-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনা এনক্রিপ্টেড প্রযুক্তি এবং টেলিকম ব্যবস্থা কাশ্মীরে জঙ্গিবাদকে নতুন আকার দিচ্ছে, সীমান্তের আন্তঃসীমান্ত অভিযানকে আরও শক্তিশালী করছে এবং ভারতের নজরদারি ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে (জেঅ্যান্ডকে) ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ প্রচলিত বিদ্রোহের রূপরেখা ছাড়িয়ে অনেকটা এগিয়েছে। অস্ত্র ও মতাদর্শ কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও বর্তমান পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের সঙ্গে জড়িত একটি সমন্বিত ও অত্যাধুনিক ডিজিটাল যুদ্ধক্ষেত্র দ্বারা তা চিহ্নিত হয়েছে। এই রূপান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চিনের নীরব অথচ কৌশলগত পদচিহ্ন, যা পাকিস্তানে তার উচ্চ মানের সামরিক রফতানি, দ্বৈত-ব্যবহারের নজরদারি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জঙ্গি অভিযানের জন্য গোপনীয়তা, সমন্বয় ও লজিস্টিক সহায়তা সক্ষম করে এমন ডিজিটাল অবকাঠামোর মাধ্যমে স্পষ্ট। এই সূক্ষ্ম অথচ প্রভাবশালী অংশগ্রহণ এই অঞ্চলে আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ ও সাইবার-নিরাপত্তার কাঠামোকে বদলে দিচ্ছে।
কাশ্মীরের সংঘাতপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি
গত দশকে চিন-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব যথেষ্ট গভীর হয়েছে। স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর (সিপরি) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানির ৮১ শতাংশ - প্রায় ৫.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার – চিনের দখলে ছিল। এই আমদানিগুলি চিরাচরিত অস্ত্রশস্ত্রের বাইরেও বিস্তৃত, যার মধ্যে রয়েছে এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ সরঞ্জাম, মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান (ইউএভি), স্যাটেলাইট ব্যবস্থা ও নজরদারি প্রযুক্তির মতো দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি। এই সরঞ্জামের বেশির ভাগই কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই প্রবণতার আরও উদ্বেগজনক দিক হল পাকিস্তানের সামরিক-গোয়েন্দা সাধনীর মধ্যেই ক্ষয়িষ্ণু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে এর সংযোগ।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাম হামলার সময় জঙ্গিদের হুয়াইয়ের স্যাটেলাইট ফোন এবং চিন নির্মিত গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বডি ক্যামেরা ও আল্ট্রা সেটের সুযোগ-সহ এগুলি প্রাথমিক কৌশল থেকে সমন্বিত, প্রযুক্তি-সহায়তাপ্রাপ্ত অভিযান, যেমন হ্যান্ডহেল্ড রেডিও, গারমিন জিপিএস ডিভাইস, পাকিস্তানি সিম-ভিত্তিক বার্নার ফোন, টপোগ্রাফিক মানচিত্র ও হ্যান্ডিক্যাম ভিডিয়ো রেকর্ডারগুলিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকেই দর্শায়। কুপওয়ারা, হান্দওয়ারা এবং বান্দিপোরায় একাধিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অ্যাসল্ট রাইফেল ও এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ ব্যবস্থা-সহ চিন উৎপাদিত সরঞ্জামগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বোপরি, এই প্রবণতার আরও উদ্বেগজনক দিক হল পাকিস্তানের সামরিক-গোয়েন্দা সাধনীর মধ্যেই ক্ষয়িষ্ণু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে এর সংযোগ। চিন-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির আনুষ্ঠানিক প্রকৃতি সত্ত্বেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে ছিদ্রযুক্ত ও প্রায়শই দুর্নীতিগ্রস্ত চ্যানেলগুলি অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির কাছে অত্যাধুনিক চিনা হার্ডওয়্যারের ব্যবহারকে সক্ষম করে। পাকিস্তানের মজুতের অংশ হিসেবে পরিচিত উইং লুং ২ এবং সিএইচ-৪এ-র মতো ইউএভিগুলি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে নজরদারি, সরবরাহ হ্রাস ও নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয় বলে মনে করা হয়, যা রাষ্ট্র ও প্রক্সি সম্পৃক্ততার মধ্যে রেখাকেই ঝাপসা করে দেয়।
পাকিস্তানি আইএসআর ক্ষমতা ও তাদের কৌশলগত উপযোগিতা
