ইউক্রেন সংকট দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করার পর থেকে ভারত–রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা–কল্পনা চলছে। পশ্চিমী বিচ্ছিন্নতা রাশিয়াকে চিনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং মস্কো ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে ড্রাগনের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। রাশিয়ায় চিনা রপ্তানি — বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস, মোটর গাড়ি, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ও চিপস, এবং যন্ত্রপাতি সামগ্রীর — যুদ্ধের পর থেকে আকাশচুম্বী হয়েছে, এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, পশ্চিমী কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রযুক্তি, অটোমোবাইল ও জ্বালানি ক্ষেত্রে চিনা কোম্পানিগুলো রাশিয়ার অর্থনীতিতে বাজারের অংশ দখল করতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসেছে। এটি রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার ও চিনের প্রতিপক্ষ নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
রাশিয়ায় চিনা রপ্তানি — বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, মোটর গাড়ি, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ও চিপস, এবং যন্ত্রপাতি সামগ্রীর — যুদ্ধের পর থেকে আকাশচুম্বী হয়েছে, এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে গড়ে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবুও, একই সময়ে, ভারত–রাশিয়ার সম্পর্কও গতি পেয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এই ধরনের জল্পনা–কল্পনার মধ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তাঁর মন্তব্যের এক মাস আগে ২০২৩–এর মার্চে ক্রেমলিনের বিদেশ নীতির নথিতে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে ‘নির্দিষ্টভাবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে থাকবে’।
ভারত–রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব কয়েক দশক ধরে মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বহুমুখী সম্পৃক্ততায় বিকশিত হয়েছে। গত দুই দশকে তাদের গতিশীল শক্তি–সম্পর্কও তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিপুল শক্তির ভান্ডারে সমৃদ্ধ রাশিয়া ভারতের শক্তি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারেরা রাশিয়ার জ্বালানি ক্ষেত্রে অসংখ্য যৌথ উদ্যোগ শুরু করেছে। তার উপর একটি বহুমাত্রিক নেটওয়ার্ক যা ভারত ও রাশিয়াকে ইরানের মাধ্যমে সংযুক্ত করে, সেই আন্তর্জাতিক উত্তর–দক্ষিণ পরিবহণ করিডোরটি দুই দেশের অংশীদারিত্বের অর্থনৈতিক মাত্রার ভিত্তিতে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রচুর প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন।
ভারত–রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব কয়েক দশক ধরে মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বহুমুখী সম্পৃক্ততায় বিকশিত হয়েছে।
রাশিয়ার জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারত তার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করেছে, এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও। এই নিবন্ধটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় শক্তি বহুমুখীনতায় ভারতের বিনিয়োগের বিশ্লেষণ করে, এবং দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের জন্য ভূ–অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাবগুলি বর্ণনা করে। এটি ইউক্রেন যুদ্ধের পরে ভারত–রাশিয়া শক্তি বাণিজ্যের ভূ–অর্থনৈতিক প্রভাবও বিশ্লেষণ করে।
রাশিয়ান জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতীয় বিনিয়োগ
ভারতের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন বিদেশ ওয়েল (ওভিএল) রাশিয়ার জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতের বিনিয়োগ শুরু করে সাখালিন–১ তেলক্ষেত্র প্রকল্পে ২০ শতাংশ অংশীদারিত্বের জন্য ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত, সাখালিন–১ প্রতিদিন ২২০,০০০ ব্যারেল (বিপিডি) উৎপাদন করেছিল, আর ওএনজিসি পেয়েছিল ৪৪,০০০ বিপিডি। ২০১৩ সালে উৎপাদন বৃদ্ধি শেষ হয়ে এলে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বেশিরভাগ অংশ আন্তর্জাতিকভাবে বিক্রি করেছে এবং বছরে রপ্তানি বাবদ ১০০–১৫০মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করেছে। রাশিয়ার ইম্পেরিয়াল এনার্জি কর্পোরেশনেও ওভিএল–এর ১০০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এর প্রধান তেলক্ষেত্র মাইস্কোয়ে ও স্নেজনোয়ে ২০১৮ সালে ২১৬,০০০ বিপিডি উৎপাদন করেছিল, যা ২০০৯ সালের ১৮,০০০ বিপিডি থেকে একটি বিশাল বৃদ্ধি, এবং তা ভারতের কৌশলগত শক্তির রিজার্ভে প্রচুর পরিমাণে যোগ করেছে।
