-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নীতি থেকে উৎপাদন পর্যন্ত, কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে শিল্প প্রতিযোগিতার সঙ্গে মিশ্রিত করে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে রপ্তানির জন্য পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভরতা’ উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে প্রতিরক্ষা রপ্তানি। ভারত তার মিত্র এবং অ-প্রতিকূল দেশগুলিতে প্রতিরক্ষা পণ্য রপ্তানি করে আসছে। ২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকার প্রতিরক্ষা রপ্তানির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নীতিগত প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কাঠামোগত সংস্কারের কারণে ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানির উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগত বৃদ্ধি হয়েছে, যার ফলে গত দশকে তা ৩৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অতীত থেকে স্পষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিরক্ষা রপ্তানির বর্তমান বৃদ্ধি ভারত কীভাবে তার রপ্তানি প্রক্রিয়াগুলিকে সহজতর করেছে এবং কীভাবে এটি গুণগত ও পরিমাণগতভাবে আরও উন্নত করতে পারে তার মূল্যায়নের সুযোগ দেয়।
কাঠামোগত সংস্কারের কারণে ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানির উল্লেখযোগ্য সংখ্যাগত বৃদ্ধি হয়েছে, যার ফলে গত দশকে তা ৩৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রপ্তানি বৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতির ব্যাখ্যা
২০১৪ সাল থেকে প্রতিরক্ষা উৎপাদন এবং শিল্প ভিত্তি শক্তিশালীকরণ মোদী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা নীতির মূল অ্যাজেন্ডা আইটেম হিসেবে রয়ে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা রপ্তানি ২০১৩-১৪ সালে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ২৩,৬২২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগটি ২০২০ সালে চালু হয়েছিল —মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে—এবং ভারত-চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী (আইএ) ও চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র মধ্যে অচলাবস্থার পটভূমিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হয়ে ওঠে। এই সংকট প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি এবং উৎপাদনে স্বনির্ভরতার প্রয়োজনের অনুঘটন করে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি (ডিআইবি)-কে নতুন করে উৎসাহিত করে। দেশীয় উৎসের মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন এবং ক্রয়ের উপর সরকারের জোর বেসরকারি কোম্পানি এবং প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর ইউনিট (ডিপিএসইউ) উভয়কেই সক্ষমতা সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি আদেশ প্রদানে সহায়তা করেছে।
সারণী: দেশীয় এবং বিদেশী মূলধন উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহের তুলনা
সূত্র: প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ২০২৪-২৫
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বৃহত্তর সংস্কারের অংশ হিসেবে সরকার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পদ্ধতি (ডিএপি) ২০২০-র পাশাপাশি প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি উন্নয়ন নীতি (ডিপিইপিপি) ২০২০ চালু করেছে, যার লক্ষ্য প্রতিরক্ষা রপ্তানির জন্য বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করা। প্রতিরক্ষা রপ্তানিতে এই তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধির জন্য চারটি মূল কারণকে চিহ্নিত করা যেতে পারে: বেসরকারি শিল্পের অংশগ্রহণ, এবং পাঁচটি দেশীয়করণ তালিকার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতের দেশীয়করণ; অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিজ বোর্ড (ওএফবি)-গুলির বাণিজ্যিকীকরণ, এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা তদারকির জন্য ক্রমাগত রাজনৈতিক নির্দেশনা ও পথপ্রদর্শন।