চিনা সহায়তার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা, নজরদারি ও গোয়েন্দা (আইএসআর) ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রসারিত হয়েছে। চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর-এর (সিপিইসি) বলয়ের অধীনে চায়না মোবাইল পাকিস্তান (জং) দ্বারা পরিচালিত টেলিকম টাওয়ারগুলি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) জুড়ে, বিশেষ করে ভারত সংলগ্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ডিজিটাল কভারেজ প্রদান করে। এই স্থাপনাগুলি - জেওয়াই ও এইচজিআর সিরিজের মতো চিনা রাডার সিস্টেমের সঙ্গে মিলিত - পাকিস্তানি সংস্থাগুলি ও তাদের জঙ্গি প্রক্সিগুলিকে বাস্তব-সময়ের পরিস্থিতিগত সচেতনতা প্রদান করে। এই ডিজিটাল পরিসরটি সমন্বিত অনুপ্রবেশকে সক্ষম করে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারতীয় নজরদারির আধিপত্যকে ব্যাহত করে।
চিনা অ্যাপ এবং প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর
ডিজিটাল ক্ষেত্রেও চিনা সম্পৃক্ততার একটি সমান গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উন্মোচিত হচ্ছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এমন ৫০টিরও বেশি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা অভিযানের সময় বা তার আগে যোগাযোগের জন্য চিনের প্ল্যাটফর্মগুলি - যেমন উইচ্যাট, আইএমও, জিপিএস ফেকার এবং লোকেশন চেঞ্জার - ব্যবহার করেছিল। ভারতে এই অ্যাপগুলির উপর আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জঙ্গিরা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন), জাল ইন্টারনেট প্রোটোকল (আইপি) ঠিকানা এবং পাকিস্তানি সিম কার্ড ব্যবহার করে।
এই যোগাযোগের অনেকটাই চিনের তিয়ানটং-১ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘটে, যা চায়না টেলিকম দ্বারা পরিচালিত এবং যা সীমিত মোবাইল কভারেজ-সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করে।
এই ডিজিটাল সাধনীগুলি প্রায়শই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে আগে থেকে ইনস্টল করা থাকে, যার মধ্যে এপিকেপিওর এবং অ্যাপটয়েড-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে জিপিএস স্পুফার ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ (এপিকে) লোড করা স্মার্টফোন থাকে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ভারতীয় এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করে, যার ফলে কার্যকর ভাবে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। তা ছাড়া, এই যোগাযোগের অনেকটাই চিনের তিয়ানটং-১ স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘটে, যা চায়না টেলিকম দ্বারা পরিচালিত এবং যা সীমিত মোবাইল কভারেজ-সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চিন নির্মিত টেলিকম অবকাঠামো চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তোলে। জং এবং টেলিনর থেকে টেলিকম সঙ্কেত নিয়মিত ভাবে কুপওয়ারা, রাজৌরি, পুঞ্চ ও উরির মতো জেলাগুলিতে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে, যার ফলে সীমান্তবর্তী যোগাযোগ সম্ভব হয় এবং যা প্রায়শই ভারতীয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায়।
বিশেষ প্রতিবন্ধকতা এবং আইনি সীমাবদ্ধতা
পশ্চিমি অ্যাপগুলি আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে, বিশেষ করে যৌথ ভাবে সম্মত আইনি সহায়তা চুক্তি (এমএলএটি) মেনে চলতে বাধ্য, তবুও ডিজিটাল অস্পষ্টতার কারণে চিনা প্ল্যাটফর্মগুলি অনাক্রম্য/অব্যাহত থাকে। এই বিচ্ছিন্নতা তাদের অবৈধ যোগাযোগের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করতে সক্ষম করে। উপরন্তু, চিনা সাইবার নিরাপত্তা নিয়মগুলি একটি প্রযুক্তিগত ধোঁয়াশা তৈরি করে, যা ব্যবহারকারীর আরোপণকে অক্ষম করে, সন্ত্রাসবাদীদের ডিজিটাল অভয়ারণ্যে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, আসল নাম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তাগুলি সহজেই জাল আইডি বা ভিপিএন ব্যবহার করে এড়ানো যায়, যার ফলে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাইযোগ্য হয় না। অ্যাপ সরবরাহকারীদের অবশ্যই ব্যবহারকারীর তথ্য ধরে রাখতে হবে। তবে সেই সব তথ্যের লব্ধতা চিনা কর্তৃপক্ষের কাছে সীমাবদ্ধ, যা বহিরাগত তদন্তকেও খর্ব করে। সর্বোপরি, তথ্য স্থানীয়করণের কঠোর আইন এবং আন্তঃসীমান্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার বাধা ভারতীয় সংস্থাগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ মেটাডেটা বা যোগাযোগ সংক্রান্ত লগ-এ প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এই কাঠামোগত বাধাগুলি আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত ডিজিটাল কার্যকলাপ শনাক্ত এবং আরোপণ করার ভারতের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে, যা রাষ্ট্র-সক্ষম অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিদের জন্য অভিযানমূলক সুযোগ প্রদান করে।
