২০২২ সালের ৪ এপ্রিল প্রকাশিত মিটিগেশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন সংক্রান্ত আই পি সি সি ওয়ার্কিং গ্রুপ থ্রি-র (ডব্লিউ জি থ্রি) ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের (এ আর সিক্স) দৈর্ঘ্য ছিল ২৯০০ পাতারও বেশি। এটি আই পি সি সি প্রক্রিয়ায় ষষ্ঠ প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটিকে ১৭টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি খণ্ডই গড়ে প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠা দীর্ঘ। সম্পূর্ণ রিপোর্টটি এখনও অনুমোদিত হয়নি এবং রিপোর্টটি ‘উদ্ধৃত করা, উল্লেখ করা বা বণ্টন করা নিষেধ’-এর মতো সতর্কবাণী বহন করে। এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটিতে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাবগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ওয়ার্কিং গ্রুপ ওয়ান (ডব্লিউ জি ওয়ান) এ আর সিক্স রিপোর্টটি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয় এবং এটিতে জলবায়ু ব্যবস্থার ভৌত বিজ্ঞানের উপরে জোর দেওয়া হয়। এটিতে বলা হয় যে, বিজ্ঞানীদের করা প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় দ্রুততর হারে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে। ডব্লিউ জি টু এ আর সিক্স রিপোর্টটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। এটিতে বলা হয় যে, বিশ্বজনীন পরিবেশ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটানোর পরিণতি অনুমানের তুলনায় গুরুতর এবং এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষ এবং প্রাকৃতিক জীবজগৎ কতটা মানিয়ে নিতে পারবে, সে ব্যাপারও খতিয়ে দেখা হয়। মোট কথা হল এই যে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণায়নের বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী নিঃসরণের মাত্রাকে ২০২৫ সালের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছতে হবে।
রিপোর্টটিতে অনুমান করা হয়েছে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে গ্লোবাল জি ডি পি ১.৩% থেকে ২.৭ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্তু এমনটা না করলে জীবনহানি, জীবিকা হারানো, চরম আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের ফলে ঘটা ধ্বংসলীলা এবং উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর মূল্য চোকাতে হবে।
ডব্লিউ জি থ্রি রিপোর্টে এই শতক শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ যাতে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম না করে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের হার ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমিত রাখতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লা, তেল এবং গ্যাসের ব্যবহার ২০১৯ সালের তুলনায় যথাক্রমে ৯৫%, ৬০% এবং ৪৫% কমাতে হবে। আই পি সি সি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ‘প্রযুক্তিগত ভাবে এবং খরচের নিরিখে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে উষ্ণায়নের হারকে সীমিত রাখতে নিঃসরণের প্রশমন সম্ভব।’ রিপোর্টটিতে এ-ও বলা হয়েছে যে, ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি উষ্ণায়ন রোধ করতে বিশ্ব নিঃসরণের মাত্রাকে ২০২৫ সালের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছতে হবে এবং অতঃপর ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণের মাত্রা ২০১৯ সালের তুলনায় ৪৩% কমিয়ে ফেলতে হবে। ক্ষেত্রভিত্তিক প্রশমন প্রক্রিয়া (অধ্যায় ৬ থেকে ১৯ পর্যন্ত) জ্বালানি এবং পণ্য-সাশ্রয়ী নির্মাণ কাজে উন্নতি, নতুন পণ্য পরিকল্পনা, জ্বালানি সাশ্রয়ী ভবন, পরিবহণ পরিকাঠামো পরিকল্পনায় পরিবর্তন এবং কমপ্যাক্ট নাগরিক আকারের উপরে জোর দেওয়ার মাধ্যমে নিঃসরণ প্রশমনের সম্ভাবনার কথা দর্শানো হয়েছে।
