-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
বাজেটে কাটছাঁট এবং ইউরোপে অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকার ভারতের জলবায়ু তহবিল ও দূষণহীন পরিষ্কার প্রযুক্তির লভ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং ব্রিকস, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এবং ওয়ার্ল্ড মিটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) তরফে যৌথ ভাবে প্রকাশিত ইউরোপিয়ান স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট (ইএসওটিসি) প্রতিবেদন ভারতকে সতর্ক থাকার কারণ উস্কে দিয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ইউরোপ বিশ্বব্যাপী গড়ের দ্বিগুণ হারে উষ্ণ হচ্ছে এবং ২০২৪ সালটি রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তীব্র খরা দক্ষিণ ইউরোপকে দগ্ধ করেছে, মধ্য ও পূর্ব অঞ্চলে অভূতপূর্ব বন্যা দেখা দিয়েছে এবং ব্যাপক তাপপ্রবাহ জীবন, কৃষি ও জ্বালানি ব্যবস্থাকে ব্যাহত করেছে। এই তীব্র প্রভাবগুলি এই গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরেরই ইঙ্গিত দেয় যে: ইউরোপ আর জলবায়ু সঙ্কটের ক্ষেত্রে দূর থেকে দেখছে এমন দেশ নয়, বরং নিজেই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত একটি মহাদেশ।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের সঙ্গে শক্তিশালী জলবায়ু অংশীদারিত্ব থেকে উপকৃত হয়েছে, আর্থিক সহায়তা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং তার সবুজ রূপান্তরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাণিজ্য ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। স্মার্ট নগর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে দূষণহীন শক্তি সহযোগিতা পর্যন্ত… ভারত-ইইউ জোট তার জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের দিকে ভারতের প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি এবং জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের একটি যৌথ মূল্যায়ন সতর্ক করে দিয়েছে যে, পর্যাপ্ত প্রশমন না করলে ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা থেকে বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি দশগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে - গত দশকের ১২ বিলিয়ন ইউরো থেকে ২১০০ সালের মধ্যে তা হবে ১৭০ বিলিয়ন ইউরো।
জলবায়ু পরিবর্তন মহাদেশের উপর তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপ সম্ভবত তার নিজস্ব অর্থনীতি ও জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য তার আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক মনোযোগ অভ্যন্তরীণ দিকে পুনঃনির্দেশিত করবে। ইউরোপীয় কমিশন ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২১০০ সালের মধ্যে ইইউ-এর জিডিপি-র ৭% পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে। ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি এবং জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের একটি যৌথ মূল্যায়ন সতর্ক করে দিয়েছে যে, পর্যাপ্ত প্রশমন না করলে ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা থেকে বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি দশগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে - গত দশকের ১২ বিলিয়ন ইউরো থেকে ২১০০ সালের মধ্যে তা হবে ১৭০ বিলিয়ন ইউরো। এই ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ইউরোপের বৈদেশিক জলবায়ু অর্থায়ন প্রতিশ্রুতির পুনর্বিন্যাসকে সমস্যার মুখে ফেলতে পারে। ভারতের মতো দেশগুলির জন্য এই উদীয়মান বাস্তবতা কৌশলগত প্রশ্ন উত্থাপন করে। ভারত কি জলবায়ু অর্থায়ন ও দূষণহীন প্রযুক্তি সহায়তার জন্য চিরাচরিত অংশীদারদের উপর নির্ভর করতে পারবে? না কি আরও ভঙ্গুর জলবায়ু পরিসরের মাঝে পথ খুঁজে নেওয়ার জন্য তার বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে?