সারণী: প্রতিরক্ষা রপ্তানি সহজতর করার জন্য সরকারের মূল নীতিগত পদক্ষেপ
|
নীতি কাঠামো |
ফলাফল |
|
ডিএপি ২০২০ |
দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ভিত্তি উন্নত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ |
|
ডিপিইপিপি ২০২০ |
রপ্তানি এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ |
|
সদর্থক ভারতীয়করণ তালিকা (পাঁচ) |
দেশীয় প্রতিরক্ষা নির্মাতাদের জন্য একচেটিয়া বাজারের সুযোগ তৈরি করা |
|
ডিজিটাল শংসাপত্র |
সহজতর অনুবর্তিতা পদ্ধতি |
|
ওএফবি-গুলির বাণিজ্যিকীকরণ |
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সাংগঠনিক দক্ষতা এবং তৎপরতা আনা |
|
উদারীকৃত রফতানি লাইসেন্সিং |
আরও ভাল নিয়ন্ত্রক পরিবেশ তৈরি করা |
|
প্রতিরক্ষা রফতানিতে এমইএ |
সমগ্র-সরকার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসা |
সূত্র: বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করে লেখকদের সংকলন
এছাড়াও, আরেকটি বড় সংস্কার হল ওএফবি-গুলির বাণিজ্যিকীকরণ। নীতিটির লক্ষ্য হল স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা, নমনীয়তা বৃদ্ধি এবং দেশীয় ক্ষেত্রে তাদের বিদ্যমান সক্ষমতাকে আরও ভালভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বাস্তব ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে ডিপিএসইউ-গুলিকে পুনর্নির্মাণ করা।
সংখ্যার খেলার বাইরে: ডিআইবি-এর কার্যকারিতা পরিমাপ
প্রতিরক্ষা রপ্তানির আর্থিক মূল্য, প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণমান এবং রপ্তানিকৃত পণ্যের পরিমাণ ও আয়তনবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে ডিআইবি-র বৃদ্ধি ও কার্যকারিতার মূল্যায়ন করা যেতে পারে। উপরন্তু, উদ্ভাবন শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে। এই কারণগুলি প্রতিরক্ষা শিল্পের সাফল্য এবং প্রতিযোগিতার স্তর নির্ধারণে অবদান রাখে। বেসরকারি ক্ষেত্র এবং সরকারি ডিপিএসইউ-এর রপ্তানির পরিমাণ ও আয়তনবৃদ্ধি কাঠামোগত সংস্কারের কার্যকারিতা এবং একটি শক্তিশালী ডিআইবি-র প্রতি বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলিও নির্দেশ করে।
সারণী: ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানি (কোটি ভারতীয় রুপি মূল্য)
|
বর্ষ |
বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে রপ্তানি অনুমোদন |
ডিজিএফটি কর্তৃক ইস্যু করা স্কোমেট |
চুক্তি মূল্য এবং ডিপিএসইউ কর্তৃক আরেকটি রপ্তানি |
মোট রফতানি |
|
২০১৬-১৭ |
১৯৪.৩৫ |
০ |
১৩২৭.৫১ |
১৫২১.৮৬ |
|
২০১৭-১৮ |
৩১৬৩.১৬ |
০ |
১৫১৯.২০ |
৪৬৮২.৩৬ |
|
২০১৮-১৯ |
৯৮১২.৯১ |
০ |
৯৩২.৮৬ |
১০৭৪৫.৭৭ |
|
২০১৯-২০ |
৮০০৭.৮১ |
২০৩ |
৯০৪.৭৪ |
৯১১৫.৫৫ |
|
২০২০-২১ |
৭২৭১.২৫ |
১৭৮.৯৪ |
৯৮৪.৬৪ |
৮৪৩৪.৮৩ |
|
২০২১-২২ |
৫৯৬৫.০৩ |
৬.৭ |
|
১২৮১৪.৫২ |
|
২০২২-২৩ |
৯০৫০.৮৪ |
৩৫১.২৮ |
৬৫১৬.০৪ |
১৫৯১৮.১৬ |
|
২০২৩-২৪ |
১৩১১৯ |
২০৯০.৪৪ |
৫৮৭৩.৯১ |
২১০৮৩.৩৫ |
|
২০২৪-২৫ |
১৩৯৬৮.৩৮ |
১২৬৪.২৯ |
৮৩৮৯.৩৩ |
২৩৬২২.০০ |
|
২০২৫-২৬ |
৩০৯৫.০৯ |
০ |
০.০০ |
৩০৯৫.০৯ |
কার্তিক বোম্মাকান্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো।
রাহুল রাওয়াত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের গবেষণা সহকারী
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kartik is a Senior Fellow with the Strategic Studies Programme. He is currently working on issues related to land warfare and armies, especially the India ...
Read More +
Rahul Rawat is a Research Assistant with ORF’s Strategic Studies Programme (SSP). He also coordinates the SSP activities. His work focuses on strategic issues in the ...
Read More +