Published on Feb 06, 2025 Updated 0 Hours ago

সরকারের বার্ষিক প্রতিশ্রুতি বড় বাজেট বরাদ্দ সত্ত্বেও বাস্তব অগ্রগতি অধরা রয়ে গিয়েছে।

বাজেট ২০২৫-২৬ ও নারীর ক্ষমতায়ন: ভারত কি তার লিঙ্গ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে?

Image Source: Getty

ভারত যখন ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষে এগিয়ে চলেছে, তখন দেশটি জেন্ডার বাজেট বা লিঙ্গ সংক্রান্ত বাজেটের দুই দশক দ্‌যাপন করছে। তাঁর বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন, যা ভারতের প্রবৃদ্ধির আখ্যানের কেন্দ্রস্থলে মহিলাদের জায়গা করে দিয়েছে। যুবক, কৃষক মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপর সুস্পষ্ট মনোনিবেশ করার পাশাপাশি এই বছরের বাজেটটি ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এই রূপান্তরের একটি ভিত্তি হল নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন। এই বাজেটে স্থির করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল কর্মশক্তিতে ৭০ শতাংশ নারীকে সমন্বিত করা। কিন্তু ২০২৫-২৬ লিঙ্গ বাজেট কতটা ভাল ভাবে এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রাগুলি পূরণ করে? এই প্রতিবেদনে বাজেট বরাদ্দের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করে সেগুলি কী ভাবে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং সুরক্ষা ও নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং নারীচালিত উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেই দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।

কর্মসংস্থান

কৃষোন্নতি যোজনার মতো কৃষি প্রকল্পগুলি (২০২৫-২৬ সালের জন্য ২৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ-সহ) মহিলা কৃষকদের জন্য উত্সর্গীকৃত বিধান ছাড়াই লিঙ্গ বাজেটের পার্ট বি-র অধীনে রয়ে গিয়েছে

নারী-সহ প্রথম বারের উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে এই বছরের লিঙ্গ বাজেটে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আগামী পাঁচ বছরে কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নারী কর্মীবাহিনীর অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং প্রতিটি বাজেটে এটিকে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ফিমেল লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট (এফএলএফপিআর) ২০২৩-২৪ সালে ৪১.৭ শতাংশে সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়েছে। পিএম এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রামের (পিএমইজিপি) মতো উদ্যোগগুলি উদ্যোক্তাদের সমর্থন করার জন্য পরিকল্পনা করা হলেও পিএমইজিপি-র জন্য তহবিল ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দকৃত ১০১২.৫০ কোটি টাকা থেকে কমে ২০২৫-২৬ সালে ৮৬২.৫০ কোটি টাকা হয়েছে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে (এমজিএনআরইজিএস) - যা নারীদের দ্বারা ৫৭.৮ শতাংশ ব্যক্তি/দিন কাজের কথা দর্শায় - ৪০০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং তা এই খাতে ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দকৃত ৩৭,৬৫৪ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধিকেই দর্শায়। যাই হোক, এই বরাদ্দের মাত্র ৩৩.৬ শতাংশ লিঙ্গ বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে, যা লিঙ্গ-সংবেদনশীল বাজেটে মহিলাদের অবদানের সম্পূর্ণ স্বীকৃতির বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেসর্বোপরি, ৮০ শতাংশ নারী কৃষিকাজে জড়িতকিন্তু জমির মালিকদের মাত্র ১৩.৯ শতাংশ নারী। তা সত্ত্বেও, কৃষোন্নতি যোজনার মতো কৃষি প্রকল্পগুলি (২০২৫-২৬ সালের জন্য ২৫৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ-সহ) মহিলা কৃষকদের জন্য উত্সর্গীকৃত বিধান ছাড়াই লিঙ্গ বাজেটের পার্ট বি-র অধীনে রয়ে গিয়েছে

শিক্ষা

আগের দুই বছরের তুলনায় পিএম প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ (পিএম পোষণ) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দর্শিয়েছে।

