Published on Mar 15, 2023 Updated 0 Hours ago

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতিসম্পন্ন অঞ্চলের ডিজিটাল উন্নয়নমূলক চাহিদা মেটানোর যৌথ দায়িত্ব জি২০-র সদস্য দেশগুলির উপরেই বর্তায়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডিজিটাল স্থিতিস্থাপকতা: জি২০-র জন্য একটি কর্মসূচি

জি২০-র প্রযুক্তি-সাশ্রয়ী, লভ্য এবং আন্তঃপরিচালনযোগ্য অভিন্ন ডিজিটাল ভবিষ্যৎকে অগ্রাধিকার প্রদান করা উচিত। এই কর্মসূচি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ-সহ জি২০-র সীমানার বাইরে থাকা উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও প্রসারিত, যেখানে ডিজিটাল জনপরিকাঠামো, ডিজিটাল আর্থিক  অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল কাজের দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক বিষয় হয়ে উঠেছে। সকল জি২০ সদস্যই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ কর্মসূচি এবং ডিজিটাল সহযোগিতার জন্য মহাসচিবের দেখানো পথ-নির্দেশিকায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে ডিজিটাল ব্যবধান দূরীকরণে এবং বৈশ্বিক সাইবার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার আগ্রহ প্রদর্শিত হয়েছে। জি২০ সভাপতি হিসেবে এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে একটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় থাকার দরুন ভারত এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত। জি২০ এবং প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ মঞ্চ, উভয়েরই সদস্য হিসাবে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের ডিজিটাল উন্নয়নের প্রয়োজনের নিরিখে একটি বিশেষ দায়িত্ব বহন করে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় মনোনিবেশ করার জন্য কোরাল সি কেবল সিস্টেমের মতো ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগগুলির উপর নজর দেওয়া যেতে পারে, যা পাপুয়া নিউ গিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে সিডনির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে; এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার টেলস্ট্রা ডিজিসেলের প্যাসিফিক শাখাটিকে সম্প্রতি ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে; এবং এই  সমগ্র অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। জি২০ অর্থনীতিগুলির অন্যতম দায়িত্ব হল তারা কীভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ডিজিটাল স্থিতিস্থাপকতার বিষয়ে অংশীদার হতে পারে, সে সম্পর্কে আরও সৃজনশীল ভাবে চিন্তাভাবনা করা; ডিজিটাল স্থিতিস্থাপকতা বলতে বোঝায় অপরাধমূলক ও অসূয়াপূর্ণ আক্রমণ প্রশমিত করা এবং সেই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ থেকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা, ইন্টারনেট-সক্ষম মঞ্চ ও পরিষেবাগুলির সম্প্রদায় দ্বারা দায়িত্বশীল ব্যবহারকে আরও শক্তিশালী করা এবং তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তাকে আরও বেশি করে সুদৃঢ় করা।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় সরকার, সম্প্রদায় এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অংশীদার দেশগুলির উচিত প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য এমন এক সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গির দিকে এগোনো, যা একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত উপায়ে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত। ডিজিটাল ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার গৃহীত নানা পদক্ষেপ এটি অর্জনেরই পথ প্রদর্শন করে।

সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করা

প্রথমত, দেশগুলিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সরকারগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলি-সহ সারা বিশ্বের সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা ও সর্বত্রগামিতার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এবং সামাজিক জীবন, বাণিজ্য-ব্যবসা ও রাজনৈতিক কাঠামোর উপর এর প্রভাবগুলির স্বীকৃতি, মূল্যায়ন এবং নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷

নতুন প্রযুক্তি বিদ্যমান সরকারের দুর্বলতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সরকারগুলি ইতিমধ্যেই জনসাধারণের কাছে তথ্য প্রচার, ডিজিটাল পরিচয় প্রকল্প এবং অন্যান্য ই-পরিষেবা পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করতে শুরু করেছে।

তাদের সীমিত বাজারের আকার এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের উপর ব্যাপক নির্ভরতার কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রযুক্তি, মঞ্চ এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে এবং প্রায়শই স্থানীয় পরিপ্রেক্ষিতে তা অনুপযুক্ত এবং বজায় রাখা কঠিন বলে দেখা গিয়েছে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাংস্কৃতিক ধারার কারণে সহায়তার প্রস্তাবগুলিকে অস্বীকার করার কাজটিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে।

ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরিখে একটি দায়িত্বশীল ও স্থিতিশীল প্রবর্তনকে সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির মধ্যে গতিশীল ও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন। অংশীদার দেশগুলির জন্য এই ধরনের আলাপ-আলোচনার বাহক হিসাবে ভূমিকা পালন করা এবং যত্নশীল ডিজিটাল প্রতিবেশী হিসাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলির প্রতি তার আহ্বায়ক ক্ষমতার সাহায্য এগিয়ে দিতে পারে এবং তাদের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলি সমাধানে সাহায্য করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সুবিধার্থে ডিজিটাল গণ পণ্য হিসাবে অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিমূলক সমাধানের কথাও ভাবতে পারে। যেমন সার্ভিস নিউ সাউথ ওয়েলস বা সার্ভিস ভিক্টোরিয়া অনলাইন ই-পরিষেবা সুবিধা বা সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

অংশীদার দেশগুলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সরকারগুলিকে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা এবং দক্ষতা শক্তিশালীকরণে আরও সাহায্য করতে পারে। এই প্রচেষ্টারই অংশ হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কৌশলগুলির উন্নয়নে সমর্থন জোগানো, যা বিনিয়োগের অগ্রাধিকার এবং হুমকির কথাই তুলে ধরে। এ রকম আর একটি উদাহরণ হল পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা নীতির প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন। এতে কর্মশক্তি উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং কর্ম সংস্থানের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সিইআরটি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে গড়া সিইআরটি টোঙ্গা সাইবার সিকিউরিটি ওয়ার্কফোর্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সিডব্লিউডিপি) কাজের সংযুক্তিমূলক সুযোগ এবং উপকরণ ও সম্পদ ভাগ করে নেওয়াকে স্বীকৃতি দেয়। এটির লক্ষ হল অভিজ্ঞ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী অনুশীলনকারীদের ব্যবহারিক দক্ষতা তৈরি করা এবং সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা।

আর একটি উদাহরণ হল সাইবার সেফটি প্যাসিফিকা কর্মসূচি। অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের নেতৃত্বে এই প্রকল্পে সাইবার নিরাপত্তামূলক সচেতনতা ও শিক্ষা, সাইবার অপরাধ আইন ও নীতির উন্নয়ন এবং সাইবার অপরাধ তদন্তে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ১৮টি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশে আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের কার্যক্রম প্রদান করা হয়। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা এবং সম্প্রদায়গুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করার জন্য এটি আঞ্চলিক প্রচেষ্টার নিরিখে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে কাজ করা

দ্বিতীয়ত, অংশীদার দেশগুলির উচিত সাইবার নিরাপত্তা স্থিতিস্থাপকতায় বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্প্রদায়গুলিকে সমর্থন জোগানো, যা মানুষের ই-নিরাপত্তার মান উন্নত করে এবং তাঁদের অনলাইন সংক্রান্ত ইতিবাচক অভিজ্ঞতাকে সুনিশ্চিত করে। ভাল প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখা, বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং সম্প্রদায়ের ঝুঁকির কারণে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে একটি অভিন্ন স্বার্থ বর্তমান।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনলাইন ইউজারদের মধ্যে ভাল ও মন্দ উভয় ধরনের আচরণ চিনতে এবং ভুল তথ্য যাচাই করার অন্যতম ভিত্তি হল শিক্ষা। এ ক্ষেত্রে সরকারগুলির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা, সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও প্রচারক গোষ্ঠী এবং মিডিয়া সংস্থাগুলির সঙ্গে অনলাইনে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি নিরাপদে থাকার ভারসাম্য বজায় রাখতে একজোট হয়ে কাজ করতে পারে।

এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার অন্যতম উদাহরণ হল অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশনার এবং ফিজির অনলাইন সেফটি কমিশনের মধ্যে অংশীদারিত্ব। আরও বেশি সংখ্যক ইতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতা তৈরি করা, বৈচিত্র্যময় ও প্রত্যন্ত সম্প্রদায়কে সমর্থন করা এবং সম্পদ ও সরঞ্জাম-সহ সবচেয়ে অরক্ষিত মানুষদের কাছে পৌঁছনোর কাজ করে এই অংশীদারিত্ব। এই ধরনের সুবিধা অন্যান্য সরকার এবং অংশীদার দেশগুলির কাছেও প্রসারিত করা যেতে পারে, যাতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব ই-সেফটি কমিশনারসম ভূমিকা বা একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করা যায় এবং সর্বাধিক ঝুঁকির মুখে থাকা শিশু, বাবা-মা ও অন্যান্য অরক্ষিত সম্প্রদায়ের সাইবার নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে তোলা যায়।

