Published on Aug 21, 2024 Updated 0 Hours ago

মায়ানমারে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিদের দ্বারা বাণিজ্যিক অস্ত্রযুক্ত ড্রোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ড্রোন যুদ্ধের এই বিস্তার উল্লেখযোগ্য কৌশলগত প্রভাব বহন করে।

মায়ানমারে ড্রোন যুদ্ধ: কৌশলগত প্রভাব

সাম্প্রতিক সময়ে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি মায়ানমারের অত্যাধুনিক এবং ভারী অস্ত্রসম্পন্ন হুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বেশির ভাগ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে এবং আধুনিক যুদ্ধে নিজেদের কৌশলগত এবং সুচারু দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক অস্ত্রযুক্ত ড্রোনের ব্যবহার হুন্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এমন গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা এই ক্ষমতার সমীকরণ বদলে দিতে পারে।

সরকার এবং প্রচলিত বিমান বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) ব্যবহারে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তবে ড্রোন প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণ অ-রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যের বাণিজ্যিক ড্রোনগুলি অর্জন অস্ত্র তৈরি করার অনুমতি প্রদান করেছে। মায়ানমারের স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এই পরিবর্তনের উদাহরণ তুলে ধরেছে। কারণ তারা তাতমাডোকে প্রতিহত করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করে।

সেন্টার ফর ইনফরমেশন রেজিলিয়েন্সের মতে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ড্রোন উড়ানের ১৪০০টি অনলাইন ভিডিয়ো মায়ানমারে সেনাবাহিনীর বিরোধী গোষ্ঠী দ্বারা চালিত হয়েছিল। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে সংস্থাটি প্রতি মাসে ১০০টি এ হেন উড়ানের প্রমাণ দর্শিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ড্রোনগুলি ডিজেআই-এর মতো চিনা সংস্থাগুলির তৈরি অফ-দ্য-শেল্ফ কোয়াডকপ্টার থেকে তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টিং প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি বিশেষ ড্রোন রয়েছে

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি, বিশেষ করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এমন একটি প্রাণঘাতী কৌশল অবলম্বন করেছে, যেখানে তাদের প্রাথমিক যুদ্ধ পদ্ধতির অংশ হিসাবে ড্রোন ব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলি ড্রোন ব্যবহার করে অঞ্চলগুলির মানচিত্র তৈরি করে, সৈন্যদের শক্তি মূল্যায়ন করে, কার্যকর ভাবে প্রশাসনিক ফাঁড়ি গোষ্ঠীগুলিকে ছত্রভঙ্গ করে। গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জাতিগত সশস্ত্র বাহিনী সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ব্যবহার করে ২৫০০০টিরও বেশি বোমা ফেলেছে। একাধিক উপায়ে এ হেন আক্রমণ ত্রাণ শক্তিবৃদ্ধির জন্য নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার বা রেজিমেন্ট মোতায়েন করার বিষয়ে সামরিক ক্ষমতাকে সীমিত করে। প্রাথমিক ভাবে এই কৌশল দেখে হতবাক সামরিক বাহিনী পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে রীতিমতো যুঝছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি, বিশেষ করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এমন একটি প্রাণঘাতী কৌশল অবলম্বন করেছে, যেখানে তাদের প্রাথমিক যুদ্ধ পদ্ধতির অংশ হিসাবে ড্রোন ব্যবহারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

ড্রোন হামলার গতিশীলতা পরিবর্তন

মায়ানমার বিমান বাহিনী ২০২০ সালে একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির উপর প্রথম ড্রোন হামলা চালায়। সেই সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলি শুধুমাত্র ড্রোন হামলা চালাতে সক্ষম ছিল। প্রাথমিক দিনগুলিতে জাতিগত গোষ্ঠীগুলিও মনে করেছিল যে, সামরিক সরকার দ্বারা ব্যবহৃত জ্যামারগুলি ভেদ করা অসম্ভব