শিক্ষা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মূল চাবিকাঠি। ভারত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ ব্যবধান পূরণ করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন করলেও উচ্চ শিক্ষায় ড্রপ আউট বা পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার হার ব্যাপক। উদাহরণস্বরূপ, স্টেম (এসটিইএম) স্নাতকদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি নারীকিন্তু মাত্র ১৪ শতাংশই স্টেম ভূমিকায় নিযুক্ত হন, যা একটি লিকি পাইপলাইন’কেই (অর্থাৎ পড়াশোনার ক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে গিয়ে অন্য ক্ষেত্রে জীবিকা নির্ধারণ করা) দর্শায়। ২০২৫-২৬ বাজেট পার্ট এ-র অধীনে ন্যাশনাল মিশন অন এডুকেশন থ্রু আইসিটি-র (এনএমইআইসিটি) মাধ্যমে লিঙ্গ ডিজিটাল বিভাজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ১০০ শতাংশ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। যাই হোক, এই প্রকল্পের জন্য তহবিল ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দকৃত ৫৫১.২৫ কোটি টাকা থেকে কমে ২২৯.২৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা ডিজিটাল লিঙ্গ ব্যবধান পূরণের জন্য সংস্থান সম্পর্কে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। অন্য দিকে, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের তহবিল বৃদ্ধি পেয়ে  ১২,৩৭৫ কোটি টাকা হয়েছে এবং পিএম শ্রী স্কুল প্রকল্পটি ২২৫০ কোটি টাকা উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা পেয়েছে, যা শিক্ষার মান স্কুল পরিকাঠামোর উন্নতির ইঙ্গিত দেয়। আগের দুই বছরের তুলনায় পিএম প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ (পিএম পোষণ) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দর্শিয়েছে।

আবাসন

আবাসন এই বছরের লিঙ্গ বাজেটে সিংহভাগ জায়গা করে নিয়েছে। পিএমএওয়াই-আরবান প্রকল্পে ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দকৃত ১৫১৭০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এ বছর ২৩২৯৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে এবং অন্য দিকে পিএমএওয়াই-আরবান . প্রকল্পে ১৫০০ কোটি থেকে টাকা বেড়ে ৩৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এ ছাড়াও, পিএমএওয়াই-জি (গ্রামীণ আবাসন) প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৩২৫০০ কোটি থেকে বেড়ে ৫৪৮৩২ কোটি টাকা হয়েছে৷ এই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও, পিএমএওয়াই-জি আবাসনগুলির মাত্র ৭৩% মহিলাদের নামে নিবন্ধিত এবং মহিলাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন সম্পর্কে এই তহবিলগুলির ব্যবহারিকতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সর্বোপরি, পিএমএওয়াই-আরবান-এর পার্ট বি থেকে পার্ট এ-তে বিগত বছরগুলিতে স্থানান্তরকরণ নারী-নির্দিষ্ট ব্যয়ের অনুরূপ বৃদ্ধি ছাড়াই কৃত্রিম ভাবে লিঙ্গ বাজেটের পরিসংখ্যানকে বাড়িয়ে তুলেছে। তহবিল বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক উন্নয়ন হলেও তহবিল ফলাফলের মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব এবং বিভ্রান্তি এই সংস্থানগুলিকে প্রকৃত পরিবর্তনের দিকে চালনা জন্য আরও বেশি মনোযোগী নারীকেন্দ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজনের কথা বলে।

স্বাস্থ্য

অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আশ্চর্য রকমের কম বেতন পা। এই অপ্রতুল  তহবিল মহিলাদের স্বাস্থ্যের চাহিদার প্রতি বিদ্যমান অবহেলা এবং সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের জন্য জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।

স্বাস্থ্য হল নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক এবং এই বছরের বাজেট মূল ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিকেই দর্শায়। সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি পোষণ ২.০ প্রকল্পগুলিতে ২০২৩-২৪ সালের বরাদ্দ ৪৫০.৯৮ কোটি টাকাতেই স্থির থেকেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলিতে বরাদ্দ ২২০ কোটি টাকার তুলনায় যৎসামান্য বৃদ্ধিকেই দর্শায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, আয়ুষ্মান ভারত - প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (পিএমজেএওয়াই) প্রকল্পে ৩৬২৪.৮০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪৮২.৯০ কোটি টাকা হয়েছে। যাই হোক, এই বরাদ্দটি লিঙ্গ বাজেটের পার্ট বি-র আওতাধীন, যেখানে এ কথা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে, এই বরাদ্দের অন্তত ৩০ শতাংশ নারীদের জন্য ব্যবহার করতে হবে, যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর তার প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে। একই ভাবে, ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে মহিলাদের জন্য একটি অনন্য উদ্বেগ মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন স্কিম-কে (এমএইচএস) পার্ট বি-তে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দকৃত অর্থায়নের মাত্র ৩০ শতাংশ মহিলাদের দিকে চালিত হয়, যা একটি মারাত্মক অসঙ্গতি। মাতৃ বন্দনা যোজনার অধীনে মায়ের মাথাপিছু ৬০০০ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা ২০১৩ সাল থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে সামাল দিতে অপারগ। সবশেষে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আশ্চর্য রকমের কম বেতন পা। এই অপ্রতুল তহবিল মহিলাদের স্বাস্থ্যের চাহিদার প্রতি বিদ্যমান অবহেলা এবং সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের জন্য জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।

