Published on Feb 27, 2025 Updated 13 Hours ago

যেহেতু আরাকান আর্মি রাখাইন স্টেটের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছে, এই নতুন শাসনের অধীনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ভবিষ্য অনিশ্চিত রয়ে গিয়েছে।

মায়ানমারে আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান প্রভাব: রোহিঙ্গাদের জন্য ফলাফল

কয়েক দিনের নিরলস যুদ্ধের পর আরাকান আর্মি (এএ) ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্তে ২৭০ কিলোমিটার বিস্তৃত করে মংডু এবং টাংআপ টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এই বিজয় রাখাইন স্টেটে এএ এবং দলটির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অফ আরাকান-এর (ইউএলএ) আধিপত্যকে শক্ত করেছে এবং হুন্তাকে পিছনে ফেলে দিয়ে এই অঞ্চলের গতিশীলতা পরিবর্তন করেছে। শত শত সৈন্য, অস্ত্র এবং কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকে আটক করার ঘটনা হুন্তার জন্য নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা।

ওয়েস্টার্ন মিলিটারি কম্যান্ড-এর সদর দফতঅ্যানের পতন আবার একটি ঐতিহাসিক ধাক্কা। গত বছরের গস্ট মাসে নর্থ-ইস্টার্ন ম্যান্ড দখলের পর এটি প্রতিরোধ বাহিনী কর্তৃক দ্বিতীয় সামরিক কম্যান্ড দখলে নেওয়া। এএ রাখাইনের ১৭টি শহরতলির মধ্যে ১৪টির উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করায় হুন্তা নিজের দখল ধরে রাখতে তৎপর হয়েছে। প্রতিরোধ বাহিনী এখন মোট ৯৩টিরও বেশি শহর শহরতলি, টি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বাণিজ্য পোস্ট, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, রাখাইনের থান্ডওয়ে, লাশিও এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংযোগ প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি এলাকাগুলি দখলের লড়াই এখন অব্যাহত রয়েছে।

অনেক রোহিঙ্গাকে বন্দি বা হত্যা করা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জনগণ এমন এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে, যা তারা আদৌ শুরু করেনি।

যেহেতু এএ রাখাইনের উপর তাদের দখল শক্ত করছে, তাই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। এএ-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের যোগদান করার হুন্তার অনুশীলন উত্তেজনাকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। অনেক রোহিঙ্গাকে বন্দি বা হত্যা করা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জনগণ এমন এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে, যা তারা আদৌ শুরু করেনি। রাষ্ট্রহীন প্রান্তিক রোহিঙ্গাদের জন্য এএ-র উত্থান নতুন অনিশ্চয়তা উপস্থাপন করেছে। এটি সহাবস্থানের দিকে নিয়ে যাবে না কি বিভাজন আরও গভীর করবে, তা রাখাইনের অশান্ত ভবিষ্যতের নিরিখে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

এএ-র উত্থান

অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন জাতিগত বৈচিত্র্য দ্বারা চিহ্নিত রাখাইন স্টেট দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমারের জটিল রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেঅঞ্চলটির ভবিষ্য গঠনকারী বিভিন্ন শক্তির মধ্যে এএ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ জনগণের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

২০০৯ সালে গঠিত এএ আনুমানিক ৩০,০০০ সৈন্য-সহ মায়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির একটিতে পরিণত হয়েছে। দলটির উত্তরোত্তর বৃদ্ধির তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, দলটির গতিশীল নেতৃত্ব প্রদান করছেন মেজর জেনারেল টোয়ান, মারত নাইং এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো টোয়ান আউং-এর মতো ব্যক্তিত্বরা, যাঁরা পূর্ববর্তী বিপ্লবী আন্দোলনের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমন্বিত দল তৈরি করেছেন। ফলে এএ আগের তুলনায় আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে

দ্বিতীয়ত, দলটিআরাকান ড্রিম ২০২০’ এবং স্ব-শাসনের জন্য রাখিতার পথে’ (ওয়ে টু রাখিতা) দৃষ্টিভঙ্গি জনসমর্থন কুড়িয়েছে এবং এএ-কে রাখাইন জাতীয়তাবাদের আশার প্রতীক হিসাবে মনে করছে। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টি (এনএলডি) দ্বারা রাখাইনদের আকাঙ্ক্ষার প্রান্তিকীকরণের মতো রাজনৈতিক দমন-পীড়নের হতাশা এবং ২০১৮ সালের ম্রাউক ইউ বিক্ষোভের মতো ঘটনা ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক পথের বিকল্প হিসেবে এএ-র উত্থানকে আরও উস্কে দিয়েছে।

