Author : Anirban Sarma

Published on Dec 30, 2023 Updated 0 Hours ago

জলবায়ু পরিবর্তন মানবজাতির সামনে একক বৃহত্তম স্বাস্থ্য হুমকি, এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নশীল দেশগুলি জলবায়ু–প্ররোচিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির সামনে সবচেয়ে অরক্ষিত অবস্থায় থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

ভারতে জলবায়ু‌–সহনশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও বা হু) জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘‌মানবতার সামনে একক বৃহত্তম স্বাস্থ্য হুমকি’‌ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। হু উল্লেখ করেছে যে জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্যের পরিবেশগত ও সামাজিক নির্ধারকগুলিকে সরাসরি প্রভাবিত করে, এবং ২০৩০–২০৫০ সময়কালে অপুষ্টি, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও তাপপ্রবাহ প্রতি বছর অতিরিক্ত ২৫০,০০০ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘‌মানবতার সামনে একক বৃহত্তম স্বাস্থ্য হুমকি’‌ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।


গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নশীল দেশগুলি জলবায়ুর সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য সবচেয়ে বিপন্ন হবে। ২০২২ সালের একটি আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)
রিপোর্টে দেখা গেছে যে এশিয়ায় জলবায়ু বিপজ্জনকভাবে বিস্তৃত বিরূপ স্বাস্থ্যের ফলাফল ও রোগের উচ্চ প্রকোপে অবদান রাখছে।


চিত্র 1

ভারতে জলবায়ু–স্বাস্থ্যের যোগসাজস

ভারত জলবায়ু–সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং জলবায়ু পরিবর্তন সারা দেশে স্বাস্থ্যকে তিনটি প্রধান উপায়ে প্রভাবিত করছে:

জলবায়ু পরিবর্তন ও ‌বিভিন্নতা সরাসরি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে
পুষ্টির স্তরের জন্য নেতিবাচক প্রভাব সহ খাদ্য নিরাপত্তা প্রভাবিত হয়
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলিকে ব্যাহত করে

চরম তাপ এবং স্বাস্থ্যের জন্য এর পরিণতি

আমাদের গ্রীষ্মকাল ক্রমশ দীর্ঘতর ও উষ্ণতর হচ্ছে, ভারতের আবহাওয়া দফতরের
রিপোর্টগুলি লক্ষ্য করেছে। ভারতের কিছু অংশ ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালে তাদের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল অনুভব করেছে; এবং, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করতে হয়েছিল। তাপপ্রবাহের পুনরাবৃত্তি (‌ফ্রিকোয়েন্সি)‌ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় রাজ্যের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।

তাপপ্রবাহগুলি কেবল শ্বাসযন্ত্রের ও কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলিকে
বাড়িয়ে তুলছে না, অসুস্থতা যেমন তাপ ক্লান্তি (‌হিট এক্জঅশান)‌ ও হিটস্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের মতো অবস্থাগুলিও ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যাপক হয়ে উঠছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে। দরিদ্র‌ মানুষদের ও বহিরাঙ্গন কর্মীদের উপর তাপের ক্লান্তিকর প্রভাব বিপজ্জনক এবং কখনও কখনও প্রাণঘাতী হতে পারে। চরম তাপ যেভাবে স্বাস্থ্য ও জীবনীশক্তি নষ্ট করে তা অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতাকেও প্রভাবিত করে। ২০৫০ সাল নাগাদ, বিশ্রামের বিরতির প্রয়োজনের কারণে ভারতে বিভিন্ন শ্রেণির কাজের মধ্যে দুপুর বারোটার পরের কাজের অর্ধেক সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে‌। [১]


তাপপ্রবাহের পুনরাবৃত্তি (‌ফ্রিকোয়েন্সি)‌ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় রাজ্যের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।



এর উপর আবার তীব্র তাপ ও স্থবির বায়ুর কারণে ওজোন দূষণ ও কণা পদার্থের (‌পার্টিকুলেট ম্যাটার)‌ পরিমাণ বৃদ্ধি করে। বিশ্বব্যাপী প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও
চরম তাপ ও চরম বায়ু দূষণের বার্ষিক দিনের (‌অ্যানুয়াল ডেজ)‌ সংখ্যা বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই দ্বৈত ঘটনার পুনরাবৃত্তি দ্রুত গতিতে বাড়বে বলে অনুমান করা হয়েছে, এবং বায়ু দূষণের অন্যান্য অবদানকারীর সঙ্গে মিলিত হলে রোগের প্রবণতা, চেতনা (‌কগনিটিভ)‌ ও স্নায়বিক বৈকল্য এবং গর্ভবতী মা ও  শিশুদের উপর ক্ষতিকারক প্রভাবগুলির তীব্র বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।

