Published on Nov 01, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতের জৈব জ্বালানি ক্ষেত্রটিতে যে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তা ধরে রাখতে প্রথম প্রজন্মের জৈব জ্বালানির বাইরে বৈচিত্র্য আনা এবং বর্জ্যভিত্তিক দ্বিতীয় প্রজন্মের জৈব জ্বালানির সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।

ভারতের জৈব জ্বালানি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ফিডস্টক চ্যালেঞ্জ   মোকাবিলা করা

জৈব জ্বালানি ভারতের ডিকার্বনাইজেশন এবং শক্তি নিরাপত্তা উচ্চাকাঙ্ক্ষা উভয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে বায়োইথানল গত কয়েক বছরে দ্রুত বৃদ্ধি দেখিয়েছে, যা একটি শক্তিশালী নীতি-‌প্রয়াস দ্বারা সমর্থিত। প্রাথমিক জৈব জ্বালানি নীতির লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রোলের সঙ্গে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের হার অর্জন করা। যাই হোক, গত বছর, কেন্দ্রীয় সরকার এই লক্ষ্যপূরণের সময়সীমাকে ২০২৫-এ নিয়ে এসেছে।

যদিও প্রাথমিক অগ্রগতি ধীর ছিল, সম্প্রতি মিশ্রণের হার দ্রুত উন্নত হয়েছে, যা গত বছরের বেশিরভাগ সময়
১০-১২ শতাংশের মধ্যে ছিল এবং ২০২৪ সালের মে মাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

উদীয়মান ফিডস্টক চ্যালেঞ্জ

ইথানল বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপাদিত হতে পারে। ভারতে, বর্তমানে বেশিরভাগ ইথানল উৎপাদন ভোজ্য ফিডস্টকের উপর নির্ভর করে, যা প্রথম প্রজন্মের (১জি) জৈব জ্বালানি হিসাবে পরিচিত। জৈব জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ইথানল উৎপাদনের জন্য অনুমোদিত ফিডস্টকের পরিসর প্রসারিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আখের উপজাত এবং খাদ্যশস্য। যদিও আখের রস ও সিরাপ ঐতিহ্যগতভাবে জৈব জ্বালানির প্রাথমিক উৎস ছিল, গত বছরে চাল ও ভুট্টা ক্রমশ বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

দৃঢ় নীতি সমর্থন জৈব জ্বালানি উৎপাদনকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ালেও ফিডস্টকের প্রাপ্যতা একটি উদ্বেগ হিসাবে রয়ে গিয়েছে, কারণ নীতিনির্ধারকেরা জ্বালানি ও খাদ্যের জন্য ভোজ্য ফিডস্টকের ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন।


জৈব জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ইথানল উৎপাদনের জন্য অনুমোদিত ফিডস্টকের পরিসর প্রসারিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আখের উপজাত এবং খাদ্যশস্য।



গত বছর চিনির উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার দেশীয় ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত চিনি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইথানল উৎপাদনের জন্য আখের রস ও সিরাপ ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। উপরন্তু, নীতিনির্ধারকরাও একই ধরনের উদ্বেগের কারণে আখ-ভিত্তিক ইথানলের
ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য ধারাবাহিকভাবে লড়াই করে ‌চলেছেন। এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারী এবং চিনিকল মালিকদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করেছে, এবং খাদ্যশস্য ও বি-হেভি গুড় থেকে ইথানল উৎপাদনের দিকে প্ররোচিত করেছে, যার জন্য কম সুগার ডাইভারশন প্রয়োজন। যদিও বিকল্প খাদ্যশস্য-ভিত্তিক ফিডস্টক বর্তমান ইথানল উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখতে পারে, এই ক্ষেত্রটির দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির জন্য আরও বহুমুখী ও টেকসই পদ্ধতি অপরিহার্য হবে।

