-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতের বিনামূল্যে গণপরিবহণ প্রকল্পের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য একটি ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হবে।
লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের গণপরিবহণ পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য ন্যায্যতার ব্যবধান রয়েছে, যা বিশেষ করে প্রান্তিক জনসংখ্যার উপর প্রভাব ফেলে। দিল্লির মতো নগর কেন্দ্রগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে, যেখানে এক ক্ষুদ্র অংশই মাত্র গণপরিবহণ ব্যবহার করে। মুম্বই ও আহমেদাবাদেও একই রকমের ধরন দেখা যায়, যেখানে পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতা দুর্বল গোষ্ঠীর মধ্যে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য বাড়িয়ে তোলে। গ্রামীণ ভারতে, যেখানে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বাস করে, সীমিত পরিবহণ বিকল্পগুলি প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিতে প্রাপ্তিযোগ্যতা সীমাবদ্ধ করে এই বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গতিশীলতার চ্যালেঞ্জ আরও স্পষ্ট, এবং প্রাপ্তিযোগ্যতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বাধা রয়েছে। ‘অ্যাক্সেসেবল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন’-এর মতো উদ্যোগগুলি থাকলেও তাদের বাস্তবায়ন সীমিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। তার উপর, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে মহিলাদের গতিশীলতা হ্রাস পেয়েছে, যা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে তাঁদের প্রাপ্তিযোগ্যতাকে সীমাবদ্ধ করেছে।
ব্যাপক টেকসই গতিশীলতা অর্জনের জন্য নীতি এবং পরিকাঠামোতে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, লিঙ্গ সংবেদনশীলতা এবং নিরাপত্তার একীকরণ প্রয়োজন, যার ফলে অর্থনৈতিক সুযোগগুলির ন্যায্য প্রাপ্তি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা নিশ্চিত করা যায়।
জাতীয় নগর পরিবহণ নীতি (এনইউটিপি)-সহ সরকারি নীতিমালার লক্ষ্য ছিল গণপরিবহণ উন্নত করা; তবে, পরিবেশগত স্থায়িত্বের উপর প্রধান মনোযোগ প্রায়শই সামাজিক ন্যায্যতার বিবেচনাকে ছাপিয়ে গেছে। ব্যাপক টেকসই গতিশীলতা অর্জনের জন্য নীতি এবং পরিকাঠামোতে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, লিঙ্গ সংবেদনশীলতা এবং নিরাপত্তার একীকরণ প্রয়োজন, যার ফলে অর্থনৈতিক সুযোগগুলির ন্যায্য প্রাপ্তি এবং জীবনযাত্রার মানের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।
বিনামূল্যে গণপরিবহণ: সামাজিক ন্যায্যতা এবং পরিচালনাগত বিবেচনা
সাশ্রয় ও ন্যায্যতার জন্য একটি কৌশলগত ব্যবস্থা হিসাবে বিনামূল্য বা ভর্তুকিযুক্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। তবে, এই ধরনের হস্তক্ষেপের কার্যকারিতা মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট সিস্টেমের ব্যাপক বাস্তবায়নের উপর নির্ভরশীল। এমন মনে করা হয় যে, সর্বজনীন ভর্তুকি ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে গণপরিবহণ ব্যবহারের প্রকারগত পরিবর্তন আনতে পারে, যার ফলে পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও পরিকাঠামোগত ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিপরীতে, সমালোচনাগুলি খরচ পুনরুদ্ধার এবং উদ্ভাবনের জন্য হ্রাসপ্রাপ্ত প্রণোদনার উল্লেখ করে, এবং পরিচালনাগত কার্যকারিতার সম্ভাব্য অদক্ষতাগুলিকে তুলে ধরে। ভর্তুকিগুলির পরিষেবা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করার সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
সাশ্রয় ও ন্যায্যতার জন্য একটি কৌশলগত ব্যবস্থা হিসাবে বিনামূল্য বা ভর্তুকিযুক্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত।
সামাজিক ন্যায়বিচার এবং পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে তাদের প্রভাব নিরূপণের জন্য ভর্তুকি ব্যবস্থার একটি সমালোচনামূলক মূল্যায়ন অপরিহার্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই গণপরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাঠামো অনুকূল করার জন্যই এই জাতীয় বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে বিনামূল্যে গণপরিবহণ উদ্যোগ
ভারতের জাতীয় স্তরের নিচের সরকারগুলি মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বা ভর্তুকিযুক্ত বাস ভ্রমণের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে গণপরিবহণের মধ্যে সামাজিক সমতা এবং লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তি জোরদার করার কর্মসূচি চালু করেছে, এবং পাশাপাশি বয়স্ক নাগরিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ দুর্বল জনসংখ্যার জন্য ভাড়া হ্রাস করেছে।