অঞ্চলটির ভবিষ্য গঠনকারী বিভিন্ন শক্তির মধ্যে এএ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ জনগণের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তৃতীয়ত, জোটের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করেছে। প্রাথমিক ভাবে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) সহায়তা আধাসামরিক গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। একই সময়ে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে সম্পর্ক ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি-র (ইউডব্লিউএসএ) সমর্থন দলটির সংস্থান ও কার্যক্রমকে শক্তিশালী করেছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি অবস্থান

রোহিঙ্গাদের প্রতি -র অবস্থান অবশ্যই জটিল। যদিও এএ তাদের বেশিরভাগ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদেরকে খোলাখুলি ভাবে লক্ষ্যবস্তু বা দোষারোপ করে না, তবে দলটি চিরাচরিত ভাবে তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, যা রাখাইন স্টেটের বৃহত্তর চাপানউতোরের পরিস্থিতিকেই দর্শায়।

প্রাথমিক ভাবে, এএ রোহিঙ্গা জঙ্গিদের সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে উল্লেখ করেছিল এবং ২০১৬ সালে হামলার পর তাদের সমালোচনা করার পাশাপাশি রাখাইন স্টেটকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যাই হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এএ নিজেদের রোহিঙ্গা-বিরোধী হিসাবে দেখা কিংবা ধর্মীয় বা জাতিগত বিদ্বেষের বিষয়টি এড়াতে সুর বদলেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০ সালে এএ বলেছে যে, তারা ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে রাখাইনের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং মানবাধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান করে।

একই সময়ে, এএ মায়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়ে বলেছে যে, তারা রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-র (এআরএসএ) সঙ্গে সহযোগিতা করে। এএ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে এবং রাখাইন সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য সবসময় কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে এসেছে

সামগ্রিকভাবে, এএ রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতা এড়িয়ে গিয়েছে এবং সতর্ক মনোভাব বজায় রেখেছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে কোন হিংসার ঘটনা বিশ্বব্যাপী এএ-র অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই স্থানীয় উত্তেজনা আন্তর্জাতিক খ্যাতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা দ্বারাই দলটির কার্যকলাপ বাগাড়ম্বর চালিত হয়।

অভ্যুত্থান এবং অপারেশন ১০২৭-এর পরে ইউএলএ সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে এবং কেন্দ্রীয় রাখাইন স্টেট ও পালেতোয়াতে রোহিঙ্গাদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কিছু মহল থেকে সমর্থন কুড়িয়েছে। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের কল্যাণ নিয়ে উদ্বেগ তীব্র হয়েছে, বিশেষ করে রাখাইনে বিদ্যমান হিংসার ঘটনার মাঝেনানাবিধ প্রতিবেদন দর্শায় যে, সামরিক হুন্তা দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এএ রোহিঙ্গা পরিবারগুলির উপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। সামরিক হুন্তা আসলে এএ-কে লক্ষ্যবস্তু করে তোলার জন্য রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা জাতিগত সশস্ত্র সংস্থার (ইএও) বর্ধিত বৈরিতাকে আংশিক ভাবে সামরিক গতিশীলতা পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। বিশেষত, তিনটি বিশিষ্ট রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী অর্থাৎ এআরএসএ, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) আসলে এএ-র সঙ্গে বিরোধে হুন্তাকে সহায়তা করছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মায়ানমার এমনকি বাংলাদেশ থেকে বলপূর্বক যুবকদের নিয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে এবং এ সব কিছুই অঞ্চলটিতে মানবিক  পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের প্রতি এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা জাতিগত সশস্ত্র সংস্থার (ইএও) বর্ধিত বৈরিতাকে আংশিক ভাবে সামরিক গতিশীল পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা যেতে পারে।

