Published on Feb 05, 2024 Updated 0 Hours ago

সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে মায়ানমারে আইনের প্রশাসন ভেঙে পড়েছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

অপারেশন ১০২৭-এর প্রভাব: সশস্ত্র সংঘর্ষ থেকে অনলাইন জালিয়াতি

মায়ানমারের ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) নিয়ে গঠিত দেশীয় ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ‘অপারেশন ১০২৭’ চালু করায় এক মাস ধরে চিনের সীমান্তবর্তী শান স্টেট সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অভ্যুত্থানের ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এমএনডিএএ চিনশেহাও শহর, কুনলং, পানসাই এবং ফাউং সাই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং হুন্তার শক্তিবৃদ্ধির মূল পথগুলিকে বাধা দেওয়ার জন্য কৌশলগত ভাবে প্রধান মহাসড়কগুলি অবরোধ করছে। হুন্তা মোনেক্যেত, নানবেং এবং মোনেকোয়ে-তে উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধের সম্মুখীন হওয়ার ফলে ১৫০টিরও বেশি চৌকি ক্ষমতা হারিয়েছে।

ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স, পিপলস লিবারেশন আর্মি, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি এবং বার্মা পিপলস লিবারেশন আর্মির সম্মিলিত বাহিনী মায়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং হুন্তার বায়ু ও স্থলক্ষমতাকে প্রায় অকেজো করে দিয়ে শহর ও হুন্তার কৌশলগত ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ দখল করার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করছে।

এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ, মায়ানমারের জেনারেল মিন অং লাইং প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং উত্তর শান স্টেটের লাউক্কাই কনকিয়ান শহর-সহ আটটি শহরে সামরিক আইন জারি করেছেন কারণ অভ্যুত্থানগুলির লক্ষ্য হল এই দু’টি বিশেষ জায়গায় ক্ষমতা দখল নেওয়া। অপারেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি চিন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র চিনশেহাও উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে চিনশেহাও মিউজ আন্তঃসীমান্ত চলাচল মায়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে হওয়া ৫.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশকে সহজতর করে তোলে। পরবর্তীকালে, প্রতিরোধী বাহিনী আর কটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর সেনি দখল করার পাশাপাশি - যেখানে লাশিও-মিউজ এবং লাশিও- চিনশেহাও বাণিজ্যপথও সংযুক্ত হয় - মিউজ টাউনশিপে চিন সীমান্তে আর কটি বাণিজ্য কেন্দ্র কিন সান কিয়াওত দখল করে, যা হুন্তার অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করেছে।

বর্তমানে বেজিং - যা কিনা মায়ানমারের সঙ্গে ২১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ অভিন্ন সাধারণ সীমান্ত রয়েছে - তার সীমান্ত এলাকার চারপাশের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মায়ানমারের সঙ্গে অভিন্ন সীমান্ত বিন্দুগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। অবিলম্বে হিংসা বন্ধের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে চিনের তরফে দুবার মায়ানমার পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মায়ানমারকে শান্তির জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে চিন-মায়ানমার ইকোনমিক রিডোরের (সিএমইসি) অধীনে রেলওয়ে প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা, সেখানে ভয়াবহ সংঘাত ঘটেছে। আরও বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ২৫ নভেম্বর মায়ানমারের সঙ্গে ইউনান প্রদেশের সীমান্তে গুলিচালনার মহড়ার সূচনা করে, যা আসলে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম এ হেন মহড়া। বিশ্লেষকরা এই কৌশলগুলিকে মায়ানমারের সামরিক হুন্তা ও বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি চিনের তরফে একটি বার্তা এবং উত্তেজনা হ্রাস করার জন্য আহ্বান বলে মনে করেন।

কথা ক্ষ্যণীয় যে, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং সামরিক শাসনের অবসান ঘটানোর বৃহত্তর লক্ষ্য ছাড়াও ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য হল চিন-মায়ানমার সীমান্তের কাছে ঘটা অনলাইন জালিয়াতি মোকাবিলা করা। চিনা কর্তৃপক্ষের তরফে এই উদ্বেগ প্রকাশ্যে এসেছে, যারা মায়ানমারের জেনারেলদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

 

