Published on Apr 04, 2023 Updated 0 Hours ago

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ ইইউ–এর ভূ–রাজনৈতিক মাত্রা সক্রিয় করেছে, এবং ইইউ–এর ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের গুরুত্ব প্রদর্শন করেছে

পুবের প্রতিশ্রুতি: ইইউ রাজনীতিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের পরিবর্তন

এই নিবন্ধটি ‘‌রাইসিনা এডিট ২০২৩’‌ সিরিজের অংশ।


১৯৪৫ সালের পর বিশ্ব এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূ–রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে । রাশিয়া, একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী মহাশক্তি, এক ইউরোপীয় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে। এই যুদ্ধটির তাৎপর্য ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের প্রেক্ষাপটে অনুধাবন করা যেতে পারে এইভাবে যে‌ একজন প্রাক্তন প্রভু একটি জাতির রাষ্ট্রত্বের অধিকারকে অস্বীকার করার চেষ্টা করছেন, কারণ তিনি সেটিকে শুধুই একটি নিজস্ব প্রদেশ বলে মনে করেন। বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের ব্যবস্থা এবং সমগ্র বহুপাক্ষিক কাঠামোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এরপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিয়মভিত্তিক আদেশ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় কি না, তা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুতর পরীক্ষা হবে।

ইইউ–এর অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে। অতীতে ফ্রাঙ্কো–জার্মান মোটরটিই ব্রাসেলসে সব কিছুকে গতিশীল রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল;‌ কিন্তু এখন কুশীলব হিসাবে নতুন নক্ষত্রেরা সামনে এসেছে৷

গত ১২ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার নিজস্ব অলঙ্ঘনীয়তার সূচি ভেঙেছে এবং রাজনৈতিক ঐক্যবদ্ধতার দিকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইইউ–এর অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে। অতীতে ফ্রাঙ্কো–জার্মান মোটরটিই ব্রাসেলসে সব কিছুকে গতিশীল রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল;‌ কিন্তু এখন কুশীলব হিসাবে নতুন নক্ষত্রেরা সামনে এসেছে৷ এই সময়টি হল মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয়দের সময়।

“এরকম হবে আমরা আপনাকে আগেই বলেছি”

আসুন, আমরা ইউক্রেন আক্রমণের আগের বছরগুলির ঘটনাপ্রবাহ দেখি। এ কথা প্রায়ই ভুলে যাওয়া হয় যে এমন কুশীলবও ছিল যারা ফেব্রুয়ারি ২০২২–এর আগের পরিস্থিতি ভালভাবে বুঝেছিল—মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় (সিইই) সদস্য রাষ্ট্রগুলি। এগুলি ছিল এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশ, যারা ২০০৮ সালের জর্জিয়ান যুদ্ধ ও ২০১৪ সালের ক্রিমিয়ার সংযুক্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল। রুশ ভল্লুকের হুমকি উপলব্ধি করতে বাকি ইউরোপের আরও কয়েক বছর এবং আরেকটি যুদ্ধের প্রয়োজন হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একাধিক প্রস্তাব আনার দাবি জানানো হয়েছিল। কারা এই প্রচেষ্টার নেতৃত্বে ছিলেন? ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বেশিরভাগ স্লোভাক, লিথুয়ানিয়ান, চেক ও পোলিশ সদস্যরা, যাঁদের রুশ দমন–পীড়নের অভিজ্ঞতা ছিল। সে সময় তাঁদের পরামর্শে কর্ণপাত করা হয়নি।

একই গতিশীলতা জ্বালানি ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। জার্মানি যখন নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই লিথুয়ানিয়া শক্তিক্ষেত্রে স্বাধীনতার জন্য কাজ করছিল। ছোট বল্টিক রাষ্ট্রটি শক্তির সম্ভাব্য অস্ত্রায়ন এবং ক্রেমলিন তার বাজারের আধিপত্য কাজে লাগিয়ে কী করতে পারে তা আগেই টের পেয়েছিল। লিথুয়ানিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দেশটির তার উপর নির্ভরতাকে কাজে লাগাতে মস্কো গ্যাসের দামকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল;‌ আর তার পরেই দেশটি একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই টার্মিনালটি লিথুয়ানিয়াকে তার শক্তি আমদানিতে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ করে দেয়, এবং ফলস্বরূপ গ্যাজপ্রমকে দ্রুত এক–পঞ্চমাংশ দাম কমাতে বাধ্য করে। পোল্যান্ড, রাশিয়ার অভিপ্রায় নিয়ে সংশয়াপন্ন আরেকটি দেশ, নতুন নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের ঘোর বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম ছিল

দীর্ঘ দিন ধরে রাশিয়ানরা ইউরোপকে দেখে এসেছে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল, বিভক্ত এবং ইউরোপীয়দের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ, সক্রিয়তা বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত হতে অপারগ হিসাবে।

