Published on Jan 11, 2022 Updated 0 Hours ago

ভারত যে ভাবে তার প্রয়াসের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে সমুদ্রে নিজের জায়গা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে তা বিশেষ ভাবে প্রণিধানযোগ্য।

ভারতের সমুদ্র–সংক্রান্ত নীতি: সামুদ্রিক দৃশ্যের পুনর্নির্মাণ

ভারতের সদা–গতিশীল ও দ্বিধাগ্রস্ত সামুদ্রিক কৌশল তৈরি হয় অগণিত ভূ-রাজনৈতিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, যার লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব–ব্যবস্থার সঙ্গে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা। ফলস্বরূপ, গত এক দশকের মতো সময়কালে সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তা ও ভূ-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বারংবার নবীকরণ ভারতের জন্য কূটনৈতিক প্রয়াসের ক্ষেত্রটি প্রসারিত করেছে।

এমনই একটি ক্ষেত্র হল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আখ্যান, যা সাম্প্রতিক অতীতে বিশেষত্ব অর্জন করেছে, এবং বিশেষ ভাবে নজরে এনেছে নতুন, বিকাশশীল সামুদ্রিক নীতির মধ্যে দিয়ে প্রতীয়মান ভারতের কৌশলগত অভিমুখ। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত সীমাটিকে ভারত যথাযথ প্রসারিত করেছে এমন ভাবে যার ফলে ভারতের পূর্বমুখী দৃষ্টিই শুধু বঙ্গোপসাগরের ওপারে আসিয়ান দেশগুলিকে ছাড়িয়ে আরও দূরে প্রসারিত হয়নি, সেই সঙ্গে পশ্চিমে বিস্তৃত হয়েছে পশ্চিম ভারত মহাসাগর, আরব সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রগুলি ও আফ্রিকার পূর্ব উপকূল পর্যন্ত। এটি হয়ে উঠেছে ভারতের জন্য তার ক্রমপ্রসারমান নিরাপত্তা, সংযোগ ও অর্থনৈতিক স্বার্থ থেকে উদ্ভূত একটি অখণ্ড অঞ্চল। এই নতুন বোধের পরিণতিতে ভারতের সামুদ্রিক অবস্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে, এবং সে তার সদাশয় কল্যাণকামী অবস্থান থেকে সরে এসে সুযোগের সদ্ব্যবহার ও পৌঁছনোর পরিধি প্রসারিত করে হয়ে উঠছে এক প্রভাবশালী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী শক্তি।

এই প্রয়াসের মূল কথা হল উপকূল থেকে দূর–সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত নিরাপত্তা স্থাপত্যের একটি মসৃণ ক্ষেত্র তৈরি করা, এবং আরও বেশি বিনিয়োগ করে সংগ্রহ ও উৎপাদনের সূত্রে ও নৌবাহিনীকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করা।

উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, ভারত এই ভাবে বিশ্বের সেই বড় শক্তিগুলির ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মাঝখানে এসে পড়েছে, যাদের বিপুল স্বার্থ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও তার ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যপথ ও কৌশলগত অঞ্চলগুলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেমন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন। ভারত যে ভাবে তার প্রয়াসের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে সমুদ্রে নিজের জায়গা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে তা বিশেষ ভাবে প্রণিধানযোগ্য। এই প্রয়াসের মূল কথা হল উপকূল থেকে দূর–সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত নিরাপত্তা স্থাপত্যের একটি মসৃণ ক্ষেত্র তৈরি করা, এবং আরও বেশি বিনিয়োগ করে সংগ্রহ ও উৎপাদনের সূত্রে ও নৌবাহিনীকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করা।

মূল রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মাথায় রেখে ভারত প্রকাশ্যে চেষ্টা করছে তার কয়েকটি প্রধান সামুদ্রিক অর্জন সংরক্ষণ, প্রসার ও রক্ষা করার। এর মধ্যে আছে সমুদ্রভিত্তিক বিপদ থেকে ভূখণ্ডগত সংহতি রক্ষা করা, নীল অর্থনীতি সম্পর্কিত উন্নয়নমূলক বিষয়গুলি, ‘‌সি লাইনস অফ কমিউনিকেশন’‌ (এসএলওসি) এবং ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চল বা এমজেডআই–এর ভেতরের ও বাইরের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা করা। এর পেছনের ভাবনাটা হল একটা অনুকূল ও সামগ্রিক সামুদ্রিক এলাকা তৈরি করা।

