Author : Oommen C. Kurian

Published on Mar 15, 2024 Updated 3 Days ago

সমতার দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও লিঙ্গ ভূমিকার ঐতিহ্যগত উপলব্ধিগুলি এখনও জীবনের অনেক দিককে প্রভাবিত করে — শিক্ষার সুযোগ থেকে শুরু করে কর্মশক্তিতে অংশগ্রহণ পর্যন্ত।

ভারতে লিঙ্গ সম্পর্কে মনোভাব: একবিংশ শতাব্দীতে পরিবর্তন

এই নিবন্ধটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস সিরিজের অংশ



আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪–এ এসে নারীদের অর্জন উদযাপন করা এবং বৃহত্তর লিঙ্গ সমতার জন্য চাপ দেওয়ার কথা
আমরা স্মরণ করছি। এই মুহূর্তটি আমাদের লিঙ্গসংক্রান্ত প্রচলিত নিয়ম ও দৃষ্টিভঙ্গিগুলি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার আহ্বান জানায় — বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় উভয় ভাবেই। জাতীয় সমীক্ষার অন্তর্দৃষ্টিগুলি এই নিয়ম ও মনোভাবকে গঠন করে এমন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলির একটি পরিসীমা প্রকাশ করে৷ সমতার দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও লিঙ্গ ভূমিকার ঐতিহ্যগত উপলব্ধিগুলি এখনও জীবনের অনেক দিককে প্রভাবিত করে — শিক্ষার সুযোগ থেকে শুরু করে কর্মীদের অংশগ্রহণ এবং পরিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যন্ত। এই গভীরে প্রোথিত নিয়মগুলি শুধু বৈষম্যকে স্থায়ী করে না বরং নারীর অধিকার এবং সম্ভাবনার পূর্ণ উপলব্ধিকেও বাধা দেয়।


অগ্রগতি, পিছিয়ে যাওয়া, না স্থবিরতা?

ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (ডিএইচএস) ডেটা ব্যবহার করে ২৬টি দেশে লিঙ্গ মনোভাবের উপর গত বছরের একটি ইউএসএআইডি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল:‌ "
পুরুষদের লিঙ্গ মনোভাবের প্রবণতা: অগ্রগতি, পিছিয়ে যাওয়া, না স্থবিরতা?" এটি লিঙ্গ নিয়মের গতিশীলতা এবং সমাজের উপর তার প্রভাবকে কীভাবে দেখতে হয় সে বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে যেখানে এই নিয়মগুলি সামাজিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাগত ফলাফলকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। বিশ্ব যখন আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে যার থিম "নারীতে বিনিয়োগ করুন: অগ্রগতি ত্বরান্বিত করুন", তখন লিঙ্গ নিয়মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে এই প্রতিবেদনের ফলাফলগুলি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে৷


সমতার দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও লিঙ্গ ভূমিকার ঐতিহ্যগত উপলব্ধিগুলি এখনও জীবনের অনেক দিককে প্রভাবিত করে — শিক্ষার সুযোগ থেকে শুরু করে কর্মীদের অংশগ্রহণ এবং পরিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যন্ত।



প্রতিবেদনটি অধ্যয়ন করা ২৬টি দেশে লিঙ্গ নিয়ম এবং মনোভাবের পরিবর্তনশীল ভূচিত্রের
একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃশ্য তুলে ধরে। এটি পুরুষদের অসম লিঙ্গ মনোভাব, পছন্দ ও আচরণে একটি সাধারণ পতন প্রকাশ করে, যা আরও ন্যায়সঙ্গত লিঙ্গ নিয়মের দিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তবে, এই পরিবর্তনটি বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে অসম হয়েছে:‌ গৃহস্থালির সিদ্ধান্তে নারীদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং অন্তরঙ্গ সঙ্গীর হিংসার ন্যায্যতাবোধের হ্রাস ঘটেছে;‌ কিন্তু মহিলাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং পুত্রসন্তান পছন্দের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে কম পরিবর্তন হয়েছে। এই অগ্রগতি সত্ত্বেও পুরুষ এবং মহিলাদের লিঙ্গ মনোভাবের মধ্যে ব্যবধান রয়ে গিয়েছে, যা পরামর্শ দেয় যে উভয় লিঙ্গ যখন বিকশিত হচ্ছে তখনও পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি কম সমতাবাদী রয়ে গেছে।

