-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে চিনের আধিপত্যের প্রতিক্রিয়ায় কৌশলগত সম্পদ প্রতিযোগিতায় নতুন সীমানা তৈরি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্রের তলদেশের দিকে তাকাচ্ছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) দেরিতে বুঝতে পেরেছে যে, চিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে গিয়েছে, এবং বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতায় নিজেকে পুনঃস্থাপন করেছে। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, দ্বিতীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে চিনের তুলনায় নিজের ঘাটতি কমাতে নির্বাহী পদক্ষেপের উপর নির্ভর করেছে। উদ্বেগের এই অনেক ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে গভীর সমুদ্রে খনন। ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশ (ইও) গভীর সমুদ্র খনন এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির সঙ্গে এর সংযোগের উপর আলোকপাত করেছে। আদেশটি সমুদ্রতলের খনিজ সম্পদ বিকাশ, উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি ঘটছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির জন্য ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সময়ে। চিন বর্তমানে এই ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করছে, যা দেশটিকে খেলার নিয়মগুলিকে বদলে দেওয়া এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করার জন্য বিশাল সুবিধা প্রদান করে। এই দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর সমুদ্র খননের উপর ইও-এর সময়োপযোগী সুবিধা হিসেবে এই ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য বিকল্প পথ খুঁজে বার করার লক্ষ্য রাখে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশ (ইও) গভীর সমুদ্র খনন এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির সঙ্গে এর সংযোগের উপর আলোকপাত করেছে।
যদিও আমেরিকা বেশ কিছুদিন ধরেই এই বিষয়টির উপর মনোযোগ দিচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে চাইছে, কারণ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং বিরল মৃত্তিকার ক্ষেত্রে চিনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার জটিলতা রয়েছে। গভীর সমুদ্রের খনির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ২০২২ সালে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এই খনিজগুলির ব্যবহার মূল্যায়ন এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণের জন্য ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের একটি তালিকা তৈরি করে। ২০২৪ সালে ইউএসজিএস মিনারেল কমোডিটি সামারিজ-এর একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের মধ্যে ১২টির জন্য ১০০ শতাংশ নেট আমদানি নির্ভর এবং আরও ২৯টির জন্য ৫০ শতাংশেরও বেশি নির্ভরশীল। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩ সালে, চিন ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের মধ্যে ২৯টির শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক ছিল।
চিন প্রশ্ন
গভীর সমুদ্রে খনন এমন একটি বিষয় যা সংশয়বাদী বা উৎসাহী উভয়ের কাছেই বিতর্কিত। বর্তমানে, ১৯৮২ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত কনভেনশন (ইইউএনক্লস)-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রপুঞ্জ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষ (আইএসএ) সমুদ্রতল উত্তোলন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পর্যন্ত, এটি ৩১টি লাইসেন্স জারি করেছে। সারণী ১ প্রধান দেশগুলির প্রাপ্ত লাইসেন্সের সংখ্যা তুলে ধরে।
সারণী ১: লাইসেন্সের তালিকা
|
দেশ |
লাইসেন্সের সংখ্যা |
|
চিন |
৫ |
|
রাশিয়া |
৪ |
|
দক্ষিণ কোরিয়া |
৩ |
|
জাপান |
২ |
|
জার্মানি |
২ |
|
ভারত |
২ |
সূত্র: আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষ
গভীর সমুদ্র খনির লাইসেন্সধারী দেশগুলির তালিকা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণভাবে অনুপস্থিত। যেহেতু এগুলি আইএসএ দ্বারা মঞ্জুর করা হয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির ভোটদানকারী সদস্য নয়, তাই তারা এই লাইসেন্সগুলি পায় না। তা সত্ত্বেও, মেটালস কোম্পানি (টিএমসি) — একটি মার্কিন সহায়ক সংস্থাসহ একটি কানাডিয়ান কোম্পানি — অন্য দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ জলে সমুদ্রতলের খনিজ পদার্থ বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে, যারা আইএসএ ভোটদানকারী সদস্য। টিএমসি-র মার্কিন সহায়ক সংস্থা গভীর সমুদ্রতলের কঠিন খনিজ সম্পদ আইনের অধীনে বাণিজ্যিক পুনরুদ্ধার এবং অনুসন্ধানের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। ১৯৮০ সালে পাস হওয়া গভীর সমুদ্রতলের কঠিন খনিজ সম্পদ আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গভীর সমুদ্রের কার্যকলাপ পরিচালনা করে। এটি মার্কিন নাগরিকদের জাতীয় বিচারব্যবস্থার বাইরের অঞ্চল (এবিএনজে) সমুদ্রতল থেকে খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান ও পুনরুদ্ধারের অনুমতি দিয়েছে। এবিএনজে-র জন্য অনুসন্ধান ও বাণিজ্যিক অনুমতি প্রদানকারী জাতীয় মহাসাগরীয় ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (এনওএএ) ১৯৮৪ সালে চারটি স্থানের জন্য অনুসন্ধান লাইসেন্স জারি করে।
সমুদ্রতলের এই প্রতিযোগিতার মূল কারণ হল চিন বর্তমানে স্থলভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে আধিপত্য বিস্তার করছে।
সমুদ্রতলের এই প্রতিযোগিতার মূল কারণ হল চিন বর্তমানে স্থলভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে আধিপত্য বিস্তার করছে। এটি বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশ, প্রক্রিয়াকরণের ৯০ শতাংশ এবং এই খাতে ৭৫ শতাংশ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর এর নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত করার ক্ষমতা দেশগুলিকে বৈচিত্র্য খুঁজতে চালিত করেছে। গভীর সমুদ্রে খনন সেই বিকল্পটি নিয়ে আসে। তবে, বেজিং এই ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষ (আইএসএ) কর্তৃক জারি করা ৩১টি লাইসেন্সের মধ্যে পাঁচটি তাদের হাতে রয়েছে, যা সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে, চিন আইএসএ-এর স্থায়ী সদস্য, এবং দেশটি গভীর সমুদ্র অনুসন্ধান নীতি গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। গবেষণা-সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য এটি আইএসএ-কে যথেষ্ট আর্থিক সহায়তাও প্রদান করে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চিনের সমুদ্রতলের খনিজগুলিতে আধিপত্য বিস্তারের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও স্পষ্ট। গভীর সমুদ্রের খনিজ অনুসন্ধানের জন্য দেশটি সম্প্রতি কুক দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি স্থানান্তর, সরবরাহ সহায়তা এবং গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের গবেষণা। গভীর সমুদ্রে খনির দৌড়ে অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য এটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশে প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করে এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে ট্রাম্প প্রশাসন এই ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে।
সম্প্রতি চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে যখন ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চিন সাতটি শ্রেণির মাঝারি ও ভারী বিরল মৃত্তিকা উপাদান (গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের একটি সাবসেট) রফতানি সীমিত করে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের খনন ও প্রক্রিয়াকরণের উপর তার নিয়ন্ত্রণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তটি অভ্যন্তরীণ উত্তোলন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চাহিদা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি, চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে যখন ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চিন সাতটি শ্রেণির মাঝারি ও ভারী বিরল মৃত্তিকা উপাদান (গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের একটি সাবসেট) রফতানি সীমিত করে, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের খনন ও প্রক্রিয়াকরণের উপর তার নিয়ন্ত্রণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
ট্রাম্পের ইও-এর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বেজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। তবে বেসরকারি খেলোয়াড়েরা এটিকে স্বাগত জানিয়েছে, যা টিএমসি-র ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পর, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আমেরিকা স্থলভাগে আক্রমণাত্মক অবস্থানের মাধ্যমে তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ দৃষ্টিভঙ্গি আরও জোরদার করেছে। মার্কিন-ইউক্রেন খনিজ চুক্তির কারণে, কিয়েভ তাদের মজুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারত-মার্কিন সহযোগিতার জন্য একটি ক্ষেত্র?