জালিয়াতি ও পাচার

মায়ানমারে ২০২১ সাল থেকে সামরিক অভ্যুত্থান, বিদ্যমান হিংসা ও সশস্ত্র সংঘাতের কারণে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধীরা সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন দল বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে নিজেদের কার্যকলাপের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ (ইউএন) দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, হুন্তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে এমন অপরাধী সিন্ডিকেট প্রায় ১২০০০০ চিনা নাগরিককে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

মায়ানমারের একাধিক জালিয়াতি কেন্দ্র দুর্বল নিয়ন্ত্রণ এবং অরক্ষিত সীমানা-সহ এমন এলাকায় অবস্থিত, যেখানে আনুষ্ঠানিক আইন প্রয়োগকারী কাঠামো, তদারকি এবং দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে। তাইল্যান্ড ক্রমশই এই অপারেশনগুলির জন্য একটি ট্রানজিট দেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে ব্যক্তিরা  পাচারকারীদের দ্বারা মায়ানমারে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে তাইল্যান্ডে প্রবেশ করে।

তাই সীমান্ত শহর মায়ে সোট থেকে একটি সরু নদীর ধারে মায়াওয়াদ্দি অঞ্চলের চারপাশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ হেন দ্বিতীয় পথটি শান স্টেটের মধ্য দিয়ে উত্তর দিকে প্রসারিত হয়েছে, ওয়া স্টেটের বিশেষ শাসিত এলাকা অতিক্রম করে কোকাং পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা চিনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে তার সীমানা ভাগ করে নেয়

এই অঞ্চলের স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মাদক পাচার, বিরল বন্যপ্রাণীর ব্যবসা এবং মানব পাচার-সহ অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকার ইতিহাস রয়েছে, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মায়ানমারের সামরিক সরকারের নাগালের বাইরে পরিচালিত হয় কখনও কখনও সরকারও এর সঙ্গে জড়িত থাকে, যে সরকারকে গণতন্ত্রপন্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিদ্রোহের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

 

অনলাইন জুয়া জালিয়াতি কেন্দ্রগুলিতে কর্মসংস্থানের জন্য নিযুক্ত ব্যক্তিরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষই হলেন চিনের বেকার নাগরিক। এঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতি সহ্য করতে হয় এবং অপরাধচক্রের নেতাদের দ্বারা নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে তাঁরা শাস্তির সম্মুখীন হ। এই জালিয়াতির বেশির ভাগই স্থানীয় অভিজাত ও স্থানীয় বাহিনীর সহায়তায় চিনা অপরাধীদের দ্বারা সংঘটিত হয়, যা চিনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপের বিষয়টিকে আরও কঠিন করে তোলেকারণ এই অপরাধী শৃঙ্খলগুলির মধ্যে বেশির ভাগই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে অবস্থিত। ক্যাসিনোগুলি প্রায়শই প্রাপ্ত অর্থ অন্যত্র সরিয়ে দেয় এবং সেগুলিকে এমন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করে, যার খোঁজ পাওয়া প্রায় অসম্ভব

 

চিনের তরফে গৃহীত পদক্ষেপ

চিনা কর্তৃপক্ষ চিন-মায়ানমার সীমান্তের কাছে অনলাইন জালিয়াতির মতো সমস্যা মোকাবিলায় বহুমুখী পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। একটি বহুপাক্ষিক কৌশলের মধ্যে রয়েছে চি, মায়ানমার, তাইল্যান্ড এবং লাওসের কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, যা জুয়া খেলা সংক্রান্ত জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে যৌথ বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। কিছু সফল অপারেশন জালিয়াতিউদ্‌ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার এবং অপরাধের শিকারদের সুরক্ষা দিতে সমর্থ হয়েছে। ১৯ নভেম্বর চিনের মাধ্যমে ২৬৬ জনেরও বেশি তা নাগরিককে উদ্ধার করার ঘটনা তারই এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তবে এ ক্ষেত্রে আরও বেশি ধারাবাহিক এবং সক্রিয় প্রচেষ্টা প্রয়োজন