এই বৈষম্য লিঙ্গ সমতার দিকে স্থানান্তরকে ত্বরান্বিত করতে লক্ষ্যযুক্ত হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, এবং এমন সামাজিক পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করে। আমরা যখন অর্জনগুলি উদযাপন করি, ফলাফলগুলি তখন অবশিষ্ট বৈষম্যগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার আহ্বান জানায়, যাতে লিঙ্গ সমতা সকলের জন্য বাস্তবে পরিণত হয়৷ প্রতিবেদনে অবশ্য দেশ-স্তরের বিচ্ছিন্ন তথ্য উপলব্ধ নেই।


ভারতের গল্প

ঘনিষ্ঠ অংশীদারের হিংসার ন্যায্যতাবোধ, গৃহস্থালির সিদ্ধান্তে মহিলাদের সম্পৃক্ততা, মহিলাদের যৌন স্বাধিকার, মহিলাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার এবং পুত্র পছন্দের মতো বিষয়গুলির উপর
ইউএসএড প্রতিবেদনের সামগ্রিক দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল, এবং তা প্রতিফলিত করে এই নিবন্ধটি ২১ শতকের সামগ্রিক প্রবণতার সন্ধান করতে ভারতের বিভিন্ন ডিএইচএস রিপোর্ট (যাকে বলা হয় ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে বা এনএফএইচএস) থেকে ডেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। চিত্র ১ ভারতীয় পুরুষদের (১৫-৪৯) সেই সামগ্রিক প্রবণতা অনুসরণ করে যাঁরা বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে মারধর করাকে ন্যায্য বলে মনে করেন। লেখচিত্রটি ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ১৫-৪৯ বছর বয়সী ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে এই ধরনের মানুষের সংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা উপস্থাপন করে। শিশুদের অবহেলা করা, খাবার নষ্ট করা এবং যৌনতা প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রগুলি ধীরগতির পরিবর্তন ও বিপরীতমুখীনতা দেখায়। কিছু বিভাগ জুড়ে নিম্নগামী প্রবণতা সত্ত্বেও, একটি প্রধান অনুপাত অন্তত একটি কারণে স্ত্রী-প্রহারকে ন্যায়সঙ্গত মনে করে চলেছে, যা গভীর-মূল লিঙ্গ নিয়মগুলি পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে স্থায়ী চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়, এবং অব্যাহত লিঙ্গ সংবেদনশীলতার প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে তুলে ধরে।
 
চিত্র ১: ভারতীয় পুরুষদের অনুপাত (১৫-৪৯) যাঁরা স্ত্রীকে মারধরকে ন্যায্যতা দে্ন

সূত্র:
https://dhsprogram.com/data/statcompiler.cfm থেকে লেখক দ্বারা সংকলিত

চিত্র ২ এমন ভারতীয় মহিলাদের (১৫-৪৯) অনুপাতের তিনটি সমীক্ষা রাউন্ড জুড়ে প্রবণতা দেখায় যাঁরা বলেন যে তাঁরা একা বা যৌথভাবে বড় কেনাকাটা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এটি বড় ক্রয় করার ক্ষেত্রে এই বয়সের মধ্যে ভারতীয় মহিলাদের স্বাধিকারের একটি প্রগতিশীল বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। যদিও তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে রিপোর্ট করা মহিলাদের সামগ্রিক শতাংশ উল্লেখযোগ্যভাবে ৫২.৯ শতাংশ থেকে ৮৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লাভ দেখা গিয়েছে ১৫-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে, যা ৩৫.১ শতাংশ থেকে ৮৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই প্রবণতাটি তরুণ মহিলাদের মধ্যে আর্থিক ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নির্দেশ করে, যা লিঙ্গসমতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক৷

