Author : Girish Luthra

Published on May 02, 2023 Updated 0 Hours ago

ইন্দো–প্যাসিফিককে ‘‌অবাধ ও উন্মুক্ত’‌ রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন চুক্তি ঘোষণা করেছে।

অওকাস: অস্ট্রেলিয়ার জন্য সাবমেরিন কর্মসূচির পথ

১৩ মার্চ অওকাস (অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রচলিত গোত্রের সশস্ত্র সাবমেরিন (এসএসএন) প্রাপ্তিকে সমর্থন করার পথ উন্মোচিত করে। এটি এর একটি কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য, যার রূপরেখা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এই অনানুষ্ঠানিক নিরাপত্তা জোট গঠনের সময়েই তৈরি হয়েছিল। অওকাস–এর সূচনায় জারি করা যৌথ বিবৃতিতে সাবমেরিন কর্মসূচি সম্পর্কিত রোডম্যাপের জন্য ১৮ মাসের পরিকল্পনা পর্বের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে লক্ষ্যমাত্রার সময়সীমার শেষ মাসে তা প্রকাশিত হয়েছে।

পথ

সান দিয়েগোতে যৌথ নেতৃবৃন্দের বিবৃতিতে উন্মোচিত বিস্তৃত পরিকল্পনাটি এমন একটি পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতির উপর গুরুত্ব আরোপ করে যা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে সক্ষমতা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য বজায় রাখার উপযুক্ত। সেইসঙ্গেই এর লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সর্বোত্তম প্রযুক্তি নিয়ে আসা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি। এটি এসএসএন–অওকাস নামে একটি নতুন, পরবর্তী প্রজন্মের ত্রিপক্ষীয় সাবমেরিন কর্মসূচির সূচনাকে চিহ্নিত করে, যার আওতায় ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন এসএসএন তৈরি করা এবং উভয় দেশ দ্বারা মোতায়েন হবে। ইউকে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এসএসএন–এর ডিজাইন ও কনসেপ্ট ডেভেলপমেন্টের বরাত দিয়েছে, যা তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
এসএসএন–অওকাস এই ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে এবং তিনটি অংশীদার দেশের প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করবে। যাই হোক, এই প্রকল্পের সময়সীমা বিবেচনা করে একটি অন্তর্বর্তী সমাধান করা হয়েছে। রোডম্যাপের প্রথম ধাপে এসএসএন–এর অস্ট্রেলিয়ার বন্দরে নোঙর ফেলার ব্যবস্থা করা হবে (২০২৩ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং ২০২৬ থেকে ব্রিটেনের)। দ্বিতীয় ধাপে ২০২৭ সাল থেকে মার্কিন নৌবাহিনী ও রয়্যাল নেভি উভয়েই অস্ট্রেলিয়ায় ভার্জিনিয়া ও অ্যাসটিউট শ্রেণির এসএসএন মোতায়েন করতে শুরু করবে। ২০৩০–এর দশকের প্রথম দিকে শুরু হওয়া তৃতীয় ধাপের অংশ হিসাবে কংগ্রেসের অনুমোদনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিনটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির এসএসএন বিক্রি করবে, এবং আরও দুটি বিক্রি করার বিকল্পও রাখা হবে। নতুন, যৌথভাবে ডিজাইন করা ও উন্নততর এসএসএন–অওকাস সাবমেরিন চতুর্থ ধাপের অধীনে ২০৩০–এর দশকের শেষভাগ থেকে রয়্যাল নেভিকে এবং ২০৪০–এর দশকের প্রথম দিকে রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভিকে ডেলিভারি দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ঘোষণার ঠিক আগে ব্যাপক এবং ভিন্ন ভিন্ন জল্পনা সত্ত্বেও পরিকল্পনায় কোনো বড় চমক নেই। বন্দর যাত্রা, ফরওয়ার্ড বেসিং ও মোতায়েন, অন্তর্বর্তী ও চূড়ান্ত প্ল্যাটফর্ম সমাধান, এবং শিল্প দক্ষতা, পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও অপারেশনের সম্মিলন সহ পথের মুখ্য বিন্দুগুলি মে ২০২২–এ ওআরএফ দ্বারা প্রকাশিত ইস্যু ব্রিফে যেমন পূর্বানুমান করা ও বলা হয়েছিল, তেমনই আছে। ব্যতিক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনায় ২০৬০–এর দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় চার দশকের দীর্ঘ সময়, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায়–সমসাময়িক সাবমেরিন নির্মাণ (অওকাস–এসএসএন) এবং ওই সাবমেরিনগুলির প্রাথমিক ঝুঁকি প্রশমনের জন্য রয়্যাল নেভির কাছে প্রেরণ।

