-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতের শহরগুলি কি বাজার, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তাদের ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক বর্জ্যকে একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির সাফল্যের আখ্যানে পরিণত করতে পারে?
ভারতের প্লাস্টিক দূষণ সঙ্কট উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, দেশটি বার্ষিক ৯.৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্যের অবদান রাখছে - যা বিশ্বের মোট বর্জ্যের ২০ শতাংশ। বর্জ্যের এই বন্যা কেবল ল্যান্ডফিল এবং সমুদ্রকেই আটকে রাখে না, বরং বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) সরাসরি লঙ্ঘন করে, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলে (এসডিজি ১৪), জলবায়ু পরিবর্তনের অবনতি ঘটায় (এসডিজি ১৩) এবং জনস্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে তোলে (এসডিজি ৩)। দ্রুত নগরায়ণ এবং ভোগের ধরন মুম্বই, দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিকে এই সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত করেছে, যেখানে শহরগুলি ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মার্কেট-বেসড মেকানিজম বা বাজার-ভিত্তিক প্রক্রিয়া। এটি এমন একটি উদ্ভাবনী মডেল, যা অর্থনৈতিক প্রণোদনাকে পরিবেশগত দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে। পুনেতে বর্জ্য থেকে শক্তি কেন্দ্রের জন্য ব্যক্তিগত মূলধন সমন্বিত করার জন্য মিশ্র অর্থায়ন থেকে শুরু করে মেঘালয়ের পর্যটন-কেন্দ্রিক ডিপোজিট রিফান্ড সিস্টেম (ডিআরএস) পর্যন্ত… পদ্ধতিগুলি তহবিলের ব্যবধান পূরণ করতে, পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এবং উৎপাদকদের দায়বদ্ধ করে তুলতে বাজার শক্তিকে কাজে লাগায়। একটি বৃত্তাকার অর্থনীতিতে রূপান্তরের মাধ্যমে শহরগুলি প্লাস্টিক বর্জ্যকে দায় থেকে সম্পদে রূপান্তর করতে পারে এবং এসডিজি ১১ (স্থিতিশীল শহর) ও এসডিজি ১২-কে (দায়িত্বশীল ব্যবহার) এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
মিশ্র অর্থায়ন, সবুজ বন্ড, বর্ধিত প্রযোজক দায়িত্ব (ইপিআর), পে-অ্যাজ-ইউ-থ্রো (পে-টি) এবং ডিপোজিট রিফান্ড সিস্টেম (ডিআরএস)… এই পদ্ধতিগুলি তহবিলের ঘাটতি পূরণ করতে, পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এবং উৎপাদকদের দায়বদ্ধ করতে বাজার শক্তিকে কাজে লাগায়।
এই প্রবন্ধে পাঁচটি মডেলের উপর আলোকপাত করা হয়েছে - মিশ্র অর্থায়ন, গ্রিন বন্ড, এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসারস রেসপন্সিবিলিটি বা বর্ধিত প্রযোজক দায়িত্ব (ইপিআর), পে-অ্যাজ-ইউ-থ্রো (পিএওয়াইটি), এবং ডিআরএস - যা ভারতীয় শহরগুলিতে তাদের সাফল্য, স্থায়ী চ্যালেঞ্জ ও গ্লোবাল সাউথে নগর স্থায়িত্বকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার সম্ভাবনাকে দর্শায়।
বাজারের প্রতি নির্দেশ: পাঁচটি উপায়ে শহরগুলি প্লাস্টিকের জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে
১. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর জন্য মিশ্র অর্থায়ন
সরকারি, বেসরকারি ও জনহিতকর তহবিলকে একত্রিত করে মিশ্র অর্থায়ন মডেলগুলি বর্জ্য অবকাঠামোতে বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে প্রতিশ্রুতি দর্শিয়েছে। পুনে সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং পুনর্ব্যবহারের হার বাড়ানোর জন্য কর্পোরেট অংশীদারিত্বের সঙ্গে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে সমন্বিত করার বিষয়টি এই পদ্ধতিরই উদাহরণ। স্বচ্ছ ভারত মিশন-আরবান (এসবিএম-ইউ) তহবিল দ্বারা সমর্থিত শহরের বিকেন্দ্রীভূত বর্জ্য পৃথগীকরণ এবং কম্পোস্টিং উদ্যোগগুলি ল্যান্ডফিল