উত্তপ্ত জলবায়ু, অনিয়মিত ও পরিবর্তনশীল বৃষ্টিপাত, এবং ভারতের বিভিন্ন অংশে খরার মতো অবস্থা কীট–বাহিত রোগের (ভিবিডি) বৃদ্ধির দিকেও চালিত করেছে। নিপা ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মতো ভিবিডি–গুলি নিয়মিত হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ করেছে৷ ডায়রিয়াজনিত রোগগুলিকে একটি প্রধান জলবায়ু–জনিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসাবেও বিবেচনা করা হয় এবং জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে শৈশব ডায়রিয়ার প্রকোপ ৯ শতাংশ থেকে ৯.২ শতাংশে বেড়েছে৷ ডায়রিয়া আজ দেশে পাঁচ বছরের কমবয়সীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী
তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ রোগ

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং পতনশীল পুষ্টির মাত্রা

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে পরিবর্তিত জলবায়ু এবং তার ফলস্বরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষির ফলন কম হচ্ছে, এবং ভারতে ফসলের পুষ্টির মান হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টি ব্যাপক হারে বাড়ছে। যেমন ধান ও গমের ফলন ও তাতে পুষ্টি উপাদান ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে; এবং ওডিশার মতো রাজ্যে, যেগুলি বিশেষ করে পুনরাবৃত্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তার অভাব শিশু দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টির দিকে চালিত করেছে।


চিত্র ২

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং পরিষেবাগুলিতে বাধা

এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ভারতে চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও পরিষেবাগুলি অস্থিতিশীল ও ব্যাহত হয়েছে। ২০২০ সালে, উদাহরণস্বরূপ, সুপার–সাইক্লোন আমফান ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের বিশাল অংশকে ধ্বংস করেছে, এবং কোভিড–১৯ ত্রাণ প্রচেষ্টা ও হাসপাতালের পরিষেবাগুলিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এক পক্ষকাল পরে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ মহারাষ্ট্রে আঘাত হানে, এবং এমন সময়ে চিকিৎসা পরিষেবাগুলিকে ধ্বংস করে দেয় যখন রাজ্যটিতে ভারতের সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড আক্রান্ত ছিলেন। দুই বছর পরে অসমের বিধ্বংসী বন্যা একাধিক জেলা জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অচল করে দিয়েছিল, এবং জলমগ্ন কাছাড়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে একটি খোলা রাস্তায় রোগীদের চিকিৎসা করতে হয়েছিল।

অভিযোজিত নীতি এবং প্রতিক্রিয়া

বেশ কয়েকটি ভারতীয় নীতি ও পরিকল্পনা স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ুর প্রভাবকে স্বীকার করে, কিন্তু তাদের বাস্তবায়ন সবসময় জলবায়ু–সহনশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর যথেষ্ট মনোযোগ দেয় না। যেমন,
ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এনএপিসিসি) ব্যাপকভাবে স্বীকার করে যে জলবায়ু পরিবর্তন নির্দিষ্ট জনতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে, এবং নতুন অঞ্চলে ভিবিডি–র বিস্তারকে ত্বরান্বিত করতে পারে। অ্যাকশন প্ল্যানটি রোগের ধরন ও কারণগুলি সম্পর্কে আরও গবেষণা করার সুপারিশ করে। ‘‌প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ও তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার বিধান’‌ বাড়ানো এবং ‘‌কীট নিয়ন্ত্রণ, স্যানিটেশন এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ সহ জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা’‌ উন্নত করার মতো অ্যাকশন পয়েন্টগুলির উপর একটি শক্তিশালী ফোকাস খুবই মূল্যবান হতে পারে।


এক পক্ষকাল পরে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ মহারাষ্ট্রে আঘাত হানে, এবং এমন সময়ে চিকিৎসা পরিষেবাগুলিকে ধ্বংস করে দেয় যখন রাজ্যটিতে ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড আক্রান্ত ছিলেন।

 

বর্তমানে, এনএপিসিসি–র আটটি জাতীয় মিশনের একটিও স্বাস্থ্য বিষয়ক নয়। তাই ২০১৮ সালে অনুমোদনের জন্য টেবিল করা জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব স্বাস্থ্যের  জন্য খসড়া জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা ও কার্যকর করা অপরিহার্য। আপাতত, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জাতীয় কর্মসূচির মাধ্যমে এই ঘাটতিটি কিছুটা হলেও সমাধান করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি প্রশমিত করতে চায় এবং তা নিয়ে অংশীদারদের সংবেদনশীল করছে, আন্তঃক্ষেত্রীয় সহযোগিতা তৈরি করছে, স্বাস্থ্য প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করছে, এবং এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সক্ষমতা তৈরি করছে।