২০২৪ সালের গ্রীষ্মে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে চরম তাপদাহ (ইএসওটিসি রিপোর্ট থেকে নেওয়া তথ্যচিত্র)
ভারতকে প্রথমে ইউরোপ থেকে জলবায়ু অর্থ প্রবাহ হ্রাসের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ২০২২ সালে ইইউ দেশগুলি একসঙ্গে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউরো অবদান রেখেছিল, যা ইউএনএফসিসিসি-র অধীনে উন্নত দেশগুলির দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমস্ত জলবায়ু অর্থায়নের প্রায় ৪৫% ছিল। ভারত-ইইউ ক্লিন এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট পার্টনারশিপ- এর (সিইসিপি) মতো প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে ভারত সরাসরি এর সুবিধা পেয়েছে, যা সৌর পার্ক উন্নয়ন, স্মার্ট গ্রিড এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক নগর পরিকল্পনার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে, সঙ্কোচনের প্রাথমিক লক্ষণগুলিও স্পষ্ট। যুক্তরাজ্য তার অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) বাজেট মোট জাতীয় আয়ের ০.৫% থেকে ০.৩% এ কমিয়েছে - সাহায্যের ৪ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি হ্রাস করেছে, যার মধ্যে কিছু দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু অভিযোজন ও ক্ষমতা-নির্মাণ প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন রয়েছে। জার্মানির ২০২৩ সালের বাজেটে বিদেশি উন্নয়ন তহবিলের ১৫% হ্রাস পেয়েছে। অন্য দিকে বেলজিয়াম বেশ কয়েকটি নতুন দ্বিপাক্ষিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। এই ছাঁটাই ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যা ইতিমধ্যেই ২০৩০ সালের মধ্যে জাতীয় ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) পূরণের জন্য ১৩০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক জলবায়ু অর্থায়ন ঘাটতির সম্মুখীন।

২০২৪ সালে ব্যাপক বন্যা (ইএসওটিসি রিপোর্ট থেকে নেওয়া তথ্যচিত্র)
এই ক্রমবর্ধমান ঘাটতি পূরণের জন্য ভারতকে বহুপাক্ষিক ও দক্ষিণ-দক্ষিণ অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ করতে হবে। ব্রিকস-নেতৃত্বাধীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এনডিবি) – যার ২৫ বিলিয়ন ডলার মূলধন ভিত্তি এবং জলবায়ু ঋণের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ রয়েছে – ছাড়মূলক অর্থায়নের একটি প্রধান উৎস হয়ে উঠতে পারে। ভারত স্থানীয় মুদ্রার জলবায়ু বন্ড পাইলট করে টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩ শহরের অবকাঠামোর অর্থায়নের জন্য এনডিবি-কে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিতে পারে, যা প্রায়শই অনুভূত ঝুঁকির কারণে বিশ্বব্যাপী মূলধন দ্বারা উপেক্ষিত হয়। আসন্ন ব্রিকস এবং কপ৩০-এর চেয়ার হিসেবে ব্রাজিল ‘বাকু থেকে বেলেম’ উদ্যোগ চালু করেছে, যার লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্লোবাল সাউথের জন্য ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ করা। ভারত এই উদ্যোগের সহ-পরিকল্পনায় একটি রূপায়ণকারী দেশের ভূমিকা পালন করতে পারে এবং ভারত এ কথা সুনিশ্চিত করতে পারে যে, এটি কেবল প্রশমন-সমীকরণের পরিবর্তে ইক্যুইটি ও অভিযোজন সংক্রান্ত অর্থায়নের মধ্যেই নিহিত। উপরন্তু, বিশ্বব্যাপী জনহিতকর জলবায়ু তহবিল বৃদ্ধি পাচ্ছে: বেজোস আর্থ ফান্ড একাই জলবায়ু সমাধানের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজ ২০২৩ সালে দূষণহীন শক্তির রূপান্তর ত্বরান্বিত করার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ বিতরণ করেছে। ভারতের বিকেন্দ্রীভূত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্প বা তাপ সংক্রান্ত কর্মসূচি পরিকল্পনায় এই ধরনের জনহিতকর মূলধন একত্রিত করার জন্য নমনীয় ও দ্রুত বিতরণকারী তহবিলের মাধ্যমে একটি জাতীয় মঞ্চ প্রদান করতে পারে।

জলবায়ু সূচকের প্রবণতা (ইএসওটিসি রিপোর্ট থেকে নেওয়া তথ্যচিত্র)
দ্বিতীয় প্রধান উদ্বেগের বিষয় হল প্রযুক্তি স্থানান্তর। ভারত-ইইউ সিইসিপি এবং হরাইজন ইউরোপ প্রোগ্রাম - যা সবুজ হাইড্রোজেন এবং ব্যাটারি স্টোরেজের যৌথ গবেষণায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ – এ বার স্থবিরতা বা বিচ্যুতির ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ইউরোপের অভ্যন্তরীণ জলবায়ু বাধ্যবাধকতা - যেমন ইউরোপীয় গ্রিন ডিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্ল্যান এবং আরইপাওয়ারইউ - দেশীয় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে ব্যাপক বিনিয়োগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেখানে ইইউ ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০০ গিগাওয়াট সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই অভ্যন্তরীণ চাপ ভারতের সঙ্গে প্রযুক্তি ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ করতে পারে, বিশেষ করে ইলেক্ট্রোলাইজার উৎপাদন, অফশোর বায়ু প্রকৌশল এবং পরবর্তী প্রজন্মের ইভি ব্যাটারির মতো অগ্রণী প্রযুক্তিতে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত তার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির প্রায় ৮০% আমদানি করে এবং ইউরোপ একটি বিশ্বস্ত উৎস হলেও এটি আগামী বছরগুলিতে নিজস্ব শিল্প চাহিদাগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