সারণী ১: রাশিয়ার তেল ক্ষেত্রে ভারতীয় বিনিয়োগ
সূত্র: লেখক, ভারত সরকারের তথ্য ব্যবহার করে সংকলিত
অতিরিক্তভাবে, ২০১৯ সালে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির একটি কনসর্টিয়াম রোসনেফট–এর সহযোগী সংস্থা ভ্যাঙ্করনেফট ও তাস–ইয়ুরাখ নেফতেগাজোডোবাইচা–র যথাক্রমে ৪৯.৯ শতাংশ ও ২৯.৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছে।
ভাঙ্করের তেলক্ষেত্র ক্লাস্টারের ধারণক্ষমতা ২.৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল। যদিও রোসনেফট ভ্যাঙ্করনেফটের অধিকাংশ, ৫১.১ শতাংশ অংশীদারিত্বের অধিকারী, এই চুক্তিটি ভারতের রিজার্ভে ১৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাস পূর্ব সাইবেরিয়াতে রোসনেফটের সবচেয়ে বড় সম্পদ গড়ে তুলেছে—সেন্ট্রাল ব্লক ও স্রে্ডনেবোটুওবিলস্কোয়ে ফিল্ড—এবং সেখানে ভারতের বিনিয়োগ ভারতের রিজার্ভে ৬.৫৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্মিলিতভাবে, ভ্যাঙ্কর ও তাস তেল ক্ষেত্রগুলি ২০২১ সালে ৫৪২,০০০ বিপিডি উৎপাদন করেছিল। ভ্যাঙ্কর প্রায় ৪৪২,০০০ বিপিডি উৎপাদন করেছিল, আর তাস ১০০,০০০ বিপিডি উৎপাদন করেছিল। ভারতীয় ও রুশ অংশীদারেরাও রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য ও আর্কটিক অঞ্চলে শক্তি উৎপাদনের জন্য সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে চাইছে, বিশেষ করে সুদূর পূর্বের সাখালিন–৩, পূর্ব সাইবেরিয়ার ভ্যাঙ্কর, ও টিমান পেচোরা বেসিনের টারবস ও টিটোভ তেলক্ষেত্রে, যেগুলি দেশের উপরের পশ্চিম প্রান্তে কারা সাগর ও বারেন্টস সাগরের তীরে অবস্থিত। ভারতের গভীর আগ্রহ এই অঞ্চলে চিনের অগ্রগতি অনুসরণ করে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চিন দূর পূর্বের প্রাথমিক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০১৯ সালে রাশিয়ার দূর পূর্বে শুধু চিনের এফডিআই মোট এফডিআই–এর ৭০ শতাংশের বেশি, এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ২০২২ এবং মে ২০২৩–এর মধ্যে চিন এই অঞ্চলে খনি ও পরিবহণ পরিকাঠামোতে ৩.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
মস্কো সম্ভাব্য ভারতীয় বিনিয়োগকে সেখানে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রতি–ভারসাম্য হিসাবে দেখে। এই অঞ্চলের সঙ্গে বেজিংয়ের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং ক্রমবর্ধমান চিনা অভিবাসন ক্রেমলিনকে উদ্বিগ্ন করেছে। এই অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য নয়াদিল্লির ইচ্ছা মস্কোর কাছ থেকে সমাদর পেয়েছে। মস্কো চায় তার কৌশলগত অংশীদারেরা রাশিয়ায় বিনিয়োগ করুক, কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে একাধিক পশ্চিমী শক্তি–কোম্পানি দেশ থেকে চলে গিয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক শক্তির উপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব
রাশিয়ায় ভারতীয় বিনিয়োগ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের জন্য প্রচুর লভ্যাংশ এনেছে। ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি গত চার বছরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি রোসনেফটের সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিল করেছে। যাই হোক, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই বিনিয়োগের উপর আয় কমে গিয়েছে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ভারতীয় লভ্যাংশ রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিতে রাখা হয়েছে, যা পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থানান্তর করা যাবে না। তার উপর, রাশিয়ার চারটি জ্বালানি প্রকল্প — সাখালিন–১ ও তাসের তিনটি তেলক্ষেত্র — সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ সেগুলি পশ্চিমী শক্তি সংস্থাগুলি দ্বারা পরিচালিত ছিল, যারা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে রাশিয়া থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
রাশিয়ায় ভারতীয় বিনিয়োগ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের জন্য প্রচুর লভ্যাংশ এনেছে। ভারতীয় তেল সংস্থাগুলি গত চার বছরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি রোসনেফটের সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রকল্পে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিল করেছে।