অন্য সমমনস্ক দেশগুলিও তাদের গভীর সমুদ্র খনির ক্ষমতা বিকাশের জন্য কাজ করছে, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। ২০২১ সালে, তারা গভীর সমুদ্র মিশন চালু করে যার একটি মূল উপাদান ছিল গভীর সমুদ্র খনন এবং মনুষ্যচালিত ডুবোজাহাজ ও সমুদ্রতল রোবোটিক্সের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন। এই মিশনটি প্রথম মানব ডুবোজাহাজ (ডিপ-সি ম্যানড ভেহিকেল) তৈরি করে দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রদর্শন করেছে, যা এই বছর চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ডুবোজাহাজটি প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিটার গভীরতায় কাজ করবে এবং তারপর পরের বছর নাগাদ ৬০০০ মিটারে পৌঁছবে। ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, ভারত সরকার ভারত মহাসাগরে সমুদ্রতল অনুসন্ধানের কাজের পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য আইএসএ-এর কাছে দুটি আবেদন জমা দিয়েছে।
এই চুক্তিতে ‘মার্কিন ও ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্যিক উন্নয়নের সুবিধার্থে সরঞ্জাম, পরিষেবা, নীতি এবং সর্বোত্তম অনুশীলন চিহ্নিতকরণ’-এর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও, ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ খাতে স্বনির্ভরতার জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ মিশন চালু করেছে। এই মিশনটি ২০২৪-২৫ থেকে ২০৩০-৩১ সাল পর্যন্ত ১,২০০টি অনুসন্ধান প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে। সময়রেখাটি একটি দীর্ঘদিগন্ত কৌশলের কথা তুলে ধরে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তিতে ‘মার্কিন ও ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্যিক উন্নয়নের সুবিধার্থে সরঞ্জাম, পরিষেবা, নীতি এবং সর্বোত্তম অনুশীলন চিহ্নিতকরণ’-এর উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলের বাইরে, ভারত এবং অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্লারিয়ন-ক্লিপারটন জোন (সিসিজেড)-এর কাছাকাছি এলাকা অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখিয়েছে। হাওয়াই ও মেক্সিকোর মধ্যে ৩১০০ মাইল বিস্তৃত এই বিশাল সমভূমি বিপুল পরিমাণে তামা, নিকেল, কোবাল্ট ও লোহার মতো খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ পলিমেটালিক নডিউলস ধারণ করে, যা বৈদ্যুতিক যানবাহন, সৌর প্যানেল, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। আইএসএ দ্বারা জারি করা বেশিরভাগ অনুসন্ধান লাইসেন্স সিসিজেড-এর অন্তর্ভুক্ত। এই সমন্বয়গুলি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলির সঙ্গে কাজ করা এবং নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণ পরিকাঠামো স্থাপনের পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ করে দিতে পারে, যাতে দক্ষতার সাথে এবং দ্রুত কিন্তু টেকসইভাবে অজানা জলাশয় খনন করা যায়।
গভীর সমুদ্রে খনির প্রতিযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে, কারণ অসংখ্য দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং এই দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য সহযোগিতা করছে। যদিও গভীর সমুদ্রে খনির অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত কার্যকারিতা অ-প্রমাণিত এবং অত্যন্ত বিতর্কিত রয়ে গিয়েছে, তবুও বাণিজ্যিক পর্যায়ে এটিকে বাস্তবে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে। এই অঞ্চলে সর্বাধিক সুবিধা অর্জনের জন্য একসঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে। উভয় দেশই তাদের গভীর সমুদ্রে খননের ক্ষমতা বিকাশের একটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের জন্য উভয়েরই সম্পদ, অর্থায়ন ও মানব পুঁজির একত্রিতকরণ প্রয়োজন, যা এগিয়ে চলা চিনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখবে।
বিবেক মিশ্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।
অক্ষত সিং অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Vivek Mishra is Deputy Director – Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. His work focuses on US foreign policy, domestic politics in the US, ...
Read More +
Akshat Singh is a Research Intern with the Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. ...
Read More +