রাজ্যগুলি মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিবহণ বাস্তবায়ন করছে:
❅ দিল্লি: ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাস্তবায়িত "গোলাপি টিকিট" প্রকল্পটি মহিলাদের দিল্লি পরিবহণ কর্পোরেশন (ডিটিসি) এবং ক্লাস্টার বাসে ভাড়া ছাড়াই ভ্রমণের অনুমতি দেয়।
❅ কর্ণাটক: ২০২৩ সালে চালু হওয়া "শক্তি" প্রকল্পটি মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস চলাচলের সুবিধা প্রদান করে, যার লক্ষ্য গতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা।
❅ তামিলনাড়ু: ২০২১ সাল থেকে একটি বিনামূল্যে বাস ভ্রমণ কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে, যার ফলে নয় মাসের মধ্যে মহিলা বাস যাত্রীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে ৬১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
❅ পঞ্জাব: ২০২১ সালে গণপরিবহণে লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।
❅ তেলঙ্গনা: রাজ্যটি গণপরিবহণে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির জন্য মহিলা এবং সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
❅ অন্ধ্রপ্রদেশ: স্থানীয় চলাচল বৃদ্ধির জন্য মহিলাদের তাদের নিজ নিজ জেলার মধ্যে রাজ্য সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (আরটিসি) বাসে বিনামূল্যে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
❅ মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের (এমএসআরটিসি) "মহিলা সম্মান যোজনা"র মাধ্যমে রাজ্য পরিবহণ বাস বিভাগে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ ভাড়া কম করা হয়েছে।
৭৫ বছর এবং তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকরা বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন, যেখানে ৬৫-৭৫ বছর বয়সীরা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
❅ মুম্বই: মুম্বই মেট্রো লাইন ২এ এবং ৭ প্রবীণ নাগরিক (৬৫ বছরের বেশি বয়সী), প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ শতাংশ ভাড়া ছাড় প্রদান করে।
❅আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা (৮০ বছরের কম বয়সী, ৪০ শতাংশ এবং তার বেশি) সাধারণ/এক্সপ্রেস বাস পরিষেবায় বিনামূল্যে বাস পাস পাওয়ার যোগ্য।
❅ বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (বেস্ট): বেস্ট শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ নাগরিক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সামনের দরজা দিয়ে বোর্ডিং সুবিধা প্রদান করে।
এই উদ্যোগগুলি ভারতীয় জাতীয় স্তরের নিম্নবর্তী সংস্থাগুলির মধ্যে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার উদাহরণ, যাতে গণপরিবহণে সামাজিক সমতা ও লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তি এগিয়ে নেওয়া যায়, এবং এইভাবে দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য উন্নত গতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।
শহরগুলির উপর বিনামূল্য বা ভর্তুকিযুক্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থার প্রভাব
এই বিনামূল্য বা ভর্তুকিযুক্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থার প্রভাব প্রমাণ করার জন্য অসংখ্য গবেষণা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তামিলনাড়ুতে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণের ব্যবস্থা গতিশীলতা, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা ও সামাজিক সংহতিকে স্পষ্টভাবে বৃদ্ধি করেছে। সিটিজেন কনজিউমার অ্যান্ড সিভিক অ্যাকশন গ্রুপ (সিএজি)-এর তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ৯৩ শতাংশ মহিলা বাস পরিষেবার ব্যবহার বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন, যার ফলে মাসিক ৮০০-১,০০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে ৪১ শতাংশ সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। নিম্ন আয়ের জনসংখ্যার মধ্যে এই প্রকল্পের প্রভাব বিশেষভাবে স্পষ্ট ছিল, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পদের প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মোট বাস যাত্রীর সংখ্যার মধ্যে মহিলা যাত্রীর অনুপাত ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য সামাজিক প্রভাব নির্দেশ করে।
নিম্ন আয়ের জনসংখ্যার মধ্যে এই প্রকল্পের প্রভাব বিশেষভাবে স্পষ্ট ছিল, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পদের প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