পূরণ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের উন্নতি করেছে। একই ভাবে বর্জ্য থেকে শক্তি প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি-চালিত স্টার্টআপগুলির সঙ্গে বেঙ্গালুরুর অংশীদারিত্ব দর্শায় যে, মিশ্র অর্থায়ন কী ভাবে বৃত্তাকার সমাধানগুলিকে বাস্তবায়িত করতে পারে। তবে, সাফল্য সত্ত্বেও অসঙ্গতিপূর্ণ নীতি প্রয়োগ এবং খণ্ডিত বর্জ্য প্রবাহের কারণে শহরগুলি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে বাধার সম্মুখীন হয়। উদাহরণস্বরূপ, অব্যবস্থাপনার প্রতীক দিল্লির গাজীপুর ল্যান্ডফিল। এটি অপ্রতুল তহবিলযুক্ত অবকাঠামো ও বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাবের পরিণতিকেই দর্শায়।
২. গ্রিন মিউনিসিপ্যাল বন্ড
পরিবেশগত প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত গ্রিন বন্ডগুলি স্থিতিশীল অবকাঠামো তহবিলের হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। পুনে ও গাজিয়াবাদ এই ধরনের বন্ড পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করলেও, তাদের সম্ভাবনা এখনও অব্যবহৃত। মুম্বইয়ের প্রকল্পগুলি - যার মধ্যে রয়েছে উপাদান পুনরুদ্ধার সুবিধা (এমআরএফ) স্থাপন ও সচেতনতা প্রচারণা - কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য গ্রিন বন্ড অর্থায়ন থেকে উপকৃত হতে পারে। এই বন্ডগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্ল্যান্ট ও বর্জ্য থেকে শক্তি সুবিধাগুলিতে মূলধন প্রবাহিত করে এসডিজি ১১-র (স্থিতিশীল শহর) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তা সত্ত্বেও ভারতের গ্রিন বন্ডের বাজারটি সদ্যোজাত, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নিয়ন্ত্রক জটিলতা এবং বিনিয়োগকারীদের কম সচেতনতার কারণে সীমিত ক্ষমতা। এর পাশাপাশি, পৌর কর্পোরেশনগুলির প্রায়শই ব্যাঙ্কযোগ্য প্রকল্পগুলির পরিকল্পনার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব থাকে, যেমনটা অনেক স্থগিত বর্জ্য থেকে শক্তি উদ্যোগে দেখা যায়।
৩. এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেসপন্সিবিলিটি ক্রেডিট বা বর্ধিত প্রযোজক দায়িত্ব (ইপিআর) সংক্রান্ত ক্রেডিট
ইপিআর মতাদেশ উৎপাদনকারীদের ভোক্তা-পরবর্তী বর্জ্যের জন্য দায়বদ্ধ করে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্রেডিটগুলির জন্য বাজার তৈরি করে। হায়দরাবাদ-ভিত্তিক রিসাইকল এমন একটি ডিজিটাল পিআরও (প্রযোজক দায়িত্ব সংস্থা), যা ক্লাউড-ভিত্তিক মঞ্চের মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলিকে পুনর্ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত করে ইপিআর সম্মতির বিষয়টি সহজ করেছে। এই মডেলটি বর্জ্য সংগ্রহকে আনুষ্ঠানিক করলেও স্বচ্ছতা উন্নত করেছে। তবে সম্মতির বিষয়টি অসম রয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসার মধ্যে। কিছু শহরে ভারতের ৬০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচালনাকারী অনানুষ্ঠানিক বর্জ্য সংগ্রহকারীরা প্রায়শই ইপিআর কাঠামোর বাইরে কাজ করে, যার ফলে শোষণ ও অনিরাপদ পুনর্ব্যবহারযোগ্য অনুশীলনের দিকে পরিচালিত হয়।
৪. পে-অ্যাজ-ইউ-থ্রো (পে-ইট) স্কিম
পে-ইট স্কিম - যা বাসিন্দাদের থেকে উৎপাদিত অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের উপর ভিত্তি করে জরিমানা করে - উৎস পৃথগীকরণকে উৎসাহিত করে। ব্যবহারকারীদের অর্থ প্রদান এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে তিরুবনন্তপুরমে কেরালার পাইলট প্রকল্পটি ল্যান্ডফিল নির্ভরতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। একই ভাবে, ইন্দোরের মতো শহরগুলিতে উৎস পৃথগীকরণের উপর এসবিএম-ইউ-এর মনোযোগ এসডিজি ১২-র (দায়িত্বশীল খরচ) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্ব্যবহারের হার উন্নত করেছে। তবে, আচরণগত প্রতিরোধ ও অপ্রতুল প্রয়োগ বাস্তবায়নের মাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে। গ্রামীণ এলাকায় দুর্বল সংগ্রহ ব্যবস্থার কারণে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা ও পোড়ানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে, যেমনটা নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরায় দেখা যায়। এই অঞ্চলে মাথাপিছু বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের হার সবচেয়ে কম।