এই পটভূমিতে দেশের সমুদ্রভিত্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সর্বোত্তম প্রতিফলক হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে ভারতের সামুদ্রিক কৌশলগত নীলনকশা বা নৌ–তত্ত্বের কথা। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রকাশিত নতুন সংকলন, যার নাম ‘‌এনশিওরিং সিকিওর সি’‌জ: ইন্ডিয়ান মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি (নভেম্বর ২০১৫)’‌, হল এমন একটি নথি। এতে ভারতের সামুদ্রিক ভূমিকার পরিবর্তনশীল রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে, এবং প্রধানত অঙ্গুলিনির্দেশ করা হয়েছে সামুদ্রিক সামরিক সক্ষমতা ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় কাঠামোর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির দিকে। এখানে আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ হল আগে উল্লেখিত উন্নয়নকেন্দ্রিক বিষয়গুলি, এবং তার পাশাপাশি ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুরুত্বপূর্ণ চোক–পয়েন্টগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ। এমন চোক–পয়েন্টগুলির মধ্যে তিনটি হল মালাক্কা প্রণালী, হরমুজ প্রণালী ও বাব-এল-মান্দেব।

চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল সামগ্রিক স্থিতাবস্থার কথা, যার রূপরেখার ভিত্তি হবে অ্যাক্ট ইস্ট, অ্যাক্ট ওয়েস্ট নীতি ও নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা, এবং যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার ও বর্ধিত সহযোগিতার পথের সব বাধা দূর করবে।

চিনের মতো দেশগুলির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ক্ষেত্রে ‘‌দক্ষ কূটনৈতিক পরিচালন’‌ সামুদ্রিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। চিনের পরিপ্রেক্ষিতে যে সব চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে সেগুলি পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও জলদস্যুদের প্রতিরোধের ছদ্মবেশে চিনের ভারত মহাসাগরের বন্দরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া ও সেগুলির ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৮ সালের শাংগ্রি-লা ভাষণে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও সংযোগ ও সকলের সমান ব্যবহারযোগ্যতার প্রসঙ্গে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেছিলেন। চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল সামগ্রিক স্থিতাবস্থার কথা, যার রূপরেখার ভিত্তি হবে অ্যাক্ট ইস্ট, অ্যাক্ট ওয়েস্ট নীতি ও নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা, এবং যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সুবিধার সর্বোত্তম ব্যবহার ও বর্ধিত সহযোগিতার পথের সব বাধা দূর করবে।

বঙ্গোপসাগরের মতো কৌশলগত স্থান ভারত ব্যবহার করছে তার বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের (প্রধানত তেল আমদানি) ও উপসাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক যোগাযোগের পথ বা এসএলওসি–গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, এবং পরিশেষে এটিকে বৃহত্তর ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছনর পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো উপসাগরীয় উপকূলের ও ভারত মহাসাগরের পূর্বতম প্রান্তের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার সঙ্গে সঙ্গেই এই এলাকাটিকে ‘আন্তঃ-আঞ্চলিক ক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কোঅপারেশন (বিমস্টেক)‌–এর মতো সংগঠনগুলি ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট হিসেবে সমসুবিধা প্রদান করতে পারে, কারণ তা চিন ও ভারতের কৌশলগত স্বার্থের সংযোগস্থলে অবস্থিত, এবং সেই কারণে ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি ও আসিয়ান–এর সঙ্গে গভীর সংযোগের ক্ষেত্রে তা সমান ইন্ধন যোগায়। অ্যাক্ট ইস্ট নীতি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের অগ্রগতিও উল্লেখের দাবি রাখে, যদিও অঞ্চলটিতে ভারতের কোনও প্রত্যক্ষ দাবি নেই। তা সত্ত্বেও এসএলওসি–গুলি মুক্ত রাখার স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘আন্তঃকার্যক্ষমতা’ বাড়িয়ে দিচ্ছে লেমোয়া (লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট)–র মতো দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি, যা দুই দেশের সামরিক বাহিনীকে একে অপরের ঘাঁটিগুলি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।