সুরক্ষা ও নিরাপত্তা

সত্যিকারের ক্ষমতায়নের জন্য নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অত্যাবশ্যককিন্তু বাজেট বরাদ্দ এ ক্ষেত্রে এখনও উল্লেখযোগ্য ব্যবধানকেই দর্শায়। নির্ভয়া ফান্ডে - যা ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট, ক্রাইসিস সেন্টার নজরদারিকে সমর্থন করে – সামান্য বৃদ্ধিই লক্ষ করা গিয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ ১৮০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫-২৬ সালে ২০০ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। যাই হোক, প্রকল্পের সূচনা থেকে বরাদ্দকৃত ৭২১২ কোটি টাকার প্রায় ৭৪ শতাংশ অব্যবহৃত রয়ে গিয়েছে, যা তহবিলের কার্যকর ব্যবহার সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মিশন শক্তি চালু হয়েছে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের সুরক্ষা ক্ষমতায়নের উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। এর দু’টি ভিত্তি হল নিরাপত্তার জন্য সম্বল (ওয়ান স্টপ সেন্টার, মহিলা হেল্পলাইন ইত্যাদি) এবং ক্ষমতায়নের জন্য মর্থ (প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা, সংকল্প ইত্যাদি) সমর্থ খাতে ৯৫৩.৭৪ কোটি টাকা থেকে ২৩৯৬ কোটি টাকার উল্লেখযোগ্য তহবিল বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে, তখন সম্বল’ খাতে বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা ২০২৩-২৪ সালে বরাদ্দ অর্থাৎ ৬২৯ কোটি টাকাই রয়েছে। লিঙ্গ-সংবেদনশীল সরকারি পরিবহণে বিনিয়োগের অভাবের বিষয়ে তদারকি করা জরুরি। কারণ ৯১ শতাংশ শহুরে মহিলারা নিজেদের সুরক্ষিত বলে মনে করেন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, যা কর্মসংস্থানে তাঁদের প্রবেশাধিকারকে সীমিত করে।

লিঙ্গ-সংবেদনশীল বাজেটের জন্য পথ প্রশস্ত করা

নারীর কর্মশক্তির অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই মানব পুঁজির উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে। আবাসন ভর্তুকিতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে এমনটা অর্জন করা যেতে পারে।

সরকারের বার্ষিক প্রতিশ্রুতি বড় বাজেট বরাদ্দ সত্ত্বেও বাস্তব অগ্রগতি তেমন হয়নি। এই সংখ্যাগুলিকে অর্থবহ করে তোলার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রকৃত প্রভাব সুনিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে নীতি আয়োগ দ্বারা সুপারিশকৃত লিঙ্গ বাজেট আইনের বাস্তবায়ন। এই আইনটি সমস্ত মন্ত্রএবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে লিঙ্গভিত্তিক বাজেটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং তার পাশাপাশি নজরদারি প্রক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি অর্থাৎ লিঙ্গ-বিচ্ছিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও সেই তথ্যের প্রকাশকে বাধ্যতামূলক করবে

নারীর কর্মশক্তির অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই মানব পুঁজির উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে। আবাসন ভর্তুকিতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে এমনটা অর্জন করা যেতে পারে। সর্বোপরি, অবৈতনিক যত্ন প্রদানের বোঝা মোকাবিলা করা - যা ভারতের জিডিপির ১৫ শতাংশ-১৭ শতাংশের জন্য দায়বদ্ধ - সবেতন ছুটি সংক্রান্ত নীতি, যত্ন পরিষেবা সংক্রান্ত ভর্তুকি এবং যত্নপ্রদানকারীদের জন্য দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

পরিশেষে, জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাবের পাশাপাশি নারীরা, বিশেষ করে কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রথম সারিতে রয়েছে। নানাবিধ গবেষণা দর্শায় যে, মহিলারা তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য জলবায়ু সম্পর্কিত সঙ্কট দ্বারা অসম ভাবে প্রভাবিত হ। তাই, লিঙ্গ বাজেটের সংস্কার জরুরি, যাতে এটি সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং যা সকল ক্ষেত্রে নারীর তাৎক্ষণিক দীর্ঘমেয়াদি উভয় ধরনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়

 


শ্যারন সারা থাওয়ানে অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টরের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.