আরেকটি উল্লেখযোগ্য নীতি পাঠ্য হল ২০১৯ সালের আপডেট করা
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (এনডিএমপি), যা জলবায়ু ও স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলির ছেদবিন্দুগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য একটি ব্যাপক ও সুগঠিত পদ্ধতি গ্রহণ করে। বিপর্যয় প্রতিরোধ করা বা ঝুঁকি হ্রাস করা অনুকূল স্বাস্থ্য ফলাফলের দিকে চালিত করতে পারে বলে বিশ্বাসের ভিত্তিতে এনডিএমপি রাজ্যগুলির জন্য এমন একটি কাঠামো প্রদান করে যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দৃঢ়তা বাড়ানো, দুর্যোগের প্রভাবগুলি পরিচালনা ও পুনরুদ্ধার করার জন্য জনসম্প্রদায়ের সক্ষমতাকে শক্তিশালী করা, স্বাস্থ্যসেবার সমস্ত স্তরে ঝুঁকি হ্রাস কৌশল তৈরি করা, এবং একটি জলবায়ু ঘটনা ঘটার আগে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জরুরি ব্যবস্থাপকদের পরিকল্পনা পর্যায়ে নিযুক্ত করার বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত।

তা ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জলবায়ু বিপত্তির থেকে কীভাবে স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা যেতে পারে সে সম্পর্কে জনচেতনা বাড়াতে সহায়তা করতে  পারে।

এনএপিসিসি ও এনডিএমপি–র সাফল্য শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে রাজ্যগুলি তাদের স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এসএপিসিসি) ও স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (এসডিএমপি)–এর মাধ্যমে কতটা ভালভাবে নিজেদের অভিযোজিত করবে ও এগুলি কার্যকর করবে তার উপর। এখনও অবধি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলিকে মোকাবিলা করার বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় স্তরে হস্তক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত করার সময় সর্বদা যথাযথ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। রাজ্য, জেলা, পঞ্চায়েত ও জনসম্প্রদায় স্তরে অংশীদারদের সঙ্গে মিলে কাজ করে যতটা সম্ভব এই পরিকল্পনাগুলির বাস্তবায়নকে জরুরিভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, সচেতনতা বাড়ানো এবং সমস্ত স্তরে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জড়িত করার প্রয়োজন আছে। 

জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কিত সর্বোত্তম অনুশীলন বিকাশের জন্য স্বাস্থ্য ও জলবায়ু কুশীলবদের জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি রেকর্ড করা উচিত। ভারতে ইতিমধ্যেই এই ধরনের বিভিন্ন
তথ্য সংকলন রয়েছে, তবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটি কীভাবে কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা করতে পারে তার আরও উদাহরণ বা কেস স্টাডির দাবি রয়েছে, যা পরে অন্য কোথাও অনুকরণীয় মডেল হিসাবে প্রদর্শিত হতে পারে। সমান্তরালভাবে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ, যা এই জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার সুবিধা দেয়। তা ছাড়া মিডিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জলবায়ু বিপত্তির থেকে কীভাবে স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা যেতে পারে সে সম্পর্কে জনচেতনা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।

আশা–সহ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণে জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয়তাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।



শেষ পর্যন্ত, তিনটি মূল
কাঠামোগত পরিবর্তন শুরু করা উচিত। প্রথমত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলিকে অবশ্যই সর্বোত্তম পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, এবং সেগুলি যে জলবায়ু অঞ্চলে কাজ করে সেখানকার স্বতন্ত্র চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার উপযোগী হতে হবে৷ এর জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, পরিষেবা, এবং সেই অনুযায়ী সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আশা–সহ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের প্রশিক্ষণে জলবায়ু–সম্পর্কিত ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয়তাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কাজেই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি তৈরির জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের দলগুলিকে এমন এলাকায় রাখা যেতে পারে যেগুলি বিশেষ করে দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ। পরিশেষে, জলবায়ু উদ্যোগ ও স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতির একটি সুসংহত একীকরণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রক ও সরকারি বিভাগগুলিকে যৌথভাবে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, অভিন্ন লক্ষ্য তৈরি করতে হবে, এবং তাদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি অংশীদারদের কাছ থেকে ইনপুট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

———————————
অনির্বাণ সরমা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র ফেলো

[i] মৃদুলা রমেশ, দ্য ক্লাইমেট সলিউশন: ইন্ডিয়াস ক্লাইমেট চেঞ্জ ক্রাইসিস অ্যান্ড হোয়াট উই ক্যান ডু অ্যাবাউট ইট (নয়াদিল্লি: হ্যা‌শেট, ২০১৮), ৬০–৬১।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.