৫. ডিপোজিট রিফান্ড সিস্টেম (ডিআরএস)
মেঘালয়ের গ্রিন ডিপোজিট স্কিম এমন একটি ডিআরএস মডেল। পর্যটকদের নংরিয়াটের জীবন্ত রুট ব্রিজের মতো পরিবেশ-সংবেদনশীল অঞ্চলে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বহনের জন্য ১০০ টাকা ফেরতযোগ্য ডিপোজিট করতে হবে। গ্রাম পরিষদ দ্বারা পরিচালিত এই উদ্যোগটি আবর্জনা ফেলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করেছে এবং পরিবেশগত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন করেছে। একই সময়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সীমিত রিফিল স্টেশন এবং কিউআর-কোড ট্র্যাকিং সিস্টেমের মতো লজিস্টিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে পর্যটন মরসুমে প্রয়োগকারী ক্ষমতার উপর চাপ পড়ে, যেমনটা শিলংয়ের উপচে পড়া ভিড়ের স্থানগুলিতে দেখা যায়।
শুধু ডাস্টবিনেই সীমাবদ্ধ নয়: প্লাস্টিক বর্জ্য সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও চুক্তি
বাজারভিত্তিক উপকরণ এবং আচরণগত ইঙ্গিতগুলি শক্তিশালী সুবিধা প্রদান করে। তবে প্লাস্টিক বর্জ্য সমাধানের জন্য আরও গভীর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী বহুপাক্ষিক সমন্বয় প্রয়োজন। উদীয়মান প্রযুক্তি - যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-সক্ষম বর্জ্য বাছাই, এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপন্সিবিলিটি (ইপিআর) ক্রেডিট ট্র্যাক করার জন্য ব্লকচেন ও রাসায়নিক পুনর্ব্যবহার - বর্জ্য মূল্য শৃঙ্খলে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। ব্লু প্ল্যানেট এবং ভারতের লুক্রো প্লাস্টেসাইকেলের মতো সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বহুস্তরযুক্ত প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ এবং অনানুষ্ঠানিক বর্জ্য সংগ্রহকারীদের ডিজিটাইজড লজিস্টিক মঞ্চে সমন্বিত করার জন্য উদ্ভাবনগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। তবে নীতি সমন্বয় এবং দক্ষ জনবল ছাড়া সহায়ক বাস্তুতন্ত্রের প্রভাব সীমিত রয়ে গিয়েছে।
স্মার্ট সিটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত পৃথগীকরণ ইউনিট থেকে শুরু করে বাসেল কনভেনশনের অধীনে আন্তঃসীমান্ত পুনর্ব্যবহারযোগ্য অংশীদারিত্ব পর্যন্ত… একটি বৃত্তাকার প্লাস্টিক অর্থনীতির দিকে ভারতের যাত্রা প্রযুক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশ্বব্যাপী সংহতির উপর নির্ভর করে।
আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এই ব্যবধানগুলি পূরণ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ পরিষদ ২০২২ সালে রেজোলিউশন ৫/১৪ গ্রহণ করে, যা প্লাস্টিক দূষণের উপর একটি আন্তর্জাতিক আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করে এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশগুলি নিয়মকানুন নিয়ে সহমত হতে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২৫ সালের অগস্ট মাসে আইএনসি-৫.২-তে ষষ্ঠ এবং সম্ভাব্য চূড়ান্ত আলোচনার জন্য দেশগুলি প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রস্তুতিমূলক আঞ্চলিক আলোচনার একটি সিরিজ চলছে। সেখানে এমন একটি চুক্তির প্রত্যাশা রয়েছে, যা প্লাস্টিকের সম্পূর্ণ জীবনচক্রকে অন্তর্ভুক্ত করবে। একেবারে উৎপাদন থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত… সব দিকে খেয়াল রেখেই এই কাজ করা হবে।
