Author : Atul Kumar

Published on May 19, 2025 Updated 0 Hours ago

চিনের সশস্ত্র বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ খুব বেশি কিছু না হলেও, অন্তত পক্ষে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি করতে পারে।

চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৫: বরাদ্দ কম, প্রভাব বেশি

২০২৫ সালের ৫ মার্চ চিন সরকার বছরের জন্য তাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাজেটে ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১.৮১ ট্রিলিয়ন সিএনওয়াই) ঘোষণা করে। বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা বাজেট হিসেবে এটিতে বার্ষিক ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও চিনের জিডিপির ১.৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই প্রতিরক্ষা বাজেট ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া অস্ট্রেলিয়া-সহ আঞ্চলিক শক্তিগুলির সম্মিলিত সামরিক ব্যয়কে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য চিনের সক্ষমতাকেই দর্শায়। তবে বাজেটে কিছু ব্যয় বাদ দেওয়া হয়েছে, যেমন অস্ত্র আমদানি, পিপলস আর্মড পুলিশ (পিএপি) তহবিল এবং গবেষণা ও উন্নয়নসমালোচকরা অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন যে, এটি চিনের প্রকৃত প্রতিরক্ষা ব্যয়ের মাত্র এক-তৃতীয়াংশেরও কম। এই নিবন্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, চিনের ধারাবাহিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি তার সশস্ত্র বাহিনীকে যথেষ্ট সম্পদ সরবরাহ করে চলেছে। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তা হলে বিশেষ কিছু না হলেও এই ১.৫ শতাংশেরও কম বরাদ্দ নিয়েই পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে তার প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ক্ষমতা রাখবে

বাজেট বরাদ্দ কম হলেও নৈতিক ভিত্তি উচ্চতর

চিন প্রায়শই যুক্তি দেয় যে তার প্রতিরক্ষা বাজেট মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় ম্লান, যা ২০২৫ সালে ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের মাধ্যমে স্পষ্ট। সর্বোপরি, মার্কিন সরকার ধারাবাহিক ভাবে তার জিডিপির কমপক্ষে ৩ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করে। আমেরিকার তুলনায় এ বছর চিনের বাজেটে ৭.২ শতাংশ নিতান্ত সামান্য বৃদ্ধিই লক্ষ করা গিয়েছে। এই বরাদ্দের উদ্দেশ্য ছিল গোয়েন্দা তথ্য আগাম সতর্কতা, যৌথ হামলার ক্ষমতা, যুদ্ধক্ষেত্র ব্যাপক সহায়তা ব্যবস্থা, সামরিক কর্মীদের উন্নয়ন এবং সৈন্য প্রশিক্ষণ ও অভিযানমূলক প্রস্তুতিকে সশক্ত করা। পিএলএ মুখপাত্র উ কিয়ান প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করার সময় জোর দিয়ে বলেন যে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষা এবং চিনের বিদ্যমান সামরিক রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ১.৮১ ট্রিলিয়ন সিএনওয়াই (২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ সর্বনিম্ন

চিন প্রায়শই যুক্তি দেয় যে তার প্রতিরক্ষা বাজেট মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় ম্লান, যা ২০২৫ সালে ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের মাধ্যমে স্পষ্ট।

সারণি ১-এ স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে, গত এক দশক ধরে চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির হার ধারাবাহিক ভাবে হ্রাস পেয়েছে, বিশেষ করে দুই দশক ধরে টানা দ্বি-অঙ্কের প্রবৃদ্ধির পর। এই সময়ের মধ্যে চিনের জিডিপি ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৫ সালে ১১.০৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেটও ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই বছর ১৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে চিনের জিডিপিতে এর বরাদ্দ ধারাবাহিক ভাবে কম রয়ে গিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়ের অনুপাত প্রায় ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে, সামরিক আধুনিকীকরণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার চেয়ে কম অগ্রাধিকার পেয়েছে।

সারণি ১: ২০১৫ সাল থেকে চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট (প্রায়)

বর্ষ

চিনা জিডিপি (ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

প্রতিরক্ষা বাজেট (বিলিয়ন মার্কিন ডলারে)

প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রবৃদ্ধির হার

জিডিপির শতাংশ

সরকারি ব্যয়ের শতাংশ

২০১৫

১১.০৬

১৪৫

১০.১

১.৩১

৫.৯

২০১৬

১১.২

১৪৬.৬

৭.৬

.১.৩০

৫.৮

২০১৭

১২.৩

১৫১

৭.০

১.২৩

৫.৬

২০১৮

১৩.৯

১৭৫

৮.১

১.২৬

৫.৫

২০১৯

১৪.২

১৭৮

৭.৫

১.২৫

৫.৪

২০২০

১৪.৭

১৮৩

৬.৬

১.২৪

৫.১

২০২১

১৭.৭

২০৯

৬.৮

১.১৮

৫.৪

২০২২

১৭.৯

২২৯

৭.১

১.২৭

৪.৮

২০২৩

১৭.৭৯

২২৫

৭.২

১.২৬

৫.০

২০২৪

১৮.৫

২৩৫

৭.২

১.২৭

৫.১

২০২৫

১৯.৫

২৪৯

৭.২

১.২৭

৫.২

 

উৎস: বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইআইএস মিলিটারি ব্যালান্স, চিনা সংবাদ প্রতিবেদন এবং সরকারি পরিসংখ্যান

প্রতিরক্ষা বাজেট: বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান?