২০৩০–এর দশকের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব এসএসএন হিসাবে থাকবে ইউএস ভার্জিনিয়া ক্লাস, যা এমন ধরনের ব্যবহৃত সাবমেরিন হতে পারে যেগুলির পর্যাপ্ত জীবনদৈর্ঘ্য বাকি আছে।

বাস্তবায়ন

এটা স্পষ্ট যে অওকাস অংশীদারদের মধ্যে এমন একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য বিশদ আলোচনা হয়েছে যা কিছু অনন্য চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিটি ধাপের ক্রমবর্ধমান জটিলতার মোকাবিলা করে। আশা করা যায় যে যৌথ বিবৃতির বাইরে একটি শ্রেণিবদ্ধ এবং আরও বিস্তারিত সামগ্রিক পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই আছে বা প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। পর্যায় ১ ও ২ অস্ট্রেলিয়ায় পারমাণবিক সাবমেরিন চালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণের জন্য বিস্তৃত বাস্তুতন্ত্রের বিকাশের দিকে দৃষ্টি দেবে, তারপরে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়গুলিতে অস্ট্রেলিয়ার মালিকানাধীন ও চালিত সাবমেরিনগুলি আসতে থাকবে। ইঙ্গিত করা হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ায় সাবমেরিন পারমাণবিক চুল্লি তৈরি বা উৎপাদন করা হবে না, এবং তা অংশীদার দেশগুলি থেকে আমদানি করা হবে। অস্ট্রেলিয়াকে আলাদা কোনও ফিসাইল মেটেরিয়ালও সরবরাহ করা হবে না, এবং পরিষেবা জীবনের শেষে পারমাণবিক বর্জ্য নিষ্পত্তি করা হবে অস্ট্রেলীয় ভূখণ্ডে। অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র–সক্ষম সাবমেরিনের ফরওয়ার্ড রোটেশনের অনুমতি দেওয়া হবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাবমেরিন মোতায়েন (সম্ভবত এইচএমএএস স্টার্লিং, যা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু হতে পারে), ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন প্রাপ্তির কর্মসূচি, অওকাস–এসএসএন–এর নকশা ও উন্নয়ন এবং অস্ট্রেলিয়ার মনোনীত শিপইয়ার্ডের পরিকাঠামোর উন্নয়ন পৃথক পৃথক কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে আগামী মাসগুলিতে শুরু হতে পারে।

উদ্বেগ  প্রতিক্রিয়া

অওকাস দেশগুলির ক্ষেত্রে (প্রধানত অস্ট্রেলিয়া) কিছু পর্যবেক্ষকের উদ্বেগের বিষয়গুলি হল প্রাথমিক উচ্চ খরচ (কিছু প্রাথমিক আনুমানিক সামগ্রিক খরচ ৩৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), দীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব, দুই ধরনের এসএসএন চালনার সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ, এবং পারমাণবিক প্রসারের উপর সম্ভাব্য প্রভাব। তবে সরকার ও কর্মসূচির সমর্থকেরা খরচকে ন্যায্য এবং সময়সীমাকে ব্যবহারিক বলে মনে করেন। অস্ট্রেলীয় সরকার পশ্চিম ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী চার বছরে শিল্প সক্ষমতা বিকাশের জন্য ৩.৯৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রাথমিক ব্যয় পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে।

ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া, যারা অওকাস গঠনের সময় কিছু আশঙ্কার কথা বলেছিল, তারা আগের মতো শাণিত ছিল না।

ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া, যারা অওকাস গঠনের সময় কিছু আশঙ্কার কথা বলেছিল, তারা আগের মতো শাণিত ছিল না। আংশিকভাবে এর কারণ এই ঘোষণার আগে অস্ট্রেলিয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করা এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার প্রচেষ্টা। অওকাস দেশগুলিও স্বীকার করে যে ভারত ও জাপান প্রকাশ্যে এই কর্মসূচিকে সমর্থন নাও করতে পারে, কিন্তু তারা সম্ভবত এর চালিকাশক্তি অনুধাবন করতে পারবে।

পরিকল্পনার সবচেয়ে জোরালো সমালোচনা করে চিন বলেছে যে অওকাস ‘‌ভুল ও বিপজ্জনক পথে’‌ যাচ্ছে। অওকাস গঠনের সময় চিন চুক্তির তিনটি প্রভাব তুলে ধরে: এটি অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে বাড়িয়ে তুলবে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক প্রসাররোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে, এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তারা দাবি করেছে যে অস্ট্রেলিয়ায় অস্ত্র–পর্যায়ের ইউরেনিয়ামের পরিকল্পিত স্থানান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে সুরক্ষার সমস্যাটি আইএইএ সদস্য রাষ্ট্রগুলির দ্বারা একটি স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা উচিত, শুধু অওকাস সদস্য ও আইএইএ সচিবালয়ের মধ্যে নয়।

গত দুই দশকে পিএলএ নৌবাহিনীর অভূতপূর্ব বৃদ্ধি এবং চিনের আক্রমণাত্মক ও জবরদস্তিমূলক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রদত্ত অওকাস চুক্তির কারণে সম্ভাব্য অস্ত্র প্রতিযোগিতার যুক্তি খুব কম বিশ্বাসযোগ্য। তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও কাজকর্ম আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। চিনের একমাত্র পর্যবেক্ষণ যা মনোযোগ দাবি করতে পারে তা হল পারমাণবিক প্রসাররোধ ব্যবস্থার উপর সম্ভাব্য প্রভাব।

বৈশ্বিক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র সীমায়িতকরণের স্থাপত্য বর্তমানে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে, এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি বা বোঝাপড়া বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। পারমাণবিক প্রসাররোধের দৃষ্টিকোণ থেকে অওকাস পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্র থেকে অ–পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্রে পারমাণবিক উপাদান ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য ১৯৬৮ সালের পরমাণু প্রসাররোধ চুক্তির বিধানের অধীনে ছাড়গুলি ব্যবহার করেছে। অস্ট্রেলিয়া স্পষ্ট করেছে যে অস্ট্রেলিয়ায় কোনো ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ বা সমৃদ্ধকরণ হবে না, এবং অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা মোতায়েনের কোনো ইচ্ছা নেই। যাই হোক, অওকাস দেশগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থার বিশদ জানানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যাতে এমন আশঙ্কা দূর হয় যে এই চুক্তিটি পারমাণবিক উপকরণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য একটি নজির তৈরি করতে পারে এবং সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে যেতে পারে।

