-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিন তিব্বতের উপর তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ভুটান একটি বাস্তববাদী অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং তা হল নীরব সংকল্পের পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ভুটান সরকারের সহযোগিতায় থিম্পুতে চিনা নববর্ষ উদ্যাপনের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের পর ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিব্বতকে জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সর্বশেষ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন চিন তিব্বত সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মুখোমুখি হচ্ছে - বিশেষ করে দলাই লামার উত্তরাধিকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে। এই উদ্বেগগুলি গত আট দশক ধরে ভুটানের সঙ্গে বেজিংয়ের যোগাযোগকে আকার দিয়েছে এবং এই সময়টি যে আলাদা নয়… সে কথা স্বীকার করে নিয়েই থিম্পু চূড়ান্ত বাস্তববাদিতার সঙ্গেই ফলাফলের জন্য প্রস্তুত।
চিনের দুর্বলতম ক্ষেত্র
ঐতিহাসিক ভাবে ভুটান ও তিব্বতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ভুটানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিব্বতের হস্তক্ষেপের মাঝেই তিব্বত ভুটানের সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্ম এবং বাণিজ্যকে আকার দিয়েছে। ভুটান এমনকি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত লাসায় একজন প্রতিনিধি রেখেছিল এবং তিব্বতের প্রতি বার্ষিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিল। তিব্বত ভুটানকে তার করদ-রাষ্ট্র এবং অধীনস্থ হিসেবে দাবি করলেও তেমন প্রমাণ খুব কমই পাওয়া যায়। ভারতের স্বাধীনতার পর তিব্বত সরকার নয়াদিল্লিকে তাদের দাবি জানিয়েছিল, যার মধ্যে কিছু দাবি ভুটানের সঙ্গেও জড়িত ছিল। কারণ ভারত তখন ভুটানের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করেছিল। এই দাবিগুলি ১৯৫০ সালে তিব্বতের অধিগ্রহণের পর ভুটানের উপর চিনের দাবির পথ প্রশস্ত করেছিল।
প্রাথমিক ভাবে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি জোর দিয়ে বলেছিল যে, তারা ভুটান দখল করবে। তবে পরে বেজিং তার সুর নমনীয় করে এবং ভুটানের মধ্যে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল দাবি করে।
তিব্বত অধিগ্রহণের পর চিন ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগাভাগির কাজ করতে শুরু করে, যার সঙ্গে চিরাচরিত ভাবে চিনের সীমানা অনির্ধারিত ছিল। প্রাথমিক ভাবে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি জোর দিয়ে বলেছিল যে, তারা ভুটান দখল করবে। তবে পরে বেজিং তার সুর নমনীয় করে এবং ভুটানের মধ্যে শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল দাবি করে। এই দাবিগুলি মূলত দু’টি উৎস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল: তিব্বতি রেকর্ড এবং তিব্বতি পশুপালকদের দ্বারা ব্যবহৃত চারণভূমি। চিন একটি ‘ক্যারট অ্যান্ড স্টিক’ (উপঢৌকন এবং শাস্তি) পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল এবং অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রদান করেছিল। যদিও চিন ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের মধ্যে ভুটানের অঞ্চলগুলি দাবি করে একাধিক মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এই দাবিগুলি ভুটানকে তার বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করতে এবং তিব্বত থেকে তার দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল। পরবর্তী কালে ভুটান অবশ্য দক্ষিণের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ভারতের প্রতি এই ঝোঁক তিব্বত ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে বেজিংয়ের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ১৯৫০-এর দশকে নেপালের মাধ্যমে তিব্বতি বিদ্রোহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নের ফলে এই উদ্বেগের সূত্রপাত হয়। তখন থেকেই চিনের প্রতিক্রিয়া দ্বিগুণ হয়েছে: তিব্বতের উপর তার অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করা এবং আঞ্চলিক বিরোধ বন্ধ করে ভুটানকে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার জন্য চাপ দেওয়া। এটি চারটি হিসেবের অঙ্ক দ্বারা পরিচালিত হয়: প্রথমত, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও অনুপ্রবেশ থেকে তিব্বতকে নিরাপদ রাখা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারতের প্রভাব হ্রাস করা এবং ভুটানে ভারতের প্রভাব কমানো, যাতে এর নিরাপত্তা এবং মর্যাদা চ্যালেঞ্জহীন থাকে। তৃতীয়ত, একটি এশীয় শক্তি হিসেবে নিজের স্বীকৃতি জোরদার করা, যেহেতু ভুটান চিনের সেই একমাত্র প্রতিবেশী, যার কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ভারতের পরে একমাত্র দেশ, যার সঙ্গে চিনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। চতুর্থত, নিজের অঞ্চল সম্প্রসারণ করা এবং ভুটান ও ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান বৃদ্ধি করা।
জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক চিনের সর্বশেষ শ্বেতপত্রে দেশটিতে, বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চলে, ক্রমবর্ধমান বহিরাগত হস্তক্ষেপের এই উদ্বেগকে তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমানে তিব্বত সম্পর্কে চিনের সামনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে: দলাই লামার উত্তরাধিকার এবং ক্রমবর্ধমান মার্কিন-চিন উত্তেজনা, যা ভারত-মার্কিন সহযোগিতা এবং নেপাল ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে এই দুই মহাশক্তির প্রভাব বৃদ্ধির ফলে আরও তীব্র হয়েছে। ২০০২, ২০২০ ও ২০২৪ সালের মার্কিন তিব্বত নীতি আইন এবং ১৪তম দলাই লামা ও অনেক তিব্বতিকে ভারতের আতিথেয়তা চিনাদের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক চিনের সর্বশেষ শ্বেতপত্রে দেশটিতে, বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চলে, ক্রমবর্ধমান বহিরাগত হস্তক্ষেপের এই উদ্বেগকে তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে বেজিং তার সরকারি নথি ও বিবৃতিতে তিব্বতের জন্য ‘অ-ঔপনিবেশিক’ শব্দবন্ধ জিজাং ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তাও প্রকাশ করেছে। এটি বেজিংকে তিব্বতের উপর তার বৈধতা আরও বাড়িয়ে তুলতে এবং হান-কেন্দ্রিক আখ্যানের মধ্যে তিব্বতি পরিচয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা করেছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকেও তিব্বতকে তার নতুন নাম ধরে সম্বোধন করার এবং তাদের এক-চিন নীতিতে তিব্বতকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ করে দিয়েছে।
অনির্ধারিত সীমানা: বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু
প্রাথমিক বছরগুলিতে চিনা দাবির মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। ১৯৫৮ সালে চিন ভুটানের ৩০০ বর্গমাইলেরও বেশি অঞ্চল দখল করে এবং সম্ভবত তিব্বতি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে তাদের দমন অভিযানের অংশ হিসেবেই এমনটা করতে সক্ষম হয়। পরের বছর ১৯৫৯ সালে চিনের কর্মকর্তারা পশ্চিম তিব্বতের আটটি ভুটানি ছিটমহল দখল করে এবং সমগ্র তাশিগাং এলাকা ও ডোকলাম অঞ্চল দাবি করে।
১৯৮৪ সাল থেকে চিন ও ভুটান সীমানার স্বীকৃতি ও সীমানা নির্ধারণের জন্য ২৫ দফায় আলোচনা করেছে। এই আলোচনার ফলে ভুটানের পশ্চিম অংশে বিতর্কিত ভূখণ্ডের এলাকা ১,১২৮ বর্গকিলোমিটার থেকে কমিয়ে ২৬৯ বর্গকিলোমিটার করা হয়েছে। বিতর্কিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে: উত্তরে, পাসামলুং ও জাকারলুং উপত্যকা; এবং পশ্চিমে, দ্রামানা ও শাখাতো, সিনচুলুংপা ও ল্যাংমারপো উপত্যকা, ইয়াক চু ও চারিথাং উপত্যকা এবং ডোকলাম অঞ্চল।
১৯৯০-এর দশক থেকে চিন বিতর্কিত এলাকায় রাস্তাঘাট ও বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে এবং তিব্বতি পশুপালকদের এই অঞ্চলে চরে বেড়াতে ও তাদের ভুটানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে উৎসাহিত করেছে।
এই আলোচনা দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বত নিয়ে চিনের উদ্বেগ তার জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে চিন বিতর্কিত এলাকায় রাস্তাঘাট ও বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে এবং তিব্বতি পশুপালকদের এই অঞ্চলে চরে বেড়াতে ও তাদের ভুটানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে উৎসাহিত করেছে। ২০১৬ সাল থেকে তারা এই বিতর্কিত অঞ্চলে ২২টিরও বেশি গ্রাম এবং প্রায় ১,০০০ আবাসন তৈরি করেছে। তিব্বতিদের এই গ্রামে বসতি স্থাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ও সহায়তা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সীমান্ত আলোচনা শুরু হওয়ার পর প্রথম বারের মতো চিন সাকতেং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের (তাশিগাং এলাকার অংশ) উপরও নতুন দাবি তুলে ধরে। কিছু ক্ষেত্রে, দাবির ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য বেজিং ঐতিহাসিক রেকর্ড ব্যবহার করে; অন্য ক্ষেত্রে, তারা বসতি স্থাপন ও পশুপালকদের চারণভূমি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘সরেজমিন তথ্য’ নির্মাণ করে নিজের অবস্থান জোরদার করেছে, অঞ্চল সম্প্রসারণ করেছে এবং আলোচনার সময় ভুটানকে স্থিতাবস্থা মেনে নিতে চাপ দিয়েছে।
উদ্বেগ প্রশমন: ভুটানের বাস্তববাদী পদক্ষেপ