কেন্দ্র পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাধারণ প্রত্যাশা ছিল যে ইউক্রেন মাত্র কয়েক দিনের জন্য লড়তে পারবে। অনেকেই আশা করেছিলেন যে ইউরোপের প্রতিক্রিয়া কথায় শক্তিশালী হলেও অতীতের অনেক বারের মতোই কাজে ধীর, অ–নির্ধারক এবং নখদন্তহীন হবে। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ানরা ইউরোপকে দেখে এসেছে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল, বিভক্ত এবং ইউরোপীয়দের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এমন কোনও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ, সক্রিয়তা বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত হতে অপারগ হিসাবে। রুশ হিসাব ছিল যে বর্তমান ভূ–রাজনৈতিক সময়টি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার জন্য আদর্শ। এই গণনার যোগফল মের্কেল–পরবর্তী যুগের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল, যেখানে ফ্রাঙ্কো–জার্মান মোটর দুর্বল হয়ে গিয়েছে, একজন নতুন জার্মান চ্যান্সেলর এসেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এমন একজন যিনি সংঘাতের পরিবর্তে সংলাপ পছন্দ করেন, এবং একটি আহত ব্রিটিশ জাতি যারা এখনও ব্রেক্সিট–পরবর্তী অবস্থার মোকাবিলা করে চলেছে।

রাশিয়ানরা যা বিবেচনা করেনি তা হল অন্য সময়ে খণ্ডিত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয়দের নির্ধারক নেতৃত্ব। তর্কসাপেক্ষে ঐক্যবদ্ধ ইউরোপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমনটা ঘটছে যে এই দেশগুলি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইইউ ও নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন (ন্যাটো)-এর প্রতিক্রিয়াকে আকার দিচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমনটা প্রদর্শিত হয়েছে।

প্রথমত, যুদ্ধের প্রথম দিকে, রাশিয়া পশ্চিমকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে ইউক্রেনে কোনও অস্ত্রের চালান বিবেচিত হবে উস্কানি হিসাবে। এই হুমকি সত্ত্বেও সিইই দেশগুলি কোনও দ্বিধা দেখায়নি, এবং ন্যাটোর উপর তাদের পদক্ষেপের প্রভাব অস্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করা শুরু করে দিয়েছিল। পোল্যান্ডের নেতৃত্বে ‘‌নতুন ইউরোপ’‌ ইউক্রেনে পেট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রয়াসের অগ্রভাগে ছিল। একইভাবে স্লোভাকিয়া কিয়েভের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সাহায্য করার জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, স্বচালিত আর্টিলারি ও সোভিয়েত যুগের ট্যাঙ্ক দান করে। মধ্য ইউরোপীয়রা একটি ভূ–রাজনৈতিক জুয়া খেলে জয়ী হয়, এবং ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে কূটনৈতিক প্রশংসা ও শেষ পর্যন্ত সমর্থন পায়। এই কাজগুলি প্রচলিত অলঙ্ঘনীয়তা ভাঙতে অবদান রেখেছিল, এবং পরে ফ্রান্স বা জার্মানি–সহ বাকি ‘‌পুরনো ইউরোপ’‌ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এর ফলে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি আদর্শ ন্যাটো এবং ইইউ নীতিতে পরিণত হয়েছে, যা পরে গুণগতভাবে ও মাপকাঠিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্লোভাক, চেক ও পোলিশ নেতারাই সংঘাতের শুরুর দিকে কিয়েভ ভ্রমণ করেছিলেন বিপর্যস্ত ইউক্রেনীয় সমাজ ও নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য।

দ্বিতীয়ত, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় নেতৃত্বের কারণে আরেকটি অলঙ্ঘনীয়তা অতিক্রম করা হয়েছিল ইউক্রেনকে ইইউ সদস্যপ্রার্থীর মর্যাদা দিয়ে। যুদ্ধরত একটি দেশকে এই মর্যাদা দেওয়া প্রাথমিকভাবে কল্পলোকের ধারণা (‌ইউটোপিয়ান)‌ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল;‌ কিন্তু সেই অবস্থান সিইই দেশগুলির চাপে পরিবর্তিত হয় এবং ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ–তে যোগদানের জন্য আলোচনা শুরু করে।

তৃতীয়ত, স্লোভাক, চেক ও পোলিশ নেতারাই সংঘাতের শুরুর দিকে কিয়েভ ভ্রমণ করেছিলেন বিপর্যস্ত ইউক্রেনীয় সমাজ ও নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য। অনেক পশ্চিম ইউরোপীয় অংশীদার একে একটি ‘‌দায়িত্বজ্ঞানহীন’‌ রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসাবে দেখেছিল;‌ কিন্তু এখন তা একটি সাধারণ কূটনৈতিক পশ্চিমী অনুশীলনে পরিণত হয়েছে। কিছু দিন পরে, প্রায় প্রতিটি ইউরোপীয় সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান তাঁদের সমর্থন দেখানোর জন্য বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে কিয়েভ ভ্রমণ শুরু করেন।

