Author : Pratnashree Basu

Published on Sep 24, 2025 Updated 0 Hours ago

ট্রাম্পের নতুন করে বোঝা ভাগ সংক্রান্ত দাবির মাঝেই জাপান তার জোটের অবস্থান পুনর্নির্ধারণ করছে এবং প্রতিসম পারস্পরিকতার ক্রমবর্ধমান আহ্বানের পাশাপাশি নিরাপত্তা নির্ভরতার ভারসাম্য বজায় রাখছে।

দর কষাকষির ভারসাম্য: মার্কিন বোঝা ভাগ সংক্রান্ত দাবির প্রতি জাপানের প্রতিক্রিয়া

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ১৯৬০ সালের পারস্পরিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা চুক্তিকে একতরফা বলে সমালোচনা করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, জাপানকে রক্ষা করতে আমেরিকা বাধ্য হলেও, আমেরিকাকে রক্ষা করার জন্য টোকিওর কোনও পারস্পরিক দায়িত্ব নেই। তিনি এই সমালোচনাকে টোকিওকে তার প্রতিরক্ষা অবদান বৃদ্ধি বৃহত্তর বাণিজ্য ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার একটি উপায় হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিরক্ষা বিরোধ বাণিজ্য সংঘাতের সমান্তরাল বৃদ্ধির সঙ্গে অভিন্ন সাধারণ করে এবং বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নীতির সংযোগস্থলে দর কষাকষির ক্ষমতা অর্জনের জন্য কৌশলগত ভাবে সময় এসেছে।

বৃহত্তর বোঝা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুনর্নবীকরণের জেদের দ্বারা অনুপ্রাণিত মার্কিন-জাপান জোটে বিদ্যমান টানাপড়েন তাই ভাঙনের পরিবর্তে পুনর্নির্মাণের একটি পর্যায় চালু করেছে। এই মুহূর্তটি আস্থার ভাঙন সম্পর্কে কম এবং উভয় পক্ষের অগ্রাধিকারের দাবি সম্পর্কে বেশি প্রতিফলন ঘটায়। জাপান আর মার্কিন জোট কাঠামোর মধ্যে নিষ্ক্রিয় ভাবে অবস্থান করছে না; এটি সক্রিয় ভাবে পুনর্বিবেচনা করছে যে, নির্ভরতাকে স্থিতিস্থাপকতায় কী ভাবে রূপান্তর করা যায়। এখন চ্যালেঞ্জ হল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাধীন ভারসাম্যকে বিঘ্নিত না করে এই পরিবর্তন পরিচালনা করা।

জাপান আর মার্কিন জোট কাঠামোর মধ্যে নিষ্ক্রিয় ভাবে অবস্থান করছে না; এটি সক্রিয় ভাবে পুনর্বিবেচনা করছে যে, নির্ভরতাকে স্থিতিস্থাপকতায় কী ভাবে রূপান্তর করা যায়।

তা ছাড়া, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি চাপ বৃদ্ধির কৌশল নির্দেশ করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পেন্টাগনের বরিষ্ঠ কর্মকর্তা এলব্রিজ কোলবি জাপানকে তার প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদনের ৩.৫ শতাংশে উন্নীত করার আহ্বান জানান, যা বর্তমানের প্রায় ১ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ শতাংশ অনুরোধ থেকে বৃদ্ধি পায়। এর প্রতিক্রিয়ায় টোকিও ২০২৫ সালের ১ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে বার্ষিক নিরাপত্তা আলোচনা বাতিল করে - যা ২+২ বৈঠক নামেও পরিচিত। এটি জাপানের তরফে একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেয়, যা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে প্রতিফলিত করে, বিশেষ করে ২০২৫ সালের ২০ জুলাই উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে। জাপানি কর্মকর্তারা এই উত্থাপিত দাবিকে অত্যধিক বলে মনে করেন এবং আশঙ্কা করেন যে, এটি জনসমর্থন নষ্ট করতে পারে, যা ইতিমধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত। ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, টোকিও যদি আলোচনায় অসম্মতি জানায় - যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল আমদানির দাবিও অন্তর্ভুক্ত - তা হলে শুল্ক সংক্রান্ত কোনও ছাড় জাপান পাবে না। এই অর্থনৈতিক চাপ অবিশ্বাসকে তীব্র করে তোলে এবং জোটের জন্য চার বছরের কঠিন সময়কেই দর্শায়।

