-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সবুজ ঋণ বদলাবদলি (গ্রিন ডেট সোয়াপ) উভয়ের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ভারতের ক্ষেত্রে এটি শ্রীলঙ্কার জন্য ঋণ সহজ করতে পারে, পরিবেশ সংরক্ষণ উন্নত করতে পারে, এবং আঞ্চলিক শক্তির নিরাপত্তার উন্নতি করতে পারে, আর এর পাশাপাশি এগুলি তার এসডিজি-গুলিকে সমর্থন করে৷
২০২২ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে তহবিল সরিয়ে বৈদেশিক পাবলিক ডেট সার্ভিসিং-এর জন্য রেকর্ড ৪৪৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। আনুমানিক হিসাবগুলি ২০২৩-২৪ সালে সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য ঋণ পরিশোধ ব্যয়ের ১০ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, আর নিম্ন আয়ের দেশগুলির ক্ষেত্রে তা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ গ্লোবাল সাউথের এই চলমান ঋণ সংকট উদ্ভাবনী সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
এই নিবন্ধটি ব্যাখ্যা করে কেন ভারত ও শ্রীলঙ্কা সবুজ ঋণ বদলাবদলিতে (ডেট সোয়াপ) জড়িত হয়ে লাভ করবে, এবং এখানে ভারতের প্রেরণা ও সম্ভাব্য সুবিধাগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ ঋণের মাত্রা, অপ্রতুল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ও বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার মতো আর্থিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল অসংযত ঋণের বোঝা। ঋণদাতা ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ঋণ পুনর্গঠনে জড়িত থাকা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার ভারী ঋণের বোঝা জলবায়ু প্রশমন, অভিযোজন, বা পরিবেশ সংরক্ষণ প্রচেষ্টার জন্য সম্পদ বরাদ্দ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।
তার অত্যধিক ঋণগ্রস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে সবুজ ঋণ বদলাবদলি করার মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধাগুলির লাভ তোলার সময় তার বৈদেশিক ঋণের বোঝাই কমিয়ে দেবে না, বরং স্থায়িত্বের প্রতি তার দায়বদ্ধতার সঙ্গে সারিবদ্ধ হবে।
একটি আঞ্চলিক মিত্র ও অংশীদার হিসাবে ভারত স্থিতিশীল উন্নয়ন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উন্নত করতে চায়, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে। তার অত্যধিক ঋণগ্রস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে সবুজ ঋণ বদলাবদলি করার মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধাগুলির লাভ তোলার সময় তার বৈদেশিক ঋণের বোঝাই কমিয়ে দেবে না, বরং স্থায়িত্বের প্রতি তার দায়বদ্ধতার সঙ্গে সারিবদ্ধ হবে। এটি উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি ভারতকেও এই ধরনের চুক্তি করার সুযোগ দেবে, এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিকভাবে উপকারী সহায়তার নজির স্থাপন করবে।
সবুজ ঋণ বদলাবদলি কী?