যে সময় থেকে প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন প্রযুক্তি অর্জন করেছিল - যা অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এটির ব্যবহারকে সহজতর করে - সেই সময় থেকেই তাতমাডো দ্রুত বিমান হামলার উপর তার একচেটিয়া ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ২০২১ সালের অভ্যুত্থান গতিশীলতা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে শুরু করে। ড্রোন প্রযুক্তির বিস্তার প্রতিরোধ বাহিনীকে সস্তা, অস্ত্রযুক্ত বাণিজ্যিক ড্রোন অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। হুন্তাবিরোধী বাহিনী চিরাচরিত ফিক্সড-উইং বিমানে তাতমাডোর শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলেও তাদের অস্ত্রযুক্ত ড্রোনের ব্যবহার হুন্তা বাহিনীকে তাদের কৌশলগত সম্পৃক্ততায় আরও সতর্ক হতে বাধ্য করেছে এবং তারা নিঃসন্দেহে যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

যে সময় থেকে প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন প্রযুক্তি অর্জন করেছিল - যা অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এটির ব্যবহারকে সহজতর করে - সেই সময় থেকেই তাতমাডো দ্রুত বিমান হামলার উপর তার একচেটিয়া ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ২০২১ সালের অভ্যুত্থান গতিশীলতা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে শুরু করে

যেহেতু ড্রোনগুলি এরিয়াল ফোটোগ্রাফি / ভিডিয়োগ্রাফি, নজরদারি, উদ্ধার ও ত্রাণ, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার ইত্যাদি-সহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তাই কোন গ্রাহক এই বাণিজ্যিক ড্রোনগুলিকে আসলে অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করবেন, তা অনুমান করা এখনও বেশ কষ্টসাধ্য। বেশির ভাগ ড্রোন ডোরস্টেপ ডেলিভারির সাহায্যে (অর্থাৎ বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়া) অনলাইনে কেনা হয় বা বাড়িতে এসেম্বল করা হয় বা তা চালানোর কাজে সক্ষম করে তোলা হয়। অনলাইন মঞ্চগুলি ব্যক্তিদের ড্রোনকে অস্ত্র তৈরি করতে এবং তাদের উদ্যোগের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করে। আক্রমণ এবং ড্রোন অ্যাসেম্বল করার ভিডিওগুলি আকর্ষণ কুড়োতে এবং নিরাপদ তহবিল সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে পোস্ট করা হচ্ছে।

বেশির ভাগ ড্রোন হামলা প্রাথমিক ভাবে বিচ্ছিন্ন সামরিক ফাঁড়ি, পুলিশ স্টেশন এবং সামরিক কনভয়গুলিতে বিক্ষিপ্ত হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এই কৌশলটি এপ্রিল মাসে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়। যাকে কিনা সামরিক নিয়ন্ত্রণের দুর্গ বলে মনে করা হয়, সেই রাজধানীর সামরিক বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশকে লক্ষ্য করে গত ৪ এপ্রিল ব্যাপক ড্রোন হামলা চালানো হয়। মায়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সামরিক সদর দফতর এবং নাইপিতো বিমানবন্দরের উপর আনুমানিক ৩০টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয় হুন্তা দাবি করে যে, সাতটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়, যার মধ্যে একটি ড্রোনের বিস্ফোরণ ঘটে রানওয়েতে এবং সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, এই আক্রমণে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পিপল ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) ইউনিট দ্য ক্লাউড টিম (শার তু ওয়া) - যারা কিনা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) একটি সশস্ত্র শাখা এবং ড্রোন যুদ্ধে দক্ষতার জন্য বিখ্যাত – এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। শারীরিক ক্ষতি করার চাইতেও ড্রোনগুলিকে মূলত সামরিক দলগুলির মধ্যে সঙ্কট সৃষ্টি করার জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এ হেন আক্রমণ আসলে দর্শায় যে, গোষ্ঠীগুলি যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।

হুন্তা কি কিছুই করছে না?