এখন ১জি জৈব জ্বালানি ছাড়াও দ্বিতীয় প্রজন্মের (২জি) বা বর্জ্য-ভিত্তিক জৈব জ্বালানির উৎপাদন সম্প্রসারণের পথ তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। জৈব জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কৃষি ও বনজ বর্জ্য ব্যবহার করা শুধুমাত্র ডিকার্বনাইজেশন এবং শক্তি নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে না, বরং একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির প্রসার করতে পারে এবং বর্জ্য পোড়ানো থেকে দূষণ কমাতে পারে।

২জি জৈব জ্বালানি প্রস্তাব

ভারতের জাতীয় জৈব জ্বালানি নীতি ধারাবাহিকভাবে ২জি জৈব জ্বালানির উপর জোর দিয়েছে। ২০১৮ জৈব জ্বালানি নীতি বর্জ্য বায়োমাসের উপর নির্ভরশীল উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে এবং ২জি প্রযুক্তির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের প্রসারে একটি স্পষ্ট ফোকাস রেখেছে। যাই হোক, ২০২১-২২ সালে নীতি আয়োগ দ্বারা প্রস্তাবিত
ইথানল মিশ্রণ রোডম্যাপ কৌশলে একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করেছিল। এই নতুন পদ্ধতির লক্ষ্য শুধুমাত্র আখ ও খাদ্যশস্য-ভিত্তিক ফিডস্টক ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।

এখন ভারতের জৈব জ্বালানি নীতির প্রাথমিক নীতিগুলির উপর পুনরায় জোর দেওয়া এবং ২জি জৈব জ্বালানি বৃদ্ধির জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা প্রয়োজন।

উৎসাহজনকভাবে, অন্য অনেক সবুজ জ্বালানির বিপরীতে বর্জ্য-ভিত্তিক জৈব জ্বালানি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ভারতের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপলব্ধ। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল) হরিয়ানার পানিপথে এশিয়ার প্রথম
২জি ইথানল বায়োরিফাইনারি চালু করেছে। এই প্ল্যান্টের জন্য প্রযুক্তিটি প্রাজ ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল, যেটি একটি ভারতীয় বায়োটেকনোলজি কোম্পানি যারা সফলভাবে বিভিন্ন স্থানীয় বায়োফুয়েল সলিউশন তৈরি করেছে। প্রাজের প্রযুক্তি ধানের খড়কে ফিডস্টক হিসাবে ব্যবহার করতে সক্ষম করে, যার ফলে প্ল্যান্টটি ২ লাখ টন ধানের খড় থেকে ৩ কোটি লিটার পর্যন্ত ইথানল তৈরি করতে পারে। প্রাজ এবং অনুরূপ কোম্পানিগুলি শুধুমাত্র জৈব-ইথানলের জন্য নয়, বরং কমপ্রেসড বায়োগ্যাস ও টেকসই বিমান জ্বালানির জন্যও প্রযুক্তিগত ক্ষমতা তৈরি করেছে। এই অগ্রগতিগুলি ভারতকে ২জি বায়োফুয়েল স্পেসে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


২০১৮ জৈব জ্বালানি নীতি বর্জ্য বায়োমাসের উপর নির্ভরশীল উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে এবং ২জি প্রযুক্তির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের প্রসারে একটি স্পষ্ট ফোকাস রেখেছে।



এছাড়াও ২জি জৈব জ্বালানির জন্য ফিডস্টকের সম্ভাব্য উৎসের যথেষ্ট প্রাচুর্য রয়েছে। কৃষি বর্জ্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল উৎস।
অনুমানগুলি সুপারিশ করে যে বছরে উৎপন্ন মোট ৭৫৪ মিলিয়ন টন কৃষি বর্জ্যের মধ্যে কমপক্ষে ২২৮ মিলিয়ন টন উদ্বৃত্ত, এবং তা জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। জৈব জ্বালানি নীতিতে ব্যবহৃত রূপান্তর মেট্রিক্সের উপর ভিত্তি করে বলা যায় এর থেকে প্রায় ৪২.৭৫ বিলিয়ন লিটার ইথানল উৎপাদন করা যাবে। এই প্রেক্ষাপটে, ২০ শতাংশ মিশ্রণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন লিটার ইথানলের প্রয়োজন হবে।