তা সত্ত্বেও ২০২৫ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিকে টোকিও মন্ত্রী-পর্যায়ের বাণিজ্য সংলাপ পুনরায় শুরু করার জরুরি ইঙ্গিত দেয়জাপানের শুল্ক আলোচক রিওসেই আকাজাওয়া এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের মধ্যে ওসাকা ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে তাঁর সফরের সময় আলোচনার আয়োজন করে। এই বৈঠকগুলির লক্ষ্য হল জাপানি পণ্যের উপর পরিকল্পিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি মোকাবিলা করা - যা ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে চলেছে - এবং ওয়াশিংটনের পরিবর্তে জাপানে অনুষ্ঠিত প্রথম শুল্ক আলোচনা চিহ্নিত করা, যেমনটি পূর্ববর্তী সাত দফা আলোচনার ক্ষেত্রে হয়েছিল। প্রাইম মিনিস্টার ইশিবা জোর দিয়ে বলেছেন যে, উচ্চকক্ষ নির্বাচনের আগে পারস্পরিক ভাবে উপকারীফলাফল নিশ্চিত করার জন্য এই আলোচনাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যদি অংশীদাররা গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব উপস্থাপন করে, তা হলে গস্টের পরে নতুন শুল্ক বিলম্বিত করা হতে পারে। তবে আকাজাওয়া স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, দ্রুত চুক্তির জন্য জাপান তার কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে আপস করবে না এবং তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোনও চুক্তিতে ২৫ শতাংশ অটোমোবাইল শুল্কের উপর একটি সমাধান অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবেজাপানের রফতানি-চালিত অর্থনীতিতে তাদের কেন্দ্রীয়তা বিবেচনা করেই এমনটা বলেছেন আকাজাওয়া

এই দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েনের পটভূমিতে টোকিও ওয়াশিংটনের বাইরেও তার অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে সক্রিয় ভাবে বৈচিত্র্যময় করছে। প্রাইম মিনিস্টার ইশিবার অধীনে জাপান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) রাষ্ট্রগুলির (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া) এবং অস্ট্রেলিয়া/ভারত কাঠামো যেমন সাপ্লাই চেন রেজিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে আরও নিবিড় ভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে জাপান তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে - কিউশুতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করছে এবং ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গোল্ডেন ডোমক্ষেপণাস্ত্র ঢালকে সমর্থন করার কথা বিবেচনা করছে। এই পদক্ষেপগুলির লক্ষ্য প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করা এবং মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা হ্রাস করা। জাপান প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিও দ্বিগুণ করছে। এটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ‘ন্যাশনাল ডকইয়ার্ডপরিকল্পনা-সহ দেশীয় প্রতিরক্ষা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। এর পাশাপাশি টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দূরপাল্লার হামলার অস্ত্র গ্রহণ করছে এবং এজিস-সজ্জিত জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্র-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উন্নত করছে। এই প্রচেষ্টাগুলি বাজেট বিতর্ক অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও আধুনিকীকরণ প্রতিরোধের প্রতি জাপানের প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাজেট বৃদ্ধিকে ইচ্ছে মতো জিডিপি অনুপাতের সঙ্গে মেলানোর ব্যাপারে সতর্ক - বিশেষ করে নির্বাচনী তদন্তের অধীনে - হলেও এটি তার নিরাপত্তা ভঙ্গির পরিধি প্রসারিত করছে।

আলোচনার ক্ষেত্রে টানাপড়েন সত্ত্বেও কার্যকরী সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে: মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি জাপানে একটি ‘ওয়ার-ফাইটিং’ মার্কিন ফোর্স কম্যান্ড প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছেন, যা জাপান সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের (জেএসডিএফ) সঙ্গে সমন্বয় আরও গভীর করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, জাপান তার জয়েন্ট অপারেশন কম্যান্ড (জেজেওসি) গঠন করেছে, যা আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করে, ঠিক যেমনটা মার্কিন প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক মতবিরোধ সত্ত্বেও জোট কার্যকরী ভাবে শক্তিশালী রয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য যৌথ সামরিক অভিযানগুলিকে সহজতর করা এবং তাইওয়ান অন্যান্য আঞ্চলিক উত্তেজনা-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে জাপানের প্রস্তুতি জোরদার করা। এটি টোকিওর মূল্যায়নকে প্রতিফলিত করে যে, জাপান এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে জটিল গুরুতর নিরাপত্তা পরিবেশে কাজ করছে, যা ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক হুমকি দ্বারা পরিচালিত। জেজেওসি প্রতিষ্ঠা জাপানের বৃহত্তর প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, বিশেষ করে যখন দেশটি ক্রমবর্ধমান অস্থির ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য বহুক্ষেত্রীয় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মার্কিন চাপের প্রতি টোকিওর প্রতিক্রিয়া অভিন্ন প্রতিরোধের ছিল না, বরং একটি স্তরবদ্ধ সুবিন্যস্ত পদ্ধতি ছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাজেট বৃদ্ধিকে ইচ্ছে মতো জিডিপি অনুপাতের সঙ্গে মেলানোর ব্যাপারে সতর্ক - বিশেষ করে নির্বাচনী তদন্তের অধীনে - হলেও এটি তার নিরাপত্তা ভঙ্গির পরিধি প্রসারিত করছে। এর মধ্যে রয়েছে তার আত্মরক্ষা বাহিনীর মধ্যে যৌথতা বৃদ্ধি, অসম উদীয়মান প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের শক্তিগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা-শিল্প সহযোগিতা গভীর করা। এই অর্থে, জাপান বোঝা ভাগ করে নেওয়ার ধারণা প্রত্যাখ্যান করছে না, বরং এটিকে এমন শর্তে পুনর্সংজ্ঞায়িত করছে, যা তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আরও ভাল ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