'প্রকৃতির জন্য ঋণ' এবং 'জলবায়ুর জন্য ঋণ' বদলাবদলি, সম্মিলিতভাবে সবুজ ঋণ বদলাবদলি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি ঋণ-পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ পরিবেশ সুরক্ষা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তার বৈদেশিক ঋণ হ্রাস করতে পারে। যদিও প্রকৃতির জন্য ঋণ জোর দেয় সংরক্ষণের উপর, জলবায়ুর জন্য ঋণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মতো জলবায়ু প্রশমন উদ্যোগকে সমর্থন করে। সবুজ ঋণ বদলাবদলি উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নের জন্য ঋণ নেওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি মোকাবিলায় তাদের পন্থাগুলিকে অভিযোজিত করার দ্বৈত চ্যালেঞ্জ সামাল দেয়।
সাম্প্রতিক সফল বদলাবদলির মধ্যে আছে: সেশেলস ও বেলিজ তাদের ঋণের অংশগুলি সমুদ্র সুরক্ষা প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত করেছে; কেপ ভার্দে তার ঋণের একটি অংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বিনিয়োগে রূপান্তরিত করেছে, ইকুয়েডর তার ঋণের একটি বড় অংশকে রূপান্তরিত করেছে সংরক্ষণ প্রচেষ্টায়, এবং গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ বন্যপ্রাণী সুরক্ষায়।
শ্রীলঙ্কার উপেক্ষিত বিনিয়োগের সুযোগ
তার বিস্ময়কর ঋণের বোঝার কারণে শ্রীলঙ্কা ঋণদাতা ও আইএমএফ-এর সঙ্গে ঋণ পুনর্গঠন আলোচনায় যুক্ত রয়েছে। অপ্রতিরোধ্য ঋণের বাধ্যবাধকতা ইতিমধ্যেই দেশটিকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলে জলবায়ু প্রশমন বা অভিযোজন বা কোনও অর্থপূর্ণ পরিবেশগত সুরক্ষা বা সংরক্ষণ প্রচেষ্টার জন্য সম্পদের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এই ঋণ পুনঃআলোচনার ফলাফল হতে পারে কিছু ধরনের কঠোর প্যাকেজ যা সামাজিক অস্থিরতা, বর্ধিত বৈষম্য এবং স্বল্পমেয়াদে সামগ্রিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সবুজ ঋণ বদলাবদলি এই চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, এবং তা শুধু ঋণ কমানোর মাধ্যমেই নয়, বরং সবুজ শক্তি, জলবায়ু-সহনশীল পরিকাঠামো, ইকো-ট্যুরিজম ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমেও। এই ক্ষেত্রগুলি প্রায়ই অর্থনৈতিক মন্দার সময় অবহেলিত হয়, যদিও এগুলি টেকসই পুনরুদ্ধার ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিস্থাপকতার প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন।
সবুজ ঋণ বদলাবদলি এই চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, এবং তা শুধু ঋণ কমানোর মাধ্যমেই নয়, বরং সবুজ শক্তি, জলবায়ু-সহনশীল পরিকাঠামো, ইকো-ট্যুরিজম ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমেও।
ভারতের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঋণ বদলাবদলি শ্রীলঙ্কার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে অর্থায়নের জন্য "মাফ করা ঋণ" মঞ্জুরি দেবে, যেখানে বর্তমানে দেশটি জৈব জ্বালানি ও জলবিদ্যুতের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল, এবং সৌর ও বায়ু প্রকল্প অনেকটাই উপেক্ষিত। এর বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আসা সত্ত্বেও (৪৯.৫ শতাংশ) সৌর এবং বায়ু দেশের মোট শক্তি মিশ্রণে ০.৫ শতাংশেরও কম অবদান রাখে, যা শ্রীলঙ্কার শক্তির দুর্বলতা প্রশমিত করতে বৈচিত্র্যের জন্য একটি চাপের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির উপর শ্রীলঙ্কার অত্যধিক নির্ভরতা তার বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলে, যা দেশের ঋণশোধ অক্ষমতার একটি প্রধান কারণ। বিনিয়োগ মূলধনের অভাবের কারণে, এই নির্ভরতা তার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের জন্য অর্থায়ন ও টেকসই শক্তিতে এর বিস্তৃত রূপান্তরকে বাধা দেয়। বিশ্বব্যাঙ্কের একটি সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে শ্রীলঙ্কা শুধুমাত্র তার উপকূলীয় জলে অফশোর উইন্ড প্রোজেক্টের মাধ্যমে ৫৬ গিগাওয়াট পর্যন্ত টেকসই সমুদ্রশক্তি ব্যবহার করতে পারে। অধিকন্তু, শ্রীলঙ্কার জলও জোয়ার ও তরঙ্গ শক্তির আকারে সমুদ্রশক্তির জন্য অসাধারণ সম্ভাবনা তৈরি করছে বলে স্বীকৃত। প্রাথমিক খরচ সত্ত্বেও, এই সম্পদগুলি দীর্ঘমেয়াদি শক্তি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে।
কেন ভারতের সবুজ ঋণ বদলাবদলিতে জড়িত হওয়া উচিত?
