Author : Aditya Bhan

Published on Nov 21, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতীয় ক্ষুদ্রঋণ ‌ক্ষেত্রটি নিয়ামক সংস্কার, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও সরকারি উদ্যোগের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং পূর্বে উপেক্ষিত লক্ষ লক্ষ পরিবারকে ঋণ প্রদান করেছে

ভারতীয় ক্ষুদ্র‌ঋণের পঞ্চাশ বছর: লাভজনক হওয়ার পথে দীর্ঘ যাত্রা

ভারতীয় ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্র একটি বড় সময়মাত্রা অতিক্রম করে তার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে৷ ১৯৭৪ সালে গুজরাটে দরিদ্র মহিলাদের আর্থিক পরিষেবা প্রসারিত করার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত স্ব-কর্মসংস্থান মহিলা সমিতি (সেবা) ব্যাঙ্ক ছিল ভারতের প্রথম ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই)। তখন থেকে, ক্ষুদ্রঋণ  আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র পরিবার এবং ছোট উদ্যোগের জন্য।

ঝুঁকি

ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন, যা ক্ষুদ্রঋণ নামেও পরিচিত, হল এক ধরনের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, যা এমন দরিদ্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলির জন্য প্রসারিত হয় যারা অন্যথায় আর্থিক পরিষেবাগুলি পেতে অক্ষম। সাধারণ ব্যাঙ্কারদের মতো এমএফআই-‌গুলিকেও অবশ্যই ঋণের উপর সুদ পেতে হবে, এবং তার নির্দিষ্ট কাঠামোভিত্তির পরিশোধের প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক ব্যবধানে বকেয়া কিস্তির টাকা অর্জন করতে হবে। ক্ষুদ্র-‌অর্থায়নের মধ্যে পড়ে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, চেকিং অ্যাকাউন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার, মাইক্রো ইনসিওরেন্স এবং ক্ষুদ্রঋণের মতো একাধিক পরিষেবা।


এমএফআই-‌গুলিকেও অবশ্যই ঋণের উপর সুদ পেতে হবে, এবং তার নির্দিষ্ট কাঠামোভিত্তির পরিশোধের প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক ব্যবধানে বকেয়া কিস্তির টাকা অর্জন করতে হবে।



উপকারী হলেও ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন অনেক অন্তর্নিহিত ঝুঁকি দ্বারা চিহ্নিত হয়;‌ যেমন ঋণ ঝুঁকি অর্থাৎ দেনাদারদের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি; অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, মানুষ ও ব্যবস্থার ফলে সৃষ্ট কার্যকারণগত ঝুঁকি, যেমন, কর্মীদের অপ্রতুল প্রশিক্ষণ, জালিয়াতি, বা ঋণ প্রক্রিয়াকরণের ত্রুটি যা প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়াকলাপগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে; নগদ প্রবাহের অব্যবস্থাপনা থেকে উদ্ভূত তরলতার ঝুঁকি এবং এর ফলে স্বল্পমেয়াদি বাধ্যবাধকতা প্রদানে অক্ষমতা; বাজারের ঝুঁকি, যেমন সুদের হারের ওঠানামা বা অর্থনৈতিক নিম্নমুখী প্রভাব থেকে উদ্ভূত বিপদ; একাধিক মুদ্রা ব্যবহার করে এমন ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িত এমএফআই-‌গুলির বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে সম্পর্কিত বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি, বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলি এক মুদ্রায় ঋণ নেয় এবং অন্য মুদ্রায় ঋণ দেয়; খ্যাতি ঝুঁকি যেমন নেতিবাচক প্রচার বা গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসের ক্ষয়, যার ফলে গ্রাহকভিত্তি সঙ্কুচিত হয় এবং/অথবা আর্থিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়; আইন বা সরকারি প্রবিধান পরিবর্তনের কারণে পরিচালন এবং লাভের উপর প্রভাব থেকে উদ্ভূত নিয়ামক ঝুঁকি। প্রকৃতপক্ষে, এইগুলির একটি বা একাধিক সমস্যা ভারতের ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রকে তার পাঁচ দশকের অস্তিত্বের বেশিরভাগ সময় ধরে জর্জরিত করেছে।

