা উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তি (%) |
তত্ত্বাবধায়ক ও ব্যবস্থাপনা কর্মী (%) |
মোট যুক্ত ব্যক্তি (%) |
পরিষেবা উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের মজুরি/বেতন (%) |
তত্ত্বাবধায়ক ও ব্যবস্থাপনা কর্মীদের মজুরি/বেতন (%) |
মোট ক্ষতিপূরণ (%) |
|
ভারতব্যাপী |
|||||||
|
X < ১০ কোটি |
২৭২০ |
৮.৬৯ |
৯.০১ |
৯.২৮ |
৩.১৫ |
৩.৪৬ |
৩.১৭ |
|
১০ কোটি ≤ X < ১০০ কোটি |
৯২৭ |
১৮.৭৯ |
১৯.৪০ |
২০.০৩ |
১০.৮১ |
১১.৬২ |
১১.৪৩ |
|
১০০ কোটি ≤ X < ৫০০ কোটি |
৩২৬ |
৩৩.৭২ |
২৯.২৬ |
৩৩.৭৩ |
২৩.৫৩ |
২০.৫৭ |
২২.২৪ |
|
X ≥ ৫০০ কোটি |
১১৩ |
৩৮.৮১ |
৪২.৩৩ |
৩৬.৯৬ |
৬২.৫১ |
৬৪.৩৫ |
৬৩.১৭ |
|
মোট |
৪০৮৬ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
১০০.০০ |
উৎস: এএসএসএসই
তিনটি পরিষেবা শিল্প জুড়ে ছোট ও বৃহৎ সংস্থাগুলির মধ্যে উৎপাদনশীলতার পার্থক্য রয়েছে। বাণিজ্য শিল্পের পাশাপাশি, এই অতিরিক্ত উৎপাদনশীলতা উচ্চ মজুরির মাধ্যমেও পুরস্কৃত হয়। এটি কেবল ক্ষেত্রভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং মজুরি বৈষম্য কমাতেও এই খাতে আরও মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সর্বোপরি, দক্ষতার অস্তিত্ব এই সত্য দ্বারা নিশ্চিত করা হয় যে, অন্যান্য পরিষেবা খাতে আপেক্ষিক মজুরি সর্বোচ্চ, যার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি, রিয়েল এস্টেট, প্রশাসনিক ইত্যাদির মতো সমস্ত দক্ষতা-ভারী পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুতরাং, পরিষেবা ক্ষেত্রের মধ্যেও, শ্রম বৈচিত্র্য এবং দক্ষতার প্রতিফলন উল্লেখযোগ্য।
ছোট আকারের ক্ষেত্রে ফার্মগুলির বিশাল ঘনত্ব বোঝায় যে, ছোট আকারের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও উল্লেখযোগ্য প্রবেশ বাধা এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ খরচ নেই।
ফার্মের আকারের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি একটি সুস্থ ক্ষেত্রের সূচক। ছোট আকারের ক্ষেত্রে ফার্মগুলির বিশাল ঘনত্ব বোঝায় যে, ছোট আকারের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও উল্লেখযোগ্য প্রবেশ বাধা এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ খরচ নেই। তবে এই ছোট সংস্থাগুলি জমি, ভবন, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর মতো সীমিত পরিমাণে মূলধন দিয়ে কাজ করে। শ্রম সম্ভাবনা উন্মোচন করে এবং উপাদান প্রতিস্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে এই সংস্থাগুলির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য মূলধন সমন্বিতকরণ একটি প্রয়োজনীয়তা। এর ফলে মূল্য সংযোজনের উচ্চতর মধ্যম স্তরের সঙ্গে আরও সুষম বাজার কাঠামো গড়ে উঠবে।
ভবিষ্যতের পথ
এএসএসই, এএসইউএসই এবং শিল্পের বার্ষিক সমীক্ষা-সহ (এএসআই) এখন অ-কৃষি খাতের আরও সূক্ষ্ম ও বিশদ চিত্র প্রদান করতে পারে। এটি কেবল শিল্পনীতিকে উপকৃত করবে না, বরং উন্নয়নমূলক অগ্রাধিকারগুলিকেও আকার দেবে। উদাহরণস্বরূপ, পরিষেবা ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রিমিয়ামের অস্তিত্ব দক্ষ প্রতিভা আকর্ষণ করবে, তবে ছোট সংস্থাগুলিতে তুলনামূলকভাবে কম মজুরি সেই প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। পরিষেবা এমএসএমই-তে সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ উচ্চ দক্ষতার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে, মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং ফলস্বরূপ, আপেক্ষিক মজুরি বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে আরও ছোট উদ্যোগে দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করার চক্রের সূচনা হবে। এই পরিবর্তনগুলিকে সহজতর করার জন্য গুণমানসম্পন্ন তথ্য সংগ্রহ এবং সময় মতো তথ্য প্রচার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
আর্য রায় বর্ধন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Arya Roy Bardhan is a Research Assistant at the Centre for New Economic Diplomacy, Observer Research Foundation. His research interests lie in the fields of ...
Read More +