১। ভূ-রাজনৈতিক লাভ:
❅ আঞ্চলিক প্রভাবকে শক্তিশালী করা: সবুজ ঋণ বদলাবদলির সূত্রে ঋণ ত্রাণ প্রদানের মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ এশীয় কূটনীতি এবং পরিবেশগত নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে অবস্থান করতে পারে।
❅ চিনা প্রভাব মোকাবিলা: চিন যেহেতু শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা, তাই ঋণ ত্রাণে ভারতের সম্পৃক্ততা এই অঞ্চলে শক্তির গতিশীলতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। দ্বীপরাষ্ট্রটির কৌশলগত অবস্থান ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য একে অপরিহার্য করে তোলে। ঋণ সংকট মোকাবিলায় প্রতিবেশীকে সাহায্য করা এই অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভারতের বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলকে প্রতিফলিত করে।
২। ভূ-অর্থনৈতিক সুবিধা:
❅ অর্থনৈতিক পদচিহ্ন সম্প্রসারণ: সবুজ ঋণ বদলাবদলিতে শ্রীলঙ্কার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সংরক্ষণ খাতে ভারতীয় ব্যবসার জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।
❅ শক্তি নিরাপত্তা বাড়ানো: শ্রীলঙ্কার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ সম্ভাব্যভাবে শক্তি আদান-প্রদান চুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা উভয় দেশকে উপকৃত করবে। প্রস্তাবিত ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের দ্বিমুখী সমুদ্রতলের বিদ্যুৎ-কেবল শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যে একটি "শক্তি করিডোর" হিসাবে কাজ করবে, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঋণের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ উপস্থাপন করে৷
৩।পরিবেশগত নেতৃত্ব এবং ভাগ করা বাস্তুতন্ত্র:
❅ বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যগুলির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করা: এই পদ্ধতিটি ভারতের আন্তর্জাতিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সারিবদ্ধ করে এবং একটি দায়িত্বশীল বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে এর খ্যাতি বাড়ায়।
❅ আঞ্চলিক বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষা: শেয়ার্ড ইকোসিস্টেম এবং সামুদ্রিক সীমানার কারণে শ্রীলঙ্কার পরিবেশ সংরক্ষণে বিনিয়োগ সরাসরি ভারতকে উপকৃত করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত-শ্রীলঙ্কা পক বে-র আন্তঃসীমান্ত অঞ্চলে সংরক্ষণ প্রচেষ্টা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনায় শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকে সমর্থন করে ভারত পরোক্ষভাবে তার নিজস্ব সামুদ্রিক সম্পদ ও স্বার্থ রক্ষা করে।
❅ নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচার: শ্রীলঙ্কার আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে গার্হস্থ্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরকে সমর্থন করা ভারতের নিজস্ব স্থায়িত্ব লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সারিবদ্ধ এবং জ্ঞান ভাগাভাগি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
৪। কূটনৈতিক নরম শক্তি:
❅ একটি বিকল্প উন্নয়ন মডেল প্রদর্শন করা: ঐতিহ্যগত ঋণদাতাদের থেকে তার পদ্ধতির পার্থক্য করে ভারত নিজেকে স্থিতিশীল উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে ।
❅ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা: পরিবেশগত উদ্যোগের প্রচারের সাথে সাথে ঋণ সংকট মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করা ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে।
৫।অর্থনৈতিক স্পিলওভার এফেক্ট:
