-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
এমন সময়ে যখন চিন জরুরি ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজন অনুভব করছে, তখন ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা চিনের আশায় জল ঢেলে দিতে পারে।
২০২৪ সালের ২২ অগস্ট ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে তাঁর ৪১ মিনিটের অ্যাকসেপট্যান্স স্পিচে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শুধু মাত্র একবারই চিনের কথা উল্লেখ করেছেন, তাও অন্য কথার ছলে এবং তিনি তাইওয়ান, তিব্বত, দক্ষিণ চিন সাগর এবং উইঘুরদের মতো বিষয়গুলি সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে গিয়েছেন। এই এড়িয়ে যাওয়া ইচ্ছাকৃত। হ্যারিসের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে রয়েছে দেশের অর্থনীতি, যে বিষয়ের উপর তিনি নিজের বক্তব্যে তিন বার জোর দিয়েছিলেন। অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতে তাঁর প্রধান মনোযোগ পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চিনের পছন্দের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বেজিংয়ে তাঁর সহযোগীরা মেজাজি এবং খামখেয়ালি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় হ্যারিসকেই পছন্দ করছেন। হ্যারিসের অভ্যন্তরীণ মনোযোগ এবং সামাজিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রবণতা চিনকে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে তার মার্কিন নীতিগুলি পুনর্নির্মাণ করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা পুনরুজ্জীবিত করার এক দুর্লভ সুযোগ প্রদান করবে, যা চিনের অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধটিতে ট্রাম্প সম্পর্কিত চিনা উদ্বেগ খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে ট্রাম্পের তুলনায় হ্যারিসকে পছন্দ করার কারণগুলিও তুলে ধরা হয়েছে।
হ্যারিসের অভ্যন্তরীণ মনোযোগ এবং সামাজিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রবণতা চিনকে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে তার মার্কিন নীতিগুলি পুনর্নির্মাণ করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা পুনরুজ্জীবিত করার এক দুর্লভ সুযোগ প্রদান করবে, যা চিনের অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পকে নিয়ে চিনের আশঙ্কা
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদকাল সম্ভবত ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে মার্কিন-চিন সম্পর্কের অন্যতম কঠিন পর্বকেই চিহ্নিত করেছে। অনিশ্চয়তা, অনির্দেশ্যতা এবং চিনের প্রতি আগ্রাসন দ্বারা চিহ্নিত এই সময়ে ট্রাম্প দ্রুত মার্কিন-চিন অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করেন এবং ‘ওয়ান চায়না পলিসি’ মেনে চলার বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন। তার পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আশঙ্কার মুখে ঠেলে দেয়।
ট্রাম্প একটি দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির জন্য আলোচনা থামিয়ে দেন, দক্ষিণ চিন সাগরে এবং জাপানের বিরুদ্ধে বলপূর্বক চিনা পদক্ষেপের নিন্দা করেন, চিনা ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যথেষ্ট শুল্ক আরোপ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের বৃহৎ বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার বিরুদ্ধে দৃঢ় নীতি অনুসরণ করেন। তিনি মার্কিন রফতানির বিরুদ্ধে চিনের অ-শুল্ক বাধা এবং যৌথ উদ্যোগে তাদের চিনা অংশীদারদের কাছে প্রযুক্তি হস্তান্তর করার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির উপর চাপ দেওয়ার বিষয়টির উপর নজর রেখেছিলেন।
সর্বোপরি, ট্রাম্প ইউএস প্যাসিফিক কম্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ইন্দো-প্যাসিফিক কম্যান্ড রেখেছেন, যা চিনের আশঙ্কা বাড়িয়েছে এবং চিন সংক্রান্ত মার্কিন কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলির উপর আলোকপাত করে। উপরন্তু, তিনি চিনের অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির নিন্দা করেন, বারবার কোভিড-১৯-এর বিস্তারে চিনের প্রধান ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন – কখনও কখনও এটিকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলেও উল্লেখ করেছেন - এবং প্রায়শই চিনা সংস্থাগুলির উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর চিপের উপর হুয়াইয়ের প্রবেশাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেন এবং প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নকরণের প্রচার করেন। ট্রাম্প প্রশাসন এবং তার কর্মকর্তারা চিনকে একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে এবং সেই কারণেই সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততার যে কোনও রকমের বিভ্রমকে খারিজ করে দিয়েছেন।
