-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
জলবায়ুজনিত ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধির সময় সবুজ অর্থায়নকে উষ্ণায়নের বিশ্বে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ঝুঁকি হ্রাস এবং আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে অভিযোজিত হতে হবে
এই প্রবন্ধটি ‘রাইসিনা এডিট ২০২৫’ সিরিজের অংশ
বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থা একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, যা হল জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক ব্যাঘাতের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু-সৃষ্ট দুর্যোগের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি শুধুমাত্র ২০২৪ সালে ৩২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে, এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নির্গমন অর্জনের জন্য আনুমানিক বৈশ্বিক বিনিয়োগের ব্যবধান এখন বার্ষিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তাই সবুজ অর্থায়ন এখন আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু ঝুঁকি তীব্রতর হওয়ার সময় সবুজ অর্থায়নকে বিকশিত হতে হবে, এবং আর্থিক স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রক্রিয়া, উদ্ভাবনী উপকরণ ও ঝুঁকি-হ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর কোনও দূরবর্তী বহিরাগত বিষয় নয়, বরং আর্থিক বাজার গঠনের একটি কেন্দ্রীয় শক্তি। একটি উষ্ণায়িত গ্রহ পরিকাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে, কৃষি উৎপাদন হ্রাস করছে, জলের জন্য চাপ বাড়িয়ে তুলছে, এবং দুর্যোগ-সম্পর্কিত ক্ষতি বৃদ্ধি করছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক অনুমান করেছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩২ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দুর্বল অর্থনীতিগুলিকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি, কম-কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর কার্বন-নিবিড় শিল্পগুলির জন্য আর্থিক ধাক্কা তৈরি করছে, এবং জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে আটকে থাকা সম্পদ ২০৩৬ সালের মধ্যে ১.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, আর্থিক বাজারগুলিকে জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়নকে সংযুক্ত করতে হবে, বিনিয়োগ কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে হবে, এবং মূলধন প্রবাহকে জলবায়ু-সহনশীল সম্পদের দিকে স্থানান্তরিত করতে হবে।
একটি উষ্ণায়িত গ্রহ পরিকাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে, কৃষি উৎপাদন হ্রাস করছে, জলের জন্য চাপ বাড়িয়ে তুলছে, এবং দুর্যোগ-সম্পর্কিত ক্ষতি বৃদ্ধি করছে।
সবুজ অর্থায়ন ঐতিহাসিকভাবে পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসন (ইএসজি) নীতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, এবং বিনিয়োগকে পরিচ্ছন্ন শক্তি, টেকসই পরিকাঠামো ও দায়িত্বশীল কর্পোরেট অনুশীলনের দিকে চালিত করেছে। তবে, জলবায়ু ঝুঁকিগুলি আরও তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর হয়ে উঠার সময়, আর্থিক ক্ষেত্র তিনটি মূল উপায়ে অভিযোজিত হচ্ছে। জলবায়ু-সম্পর্কিত আর্থিক তথ্যপ্রকাশের উপর টাস্ক ফোর্স (টিসিএফডি) ও আন্তর্জাতিক স্থায়িত্ব মান বোর্ড (আইএসএসবি)-এর মতো নিয়ন্ত্রক কাঠামো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে জলবায়ু ঝুঁকির উপর স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক (ইসিবি) ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-সহ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ব্যবস্থাগত দুর্বলতাগুলির মূল্যায়নের জন্য জলবায়ু চাপ পরীক্ষা করছে, যাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জলবায়ু-সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধাক্কার জন্য প্রস্তুত থাকা নিশ্চিত করা যায়।
স্থায়িত্ব লক্ষ্যের সঙ্গে মূলধনের সামঞ্জস্য করার জন্য উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণগুলিও আবির্ভূত হচ্ছে। স্থায়িত্ব-সংযুক্ত বন্ড (এসএলবি), যা স্থায়িত্ব লক্ষ্যের সঙ্গে আর্থিক লাভকে সংযুক্ত করে, ২০২০ ও ২০২১ সালের মধ্যে তার বাজারের বৃদ্ধি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক সবুজ অর্থায়নের দিকে পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২৩ সালে স্বেচ্ছানির্ভর কার্বন বাজার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে, যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন প্রকল্পগুলিতে অর্থায়ন করে নির্গমনের পরিমাণ কমাতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মিশ্র অর্থায়ন মডেলগুলি জলবায়ু-অভিযোজন প্রকল্পগুলিতে, বিশেষ করে উদীয়মান বাজারগুলিতে, বিনিয়োগের ঝুঁকি হ্রাস করছে। গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (জিইএফ) ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য অনেক বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে।
সবুজ রূপান্তরকে শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক নিয়মকানুনও বিকশিত হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকসই কার্যকলাপের জন্য শ্রেণিবিন্যাস সবুজ বিনিয়োগের জন্য আরও স্পষ্ট মান নির্ধারণ করে, সবুজায়নের অছিলার (গ্রিনওয়াশিং) ঝুঁকি হ্রাস করে, এবং যাচাইযোগ্য জলবায়ু সমাধানের লক্ষ্যে মূলধন প্রবাহ নিশ্চিত করে। ভারতের সাম্প্রতিক সার্বভৌম সবুজ বন্ড ইস্যু, যা ২০২৩ সালে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করেছে, জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে সরকার-সমর্থিত উপকরণগুলির ক্রমবর্ধমান ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বাধ্যতামূলকভাবে জলবায়ু ঝুঁকির বিবরণ প্রকাশ জোরদার করছে, এবং সবুজ আর্থিক বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকসই কার্যকলাপের জন্য শ্রেণিবিন্যাস সবুজ বিনিয়োগের জন্য আরও স্পষ্ট মান নির্ধারণ করে, সবুজায়নের অছিলার (গ্রিনওয়াশিং) ঝুঁকি হ্রাস করে, এবং যাচাইযোগ্য জলবায়ু সমাধানের লক্ষ্যে মূলধন প্রবাহ নিশ্চিত করে।