❅ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি: শ্রীলঙ্কার সবুজ উদ্যোগকে সমর্থন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শক্তির স্থায়িত্বে সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে চালিত হতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে ভারতীয় কোম্পানি এবং এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদের উপকার হতে পারে।
❅ প্রযুক্তি স্থানান্তর: সবুজ ঋণ বদলাবদলি ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় নবায়নযোগ্য শক্তি এবং সংরক্ষণ প্রযুক্তি স্থানান্তরকে সহজতর করতে পারে, এবং ভারতীয় সবুজ প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য নতুন বাজার তৈরি করে৷
৬। উদ্ভাবনী আর্থিক ব্যবস্থা:
❅ অগ্রগামী নতুন পন্থা: সবুজ ঋণ বদলাবদলি করার মাধ্যমে, ভারত নিজেকে টেকসই অর্থায়নে একটি উদ্ভাবকের জায়গায় তুলে নিয়ে যেতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে অনুরূপ ব্যবস্থার দিকে চালিত করবে।
❅ ফরেক্স সংরক্ষণ: এই বদলাবদলিগুলি শ্রীলঙ্কাকে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত উদ্যোগে বিনিয়োগ করার অনুমতি দেয়, এবং পরোক্ষভাবে তার নিকটবর্তী প্রতিবেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রচার করে ভারতকে উপকৃত করে।
ভারতের জন্য সবুজ ঋণ বদলাবদলি আরও আকর্ষণীয় করতে, নিম্নলিখিত পণ্য-স্তরের উদ্ভাবনগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
আন্তঃসীমান্ত কার্বন ক্রেডিট: এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করা যেখানে ভারত ঋণ বদলাবদলি দ্বারা অর্থায়ন করা শ্রীলঙ্কার সবুজ প্রকল্প থেকে উৎপন্ন কার্বন ক্রেডিটগুলির একটি অংশ পায়।
সবুজ প্রযুক্তি স্থানান্তর কর্মসূচি: সবুজ ঋণ বদলাবদলি চুক্তির অংশ হিসাবে ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে শ্রীলঙ্কায় সবুজ প্রযুক্তি স্থানান্তর করার সুযোগ দেওয়া হলে তা ভারতীয় সবুজ প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য নতুন বাজার তৈরি করবে৷
সবুজ পর্যটন করিডোর: দুই দেশের মধ্যে ইকো-ট্যুরিজমকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ পর্যটন কর্মসূচি তৈরি করুন, এবং সংরক্ষণের প্রচারের সাথে সাথে পর্যটন ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করুন।
টেকসই মৎস্য অংশীদারিত্ব: ভাগ করা জলে টেকসই মাছ ধরার অনুশীলনের জন্য একটি যৌথ কর্মসূচি তৈরি করা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা।
উপসংহার
শ্রীলঙ্কার বিপর্যস্ত সার্বভৌম ঋণের কিছু ত্রাণ বা ক্ষমা ভারতের স্বার্থের অনুকূল হওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সবুজ ঋণ বদলাবদলি করার মাধ্যমে ভারত একই সঙ্গে একাধিক কৌশলগত উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এটি শ্রীলঙ্কার ঋণের বোঝা কমাতে, পরিবেশ সংরক্ষণের প্রসার ঘটাতে, আঞ্চলিক শক্তি নিরাপত্তা বাড়াতে, এর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে সাহায্য করতে পারে। এই বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি শুধু ভারতের তাৎক্ষণিক স্বার্থই পূরণ করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতেও অবদান রাখে, যা ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভবিষ্যৎমুখী চিন্তাশীল নেতা হিসাবে তুলে ধরে।
অনিরুদ্ধ রাস্তোগি হলেন ইকিগাই ল-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং পার্টনার।
ড্যানিয়েল ওডিশো ইকিগাই ল-এ সাস্টেনেবিলিটি কনসাল্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Anirudh is the Founder and Managing Partner at Ikigai Law - an award-winning law and public policy firm. An author and Ted speaker, Anirudh was ...
Read More +Daniel is a corporate runaway from the finance industry. With 17 years of international experience, his professional journey included roles as an independent Management Consultant ...
Read More +