এ সব কিছুর জন্যই অবশ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে মূল্য দিতে হবে। রিপোর্টটিতে অনুমান করা হয়েছে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে গ্লোবাল জি ডি পি ১.৩% থেকে ২.৭ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্তু এমনটা না করলে জীবনহানি, জীবিকা হারানো, চরম আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের ফলে ঘটা ধ্বংসলীলা এবং উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর মূল্য দিতে হবে। বিশ্ব উষ্ণায়নকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে সীমাবদ্ধ রাখলে লিথোস্ফিয়ারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির অবশেষ রয়ে যাবে এবং বিদ্যমান জীবাশ্ম জ্বালানি পরিকাঠামোর মোট বৈশ্বিক ডিসকাউন্টেড ভ্যালুর (ভবিষ্যতে প্রাপ্য সুবিধের নিরিখে বর্তমান বিনিয়োগের মূল্য নির্ধারণ) পরিমাণ ২০১৫ সাল থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে এক থেকে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের বেছে নিতে হবে নিকট ভবিষ্যতে চলা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক-রাজনৈতিক বিপর্যয় যা অস্তিত্বগত সঙ্কটসূচক নয় অথবা মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক বৃহৎ অংশের মানুষের অস্তিত্বগত সঙ্কট, বিশেষ করে পৃথিবীর দরিদ্রতম অংশের ভৌগোলিক ভাবে এবং নিচু অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন যাঁরা সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং বিধ্বংসী ঝড় দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত হন। অদূর ভবিষ্যতে ঘটতে পারা সমস্যাগুলির মধ্যে জি এইচ জি-চালিত শিল্পাঞ্চলগুলির স্থান পরিবর্তন এবং মূল্য শৃংখলগুলির পুনর্গঠন উল্লেখযোগ্য। নিম্ন জি এইচ জি জ্বালানি এবং ফিডস্টক বা মাড়ের প্রাচুর্যসম্পন্ন অঞ্চলগুলি নিম্ন কার্বন বিদ্যুৎ ও হাইড্রোজেনের ব্যবহার দ্বারা প্রক্রিয়াজাত হাইড্রোজেনভিত্তিক রাসায়নিক ও উপকরণের রফতানিকারী হয়ে উঠতে পারে। এ হেন পুনর্বণ্টন বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উপরে বণ্টনমূলক প্রভাব (ডিস্ট্রিবিউশনাল এফেক্ট) ফেলবে।
প্রশমনের মূল্য চোকানোর ভার সক্রিয় ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণকারী দেশগুলির উপরে বর্তালেও প্রশমিত জলবায়ু পরিবর্তনের সুবিধে শুধু মাত্র তারা নিজেরাই ভোগ করছে না। অর্থনীতির ভাষায় যা ‘নন-এক্সক্লুডেবল’ বা ‘অবর্জনীয়’। একই কথা প্রযোজ্য মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সময়ে ঘটতে পারা বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার সম্ভাব্য মূল্যের ক্ষেত্রেও। যে সকল দেশ কোনও সক্রিয়তা ছাড়াই গৃহীত পদক্ষেপের সুবিধে ভোগ করছে, তারা যে সব ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন দ্বারা নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত, এমনটা নয়। রিপোর্টটিতে চিহ্নিত করা হয়েছে যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমিক ভাবে কমিয়ে আনা-সহ প্রশমনের পথে প্রধান বাধাগুলি হল রাজনীতি ও ক্ষমতার সমীকরণ এবং পারস্পরিক স্বার্থ। নিম্ন জনঘনত্ববিশিষ্ট এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উচ্চ ভাণ্ডার ও পরিকাঠামোবিশিষ্ট দেশগুলি প্রশমন প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কম আগ্রহী হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণের পরিমাণ অন্তত অর্ধেক কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও ২০২১ সালে নিঃসরণের পরিমাণ প্রায় ৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নিঃসরণ বৃদ্ধির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, সেই সব উচ্চ জনঘনত্ববিশিষ্ট দেশ যাদের জ্বালানি তেলের ভাণ্ডার স্বল্প বা প্রায় নেই বললেই চলে ও যেখানে উচ্চ ক্ষার ধাতু সঞ্চয় এবং / অথবা হাইড্রোজেন পরিকাঠামো বর্তমান।
পরিষেবাভিত্তিক চাহিদার উপর জোর দেওয়ার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা প্রশমনের ক্ষেত্রটি শুধু মাত্র জোগানের দিক থেকে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কিন্তু তা হলেও এর সুবিধে সম্ভবত সেই সকল জনগোষ্ঠীই উপভোগ করতে পারবে যারা ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট উন্নত জীবনযাত্রার স্তরে উন্নীত হয়েছে।