মূল প্রভাব

চিনবিরোধী সামর্থ্য বাড়ানো, শক্তির একটি কার্যকর ভারসাম্য বজায় রাখা, এবং প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে এই অঞ্চলের অংশীদার দেশগুলির সাবমেরিন মোতায়েন পরিকল্পনার একীকরণের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার নতুন সাবমেরিনগুলির জন্য অওকাস রোডম্যাপ হল জোটের একটি মূল পদক্ষেপ। এটি জোটের তিনটি দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদারিকে দৃঢ় করে। এটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপারেশনাল টাস্কিংয়ের জন্য আরও সংস্থান বরাদ্দ করতে ব্রিটেনকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে, যা গত কয়েক বছরে করা সম্ভব হয়নি। অওকাস ছাতার অধীনে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অন্য বড় ঘোষণাগুলি আগামী মাসগুলিতে আশা করা যেতে পারে, বিশেষত সাইবার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও বিস্তৃত আন্ডারওয়াটার ডোমেনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে। অওকাস সম্ভবত পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য মার্কিন সংঘাত ও জরুরিকালীন পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমানভাবে একীভূত হতে পারে। এমনও সম্ভব যে জাপান, ফিলিপাইন ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে পুনরুজ্জীবিত মার্কিন জোট কাঠামোর সঙ্গেও অওকাস নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করবে এবং জোট ও অংশীদারির একটি নেটওয়ার্ককে উন্নীত করবে। এটি কোয়াডের বৃহত্তর উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানেরও চেষ্টা করবে।

সাবমেরিন সংক্রান্ত ঘোষণাটি এই ধারণাকে উড়িয়ে দেয় যে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইন্দো–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন মনোযোগ বা ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়েছে।

পিএলএ নৌবাহিনীর ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে চারটি বিমানবাহী রণতরী থাকতে পারে, এবং অওকাস সাবমেরিন পরিকল্পনা একটি অপারেশনাল সেটিংয়ে তাদের মোতায়েনের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে। যদিও এসএসএন–অওকাস–এর ডিজাইন এবং অস্ত্র প্যাকেজের বিশদ বিবরণ এখনও জানা যায়নি, তবে প্রচলিত ধরনের প্রতিরোধকে শক্তিশালী করতে এতে পরবর্তী প্রজন্মের উল্লম্ব–উৎক্ষেপণক্ষম  ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউএস সাবমেরিন টহলদারির ক্ষমতা ব্রিটেন ও অস্ট্রেলীয় সাবমেরিন দিয়ে আরও বাড়ানো হবে, এবং ডিজাইন স্তর থেকেই উচ্চস্তরের আন্তঃকার্যকারিতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তা সত্ত্বেও চিনের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা (আন্ডারওয়াটার ডোমেন সহ), ফুটপ্রিন্ট ফুটহোল্ড কৌশল এবং ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে বৃহত্তর প্রভাব ক্রিয়াকলাপগুলি মধ্যমেয়াদে বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চিন সম্ভবত রাশিয়ার সঙ্গে তার কৌশলগত অংশীদারি আরও গভীর করবে, যদিও দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরে চিন–রাশিয়া নৌ–অংশীদারি প্রকল্পের সীমা স্বীকার করে। এটি আসিয়ান সহ অন্য কিছু অংশীদারিত্বের প্রতিও বর্ধিত নমনীয়তা প্রদর্শন করতে পারে, এবং সম্ভবত ন্যাটো ও অওকাস–এর মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির মিলের উপর জোর দিয়ে এর বিপদগুলিকে তুলে ধরবে।

সাবমেরিন সংক্রান্ত ঘোষণাটি এই ধারণাকে উড়িয়ে দেয় যে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইন্দো–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন মনোযোগ বা ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়েছে। এই অঞ্চলে চলতি কৌশলগত প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও জনসাধারণের পণ্যের মতো প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার বাইরের ক্ষেত্রগুলিও জড়িত হবে। একটি নতুন ও স্থিতিশীল বিশ্ব এবং আঞ্চলিক শৃঙ্খলা, অনিশ্চয়তার মোকাবিলা, সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতা ও শান্তিপূর্ণ অর্থনৈতিক বিশ্বায়নে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত বিতর্কগুলিও ক্রমশ আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.