ভারতকে তার দূষণহীন প্রযুক্তি জোটের পুনর্গঠন করতে হবে। ভারত-চিন সম্পর্কের সাম্প্রতিক নমনীয় প্রেক্ষিত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ করে দিচ্ছে, বিশেষ করে যেহেতু চিন বিশ্বব্যাপী সৌরশক্তির ৬০%-এরও বেশি উপাদান সরবরাহ করে এবং ব্যাটারি সরবরাহ শৃঙ্খলে আধিপত্য বিস্তার করে। একই ভাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি ও স্যামসাং এসডিআই ভারী ধরনের ও উচ্চ-ঘনত্বের ব্যাটারি প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা। ২০২৩ সালে ভারতের উন্নত ব্যাটারি আমদানির ২৫%-এরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার অবদান ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ও সহ-উন্নয়নমূলক মঞ্চের মাধ্যমে দূষণহীন প্রযুক্তি সহযোগিতা জোরদার করা - বিশেষ করে কোয়াডের জলবায়ু কর্মী গোষ্ঠীর মাধ্যমে - প্রযুক্তি ও দক্ষতা সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

আল্পসে হিমবাহগুলি দ্রুত হারে গলে যাচ্ছে (ইএসওটিসি রিপোর্ট থেকে দেওয়া তথ্যচিত্র)
তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হল দূষণহীন শক্তি সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষা। ২০৩০ সালের মধ্যে বহিরাগত সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা কমাতে পরিকল্পিত ইইউ-র গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল আইন-এর (২০২৪) লক্ষ্য হল ইইউ-র দূষণহীন শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত কমপক্ষে ৪০% গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অবশ্যই অভ্যন্তরীণ ভাবে প্রক্রিয়াজাত করা। ইউরোপের স্থানীয়করণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং বিরল খনিজ পদার্থের মতো ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সরবরাহকে সঙ্কুচিত করতে পারে, যা ভারতের প্রতিযোগিতামূলকভাবে উপকরণ সংগ্রহের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে। ২০২৪ সালের বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই ধরনের সরবরাহ বাধা ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষমতা সংযোজন ১৫% কমিয়ে আনতে পারে। ভারত বর্তমানে তার লিথিয়াম এবং কোবাল্ট চাহিদার ৮৫%-এরও বেশি আমদানির উপর নির্ভর করে এবং এটি এমন একটি দুর্বলতা, যা উপেক্ষা করা যায় না।
এই ঝুঁকিগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য ভারতকে তার খনিজ উৎসের বৈচিত্র্য আনতে হবে। অস্ট্রেলিয়া - যা বিশ্বব্যাপী লিথিয়াম মজুতের প্রায় ৫০% নিয়ন্ত্রণ করে - একটি স্বাভাবিক অংশীদার। ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অংশীদারিত্বের এখন খনি চুক্তি ও যৌথ অনুসন্ধান প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকরীকরণ প্রয়োজন। একই ভাবে, ভারত চিলি ও গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সাথে দীর্ঘমেয়াদি খনি সহযোগিতার অন্বেষণ করতে পারে। কারণ উভয় দেশই তামা ও কোবাল্টের প্রধান কেন্দ্র। আঞ্চলিক ভাবে ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সৌর ও ইভি উপাদান উৎপাদন সরবরাহ শৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক দূষণহীন শক্তি উৎপাদন চুক্তিগুলি ইউরোপ বা চিনের উপর ভারতের অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে পারে।
২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অংশীদারিত্বের এখন খনি চুক্তি ও যৌথ অনুসন্ধান প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকরীকরণ প্রয়োজন।
অভ্যন্তরীণ ভাবে উন্নত সৌর পিভি ও ব্যাটারির বাইরে সবুজ হাইড্রোজেন ইলেক্ট্রোলাইজার ও বায়ু টারবাইন ন্যাসেলস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দূষণহীন জ্বালানি উপাদানগুলির জন্য উৎপাদন-সংযুক্ত প্রণোদনা (পিএলআই) প্রকল্প সম্প্রসারণ মূল্যশৃঙ্খল স্থানীয়করণ এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে পারে। ২০২৬ সালের মধ্যে ৫০ গিগাওয়াট বার্ষিক সৌর মডিউল উৎপাদন ক্ষমতা এবং এসিসি ব্যাটারি পিএলআই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ গিগাওয়াট ঘণ্টা ব্যাটারি স্টোরেজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা সঠিক পদক্ষেপ হলেও খনিজ প্রক্রিয়াকরণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের শক্তিশালী পশ্চাদমুখী সমন্বিতকরণ প্রয়োজন।
ইউরোপের জলবায়ু জরুরি অবস্থার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির উপর এখনও সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশিত না হলেও ভারতকে দূরদর্শিতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সমমনস্ক প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশগুলির সঙ্গে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতা কৌশলের মাধ্যমে গ্লোবাল সাউথ জুড়ে জলবায়ু অংশীদারিত্বের বৈচিত্র্যকরণ আর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল নয়, বরং দ্রুত পরিবর্তিত বৈশ্বিক জলবায়ু ও ভূ-রাজনৈতিক ভূ-পরিসরের মধ্যে ভবিষ্যতের-প্রমাণ স্বরূপ ভারতের সবুজ রূপান্তরের একমাত্র উপায়।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aparna Roy is a Fellow and Lead Climate Change and Energy at the Centre for New Economic Diplomacy (CNED). Aparna's primary research focus is on ...
Read More +