ডব্লিউ জি থ্রি এ আর সিক্স রিপোর্টে অন্যান্য অপ্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বিকল্পের কথা বলা হয়েছে, যেমন ডিমান্ড সাইড মিটিগেশন বা চাহিদাভিত্তিক প্রশমন। ‘২০৫০ সালে মধ্যে সকল ক্ষেত্রব্যাপী নিঃসরণের হার ৪০%-৭০% পর্যন্ত প্রশমিত করার সম্ভাবনার সূচক চাহিদাভিত্তিক প্রশমন (হাই কনফিডেন্স)’। এই বিষয়টির রিপোর্টে পঞ্চম অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যা অন্য সব ধারণার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। এটির শীর্ষক হল ‘প্রশমন প্রক্রিয়ার চাহিদা, পরিষেবা এবং সামাজিক প্রেক্ষিত’, যা আই পি সি সি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টস-এর প্রেক্ষিতে হয়তো এই প্রথম। অধ্যায়টির মধ্যে সুযোগের পরিসীমা নির্ণয় সংক্রান্ত তৃতীয় বিভাগটি মৌলিক। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ভাল থাকা সুনিশ্চিত করতে মানুষ জ্বালানির প্রাথমিক এবং ভৌত উৎসগুলির পরিবর্তে জ্বালানি সংক্রান্ত পরিষেবার চাহিদা রাখে। পরিষেবার চাহিদার উপরে বিশেষ জোর দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে জলবায়ু কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।’ এটিতে দাবি করা হয়েছে যে, চাহিদাভিত্তিক প্রশমন এবং পরিষেবা প্রদানের নতুন পদ্ধতি সর্বোপরি পরিষেবা চাহিদার পরিহার, বিকল্প নির্বাচন এবং উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হতে পারে। ‘চাহিদা পরিহার করার সর্বাধিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি হল দীর্ঘ বিমানযাত্রা কমিয়ে আনা এবং স্বল্প দূরত্বের নিম্ন কার্বন নাগরিক পরিকাঠামোর জোগান দেওয়া। বিকল্প নির্বাচনের সর্বোৎকৃষ্ট পথ হল উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা।’ উন্নতির সর্বাধিক সম্ভাবনার বীজ লুকিয়ে রয়েছে আবাসন নির্মাণ ক্ষেত্রটির মধ্যে এবং বিশেষ করে জ্বালানি দক্ষ প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্যাসিভ হাউজিংয়ের (জ্বালানি ব্যবহারের প্রাকৃতিক সীমা বিশিষ্ট বিল্ডিং বা আবাসন) মাধ্যমে এটির বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব।’
পঞ্চম অধ্যায়ের লেখকেরা এ কথা বিশ্বাস করেন যে, কোভিড-১৯ অতিমারি পরবর্তী সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন নীতি-সহ জন পরিষেবার সহায়ক কর্মসূচিগুলির প্রেক্ষিতে বৃহৎ মাত্রায় সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের রাজনৈতিক সম্ভাবনা সংক্রান্ত যথেষ্ট প্রমাণ ও সহমতের উদাহরণ হয়েছে। এ কথা খুব সম্ভবত ঠিক নয়, যদিও উভয় সঙ্কটই মাত্রার দিক থেকে আন্তর্জাতিক এবং উভয়েরই সমাধানে সর্বাঙ্গীন সামাজিক কর্মসূচি প্রয়োজন। কোভিড-১৯ অতিমারির ফলে ব্যাপক পরিমাণে প্রাণহানি ঘটেছে এবং এর ফলে জারি করা বিধিনিষেধ পর্যাপ্ততা ও সংহতিকে দৃঢ় করেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এতটা নাটকীয় না হওয়ার দরুন জন পরিষেবা, কর্মসংস্থানের সুরক্ষা, সম্মিলিত কর্মসূচি এবং ন্যূনতম সাধারণ পরিষেবা প্রদানকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি নির্মাণের বিকল্প পথ সরকার এবং জনসাধারণের পছন্দ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
পরিষেবাভিত্তিক চাহিদার উপর জোর দেওয়ার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা প্রশমনের ক্ষেত্রটি শুধু মাত্র জোগানের দিক থেকে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কিন্তু তা হলেও এর সুবিধে সম্ভবত সেই সকল জনগোষ্ঠীই উপভোগ করতে পারবে যারা ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট উন্নত জীবনযাত্রার স্তরে উন্নীত হয়েছে। দরিদ্রদের জন্য জীবনধারণের মানোন্নয়ন শুধু মাত্র পুষ্টি, বাসস্থান এবং চলমানতার উপরেই নির্ভরশীল নয়, যেগুলি অবশ্যম্ভাবী ভাবেই উচ্চ জ্বালানি এবং বস্তুগত বিনিয়োগের দাবি রাখে, বরং তা সেই মানুষগুলির উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সম্পদের উপরেও নির্ভর করে। জনসংখ্যার আর্থিক ভাবে সচ্ছল অংশের মানুষজনের পক্ষেও জ্বালানির ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটানো এক কঠিন কাজ। কারণ জ্বালানির ব্যবহার কেবল মাত্র ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে না। এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষের অভ্যাস এবং সামাজিক অনুশীলন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.