এই অগ্রগতি সত্ত্বেও, কার্যকরভাবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবুজ অর্থায়ন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জলবায়ু অর্থায়নের সীমিত প্রবেশাধিকার একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলির নেট-শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বার্ষিক ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি প্রয়োজন হলেও, আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রবাহ অপ্রতুল: আফ্রিকা তাদের প্রয়োজনীয় অভিযোজন অর্থায়নের মাত্র ১২ শতাংশ পায়। দীর্ঘ পরিশোধের সময়কাল এবং লাভের অস্পষ্টতার কারণে উচ্চ বিনিয়োগ-ঝুঁকির জলবায়ু প্রকল্পগুলিকে বিশেষ করে অভিযোজনে বাধাগ্রস্ত করে। অনুমান করা হচ্ছে, অভিযোজন অর্থায়নের ব্যবধান ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৩৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে। নিয়ন্ত্রক ও বাজার বিভাজনও বাধা সৃষ্টি করে, কারণ দেশগুলির তৈরি অসঙ্গত সংজ্ঞা ও বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক পদ্ধতির অনুসরণ জলবায়ু অর্থায়নে আন্তঃসীমান্ত বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে। বিনিয়োগকারীরা গ্রিনওয়াশিং সম্পর্কে ক্রমবর্ধমানভাবে সতর্ক হচ্ছেন, যেখানে তহবিল যাচাইযোগ্য কারণ ছাড়াই টেকসই বিনিয়োগের সুবিধা দাবি করে। এই বিষযটি শক্তিশালী তৃতীয় পক্ষের যাচাইকরণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে, সবুজ অর্থায়নকে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নকে শক্তিশালী করতে হবে, কারণ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সত্ত্বেও এটি মোট জলবায়ু অর্থায়নের মাত্র ৭ শতাংশ। এই ব্যবধান পূরণের জন্য স্থিতিস্থাপকতা বন্ড, প্যারামেট্রিক বিমা এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক বিনিয়োগ তহবিলের মতো আর্থিক ব্যবস্থাগুলিকে আরও বিস্তৃত করা উচিত। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) সম্প্রতি এশিয়ার জন্য জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নে ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতাও বাড়াতে হবে। সরকারকে অবশ্যই ছাড়কৃত অর্থায়ন, ঋণ নিশ্চয়তা এবং মিশ্র অর্থায়ন মডেলের মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার কয়লা রূপান্তরের জন্য ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহকারী জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন পার্টনারশিপ (জেইটিপি) মডেল উদীয়মান অর্থনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি মূলধন ব্যবহারের সম্ভাবনা প্রদর্শন করে।
জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়নকে শক্তিশালী করতে হবে, কারণ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সত্ত্বেও এটি মোট জলবায়ু অর্থায়নের মাত্র ৭ শতাংশ।
জলবায়ু অর্থায়নে প্রযুক্তি এবং ডেটা উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও স্যাটেলাইট ডেটা জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়নে বিপ্লব ঘটাচ্ছে, এবং জলবায়ু-উদ্ভূত সম্পদের জন্য আর্থিক মডেলিংয়ের অভ্রান্ততা উন্নত করছে। ব্লকচেন-ভিত্তিক সবুজ অর্থায়ন যন্ত্র, যেমন টোকেনাইজড কার্বন ক্রেডিট ও বিকেন্দ্রীভূত সবুজ বন্ড, জলবায়ু অর্থ লেনদেনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
সবুজ অর্থায়নকে সামাজিক ন্যায্যতা বিবেচনাগুলিকেও একীভূত করতে হবে, যাতে জলবায়ু বিনিয়োগ প্রান্তিক সম্প্রদায়কে সমর্থন করে, কাজের পরিবর্তন মোকাবিলা করে, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক (ইআইবি) জলবায়ু অর্থায়নকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করে সামাজিক প্রভাব বন্ড চালু করেছে, যা ন্যায়সঙ্গত সবুজ অর্থায়ন মডেলের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন অর্থনীতিকে নতুন রূপ দেওয়ার সময়, সবুজ অর্থায়নকে আরও অভিযোজিত, স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের বাইরে যেতে হবে, এবং এমন রূপান্তরমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে যা জলবায়ু ঝুঁকিকে মূল আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমন্বিত করে। ইএসজি কাঠামো থেকে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বিনিয়োগে সবুজ অর্থায়নের বিবর্তন ত্বরান্বিত করতে হবে, যাতে আর্থিক ব্যবস্থা শুধু জলবায়ু ধাক্কা সহ্যই করে নেবে না, বরং একটি স্থিতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের দিকে বিশ্বব্যাপী রূপান্তরকেও চালিত করবে।
ঝুঁকিগুলি স্পষ্ট: সবুজ অর্থায়ন আর একটি ঐচ্ছিক সীমান্ত নয়। এটি জলবায়ু-পরিবর্তিত বিশ্বে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার ভিত্তি। আর্থিক বাজারগুলি যত দ্রুত খাপ খাইয়ে নেবে, সমাজগুলি অনিশ্চিত জলবায়ু ভবিষ্যতের অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য তত ভাল অবস্থানে থাকবে।
অপর্ণা রায় অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসি (সিএনইডি)-র ফেলো ও লিড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনার্জি।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aparna Roy is a Fellow and Lead Climate Change and Energy at the Centre for New Economic Diplomacy (CNED). Aparna's primary research focus is on ...
Read More +