একটি চ্যালেঞ্জিং ইতিহাস 

ভারতে ক্ষুদ্র-‌অর্থায়নের প্রাথমিক বিকাশ মূলত ১৯৮০-র দশকে ডিফারেনশিয়াল রেট অফ ইন্টারেস্ট (ডিআরআই) এবং ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইআরডিপি)–এর মতো ছোট ঋণ প্রকল্পের উপর নির্ভর করে ঘটেছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্রদের কাছে আর্থিক পরিষেবা প্রসারিত করা। যাই হোক, সেগুলি বেশিরভাগই উচ্চ ব্যয় ও অদক্ষতার দ্বারা জর্জরিত ছিল। ১৯৯০ ও ২০০০-‌এর দশকে এই ক্ষেত্রটি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছিল, বিশেষ করে এমএফআই এবং স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর (এসএইচজি) বৃদ্ধির সঙ্গে, কিন্তু এই বৃদ্ধি নিম্নরূপ সমস্যাগুলির নিজস্ব সেট দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে:

১। লেনদেনের খরচ: ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন পরিষেবাগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ সংখ্যক ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতার কাছে প্রসারিত করার ফলে উচ্চ লেনদেন খরচ হয়েছে, যার মধ্যে ভ্রমণ ও নিরীক্ষণের ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা প্রায়শই আনুষ্ঠানিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে অস্থিতিশীল করে তোলে;

২। জামানতের অনুপস্থিতি: বেশ কিছু গ্রামীণ দরিদ্রদের প্রামাণ্য দলিল ও জামানতের অভাব ছিল, যার ফলে ঋণ সুরক্ষিত করা এবং ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে;

৩। মহাজন: সহজলভ্যতা এবং নমনীয় অবস্থার কারণে অনেক ঋণগ্রহীতা প্রচলিত মহাজনদের উপর নির্ভর করতে থাকে; এবং

৪। নিয়ামক প্রতিবন্ধকতা: এর মধ্যে রয়েছে নীতির অসঙ্গতি এবং একটি সহায়ক আইনি কাঠামোর অভাব।


ভারত সরকারের উচ্চ-মূল্যের নোটের অপ্রত্যাশিত বিমুদ্রাকরণ ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রে একটি বিশাল বিরূপ প্রভাব ফেলে।



২০১০ সালে অন্ধ্র প্রদেশে এমএফআই-‌গুলি দ্বারা বলপূর্বক ঋণ পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি এবং তাদের উচ্চ সুদের হারের অভিযোগের মধ্যে ভারতীয় ক্ষুদ্র-‌অর্থায়নের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংকটগুলির একটি ঘটেছিল। প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য সরকার কঠোর প্রবিধান এনেছিল, যার ফলে এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন কার্যক্রমে ব্যাপক পতন ঘটেছে। ২০১৬ সালে ভারত সরকারের উচ্চ-মূল্যের নোটের অপ্রত্যাশিত বিমুদ্রাকরণ ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রে একটি বিশাল বিরূপ প্রভাব ফেলে। অনেক ঋণগ্রহীতা, যাঁরা বেশির ভাগই নগদে লেনদেন করেন, তাঁরা সেই সময় ঋণ পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হন। এর ফলে ঋণখেলাপ বেড়ে যায়। সম্প্রতি, ২০২০-র শুরুতে, কোভিড-১৯ অতিমারি ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব দুর্দশা নিয়ে আসে। লকডাউন ও অর্থনৈতিক বিঘ্ন ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, যার ফলে এমএফআই-‌গুলির জন্য লিকুইডিটি সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে ক্ষেত্রটি বাধ্য হয়েছিল ডিজিটাল লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে।