সম্প্রদায়ের জন্য একটি নিরাপদ পরিসর তৈরি করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্প্রদায়গত ব্যবহার ও সুবিধাগুলি এবং তা কীভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারে, সে বিষয়েও বিবেচনা করা দরকার। এটি তাত্ক্ষণিক ব্যক্তিগত সুবিধার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা পশ্চিমী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি চেয়ে বেশ আলাদা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং অন্যান্য সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্বকে ডিজিটাল উন্নয়নের নীতি, সমমনস্ক দাতা দেশগুলির মধ্যেদৃষ্টিভঙ্গির সামঞ্জস্য এবং অভ্যন্তরীণ সাইবার নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

একটি আঞ্চলিক বাস্তুতন্ত্র নির্মাণ করা

সর্বোপরি, অংশীদার দেশগুলির সাইবার নিরাপত্তা স্থিতিস্থাপকতার জন্য আঞ্চলিক বাস্তুতন্ত্র নির্মাণে সমর্থন জোগানো উচিত। সাইবার নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করার সময় সার্বভৌমত্বের উপলব্ধি যথেষ্টই সংবেদনশীল। সাইবার নিরাপত্তার স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর প্রচেষ্টাগুলি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের বোধে অনুপ্রবেশ করতে এবং সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও সমাজে হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম… এমন ঝুঁকিও রয়েছে। এ ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলাপ-আলোচনা এবং সম্পৃক্ত থাকার এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঞ্চলিক সাইবার নিরাপত্তা স্থিতিস্থাপকতার প্রতি সমর্থনকে পথ দেখাতে হবে। এর জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ডিজিটাল উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা এবং অনলাইন অধিকার পরিসরে কর্মরত ব্যক্তি ও উদ্যোগ এবং মঞ্চের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বোঝা এবং সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে একটি স্বেচ্ছামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।

অক্টোবর মাসে ফিজিতে চালু হওয়া সাইবার স্মার্ট প্যাসিফিক ২০২২ সচেতনতামূলক প্রকল্প প্যাসিফিক সাইবার সিকিউরিটি অপারেশনাল নেটওয়ার্ক (প্যাকসন) অংশীদার এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে বন্ধু দেশগুলির প্রতি আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এটির লক্ষ্য হল প্রশান্ত মহাসাগরীয়-সুলভ দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে একটি কর্মসূচি তৈরি করা। এই কাজে তারা চিরপরিচিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামুদ্রিক প্রাণীদের ব্যবহার করে স্থানীয় সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করতে চায়, যাতে স্থানীয় মানুষেরা অনলাইনে আরও বেশি সুরক্ষিত থাকার জন্য চারটি মূল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

সাইবার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি স্বীকৃত বৈশ্বিক মঞ্চ গ্লোবাল ফোরাম অন সাইবার এক্সপার্টাইজ সম্প্রতি একটি প্যাসিফিক হাব প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সাইবার সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা জোরদার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলকে ভিত্তি করে গড়া কেন্দ্রটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের অংশীদারদের নানা দেশ পরিদর্শন করার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে যাতে তারা অতীত ও বর্তমান উদ্যোগগুলির সরেজমিন বাস্তবতা, উদ্যোগ, প্রয়োজনীয়তা এবং বণ্টনের উপায়গুলি সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। কেন্দ্রটি সাইবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সরকার, বাস্তবায়নকারী ও দাতা সরকারের জন্য জ্ঞান, তথ্য এবং পরামর্শের একটি স্বাধীন ও প্রামাণিক উৎস হয়ে উঠবে এবং এর পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের উপযুক্ত পথও দেখাবে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি স্পষ্ট আগ্রহ রয়েছে, যেহেতু সেগুলি সামাজিক সংযোগ, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং সরকারি পরিষেবাগুলির দূরবর্তী বণ্টনে সাহায্য করে। জি২০ সদস্য দেশগুলির সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরের মতো উন্নয়নশীল অঞ্চলগুলিকে প্রভাবকারী সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে।


এই ভাষ্যটি হোয়াট ডাজ ইট লুক লাইক ফর অস্ট্রেলিয়া টু বি  পার্টনার অন ডিজিটাল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ট্রান্সফর্মেশন ইন দ্য প্যাসিফিক সংক্রান্ত এপি৪ডি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রচিত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.