চিনা সাইবার নিরাপত্তা নিয়মগুলি একটি প্রযুক্তিগত ধোঁয়াশা তৈরি করে, যা ব্যবহারকারীর আরোপণকে অক্ষম করে, সন্ত্রাসবাদীদের ডিজিটাল অভয়ারণ্যে কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
ডিজিটাল সার্বভৌমত্বের ঘাটতি পূরণ
ভারত তার দ্বিধাবিভক্ত সাইবার আইন, সীমিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো এবং চিনের ইচ্ছাকৃত ডিজিটাল অস্বচ্ছতার কারণে ডিজিটাল সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে রীতিমতো যুঝছে। দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া বা চিনের অর্থপূর্ণ সহযোগিতার অনুপস্থিতি সক্রিয় নজরদারি আরও বাধাগ্রস্ত করে।
ক্রমবর্ধমান হুমকির দৃশ্যপট বিবেচনা করে ভারতের বর্তমান আইনি ও নীতি কাঠামোর বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান পূরণ করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতিটি মূলত আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং ডিভাইস-স্তরের অনুপ্রবেশের বৃহত্তর সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মগুলিকে লক্ষ্য করে কাজ চালায়। কাশ্মীরে - যেখানে বিদেশি টেলিকম অবকাঠামো সার্বভৌমত্বকে বিকৃত করে - এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিসর।
ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিন্যাস করাও অপরিহার্য। পাকিস্তান-চিন ডিজিটাল যোগসাজশ মোকাবেলা করার জন্য - বিশেষ করে কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটে - ভারত সরকারকে নজরদারি, নীতি সংস্কার ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির অন্তর্ভুক্ত একটি সামগ্রিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। প্রথমত, নজরদারির বিষয়টিকে অবশ্যই বিন্যাসের স্বীকৃতি, মেটাডেটা বিশ্লেষণ এবং ভারতীয় আঞ্চলিক ও ভাষাগত প্রেক্ষাপটের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা/মেশিন লার্নিং সাধনী ব্যবহার করে আচরণগত ট্র্যাকিংয়ের দিকে ঝুঁকতে হবে। দ্বিতীয়ত, গোয়েন্দা সংস্থা, বেসরকারি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে প্রচেষ্টা একত্রিত করার জন্য সরকারকে একটি জাতীয় ডিজিটাল ফরেনসিক কাউন্সিল তৈরি করতে হবে। তৃতীয়ত, হুমকি সূচকগুলিকে - যার মধ্যে কেবল কালো তালিকাভুক্ত অ্যাপগুলিই সীমাবদ্ধ নয় - ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (এমইআইটিওয়াই) দ্বারা সহজলভ্য নোড ব্যবহার করে মঞ্চগুলিতে ভাগ করে নিতে হবে।
গোয়েন্দা সংস্থা, বেসরকারি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে প্রচেষ্টা একত্রিত করার জন্য সরকারকে একটি জাতীয় ডিজিটাল ফরেনসিক কাউন্সিল তৈরি করতে হবে।
পরিশেষে, ভারতের উচিত অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ফাইভ আইজ জোটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনা অ্যাপ মধ্যস্থতাকারী ও হোস্টিং পরিষেবাগুলিকে চাপ দেওয়া, দৃশ্যমানতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা। ডিজিটাল সার্বভৌমত্বের নীতিমালা, আঞ্চলিক ডেটা মিররিং চুক্তি এবং আইনি পারস্পরিক সহযোগিতা কাঠামোর প্রচারকে এই প্রচেষ্টায় সমন্বিত করা উচিত। এই পদ্ধতিটি ভারতের ক্রমবর্ধমান তথ্য কূটনীতির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, যা বিদেশি নজরদারি মোকাবিলায় একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসাবে ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ও অ্যাপ নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার করে। তথ্যের সার্বভৌমত্ব এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কে এটি একটি মূল উদ্বেগের বিষয়।
উপসংহার
কাশ্মীরের জঙ্গিবাদে চিনা টেলিকম বাস্তুতন্ত্রের প্রবেশ আর কোনও তাত্ত্বিক সম্ভাবনা নয়, এটি একটি কার্যকরী বাস্তবতা। সামরিক গুণমানসম্পন্ন হার্ডওয়্যার, আইএসআর বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল পরিচয় গোপন রাখার মাধ্যমে চিন পাকিস্তান-সমর্থিত প্রক্সিগুলিকে তাদের কার্যকারিতা বাড়াতে সক্ষম করেছে। ভারত যদি তার ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে চায়, তা হলে এই বহুস্তরীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনি সংস্কার, প্রযুক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে বিনিয়োগ করতে হবে।
সৌম্য অবস্থি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির ফেলো।
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Dr Soumya Awasthi is Fellow, Centre for Security, Strategy and Technology at the Observer Research Foundation. Her work focuses on the intersection of technology and national ...
Read More +