দিল্লির "গোলাপি টিকিট" প্রকল্পের উপর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে মহিলা বাস যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২০-২১ সালে ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ সালে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। সমীক্ষাগুলি দেখায় যে ২৩ শতাংশ মহিলা বাস ব্যবহার বৃদ্ধি করেছেন, যাদের মধ্যে ১৫ শতাংশই এখন নিয়মিত যাত্রী। এই প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক সুবিধা প্রদান করেছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মহিলাদের জন্য। ৫৪ শতাংশ পরিবারের খরচ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সঞ্চয়ের কথা জানিয়েছেন। অর্ধেক উত্তরদাতার কাছে জরুরি তহবিল জমা হয়েছিল; এক-তৃতীয়াংশ পূর্বে অসাধ্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র কিনেছিলেন; ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য সঞ্চয় করেছিলেন। স্কুল ও কলেজে যাওয়ার বয়সী মেয়েরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তহবিল ব্যবহার করত, তবে মায়েরা শিশু ও জরুরি অবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতেন। এটি দিল্লিতে মহিলাদের জন্য আর্থিক সংস্থান এবং প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধিতে এই প্রকল্পের ভূমিকার উপর জোর দেয়।
কর্ণাটক "শক্তি" প্রকল্প, যা মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণের ব্যবস্থা করে, মহিলা যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে, এবং আর্থ-সামাজিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে। তথ্য অনুসারে, প্রকল্পের উদ্বোধনী মাসে মহিলা যাত্রীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ৪১ কোটিরও বেশি মহিলা সুবিধাভোগী হয়েছেন। দৈনিক ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের ফলে কর্মসংস্থান এবং শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিএমটিসি)-এর বাসগুলিতে মহিলা যাত্রীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫১ শতাংশ হয়েছে, আর কর্ণাটক রাজ্য সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (কেএসআরটিসি)-এ ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার উপর, এই প্রকল্পটি গ্রামীণ মহিলাদের জন্য বাজারের সুযোগ উন্নত করেছে, যা ছোট ব্যবসার বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির ফলে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়েছে, যার ফলে বর্ধিত চাহিদা মেটাতে পরিকাঠামোগত উন্নতি প্রয়োজন।
এগিয়ে যাওয়ার পথ
ভারতের বিনামূল্যে গণপরিবহণ প্রকল্পের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য একটি ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে বাসের প্রাপ্তিযোগ্যতার সময় কমানো এবং রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের জন্য, প্রাপ্তিযোগ্যতা ও সুরক্ষা উন্নত হবে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিনামূল্যে ই-রিকশা বা মিনি-বাসের মাধ্যমে শেষ মাইল সংযোগ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই প্রকল্পটির সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত বাস বিভাগে (এসি, নন-এসি, প্রিমিয়াম) প্রাপ্তি সার্বজনীন করা এবং মেট্রো পরিষেবাগুলিকে একীভূত করা সাশ্রয়ী মূল্য এবং যাত্রী সংখ্যা আরও উন্নত করবে।
বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে বাসের প্রাপ্তিযোগ্যতার সময় কমানো এবং রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের জন্য, প্রাপ্তিযোগ্যতা ও সুরক্ষা উন্নত হবে।
নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষিত বাস স্টপ, সিসিটিভি নজরদারি এবং মহিলা মার্শাল মোতায়েন-সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন অপরিহার্য। জনসচেতনতামূলক প্রচারণা সাংস্কৃতিক পক্ষপাত দূর করবে এবং মহিলাদের গতিশীলতা স্বাভাবিক করবে। পরিবহণ কর্মীদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করবে, এবং ইতিবাচক রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে।
লিঙ্গ-সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে এই ব্যবস্থাগুলিকে একীভূত করা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সম্পৃক্ততার সুযোগ উন্নত করে নারীদের ক্ষমতায়ন করবে। বিনামূল্যে গণপরিবহণকে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর উন্নয়ন এবং সামাজিক রূপান্তরের জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে দেখা উচিত।
নন্দন এইচ দাওড়া অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আরবান স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr Nandan H Dawda is a Fellow with the Urban Studies programme at the Observer Research Foundation. He has a bachelor's degree in Civil Engineering and ...
Read More +