ভারতের মাথাব্যথার কারণ হল এখানে চিনের কৌশলগত উপস্থিতি, যা তার মূল আফ্রিকা মহাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারত অ্যাক্ট ওয়েস্ট উদ্যোগের মাধ্যমে পশ্চিম ভারত মহাসাগরের (ডব্লিউআইও) সর্বাধিক সম্ভাবনাকেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। সে তার উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছে মূলত ভ্যানিলা দ্বীপপুঞ্জে, যার মধ্যে আছে কমোরোস, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মায়োট, রিইউনিয়ন ও সেশেলস। ভারতের মাথাব্যথার কারণ হল এখানে চিনের কৌশলগত উপস্থিতি, যা তার মূল আফ্রিকা মহাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত একবার ইন্ডিয়ান ওশন কমিশন–এ (একটি আন্তঃসরকারি কমিশন যা ভারত মহাসাগরে আফ্রিকার পাঁচটি দেশের উন্নয়নের উপর নজর রাখে) ‘পর্যবেক্ষকের মর্যাদা’ পেলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ ছাড়াও, এই অঞ্চলে ভারতের এগিয়ে যাওয়ার একটি ভাল উপায় সাম্প্রতিক অতীতে সেশেলসের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক, যাকে তার স্বার্থের একটি ‘প্রাথমিক ক্ষেত্র’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে নৌ–ঘাঁটির মাধ্যমে আরও বেশি বিনিয়োগের মধ্যে দিয়েও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এই সময়ে যাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে ভারতের সক্রিয় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার ‘আনুষ্ঠানিক অনুমোদন’‌ পাওয়া সম্ভব হয়, সেই উদ্দেশ্যে ভারত নিজেকে তুলে ধরতে ব্যবহার করছে ‘নিরাপত্তা প্রদানকারী’ হওয়ার বিস্তৃততর প্রসঙ্গটিকে। কোনও রকম অস্পষ্টতা না–রেখে ভারত মহাসাগর অঞ্চল (আইওআর) ও ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত নিজের উপস্থিতি সংজ্ঞায়িত করছে। অবাধ ও উন্মুক্ত ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরের (এফওআইপি) যুক্তি তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই তার সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন ধারণা ও ব্যাখ্যা শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলে সমমনস্ক অংশীদারদের সঙ্গে ভারতের জন্য আরও ভাল বহুপাক্ষিক মঞ্চ তৈরি করবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ‘কোয়াড’ বা একটি চতুর্ভুজ অংশীদারিত্ব (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত) তৈরির কথা, যা ২০২১ সালে তৃতীয় কোয়াড মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠক (ফেব্রুয়ারি, ২০২১) থেকে নতুন করে সাজানো হয়েছে কোয়াড ২.০ হিসেবে।

কোয়াডের মতোই অওকাস–এর ছত্রছায়ায় নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থার ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যৌথ ক্ষমতা এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়াবে।

এই দায়বদ্ধতা আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হয় আসিয়ান দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘‌কোয়াড প্লাস’‌ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা থেকে, যার লক্ষ্য কর্মপরিধি সুবিস্তৃত করা এবং ‘‌সংখ্যার শক্তি’র ‌ধারণাটি দৃঢ় করা। ভারতের দিক থেকে এমন ঘটনাক্রমের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয় যে অন্য অংশীদারদের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে, এবং এর উদাহরণ সম্প্রতি গড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাজ্য-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (অওকাস) ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব, যা ২০২১ সালের শেষ পর্যায়ে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সব থেকে বড় ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ছিল। এই ‘‌বর্ধিত ত্রিপাক্ষিক নিরাপত্তা অংশীদারি’‌ তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। কোয়াডের মতোই অওকাস–এর ছত্রছায়ায় নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থার ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যৌথ ক্ষমতা এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়াবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সাইবার সক্ষমতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সমুদ্রের তলদেশের বর্ধিত সক্ষমতার মতো বহুমাত্রিক দিকের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে। উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, এই উদ্যোগটিকে প্রসারিত করা হয়েছে কোয়াড-এর একটি উপ-নিরাপত্তা চুক্তি হিসেবে, যা অদূর ভবিষ্যতে এর উদ্দেশ্য ও কাঠামোগত লক্ষ্যগুলি আন্তঃআঞ্চলিক জোটগুলির কাছে বা তার বাইরেও স্পষ্ট করে দেবে।

আগের থেকে শক্তিশালী বহুপাক্ষিক নৌ–মহড়াগুলি ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির দাবি রাখে। শুধু একটি পুনর্নবীকৃত ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের মাধ্যমেই ভারত বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির নতুন ভাবনায় তার ছাপ রাখতে পারবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Anasua Basu Ray Chaudhury

Anasua Basu Ray Chaudhury

Anasua Basu Ray Chaudhury is Senior Fellow with ORF’s Neighbourhood Initiative. She is the Editor, ORF Bangla. She specialises in regional and sub-regional cooperation in ...

Read More +
Sohini Nayak

Sohini Nayak

Sohini Nayak was a Junior Fellow at Observer Research Foundation. Presently she is working on Nepal-India and Bhutan-India bilateral relations along with sub regionalism and ...

Read More +