চিনা সরকার তার সামরিক পরিষেবার জন্য পৃথক বরাদ্দ গণনা না করে কেবল সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রকাশ করে। বেজিং যুক্তি দেয় যে, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা মূলত উন্নত শক্তিগুলিকে উপকৃত করেকারণ তারা তাদের প্রতিপক্ষকে নিরস্ত করার জন্য তাদের ক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। ছোট শক্তিগুলির তাদের সামরিক সক্ষমতা রক্ষা করার জন্য অস্বচ্ছতার প্রয়োজন।

যাই হোক, চিনা সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চিনের সরকারি প্রতিরক্ষা বরাদ্দ তুলনামূলক ভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে তিনটি মূল কারণে: এক, অ্যাকাউন্ট বা খাত সংক্রান্ত সংস্কার এবং পরবর্তীতে পিএলএতে শূন্য-বাজেট প্রবর্তন আর্থিক প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে; দুই, প্রতিরক্ষা বাজেটের বেশির ভাগ অংশ এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ হিসাবে আসে এবং তাই জবাবদিহিতার প্রক্রিয়াটি বজায় রাখে; তৃতীয়ত, স্থানীয় আঞ্চলিক সরকারগুলির অতিরিক্ত তহবিল সীমিত থাকে অর্থাৎ সর্বাধিক শতাংশ থাকে, যা বাজেটের অস্বচ্ছতার সুযোগকে হ্রাস করে।

চিনা সরকার তার সামরিক পরিষেবার জন্য পৃথক বরাদ্দ গণনা না করে কেবল সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রকাশ করে।

তবুও, কিছু বিশ্লেষক দাবি করেন যে, চিনের প্রকৃত প্রতিরক্ষা বাজেট সরকারি পরিসংখ্যানের তিন গুণ না হলেও দ্বিগুণ অবশ্যই। ২০১৪ সালে অ্যাডাম পি লিফ অ্যান্ড্রু এরিকসন এবং ২০২৪ সালে এম টেয়র ফ্রাভেল ধারাবাহিক ভাবে এই জল্পনাগুলিকে খণ্ডন করেছেন। আবার কয়েক জন ত্রুটিপূর্ণ ক্রয়ক্ষমতা সমতা বা পারচেস পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) সংক্রান্ত হিসেবনিকেশের উপর নির্ভর করেছেনতাঁরা ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পরিসংখ্যানের কথাই বলেন, যা আসলে অনুমানমূলক অবিশ্বাস্যও বটে

বাজেটের উপাদান: ব্যয়ের রূপান্তর

এ ছাড়াও চিনের ২০১৯ সালের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক শ্বেতপত্র অনুসারে, প্রতিরক্ষা বাজেটে তিনটি প্রধান ব্যয়ের বিভাগ রয়েছে: কর্মী, প্রশিক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণ এবং সরঞ্জাম। কর্মীদের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে বেতন, ভাতা, জীবিকা নির্বাহের ব্যয় পেনশন। অন্য দিকে প্রশিক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে সৈন্য প্রশিক্ষণ, সামরিক শিক্ষা, ঘাঁটি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিত ভোগ্যপণ্য। এ ছাড়া সরঞ্জাম ব্যয়ের জন্য সামরিক উপকরণের গবেষণা ও উন্নয়ন, ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের তহবিল বরাদ্দ করা হয়।

বছরের পর বছর ধরে এই বিভাগগুলির মধ্যে সশক্তিকরণ ধীরে ধীরে ঘটেছে। ১৯৭৮ সালের সংস্কারের পরের প্রথম বছরগুলিতে বাজেট কর্মীদের ব্যয়ের দিকে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছিল, যা পিএলএ--র বিশাল আকারকে প্রতিফলিত করে। পরবর্তী দুই দশক ধরে অর্থনৈতিক সংস্কারগুলি প্রাধান্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামরিক আধুনিকীকরণ খুব একটা অগ্রাধিকার পায়নি। তবে উপসাগরীয় যুদ্ধ আধুনিক যুদ্ধের উপর তাদের প্রভাব একটি কৌশলগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করে। এর পরে চিন উচ্চ-প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র অন্তর্ভুক্তি উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বৃহত্তর তহবিল পুনর্নির্ধারণ করে এবং পিএলএ-র রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করে।