চিত্র ২: ভারতীয় মহিলাদের অনুপাত (১৫-৪৯) যাঁরা বলেন যে তাঁরা একা বা যৌথভাবে বড় কেনাকাটা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

সূত্র:
https://dhsprogram.com/data/statcompiler.cfm থেকে লেখক দ্বারা সংকলিত

চিত্র ৩ সেই ভারতীয় পুরুষদের (১৫+) অনুপাত দেখায় যাঁরা মনে করেন যে একজন স্বামীকে যদি তাঁর স্ত্রী যৌনতা প্রত্যাখ্যান করেন তাহলে তাঁকে আঘাত করা বা মারধর করা সঙ্গত। এটি যাঁরা এই কারণে স্ত্রীকে প্রহার করেন এমন ভারতীয় পুরুষদের অনুপাতের বৃদ্ধিকে চিত্রিত করে। সামগ্রিকভাবে সমীক্ষার সময়কালে এমন পুরুষ ৮.৯ শতাংশ থেকে ১৩.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বয়সের গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন পরিবর্তনগুলি প্রদর্শন করে, কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে ১৫-২৪ বছর বয়সীরা এই ধরনের পুরুষদের সর্বাধিক বর্তমান অনুপাত প্রদর্শন করে — যা ২০০৫-০৬ সালের ৯.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯-২১ সালে ১৪.৬ শতাংশ হয়েছে। এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা। এই তথ্যগুলি এই ধরনের লিঙ্গগত মনোভাবের শিকড়গুলিকে মোকাবিলা করা এবং মহিলাদের স্বাধিকার এবং সম্মতির প্রতি সম্মানের প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রয়োজনের পরামর্শ দেয়৷

চিত্র ৩: ভারতীয় পুরুষদের অনুপাত (১৫+) যাঁরা মনে করেন যে একজন স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে অস্বীকার করেন তাহলে তাঁকে আঘাত করা বা মারধর করা সঙ্গত

সূত্র:
https://dhsprogram.com/data/statcompiler.cfm থেকে লেখক দ্বারা সংকলিত

চিত্র ৪ বর্তমানে বিবাহিত ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে যথাক্রমে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২১ পর্যন্ত তাঁদের অনুপাতের সন্ধান করে যাঁরা বলেছেন যে পরিবার পরিকল্পনা মূলত স্ত্রী দ্বারা, যৌথভাবে স্ত্রী এবং স্বামী দ্বারা, এবং প্রধানত স্বামী দ্বারা নির্ধারিত হয়। এটি স্ত্রী এবং স্বামীর যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধারাবাহিক বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে, যা বিগত বছরগুলিতে ৮৩.৪ শতাংশ থেকে ৮১.৭ শতাংশে সামান্য হ্রাস পেয়েছে। প্রধানত স্ত্রী দ্বারা নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি ৯.৫ শতাংশ থেকে ১০.১ শতাংশে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে, প্রাথমিকভাবে স্বামীর দ্বারা সিদ্ধান্ত ৬.১ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে বৃদ্ধি দেখায়। এই প্রবণতাগুলি পারিবারিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রচারের জন্য অবিরত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করে, যা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য যেখানে উভয় অংশীদারই তাঁদের ভবিষ্যৎ গঠনের পছন্দগুলিতে সমানভাবে অংশগ্রহণ করেন।

চিত্র ৪: ভারতীয় পরিবারে পরিবার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ

সূত্র:
https://dhsprogram.com/data/statcompiler.cfm থেকে লেখক দ্বারা  সংকলিত

চিত্র ৫ ভারতে বহুল আলোচিত 'পুত্র সন্তান পছন্দ' সন্ধান করে। এতে বর্তমানে বিবাহিত এমন ভারতীয় পুরুষদের (১৫-৪৯) দেখানো হয়েছে যাঁদের দুটি সন্তান আছে এবং যাঁরা জীবিত পুত্রের সংখ্যা অনুসারে আর সন্তান চান না। এটি বর্তমানে ১৫-৪৯ বছর বয়সী বিবাহিত ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে দুটি সন্তানসহ আর সন্তান না চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে চিত্রিত করে, যা জীবিত পুত্রের সংখ্যার উপর নির্ভরশীল। তিনটি এনএফএইচএস রাউন্ড জুড়ে ডেটা (২০০৫-০৬, ২০১৫-১৬, এবং ২০১৯-২১) পুত্রের জন্য একটি শক্তিশালী পছন্দ প্রকাশ করে। ৯০ শতাংশেরও বেশি পুরুষ যাঁর দুটি ছেলে রয়েছে তাঁরা ইঙ্গিত দে্ন যে তাঁরা আর সন্তান চান না। এটি এমন একটি সংখ্যা যা বেশি হলেও বছরের পর বছর ধরে একটি প্রান্তিক পতন দেখায়। একটি পুত্রসন্তান আছে এমন পরিবারে পুরুষদের আর সন্তান না চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়ে আছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, যাঁদের কোনও ছেলে নেই তাঁদের ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিক ব্যবধান রয়েছে, যেখানে আর সন্তান না চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে কম, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। এই ধরনটি পরিবার পরিকল্পনার সিদ্ধান্তে অবিরত পুত্রের পছন্দের পরামর্শ দেয়, যদিও শেষ বিভাগে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান শতাংশ শিশুদের লিঙ্গ নির্বিশেষে ছোট পরিবারের আকারের দিকে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে।

চিত্র ৫: বর্তমানে বিবাহিত ভারতীয় পুরুষ (১৫-৪৯) যাঁরা দুটি সন্তানের পর আর সন্তান চান না, জীবিত পুত্রের সংখ্যার ভিত্তিতে

সূত্র:
https://dhsprogram.com/data/statcompiler.cfm থেকে লেখক দ্বারা সংকলিত

প্রায় দুই দশকে ভারতে লিঙ্গ নিয়ম এবং মনোভাবের ভূচিত্র ধীরগতিসম্পন্ন কিন্তু  নির্দিষ্ট পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। এনএফএইচএস ডেটা এই রূপান্তরের চিত্র তুলে ধরে, যা দেখায় নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার বৃদ্ধি পেলেও কিছু ব্যতিক্রমী উদ্বেগ-‌সহ লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসার অনুমোদনে ধীর কিন্তু অসামঞ্জস্যপূর্ণ হ্রাস ঘটছে। যদিও ডেটা দেখায় যে, পরিবার পরিকল্পনায় যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতি অবিরত ঐকমত্য বজায় আছে, এটি একই সঙ্গে পুত্রের পছন্দকে চিহ্নিত করে যা ধীর অগ্রগতি সত্ত্বেও পারিবারিক আকাঙ্ক্ষাকে রূপ দিতে থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষা রাউন্ডের প্রিজমের মাধ্যমে পরিলক্ষিত পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া গতিশীল একটি সমাজকে তুলে ধরে — একটি সমাজ যে স্থিরভাবে ঐতিহ্যগত নিয়মগুলিকে ভাঙে এবং সাম্যের একটি নতুন আখ্যান বয়ন করে। আমরা যখন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কাছে আসি, তখন এই যাত্রাপথগুলি অগ্রগতি এবং দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ উভয়কেই প্রতিফলিত করে, যা সামাজিক কাঠামোতে টিকে থাকে।



ওমেন সি. কুরিয়ান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.