-র সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের গস্টের বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের বর্ণনা করার জন্য বাঙালি মুসলিম শব্দটি ব্যবহার আসলে পুরো ঘটনাকেই আরও জটিল করে তুলেছে। এএ সেই বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ক্ষতি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং চিরাচরিত ভাবে রোহিঙ্গাদের বৈধতা দেওয়ার জন্য এ হেন শব্দবন্ধের ব্যবহার আসলে তাদের ভাবমূর্তি বিদেশি অভিবাসী হিসাবে বদলে দেওয়ার এএ-র প্রচেষ্টাকেই দর্শায়। আসলে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি মুসলিম’ বলে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে মায়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা ও তাদের প্রান্তিকীকরণের বিষয়টিকে চিরস্থায়ী করা, রোহিঙ্গাদের প্রতি অবিশ্বাসকে গভীরতর করা এবং রাখাইনে শান্তির প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলা অনেক বেশি সহজ হবে।

বাংলাদেশের অবস্থা

বাংলাদেশ ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গা মানুষজনকে শ্রয় দিয়ে আসছে। বাস্তুচ্যুত জনগণের কল্যাণসাধনের বিষয়ে অদূরদর্শিতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ক্ষমতায় থাকা মায়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের কঠোর নীতি বজায় রেখেছে। যাই হোক, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তন, রাখাইনে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি, নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত মানুষের (যাকে বাংলাদেশ সরকার বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে) মৌলিক সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি বা এই সংক্রান্ত কোন কার্যকর সমাধানসূত্র মেলেনি।

দাতাদের তহবিল হ্রাসের ফলে রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। ২০২৪ সালের জন্য সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৮৫২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে মাত্র ৫৩ শতাংশ সংগ্রহ করা গিয়েছে হ্রাসকৃত খাদ্য রেশন, ভূমিধসের ফলে শোচনীয় জীবনযাত্রা, অগ্নিকাণ্ড সীমিত সুযোগ  অনেক রোহিঙ্গাকে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে অবৈধ কার্যকলাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর এই সবই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।

মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সাত বছরের ব্যর্থ প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টার পর রোহিঙ্গা নীতির পুনর্মূল্যায়ন করছে। ৬০,০০০ জন অতিরিক্ত বাস্তুচ্যুত লোকের আগমন এবং মায়ানমার রাখাইনে গতিশীলতা পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মায়ানমার সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে এবং ভারত, চি, তাইল্যান্ড মালয়েশিয়া থেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা চাওয়ার সময় এএ-র মতো অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির সঙ্গে আধা-আনুষ্ঠানিক যোগদানে আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে।

হ্রাসকৃত খাদ্য রেশন, ভূমিধসের ফলে শোচনীয় জীবনযাত্রা, অগ্নিকাণ্ড সীমিত সুযোগ অনেক মানুষকে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে অবৈধ কার্যকলাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর এই সবই নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট অগ্রাধিকার বিষয় সংক্রান্ত উচ্চ স্তরের প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তহবিল সংগ্রহ করতে, বিশ্বব্যাপী মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে এবং প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে রাষ্ট্রপুঞ্জের-মদতপুষ্ট নিরাপদ অঞ্চল অন্বেষণ করতে এই বছরের শেষের দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সমর্থিত একটি সম্মেলনের পরিকল্পনা করেছেন। এই দ্বৈত পদ্ধতি ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে মানবিক চাহিদার ভারসাম্য রক্ষার জটিলতাকে প্রতিফলিত করে।

সামনের পথ

দমনমূলক সামরিক শাসন ক্ষমতায় আরোহণকারী এএ-র মধ্যে আটকে থাকা রোহিঙ্গাদের ভবিষ্য অনিশ্চিত রয়েছে। -র উত্থান রাখাইনে উন্নত শাসনের জন্য আশার আলো প্রদান করলেও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এই গোষ্ঠীর সম্পর্ক অবিশ্বাস বিক্ষিপ্ত হিংসা দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। শক্তির এই নতুন সমীকরণ সহাবস্থান না কি আরও সংঘাতের দিকে চালিত করবে… তা নির্ভর করে এএ অন্তর্ভুক্তিকে আলিঙ্গন করতে পারে কি না এবং হুন্তা-পরবর্তী রাখাইনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অধিকার ও আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে পারে কি না তার উপর। আপাতত, এই অঞ্চলের ভাগ্য একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যের মধ্যেই আটকা পড়ে আছে, যেখানে রোহিঙ্গারা এখনও দীর্ঘ বিবাদের ছায়ায় ছেয়ে থাকা একটি দেশে তাদের নিজেদের সামান্য পরিসরটুকু খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.