বছরের পর বছর ধরে পিএলএ সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে ২০ লক্ষে নিয়ে এসেছে, যার মধ্যে তাদের বাহিনীর এক-চতুর্থাংশ ছিল সশস্ত্র বাহিনী এবং কর্মীদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে সাশ্রয় করেছে। এই পরিবর্তন, নন-কমিশন্ড অফিসার কোর  (এনসিও) বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পিএলএ-কে আরও দক্ষ করে তুলেছে। এই ভাবে সংরক্ষিত বাজেট বাস্তব যুদ্ধ যৌথ পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, বর্ধিত স্থিতিশীল ব্যবস্থা সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্তির জন্য পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

চিনের প্রতিরক্ষা শিল্প উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আংশিক ভাবে উন্নত উৎপাদনে বেসামরিক খাতের দক্ষতা ক্রমবর্ধমান অস্ত্র রফতানি সংক্রান্ত রাজস্বের কারণে পিএলএ প্রতিযোগিতামূলক খরচে অভ্যন্তরীণভাবে উন্নত অস্ত্র অর্জন করতে পারে।

সর্বোপরি, চিনের প্রতিরক্ষা শিল্প উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আংশিক ভাবে উন্নত উৎপাদনে বেসামরিক খাতের দক্ষতা ক্রমবর্ধমান অস্ত্র রফতানি সংক্রান্ত রাজস্বের কারণে পিএলএ প্রতিযোগিতামূলক খরচে অভ্যন্তরীণভাবে উন্নত অস্ত্র অর্জন করতে পারে। অতএব, চিন প্রশিক্ষণ, স্থিতিশীলকরণ যৌথ যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষমতার জন্য একটি বৃহত্তর বাজেট বরাদ্দ করতে পারে, যা তার নিকটবর্তী প্রতিবেশীর বাইরে ঘন ঘন বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়া নৌ মোতায়েনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। একই ভাবে অস্ট্রেলিয়া তাইওয়ানের আশপাশে চিনের সাম্প্রতিক মহড়া বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই বছরের বাজেটে চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির জন্য অর্থায়ন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজেটটি আকাশ, সমুদ্র অন্যান্য ক্ষেত্রে চিনের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে, যা পিএলএ-অভিযানমূলক ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।

জিডিপি বরাদ্দ নিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক আলোচনা

বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণ ত্বরান্বিত করার জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা বাজেটের পক্ষে কথা বলে আসছেন। প্রায় সর্বসম্মত ভাবে, বিশেষ করে প্রবীণ সৈনিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে, ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে তার জিডিপির ২ শতাংশেরও বেশি ব্যয় করা উচিত, যার মধ্যে ৩ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দ করার পরামর্শ রয়েছে।

যাই হোক, চিনের অভিজ্ঞতা দর্শায় যে, সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি উচ্চ-প্রযুক্তি বেসামরিক শিল্পের অগ্রগতি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বরাদ্দ দুই শতাংশের নিচে থাকলেও বৃহত্তর জিডিপি যথেষ্ট তহবিল সরবরাহ করেঅন্য দিকে উচ্চ-প্রযুক্তি বেসামরিক-ক্ষেত্রের উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ  প্রযুক্তি দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করে। এই সহাবস্থান চিনের প্রতিরক্ষা শিল্পকে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করেছে যদিও গত দশকে পিএলএ সামান্য বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে।

২ শতাংশেরও কম প্রতিরক্ষা বরাদ্দ পিএলএ-কে প্রায় ৫০০-৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যা জাতীয় স্বার্থ অর্জনে সহায়তা করবে এবং চিনকে প্রায় নগণ্য প্রতিরোধের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করবে।

প্রভাব

চিনের সামরিক আধুনিকীকরণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ব্যাপক আধিপত্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ধারাবাহিক, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অনুসরণ করে। পিএলএ তার দুর্বল বাহিনী কাঠামো তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা শিল্প থেকে সাশ্রয়ী অস্ত্র সংগ্রহ থেকে উপকৃত হয়, যার ফলে এটি তার ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার  বাজেটের একটি বড় অংশ যৌথ বাহিনী পুনর্গঠন, বাস্তবসম্মত যুদ্ধ প্রশিক্ষণ চিনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য তার প্রান্ত বরাবর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কাঠামো পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে বরাদ্দ করতে সক্ষম হয়। চিনের জিডিপি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পিএলএ-র বাজেট উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং এর অর্থনীতিতে ভারী বোঝা চাপবে না। ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনের জিডিপি ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অতএব, ২ শতাংশেরও কম প্রতিরক্ষা বরাদ্দ পিএলএ-কে প্রায় ৫০০-৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যা জাতীয় স্বার্থ অর্জনে সহায়তা করবে এবং চিনকে প্রায় নগণ্য প্রতিরোধের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করবে।

চিনের চ্যালেঞ্জ সফল ভাবে পরিচালনা করার জন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনায় বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চিনের সঙ্গে তার শক্তির ব্যবধান আরও বিস্তৃত হওয়ার বিষয়টিকে রোধ করার জন্য ভারতকে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করতে হবেকারণ একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনা দুঃসাহসিকতাকে উৎসাহ জোগাবে।

 


অতুল কুমার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.