ফিডস্টক সরবরাহ সমস্যা সমাধান করা
 
ফিডস্টকের প্রচুর প্রাপ্যতা থাকা সত্ত্বেও, বর্জ্য-ভিত্তিক জৈব জ্বালানির জন্য ফিডস্টক সংগ্রহ, সঞ্চয়স্থান এবং পরিবহণের জন্য একটি সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠা করা একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

বিদ্যমান ২জি বায়ো-ইথানল শোধনাগারগুলির অভিজ্ঞতা নিম্নলিখিত প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে:

প্রণোদনা চ্যালেঞ্জ: নিশ্চয়তাযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ছাড়া কৃষকদের জ্বালানি  উৎপাদনের জন্য কৃষি বর্জ্য সংগ্রহ ও বাছাই করার অনুপ্রেরণা নেই। ফলস্বরূপ, জৈব জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে পারে এমন বেশিরভাগ জৈববস্তু পুড়ে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায়, কারণ কৃষকরা প্রায়ই কৃষি অবশিষ্টাংশের সম্ভাব্য বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কে অবগত থাকেন না। ফলে, এমনকি যখন সংগ্রহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, অস্পষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে কৃষকেরা অংশগ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করেন।

গুণমান চ্যালেঞ্জ: ইথানল উৎপাদনের জন্য এমন একটি নির্দিষ্ট গুণমানের জৈববস্তু চাই যা প্রয়োজনীয় মান পূরণ করে। যাই হোক, একটি মানসম্মত সংগ্রহ প্রক্রিয়ার অভাবের কারণে শোধনাগারে পৌঁছনো জৈববস্তু প্রায়শই আর্দ্রতা, জড় পদার্থ এবং আকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথক হয়। এর ফলে উৎপাদনে বিলম্ব হয় এবং জৈব জ্বালানি উৎপাদকদের খরচ বেড়ে যায়। এটি মানসম্মত সংগ্রহ যন্ত্রপাতির অভাব এবং সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণে ঘটে থাকে। তাছাড়া, বায়োমাস সংগ্রহের মেয়াদ কম হওয়ায় কৃষকদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু সংগ্রহের যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে তারা অসংগঠিত সংগ্রাহকদের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়, যাদের নিজেদেরই একটি মানসম্মত সংগ্রহ প্রক্রিয়া নেই।

পরিকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ: ২জি জৈব জ্বালানির জন্য ফিডস্টক সংগ্রহ সরবরাহ শৃঙ্খল উল্লেখযোগ্য পরিকাঠামোগত ঘাটতির সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে স্টোরেজের ক্ষেত্রে। বর্তমানে, বিকেন্দ্রীভূত স্টোরেজ বা বাছাই করার সুবিধা না-‌থাকার কারণে সংগৃহীত বর্জ্য শোধনাগারে সরাসরি পরিবহণের প্রয়োজন হয়, যা সংগ্রহের সময় এবং খরচ উভয়ই বাড়িয়ে দেয়। উপরন্তু, কৃষকদের দক্ষ সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। আদর্শভাবে, পরিকাঠামো বিনিয়োগগুলি একটি হাব-এন্ড-স্পোক মডেল তৈরির উপর ফোকাস করা উচিত, যেখানে আঞ্চলিক সংগ্রহ ও স্টোরেজ সুবিধাগুলিই নিকটবর্তী খামারগুলি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করে শোধনাগারগুলিতে পাঠাবে।

যদিও এই ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলি বিশেষভাবে ইথানলের জন্য হাইলাইট করা হয়েছে, অন্যান্য বর্জ্য-ভিত্তিক জৈব জ্বালানির জন্যও অনুরূপ চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সামনের পথ

২জি জৈব জ্বালানির বিস্তারের উন্নতির জন্য ফিডস্টক সরবরাহ শৃঙ্খল জুড়ে বিভিন্ন অংশীদারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। নীতিনির্ধারকদের এখন উল্লিখিত সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জগুলি সমাধানের লক্ষ্যে এগোবে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