চতুর্থত, রাশিয়া যখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করেছিল, তখন নিরাপত্তার জন্য বহু লক্ষ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তখন ভাইসগ্র‌্যাড দেশগুলি (ভি৪) প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল , এবং তাদের অস্থায়ী বাসস্থান বা অন্য ইইউ দেশগুলিতে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সিইই দেশগুলি এই অসাধারণ  সহমর্মিতা দেখানোর জন্য ইউরোপজুড়ে প্রশংসা ও সম্মান পেয়েছে। এই চাপই বাকি ইউরোপীয়দের তাদের দরজা খুলতে এবং ইউক্রেনীয়দের শরণার্থী বা শ্রমিক হিসাবে গ্রহণ করতে রাজি করিয়েছিল। বলা হয় মোট আট মিলিয়ন শরণার্থী ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছেন (অধিকাংশই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের মধ্য দিয়ে, যাঁরা পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও বল্টিক রাষ্ট্রে প্রথম আশ্রয় পেয়েছিলেন)।

তার উপর অন্য পশ্চিমী মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভূতপূর্ব বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সুইফ্ট থেকে রাশিয়ান ব্যাঙ্কগুলিকে বাদ দেওয়া, রুশ সম্পদ ফ্রিজ করা, এবং শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ও রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর বাধানিষেধ আরোপ করা। ইইউ রাশিয়ার হাইড্রোকার্বন থেকে নিজেকে বিযুক্ত করার সপ্রতিভ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এই পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক যন্ত্রণা যাই হোক না কেন।

অবশেষে, এত বছরের সারশূন্য আলোচনার পরে বাইডেনের আমেরিকা এখন গ্রেট ব্রিটেন বা নরওয়ের মতো অ–ইইউ ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনের তাগিদে ন্যাটো ও ইইউ–এর মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সহযোগিতার  ধারণা বাস্তবায়িত করছে। ইইউ এখন ন্যাটোর সঙ্গে সত্যিই তাল মিলিয়ে কাজ করছে।

এই কৌশলগত পরিবর্তন মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ শুরু করেছিল, এবং শীঘ্রই এটি মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সিইই সরকারসমূহ ও সমাজগুলি দ্বারা প্রদর্শিত সঠিক নেতৃত্বের কারণে কিছু অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া গিয়েছিল।

এরপর কী আসবে?

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের এক বছরের বার্ষিকী আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসংহারে পৌঁছে দেয়। মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয়রা ইইউ–এর ভূ–রাজনৈতিক মাত্রাকে আরও সক্রিয় করেছে, এবং ইইইউ–এর ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে মহাদেশের বৈদেশিক নীতির দিশা তৈরির ক্ষেত্রে সিইই দেশগুলির এই ব্লকে আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠার খুব বাস্তব সুযোগ রয়েছে। তারা উত্তর–ঔপনিবেশিক বোঝা থেকে মুক্ত, এবং সেই কারণেই তারা ভারতের মতো বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে ইউরোপীয় সংলাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করার জন্য উপযুক্ত।

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয়রা ইইউ–এর ভূ–রাজনৈতিক মাত্রাকে আরও সক্রিয় করেছে, এবং ইইইউ–এর ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয়রা নাটকীয়ভাবে প্রতিরক্ষায় তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এমনটা হওয়া সম্ভব যে তারা ইউরোপের সেরা সশস্ত্র দেশগুলির মধ্যে গণ্য হয়ে উঠবে। যেমন পোল্যান্ড ঘোষণা করেছে যে তারা প্রতি বছর তার মোট আভ্যন্তর উৎপাদনের ৪ শতাংশ প্রতিরক্ষার জন্য ব্যয় করবে। ইউক্রেনের সম্ভাব্য পুনর্গঠনের সময় একটি শিক্ষিত, দক্ষ, ও সস্তা শ্রমশক্তির দৌলতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পূর্ব দিকে চলে যেতে পারে।

ইউরোপীয় ইতিহাসের একটি মূল ভূ–রাজনৈতিক পরিবর্তন হিসাবে এই মুহূর্তটিকে বিশ্বের চিহ্নিত করে রাখা উচিত। এ হল এমন এক মুহূর্ত যখন ইউরোপ তার দুটি ফুসফুস দিয়ে পুরোপুরি শ্বাস নিতে শুরু করেছে, এবং মহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিম একে অপরের পরিপূরক হতে শুরু করেছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.