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, সামরিক বাহিনী হাজার হাজার চিনা বাণিজ্যিক ইউএভি সংগ্রহ করছে এবং স্থানীয় গোলাবারুদ দিয়ে সেগুলির পরিবর্তন করেছে। এটি আদতে এমন একটি কৌশল, যা তারা আপাতদৃষ্টিতে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর কাছ থেকে শিখেছে। ২০১৩ সালে মায়ানমারের সেনাবাহিনী চিন থেকে প্রায় ১২টি সশস্ত্র সিএইচ-৩ ইউএভি-র বরাত দিয়েছিল। যেহেতু হুন্তা এই বছরের শুরুর দিকে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির উপর ড্রোন হামলা পুনরায় চালু করেছে, তাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং হুন্তা-বিরোধী প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সৈন্যদের বিবরণ অনুসারে, সেনাবাহিনী এই উন্নত ইউএভিগুলির পরিবর্তে কৃষিকাজ-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মাল্টি-রোটার বাণিজ্যিক ড্রোন ব্যবহার করছে, আপাতদৃষ্টিতে তাদের সঙ্কটের মুহূর্তের জন্য ওই ড্রোনগুলির সংরক্ষণ করছে।

এই পদক্ষেপটি তাই দুটি বিষয়কেই দর্শায়: প্রথমত, ড্রোন যুদ্ধের মাত্রা আকার বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং দ্বিতীয়ত, সামরিক বাহিনী বিরোধীদের শক্তি কৌশল মূল্যায়ন করছে এবং আরও বেশি করে ড্রোন সংগ্রহ করে আসলে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাহায্যে আক্রমণ করার জন্য একটি উপযুক্ত মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি সংঘাতের গতিপথ পরিবর্তনে সহায়ক হবে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।

সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া

ড্রোন হামলার বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক উভয় গতিশীলতাকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। প্রথমত, ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার ড্রোন হামলার সম্ভাব্যতা মানবিক প্রভাব সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে আটক বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। বেসামরিক জনগণের উপর এ হেন হামলা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানসিক শারীরিক ক্ষতি ডেকে হতে পারে। ইতিমধ্যেই ২.৮ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, যা সম্ভাব্য ভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আর কটি প্রবাহের সৃষ্টি করতে পারে। ভারত, বাংলাদেশ এবং তাইল্যান্ড ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের আগে মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে পরিষেবা প্রদান করছে। তাইল্যান্ড যখন একটি মানবিক করিডোর খুলে দিয়েছে, তখন ভারত ও বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যাকে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

ড্রোন হামলার বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক উভয় গতিশীলতাকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

দ্বিতীয়ত, সীমান্ত অঞ্চল থেকে উদ্ভূত বা লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ড্রোন হামলা প্রতিবেশী দেশগুলিতে নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর আন্তঃসীমান্ত গতিবিধি, সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা এবং বর্ধিত সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স দুর্বৃত্ত ড্রোন নাক্ত করতে, তার উপর নজরদারি চালাতে এবং সেই ড্রোনগুলিকে প্রতিহত করতে ড্রোন-বিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই বিদ্যমান কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে, কাশ্মীর পঞ্জাবের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি মায়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংস্থার (ইএও) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য ড্রোন হামলার ঝুঁকি কমাতে উত্তর-পূর্ব ভারতেও ব্যবহৃত হতে পারে। তাইল্যান্ড বাংলাদেশ বর্তমানে তাদের সীমান্ত অঞ্চলে সম্ভাব্য ড্রোন হুমকি মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে তেমন ব্যবস্থা অর্জন করতে পারেনি, যা এই জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি ঘাটতিকেই দর্শায়।

জুন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব রাখাইন স্টেটের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংঘাতের সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যাই হোক, বিদ্যমান সংঘাতের মাঝে এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়নে ন্যূনতম অগ্রগতিও হয়নি। অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার জন্য তাদের বক্তব্য প্রশংসিত হলেও একটি সমাধানের লক্ষ্যে অর্থপূর্ণ অগ্রগতি সাধনের জন্য পদক্ষেপ করা এবং আলোচনার জন্য জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরাপত্তা উদ্বেগের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার ভারসাম্য রক্ষার মতো জটিল কাজের সম্মুখীন হয়েছে। একই সময়ে আঞ্চলিক সরকারগুলিকে অবশ্যই বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যার সমস্যা সমাধান এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সীমান্ত সুদৃঢ় করার দ্বৈত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ড্রোন যুদ্ধের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর এর বিস্তৃত প্রভাব কমাতে বিদ্যমান সতর্কতা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.