এর পাশাপাশি, চিন একটি দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ কৌশল নির্মাণ করেছে এবং সেটিতে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন প্রশাসন অথবা সামরিক হুন্তাই নয়, বরং একই সঙ্গে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতির লক্ষ্য একটি ভারসাম্য বজায় রাখা, চিনা আঞ্চলিক বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) অধীনে প্রকল্পগুলিকে সুরক্ষিত করা। এই সীমান্ত কূটনীতি অঞ্চলটিতে চিনের রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখতে কাজ করবে

ওয়া রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা এবং হুন্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ১১জন কোকাং বিশেষ আধিকারিককে আটক করা মতো সাম্প্রতিক পদক্ষেপ চিনের আগ্রাসনকেই দর্শায়। হুন্তার সঙ্গে সংযুক্ত কোকাং স্ব-শাসিত অঞ্চলের এক কর্মকর্তার জন্য একটি সমন জারি হওয়ার পর এবং ১৭ নভেম্বর মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা গ্রেফতারের পর সেই কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জালিয়াতির দায়ে এবং চিনা ও তাই নাগরিকদের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর ছেলে ও মেয়েরা হেফাজতে রয়েছেন। এই পদক্ষেপগুলি মায়ানমারের মধ্যে সম্মতিকে অর্জন করার জন্য স্থানীয় সেনাবাহিনী এবং সামরিক বাহিনীকে প্রভাবিত করার বিষয়ে চিনের ক্ষমতা এবং এই অঞ্চলে চিনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আধিপত্যকেই দর্শায়।

আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সমালোচনার মধ্যে বেজিংয়ের অবিচল সমর্থন অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সম্মুখীন একটি দেশে তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে হুন্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে। চিন অপরাধী সংগঠনগুলিকে ধরতে এবং তাদের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে তৎপর হয়েছে। এবং সামরিক জেনারেলরা সক্রিয় ভাবে তাদের প্রভাবশালী প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। মায়ানমারের কর্মকর্তারা ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৬৬৬ জন চিনা নাগরিককে হস্তান্তর করেছেন, যাঁরা সীমান্তে সাইবার জালিয়াতির সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত। যাই হোক, বেজিং সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কারণ তারা কোকাং অঞ্চলে সম্পূর্ণ ভাবে অনুপ্রবেশ করতে পারেনি।

 

উপসংহার

অনলাইন জালিয়াতিকে নির্মূল করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স চিনা সমর্থনের প্রত্যাশী বলে মনে করা যেতে পারে। কারণ তারা কোকাং, বিশেষ করে লাউক্কাইতে অবৈধ কেন্দ্রগুলি নির্মূল করে এবং সামরিক উপস্থিতি হ্রাস করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বিশ্লেষকরা দাবি করেন যে, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ধারাবাহিক সরবরাহ শীর্ষ স্থান থেকে না হলেও পরোক্ষ ভাবে চিনের তরফে সমর্থনকেই দর্শায়। যাই হোক, বেশ কয়েকটি বিষয় সতর্ক ভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।

 

উত্তরাঞ্চলে মায়ানমার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং কোকাং-এ মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-র (এমএনডিএএএ) সম্ভাব্য পুনরুত্থান এ কথাই দর্শায় যে, চিনের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্তের উল্লেখযোগ্য অংশ দেশীয় সশস্ত্র সংগঠনের প্রভাবের আওতায় পড়বে। এই গোষ্ঠীগুলির ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রভাব আলাপ-আলোচনার সময় তাদের পাল্লা ভারী করবে। চিনের উপর নির্ভরতা সঙ্কটকালে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সম্ভাব্য ভাবে এই ভূ-রাজনৈতিক পরিসরের আঞ্চলিক সমীকরণকে বদলে দিতে পারে।

উপরন্তু, দেশের নিরাপত্তা সমীকরণে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব উদ্বেগকে বাড়িয়ে তোলে এবং যে কোন রাজনৈতিক কৌশল মোকাবিলায় প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার পর জোর দেয়।

যেহেতু এই অঞ্চলটি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তাই তার ফলাফলভূ-রাজনৈতিক পরিসরকে আকার দেবে, যা মায়ানমার এবং বৃহত্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের উপর প্রভাব ফেলবে। ঘটনাপ্রবাহের এই জটিল বিন্যাসের মধ্যে পথ খুঁজে নেওয়ার জন্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই জটিল পরিস্থিতিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান অর্জন প্রায় বিশ বাঁও জলে।

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.