এই আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ভারত প্লাস্টিক প্রশমন কৌশল বাস্তবায়নে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সহায়তা করার জন্য একটি নিবেদিত বৈশ্বিক তহবিল তৈরির প্রস্তাব করেছে। এই ধরনের তহবিল মন্ট্রিল প্রোটোকলের অধীনে জলবায়ু অর্থায়ন প্রক্রিয়াগুলিকে প্রতিফলিত করতে পারে, যা নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিকে প্রযুক্তি লভ্যতা, অবকাঠামো নির্মাণ এবং ডিআরএস বা ইপিআর কাঠামোর মতো মাত্রার উদ্ভাবনগুলিকে সক্ষম করে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ৩০ প্লাস্টিক ও জলবায়ুর মধ্যে যোগসূত্রকে আরও দৃঢ় করতে পারে, বিশেষ করে এ কথা বিবেচনা করে যে, ৯৯ শতাংশেরও বেশি প্লাস্টিক জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উদ্ভূত হয়, যা প্লাস্টিক হ্রাসকে নির্গমন প্রশমনে একটি মূল হাতিয়ার করে তোলে। এই মঞ্চগুলিতে সম্প্রদায়-ভিত্তিক বর্জ্য মডেল এবং ইপিআর ক্রেডিটের ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ে ভারতের নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ সহযোগিতার জন্য মূল্যবান কেস স্টাডি হিসেবে কাজ করতে পারে।
বিশ্ব যখন জলবায়ু, বর্জ্য ও জনস্বাস্থ্যের ‘নানাবিধ সঙ্কট’-এর সঙ্গে লড়াই করছে, তখন জাতীয় প্রচেষ্টাকে বিশ্বব্যাপী গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ইতিমধ্যে, সি৪০ এবং ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর লোকাল এনভায়রনমেন্টাল ইনিশিয়েটিভস-এর (আইসিএলইআই) মতো জলবায়ু জোটে সক্রিয় ভারতীয় শহরগুলিকে তাদের বর্জ্য কৌশলগুলিকে তাদের জাতীয় ভাবে নির্ধারিত অবদানের (এনডিসি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। সমন্বিত পরিকল্পনা - যেখানে জলবায়ু এবং বর্জ্য লক্ষ্যমাত্রাগুলি সামঞ্জস্যপূর্ণ - সবুজ জলবায়ু অর্থায়নের লভ্যতা ও সমন্বয়ের জন্য অপরিহার্য হবে। বিশ্ব যখন জলবায়ু, বর্জ্য ও জনস্বাস্থ্যের ‘নানাবিধ সঙ্কট’-এর সঙ্গে লড়াই করছে, তখন জাতীয় প্রচেষ্টাকে বিশ্বব্যাপী গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
স্মার্ট সিটিতে এআই-চালিত পৃথগীকরণ ইউনিট থেকে শুরু করে বাসেল কনভেনশনের অধীনে আন্তঃসীমান্ত পুনর্ব্যবহারযোগ্য অংশীদারিত্ব পর্যন্ত… একটি বৃত্তাকার প্লাস্টিক অর্থনীতির লক্ষ্যে ভারতের যাত্রা প্রযুক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বিশ্বব্যাপী সংহতির উপর নির্ভর করে। পরিশেষে, আন্তর্জাতিক গতির সঙ্গে দেশীয় উদ্ভাবনগুলিকে একত্রিত করে ভারতের নিজস্ব উপায়ে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করা এবং স্থিতিশীল, স্থিতিস্থাপক নগর ভবিষ্যৎ নির্মাণে গ্লোবাল সাউথের জন্য একটি নজির স্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌম্য ভৌমিক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর নিউ ইকোনমিক ডিপ্লোমেসির (সিএনইডি) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিজ অ্যান্ড সাস্টেনেবিলিটির গবেষক ও প্রধান।
আভির ভাল্লা যুব পরিবেশবিদ এবং স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Soumya Bhowmick is a Fellow and Lead, World Economies and Sustainability at the Centre for New Economic Diplomacy (CNED) at Observer Research Foundation (ORF). He ...
Read More +
Abhiir Bhalla is an internationally acclaimed youth environmentalist and sustainabilityconsultant. He sits on the board of the UK-based charity, Commonwealth Human EcologyCouncil, and has been ...
Read More +