চিনের ক্রমবর্ধমান চাপ ভুটানকে ২০২০ সাল থেকে সীমান্ত আলোচনা ত্বরান্বিত করতে বাধ্য করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চিন ও ভুটান বেজিংয়ে ২৫তম দফা সীমান্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত করে, যেখানে তারা সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে যৌথ কারিগরি দলের (জেটিটি) দায়িত্ব ও কার্যাবলি নিয়ে একটি সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। আলোচনার সময় উভয় দেশ সীমানা নির্ধারণ ত্বরান্বিত করতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। বৈঠকে ভুটান চিনা উদ্বেগগুলি প্রশমন করে এবং চিনকে আশ্বস্ত করে যে, তারা এক-চিন নীতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলে (যদিও তিব্বতের বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ করা হয়নি)। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের চিনা প্রতিনিধিদল ভুটান সফর করে। সেই বছরের অগস্ট মাসে তারা সীমান্ত সমস্যা এবং জেটিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে একটি সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নের উপর ১৪তম বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর সভা করে।
ভুটান চিরাচরিত ভাবে দলাই লামার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে এবং ধর্মশালার সঙ্গে সরকারি যোগাযোগ বাদ দিয়ে চিনা উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করেছে। এমনকি ১৯৫০-এর দশকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার সময়ও সরকার সতর্ক ছিল যে, দলাই লামার প্রতি তাদের আনুগত্য চিনের সঙ্গে নতুন অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ ও বহিরাগত নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করবে। ১৯৭৯ সালে জাতীয় পরিষদ শরণার্থীদের হয় ভুটানের নাগরিক হতে নতুবা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলে। ফলে তিব্বতি শরণার্থীর সংখ্যা ৬,৩০০ থেকে কমে মাত্র ১,৭৮৬-এ দাঁড়িয়েছে। সর্বোপরি, পূর্ববর্তী প্রজন্মের উলটো দিকে হেঁটে তরুণ ভুটানিরা তিব্বত থেকে দূরে সরে গিয়েছে এবং চিনকে আরও স্বাগত জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তরুণ ভুটানিরা চিনকে এমন একটি দেশ বলে মনে করেন, যার সঙ্গে তাঁরা সাংস্কৃতিক মিল পান ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উপভোগ করেন। এই সব কিছুই ইঙ্গিত দেয় যে, তিব্বত কী ভাবে অনেক ভুটানিদের কাছ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে।
ভুটানের অর্থনৈতিক অসুবিধা ও চিনা বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তা - বিশেষ করে গেলফু মাইন্ডফুলনেস সিটি প্রকল্পে – চিনের প্রতি ঝুঁকতে থিম্পুকে অনুপ্রাণিত করেছে।
শতাব্দীর শুরু থেকে, ভুটানের সন্ন্যাসী ও প্রতিনিধিদল চিন কর্তৃক আয়োজিত তিব্বত সফরও করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভুটানের একটি প্রতিনিধিদল চিনের রিম অফ দ্য হিমালয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ফোরামেও অংশগ্রহণ করেছিল। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে থিম্পু চিনা সরকারের সহযোগিতায় চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশগ্রহণ ছিল, যা দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান মিথস্ক্রিয়াকেই তুলে ধরেছিল। অনুষ্ঠানের পর ভুটান প্রথম বারের মতো তিব্বতকে জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসাবে উল্লেখ করেছিল। সর্বোপরি, ভুটানের অর্থনৈতিক অসুবিধা ও চিনা বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তা - বিশেষ করে গেলফু মাইন্ডফুলনেস সিটি প্রকল্পে – চিনের প্রতি ঝুঁকতে থিম্পুকে অনুপ্রাণিত করেছে। সুতরাং, বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ ক্রমবর্ধমান।
তিব্বতের প্রতি এই বাস্তববাদী নীতি দলাই লামার উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে ভুটানের প্রতিক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে। থিম্পু এ বিষয়ে অবগত যে, উত্তরাধিকারের বিষয়টি একাধিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী ঐকমত্যের অভাব চিনা উদ্বেগ ও জবরদস্তির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যে, চিন – নিজেদের পছন্দের নতুন দলাই লামার সাহায্যে - নতুন দাবি করতে পারে এবং অতিরঞ্জিত ঐতিহাসিক রেকর্ড দিয়ে সেগুলিকে ন্যায্যতা দিতে পারে। তাই থিম্পু স্পষ্টতই বুঝতে পেরেছে যে, তার স্বার্থ হল বেজিংয়ের উদ্বেগকে প্রশমিত করা, উত্তরাধিকারের প্রসঙ্গে উদাসীন থাকা এবং নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Aditya Gowdara Shivamurthy is an Associate Fellow with the Strategic Studies Programme’s Neighbourhood Studies Initiative. He focuses on strategic and security-related developments in the South Asian ...
Read More +