প্রথমত, জাতীয় পর্যায়ে ২জি জৈব জ্বালানির জন্য একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য অংশীদারদের বিস্তৃত পরিসরে ইতিবাচক ও সমন্বিত কর্মের জন্য একটি শক্তিশালী অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেন্দ্রীয় সরকার তার বর্তমান ইথানল রোডম্যাপ সংশোধন করতে পারে, এবং ২০২৫ মিশ্রিত লক্ষ্যে ২জি জৈব জ্বালানির একটি নির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণ করতে পারে। দেশে ঘটে চলা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবিধা নিতে অন্যান্য জৈব জ্বালানি, যেমন কমপ্রেসড বায়োগ্যাস এবং টেকসই বিমান জ্বালানির জন্য কিছু ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন।


২জি জৈব জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে ইতিবাচক অবদানকারী হওয়ার ক্ষমতা উন্নত করতে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন এমন শিক্ষাবিদদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কাজে লাগাতে হবে।



দ্বিতীয়ত, জ্বালানির উৎস হিসাবে কৃষি বর্জ্যের মূল্য, বর্জ্য সংগ্রহের সঠিক পদ্ধতি এবং এর থেকে তাঁরা যে অর্থনৈতিক সুযোগগুলি অর্জন করতে পারেন সে সম্পর্কে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। কৃষি বিকাশ কেন্দ্র এবং কৃষিকেন্দ্রিক এনজিও-‌র মতো যাদের কৃষকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে এমন সংস্থাগুলিকে একত্রিত করার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে। ২জি জৈব জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে ইতিবাচক অবদানকারী হওয়ার ক্ষমতা উন্নত করতে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করতে পারে এমন শিক্ষাবিদদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কাজে লাগাতে হবে।

তৃতীয়ত, বিকেন্দ্রীভূত জৈববস্তু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এই লক্ষ্যে রাজ্য সরকারগুলিকে বিকেন্দ্রীকৃত স্টোরেজ ডিপোগুলির জন্য আদর্শ অবস্থানগুলি চিহ্নিত করতে এবং এই জাতীয় সুবিধাগুলি স্থাপনের জন্য জমি সংগ্রহে সহায়তা করার জন্য তেল বিপণন সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করা উচিত। জুলাই ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার চারটি রাজ্যের জন্য
ফসলের অবশিষ্টাংশ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, যার লক্ষ্য কৃষি বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা স্থাপন করা। নির্দেশিকাগুলি সংগ্রহের সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ খরচ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতির প্রস্তাব করে, যার ৬৫ শতাংশ খরচ সরকার বহন করে। যাই হোক, এই নির্দেশিকাগুলি এখনও নোটিফাই করা হয়নি এবং এগুলি নিয়ে  দ্রুত এগনো আবশ্যক৷ আরও গুরুত্বপূর্ণ, এই নির্দেশিকাগুলির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অবশেষে, সরবরাহ শৃঙ্খলে অংশগ্রহণের জন্য কৃষকদের জন্য আরও বেশি প্রণোদনা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে, রাজ্যগুলি বর্জ্য সংগ্রহের জন্য কৃষকদের সরাসরি প্রণোদনা প্রদান করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হরিয়ানা সরকার বায়োমাস সংগ্রহের জন্য
১,০০০ ভারতীয় রুপি/টন ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জৈব জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলে অংশীদারদের জন্য কার্বন ক্রেডিট বাজারে প্রবেশের সুযোগ উন্নত করা হলে তা অর্থের একটি অতিরিক্ত উৎসও সরবরাহ করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত গ্রিন ক্রেডিট প্রোগ্রাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যাই হোক, এখনও পর্যন্ত প্রোগ্রামটি ক্রেডিট দাবি করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের প্রক্রিয়ার রূপরেখা দিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে, প্রকল্পটি জৈব জ্বালানিতে ব্যবহৃত কৃষি ফিডস্টকের জন্য সবুজ ক্রেডিট দাবি করার একটি প্রক্রিয়া তৈরিকে অগ্রাধিকার দেবে।



প্রমিত মুখার্জি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর ইকোনমি অ্যান্ড গ্রোথের একজন সহযোগী ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.