ট্রাম্প ইউএস প্যাসিফিক কম্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে ইন্দো-প্যাসিফিক কম্যান্ড রেখেছেন, যা চিনের আশঙ্কা বাড়িয়েছে এবং চিন সংক্রান্ত মার্কিন কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলির উপর আলোকপাত করে।
এই পদ্ধতি চিনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক গতিপথকে প্রায় লক্ষ্যচ্যুত করেছে। তাই ট্রাম্প ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও চিন-মার্কিন সম্পর্ককে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মাইক পম্পেও, অ্যালেক্স আজার, কেলি ক্রাফ্ট এবং অন্যান্য ২৫ জন-সহ প্রাক্তন অভিজ্ঞ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রভাব চিন অব্যাহত ভাবে অনুভব করছে।
২০২১ সাল থেকে চিন এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি
২০২১ সাল থেকে বাইডেন প্রশাসন চিনের প্রতি দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে, ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নীতি পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা, অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি, প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নকরণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে চিনা কর্মকর্তাদের চাপে রেখেছে। উপরন্তু, বাইডেন প্রশাসন তিব্বত, তাইওয়ান এবং অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়ের গুরুত্ব উস্কে দিয়েছে এবং চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন মিত্রদের অবস্থানে শক্তিশালী সমর্থন ও মনোযোগ প্রদান করেছে। যাই হোক, বর্তমান মার্কিন অর্থনৈতিক নীতি কম আগ্রাসী এবং তা প্রেসিডেন্ট শি-র জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রদান করে। এটি শি-কে তাঁর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ক্ষমতা সুসংহত করা এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও ধীর গতির উত্পাদনের মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নবীন রাজনীতিবিদ এবং অর্থ কর্মকর্তাদের উপর দোষ চাপানোর সুযোগ করে দিয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সফর এবং আলাপ-আলোচনার কূটনীতির মাধ্যমে চিনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বাইডেনের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার দরুন এই প্রত্যাহারের বিষয়টি আরও সশক্ত হয়েছে। এখানেই লুকিয়ে রয়েছে চিনের সুযোগ ও প্রবণতা।
জীবনযাত্রার ব্যয়, আবাসন, প্রজননের অধিকার, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনীতির মতো বিষয়গুলিতে কমলা হ্যারিসের মনোযোগ চিনের পক্ষে অনুকূল। চিন অনুমান করে যে, অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এবং জ্যাক সুলিভানের মতো যে সব আধিকারিক বর্তমান দ্বন্দ্বের জন্য দায়ী, তাঁরা হয়তো হ্যারিস প্রশাসনের অধীনে কাজ করবেন না। বরং মার্কিন-চিন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়, এমন কম আগ্রাসী প্রতিনিধিরাই হয়তো এ বার ক্ষমতায় আসবেন। হ্যারিসের সহ-প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে চিনের ইতিবাচক ইতিহাস নতুন করে সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততার জন্য শি-র আশাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
চিন ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন নীতির ভবিষ্যৎ ঠাহর করতে পারছে না এবং এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্পের দলে ভবিষ্যতে ম্যাট গ্যালাঘার এবং রবার্ট লাইথাইজারের মতো চিন-বিরোধী নীতিনির্ধারকরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
এর বিপরীতে ট্রাম্প যে কোনও দিক থেকেই চিনের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি। চিন ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন নীতির গতিপথ ঠাহর করতে পারছে না এবং এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্পের দলে ভবিষ্যতে ম্যাট গ্যালাঘার এবং রবার্ট লাইথাইজারের মতো চিন-বিরোধী নীতিনির্ধারকরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে চিনের অসুবিধা বাড়িয়ে তুলবেন। ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে চিনা পণ্যের উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উপযোগিতা
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয় ইউক্রেন এবং গাজা উপত্যকা সংক্রান্ত সঙ্কটের উপর প্রশাসনের মনোযোগ নিবদ্ধ করবে। ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতিবিদরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গভীর ভাবে জড়িত এবং অপ্রত্যাশিত ও সুবিধাবাদী ইজরায়েলের প্রাইম মিনিস্টার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুঝছেন। ক্ষমতায় নিজের দখল বজায় রাখতে হামাসের সঙ্গে বিরোধ স্থায়ী করার নেতানিয়াহুর কৌশল ডেমোক্র্যাটদের একটি কঠিন অবস্থানে ফেলেছে, বিশেষ করে তাদের অভ্যন্তরীণ বাম-উদারপন্থী ভিত্তির প্রেক্ষিতে, যা ইজরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের বিরূপতাকেই দর্শায়। এমনকি হ্যারিসের অ্যাকসেপট্যান্স স্পিচের সময়ও একটি উল্লেখযোগ্য প্যালেস্টাইনপন্থী দল তাঁর ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল।
সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা এই দু’টি জটিল সঙ্কট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চিন ও পূর্ব এশিয়ার উপর তাঁরা স্বল্প মনোনিবেশ করবেন। বর্তমান মার্কিন-চিন নীরব কূটনীতি এই জটিলতা দ্বারাই প্রভাবিত। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব এশিয়ার সঙ্কট মোকাবিলায় সামান্যই আগ্রহ দর্শিয়েছে। যাই হোক, ট্রাম্প ইতিমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন, যা চিনকে আরও শঙ্কিত করে তুলেছে।
বর্তমান মার্কিন-চিন নীরব কূটনীতি এই জটিলতা দ্বারাই প্রভাবিত। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব এশিয়ার সঙ্কট মোকাবিলায় সামান্যই আগ্রহ দর্শিয়েছে।
দ্বিতীয় সমস্যাটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি চিনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ সংক্রান্ত। গত কয়েক দশক ধরে, চিন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রভাব ও নেতৃত্বের অবস্থান অর্জনের উদ্দেশ্যে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। চিন এই সংস্থাগুলিকে আন্তর্জাতিক পরাশক্তি হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। ফলস্বরূপ, চিন যেখানেই সম্ভব তার প্রভাব বৃদ্ধি করেছে এবং যেখানে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে, সেখানে ব্রেটন উডস সিস্টেমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো বিকল্প বহুপাক্ষিক সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছে।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য সভাপতিত্ব এই বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টায় চিনের অগ্রগতিকে অনেকটাই ক্ষুণ্ণ করতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক কাঠামো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এবং এর বিভিন্ন চুক্তি ও আর্থিক কাঠামোর প্রতি ট্রাম্পের অবজ্ঞা গত কয়েক দশক ধরে চিনের প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করে তোলে। এমন সময়ে যখন চিন জরুরি ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজন অনুভব করছে, তখন ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা চিনের আশায় জল ঢেলে দিতে পারে।
চিনের জাতীয় পুনরুজ্জীবন এবং আর্থিক আধিপত্যের জন্য বেজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত এবং ধীরে ধীরে পতনের পথকেই পছন্দ করে। সম্ভাব্য ভাবে ট্রাম্পের বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির কারণে খাপছাড়া পতন চিনা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক। উপরন্তু, মার্কিন বিচ্ছিন্নতা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে, যা চিন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহার করে এসেছে। একটি বিশৃঙ্খল বিশ্ব চিনের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে এবং চিনের যুঝতে থাকা অর্থনীতি এই ধরনের অস্থিতিশীলতা বহন করতে পারে না।
একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী মার্কিন সামরিক অবস্থান জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পারমাণবিক সক্ষমতা বিকাশে চালিত করতে পারে, যা চিনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করবে।
উপরন্তু, আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চিনের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। প্রতিপক্ষের প্রতি ট্রাম্প কঠোর হলেও মিত্রদের প্রতি আরও নৃশংস, বিশেষ করে যে সমস্ত দেশ প্রতিরক্ষা খাতে কম খরচ করে এবং মার্কিন সামরিক উপস্থিতিকে বিনামূল্যে কাজে লাগাতে চায়। একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী মার্কিন সামরিক অবস্থান জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে পারমাণবিক সক্ষমতা বিকাশে চালিত করতে পারে, যা চিনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করবে। চিনকে প্রতিহত করতে এই দেশগুলির মধ্যে একটি সম্ভাব্য জোট পরিচালনা করাও বেশ কঠিন কাজ হবে।
তাই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে নিজের নীতিগুলিকে পুনর্নির্মাণ করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আধিপত্য পুনরুদ্ধার করতে চিনের জন্য হ্যারিসের বিজয় অপরিহার্য। প্রত্যাশিত ভাবেই চিন আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পছন্দ করে এবং ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে রয়েছে।
অতুল কুমার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Atul Kumar is a Fellow in Strategic Studies Programme at ORF. His research focuses on national security issues in Asia, China's expeditionary military capabilities, military ...
Read More +