জোটে প্রতিসম পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য জাপানের তীব্র আহ্বান কেবল ট্রাম্পের বাগাড়ম্বরের প্রতিক্রিয়া নয়; বরং এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তায় জাপানের ভূমিকা সম্পর্কে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ বিতর্কের ফলাফলও বটে

২০২৫ সালের ২০ জুলাই কাউন্সিলরদের নির্বাচনের আগে জাপানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি জাতীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছে। তবে প্রতিরক্ষা ব্যয় কতটা বাড়ানো উচিত, তা নিয়ে তাদের অবস্থান ভিন্ন। সরকার জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ থেকে ২০২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে প্রায় ৪৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন (২৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দের পরিকল্পনা রূপরেখা দিয়েছে। ২০২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করার বৃহত্তর লক্ষ্যের পাশাপাশি এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বর্তমানে, ২০২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ১.৮ শতাংশ, বাজেট রেকর্ড  সর্বোচ্চ ৮.৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জটিল নিরাপত্তা পরিবেশের কারণে আগামী বছরগুলিতে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবুও এই বৃদ্ধির মাত্রা ও পরিধি সম্পর্কে রাজনৈতিক ঐকমত্য এখনও দ্বিধাবিভক্ত।

এটি জাপানের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি বৃহত্তর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্থিতিশীলতা লক্ষ্যের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের ইঙ্গিত দেয় - যা মালিকানার অনুভূতির সঙ্গে অনুসৃত হচ্ছে। জোটে প্রতিসম পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য জাপানের তীব্র আহ্বান কেবল ট্রাম্পের বাগাড়ম্বরের প্রতিক্রিয়া নয়; বরং এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তায় জাপানের ভূমিকা সম্পর্কে স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ বিতর্কের ফলাফলও বটে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উস্কানি, চিনা সামুদ্রিক দৃঢ়তা এবং মার্কিন প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা সম্পর্কে সন্দেহের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৈচিত্র্যকে কৌশলগত বিলাসিতা নয়, বরং একটি প্রয়োজনীয়তা করে তুলেছে।

জাপান তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়াশিংটনের সংখ্যাসূচক প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারলেও তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা দায়িত্বের একটি বৃহত্তর অংশকে আরও বিস্তৃত, শৃঙ্খলযুক্ত উপায়ে অন্তর্ভুক্ত করছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে একটি জটিল কৌশলগত আলোচনার ক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তা হল বাণিজ্য শুল্ক, বোঝা ভাগ করে নেওয়ার দাবি, যা আর্থিক অবদানকে কৌশলগত সারিবদ্ধতার সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। জাপান তাৎক্ষণিক ভাবে ওয়াশিংটনের সংখ্যাসূচক প্রত্যাশা পূরণ না করতে পারলেও তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা দায়িত্বের একটি বৃহত্তর অংশকে আরও বিস্তৃত, শৃঙ্খলযুক্ত উপায়ে অন্তর্ভুক্ত করছে। জোটের মূল্যের মেট্রিককে ডলার শতাংশে সঙ্কুচিত করে ওয়াশিংটন যে কৌশলগত সমন্বয়কে শক্তিশালী করতে চাইছে, তা দুর্বল করতে পারে।

মার্কিন-জাপান অংশীদারিত্ব পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। আর তা লেনদেনের ছায়ায় নয়, বরং বহুমেরু ইন্দো-প্যাসিফিকের রূপরেখায় করা হবে, যেখানে অভিন্ন সাধারণ স্বার্থ অবশ্যই সার্বভৌম পছন্দগুলির সামঞ্জস্য করবে। আসন্ন মাসগুলি পরীক্ষা করবে যে, জোটের কাঠামো তার কৌশলগত ভিত্তি নষ্ট না করে এই পুনর্নির্মাণকে আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে কতটা নমনীয় হতে পারে।

 


প্রত্নশ্রী বসু অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।


 নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.