তবে, পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের থেকে পশ্চিমীদের বিচ্ছিন্নতার কারণে ভারত ভূঅর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছে। যেহেতু রাশিয়ার তেল অ–প্রতিস্থাপনযোগ্য, তাই একে সরাসরি নিষিদ্ধ করলে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ধাক্কা লেগে যেত। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং তাদের পশ্চিমী মিত্রেরা রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা (ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলার) আরোপ করেছিল। পশ্চিমী দেশগুলি মূলত জাহাজে তেল পরিবহণের শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করে, এবং ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে তারা আরোপিত মূল্যসীমার উপরে রাশিয়ার তেল পরিবহণ করতে অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের অর্ধেক রাজস্ব যেহেতু শক্তি–রপ্তানি আয় থেকে আসে, তাই স্পষ্টতই এই বিশেষ কৌশলটির লক্ষ্য ছিল দীর্ঘমেয়াদে মস্কোর যুদ্ধ তহবিলকে পঙ্গু করা।
ভারত, যে দেশটি তার ৮৭ শতাংশ তেল ও ৬৫ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে, তাকে মস্কো যুদ্ধ–পূর্ব মূল্যের থেকে বড় ছাড় দিয়ে তেল সরবরাহ করেছিল, যা ২০২৩ সালের জুনে ব্যারেলপ্রতি ৬৯.৭ ডলারের মতো কম দামি ছিল।
ফলস্বরূপ, ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি ভারতের মোট তেল আমদানির ১ শতাংশ (৩.৬ মিলিয়ন টন) থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ (৫৬ মিলিয়ন টন) হয়েছে। ভারত সরকার ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে ৩৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জ্বালানি আমদানি সাশ্রয় করেছে। বেসরকারি শোধনাগারগুলি আরও বেশি সাশ্রয় করেছে , যার মূল্য ৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি (যেটিতে রোসনেফটের ৪৯.১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে) ৪৫ শতাংশে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম ক্রেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
সূত্র: বাণিজ্য মন্ত্রক, ভারত সরকার
রোজনেফট–এর জন্য নায়ারার ভারত কার্যক্রম কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারতে বিনিয়োগ রোসনেফটকে ভারতে তেল রপ্তানি করার সুযোগ দেয়, যেখানে এটি হোয়াইটওয়াশ করা হয় এবং তারপর পশ্চিমে রপ্তানি করা হয়। এইভাবে রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা রোসনেফটের জন্য রপ্তানি আয় তৈরি হয়।
ভারতীয় বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলি ৩.৮ মিলিয়ন টন প্রক্রিয়াজাত রুশ অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে ইইউ-কে, যে অতীতে রাশিয়ার বৃহত্তম তেল ক্রেতা ছিল। এর মূল্য ছিল ২০২২–২৩ সালে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং তা মূল্যবান রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি দেশের বর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অবদান রেখেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর করা একটি নতুন মূল্যসীমা ভারত সরকারকে আরও সস্তায় তেল পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে, যদিও হারগুলি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
উপসংহার
ভারত–রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিহাসে নিহিত এবং অভিন্ন নীতির উদ্দেশ্য ও অনুরূপ কৌশলগত বাধ্যবাধকতা দ্বারা চালিত। শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা হল তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার মূল ভিত্তি, এখন তো আরও বেশি করে যখন শক্তি নিরাপত্তা ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাধ্যতা। শক্তি ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে অংশীদারেরা যে নীতিভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছে, তা দ্বিপাক্ষিক শক্তি ও বিস্তৃত প্রকৃতির প্রমাণ। তবে নয়াদিল্লি ও মস্কো এখন বিশ্ব ব্যবস্থায় তাদের বৈচিত্র্যময় চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনশীল অবস্থানের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে, আর সেইসঙ্গে আছে চিনের সঙ্গে তাদের পৃথক ধরনের সম্পর্ক, যা তাদের নিজ নিজ বৈদেশিক নীতির অপরিহার্যতার একটি মুখ্য দিক। এখন যা দেখার বিষয় তা হল তাদের ভিন্ন ভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এই ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে কীভাবে প্রভাবিত করবে।
পৃথ্বী গুপ্ত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন গবেষণা সহকারী।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.