প্রবিধান

অন্ধ্র প্রদেশে ২০১০ সালের সঙ্কটের প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন ক্ষেত্রের সমস্যা এবং উদ্বেগগুলি যাচাই করার জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) মালেগাম কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশের পর সুদের হারের উচ্চসীমা, লাভের উচ্চসীমা এবং ন্যায্য অনুশীলনের নির্দেশিকাসহ এনবিএফসি-এমএফআই-‌গুলি (নন-ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন-মাইক্রোফাইনান্স ইনস্টিটিউশন)-‌র জন্য একটি সামগ্রিক নিয়ামক কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।


আরবিআই ক্ষুদ্রঋণে নিযুক্ত সমস্ত নিয়ন্ত্রিত সংস্থার (আরই) জন্য সমন্বিত প্রবিধান প্রবর্তন করেছে, যার লক্ষ্য সকলের জন্য সমসুযোগ-‌সমন্বিত ক্ষেত্র তৈরি করা, অতিরিক্ত ঋণভারের বিষয়গুলি মোকাবিলা করা, এবং স্বচ্ছ মূল্য নির্ধারণ ও ন্যায্য অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়া।



২০১৪ সালে, আরবিআই মাইক্রোফাইনান্স ইনস্টিটিউশন নেটওয়ার্ক (এনএফআইএন) ও সা-ধন-কে স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা (এসআরও) হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেগুলি নিয়ামক সম্মতি নিশ্চিত করতে এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ অতি সম্প্রতি ২০২২ সালে, আরবিআই ক্ষুদ্রঋণে নিযুক্ত সমস্ত নিয়ন্ত্রিত সংস্থার (আরই) জন্য সমন্বিত প্রবিধান প্রবর্তন করেছে, যার লক্ষ্য সকলের জন্য সমসুযোগ-‌সমন্বিত ক্ষেত্র তৈরি করা, অতিরিক্ত ঋণভারের বিষয়গুলি মোকাবিলা করা, এবং স্বচ্ছ মূল্য নির্ধারণ ও ন্যায্য অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়া।

একত্রে দেখলে, এই প্রবিধানগুলির লক্ষ্য ঋণগ্রহীতাদের রক্ষা করা এবং এমএফআই-‌গুলির স্থায়িত্ব ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করা। তারা, প্রকৃতপক্ষে, গত এক দশকে ভারতের ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য রূপান্তরকে সক্ষম করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

ভাগ্যের পরিবর্তন

ভারতীয় ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রটি দ্রুত বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে, এর গ্রস লোন পোর্টফোলিও ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায়
১৬.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭,০০০ কোটি ভারতীয় রুপি থেকে ২.৮৫ লক্ষ কোটি ভারতীয় রুপিতে পৌঁছেছে৷ এনবিএফসি-‌গুলি ক্ষুদ্রঋণ বিভাগে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কগুলির থেকে তাদের এগিয়ে থাকার অংশ বাড়িয়েছে৷ অর্থবর্ষ ২৩-‌এ তাদের দখলে ছিল ৩৯.‌১ শতাংশ বাজার আর ব্যাঙ্কের দখলে ছিল ৩৩.৫ শতাংশ বাজার।

কোভিড-১৯ অতিমারির মতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ক্ষেত্রটি স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে। ছোট অপরাধগুলি প্রাক-অতিমারি হারে ফিরে এসেছে, যা আরও ভাল পোর্টফোলিও স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত
১৪.৬ কোটি ঋণ অ্যাকাউন্ট-সহ অনন্য ঋণগ্রহীতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এই বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে দক্ষ ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ এবং বিচক্ষণ ঋণদান পদ্ধতি। গুরুত্বপূর্ণভাবে, বর্ধিত লাভ ও হ্রাসকৃত ঋণের খরচের কারণে লাভদায়িতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আরবিআই-এর ২০২২-এর সংশোধিত প্রবিধানগুলি ঋণের হার নির্ধারণে এমএফআই-‌গুলিকে আরও বেশি স্বাধীনতা দিয়েছে।


এনবিএফসি-‌গুলি ক্ষুদ্রঋণ বিভাগে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কগুলির থেকে তাদের এগিয়ে থাকার অংশ বাড়িয়েছে৷ অর্থবর্ষ ২৩-‌এ তাদের দখলে ছিল ৩৯.‌১ শতাংশ বাজার আর ব্যাঙ্কের দখলে ছিল ৩৩.৫ শতাংশ বাজার।


 
উদ্বেগ অব্যাহত

অভূতপূর্ব বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ভারতীয় ক্ষুদ্র-‌অর্থায়ন ক্ষেত্র নিম্নলিখিত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে:

১। সুদের হার: এমএফআই-‌গুলি দ্বারা ধার্যকৃত সুদের হার প্রায়ই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের চেয়ে বেশি হয়, বিশেষ করে দরিদ্র ঋণদাতাদের বোঝা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে;
২। ঋণগ্রস্ততা: বেশ কিছু ঋণগ্রহীতা একাধিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, যার ফলে অতিরিক্ত ঋণ হয়;
৩। পরিচালনগত খরচ: ছোট ঋণ পোর্টফোলিও এবং ব্যয়বহুল ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাজের খরচ বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা এমএফআই-‌গুলির জন্য আর্থিক কার্যকারিতা অর্জন করা কঠিন করে তোলে;
৪। আর্থিক সাক্ষরতা: নিম্ন আর্থিক ও ডিজিটাল সাক্ষরতা তহবিলের অপব্যবহার এবং ঋণ পরিশোধে চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে;
৫। ঋণ খরচ: এমএফআই-‌গুলি প্রায়শই সস্তা তহবিল পেতে লড়াই করে, যা তাদের সাশ্রয়ী মূল্যের ঋণ প্রসারিত করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে।

কোভিড-১৯ ‌অতিমারি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে উচ্চতর খেলাপি এবং আর্থিক চাপ সহ এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে কয়েকটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই সমস্যাগুলি দূর করার জন্য একটি বহুমুখী কৌশল প্রয়োজন, যার মধ্যে থাকবে একটি উন্নত নিয়ামক স্থাপত্য, আর্থিক সাক্ষরতার উদ্যোগ, এবং বঞ্চিতদের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি করা উদ্ভাবনী আর্থিক সুযোগ।


যদিও এই ক্ষেত্রটি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে সস্তা তহবিলের সীমিত প্রাপ্যতা, ঋণখেলাপিদের মধ্যে স্বল্প আর্থিক এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং গ্রাহকের ডেটা নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি।



উপসংহার

লাভজনক হয়ে ওঠার দিকে ভারতীয় ক্ষুদ্র-‌অর্থায়নের যাত্রা দীর্ঘ ও কঠিন। এই ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি চালিত হয়েছে নিয়ামক সংস্কার, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে, যা আগেকার প্রচলিত আর্থিক পরিষেবার নাগালের বাইরে থাকা কোটি কোটি দরিদ্র পরিবারের কাছে ঋণের সম্প্রসারণ সক্ষম করেছে। যদিও এই ক্ষেত্রটি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে সস্তা তহবিলের সীমিত প্রাপ্যতা, ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে স্বল্প আর্থিক ও ডিজিটাল সাক্ষরতা, এবং গ্রাহকের ডেটা নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি। অতিরিক্ত ঋণ এবং উদ্ভাবনী গ্রাহক-কেন্দ্রিক সমাধানের অভাবও বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। তবুও, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উচ্চ লাভ এবং কম ঋণ খরচের কারণে লাভ বাড়ছে, যা বিমুদ্রাকরণ ও কোভিড-১৯ ‌অতিমারির মতো প্রতিকূলতার মুখোমুখি ক্ষেত্রটির স্থিতিস্থাপকতার সাক্ষ্য বহন করছে।



আদিত্য ভান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.