Published on Jul 03, 2024 Updated 0 Hours ago
ভারতের অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও

ভারতের অর্থনৈতিক কূটনীতি এখন নতুন মোড় নিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এটি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ)-‌এর মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করে এসেছে। যদিও পশ্চিমীরা ভারতকে একটি উদীয়মান দাতা হিসাবে দেখে, নয়াদিল্লি স্বাধীনতা অর্জনের আগে থেকে তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে এবং তার বাইরেও সহযোগিতা করে আসছে। ওডিএ-র প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকৃতিগতভাবে 'চাহিদা-চালিত' হয়েছে, যেখানে এটি গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য সহযোগী অর্থনীতির সঙ্গে তার উন্নয়নমূলক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ক্রমান্বয়ে, ভারতের উন্নয়ন হস্তক্ষেপগুলি সদিচ্ছা অর্জনের জন্য এবং অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে একটি মধুর কূটনৈতিক পরিসর তৈরি করার জন্য আকৃতি পেয়েছে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের সঙ্গে এক করে দেখার পর অর্থনৈতিক কূটনীতির ভারতীয় মডেল এখন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং পরিবহণ ও অর্থনৈতিক করিডোর তৈরিকে তার অর্থনৈতিক কূটনীতির চালক হিসাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এই অবস্থানটি ২০২০ সালে আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি) থেকে ভারত নিজেকে প্রত্যাহার করার পরে যে প্রভাবশালী আখ্যানটি প্রচলিত ছিল, যা ভারতকে এমন একটি রক্ষণশীল ইনসুলেটেড অর্থনীতি হিসাবে প্রচার করেছিল যে তার গার্হস্থ্য শিল্পের সুরক্ষাবাদ মেনে চলে, তার বিপরীত।


গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের সঙ্গে এক করে দেখার পর অর্থনৈতিক কূটনীতির ভারতীয় মডেল এখন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং পরিবহণ ও অর্থনৈতিক করিডোর তৈরিকে তার অর্থনৈতিক কূটনীতির চালক হিসাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।



আকর্ষণীয় বিষয় হল, আরসিইপি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার পরে ভারত কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের ভারত-মরিশাস কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইসিপিএ), এবং ২০২২ সালের ভারত-ইউএই ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) ও ভারত-অসমিকট্রা সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তি (সিইসিটিএ)। ২০২৪ সালে ভারত এবং ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সংস্থা (ইএফটিএ) রাষ্ট্রসমূহের সরকারগুলির মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (টিইপিএ) স্বাক্ষর করা হল এর সর্বশেষ সংযোজন। তালিকার মধ্যে জি২০ নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপীয় অর্থনৈতিক করিডোরে (আইএমইইসি) ভারতের অংশগ্রহণ অবশ্যই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের পূর্ববর্তী আকৃতি থেকে প্রস্থানের মাধ্যমে তার অর্থনৈতিক কূটনীতিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার ভারতীয় অভিপ্রায়কে শক্তিশালী করে। এই ধরনের বাণিজ্য চুক্তি এবং অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি এফটিএ-র ক্ষেত্রে পণ্যের উপর শুল্ক দূর করতে, আঞ্চলিক একীকরণ এবং সংযোগকে আরও গভীর করতে, পণ্য ও পরিষেবাগুলিতে বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়াতে, এবং অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক করিডোরের দেশগুলির মধ্যে ব্যবসা করার লেনদেনের খরচ কমাতে সহায়তা করে।

বাণিজ্য বাধা হ্রাস, শুল্ক সহজীকরণ এবং শক্তিশালী বৌদ্ধিক সম্পত্তি সুরক্ষা স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই চুক্তিগুলিতে স্বাক্ষর করা কখনওই সহজ কাজ নয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারত-ইইউ ব্রড-বেসড ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (বিটিআইএ) গত এক দশক ধরে ১৫ রাউন্ড আলোচনার পরেও
অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। ভারত-ইউকে এফটিএ আলোচনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, যা আলোচনার ১৪তম রাউন্ডে প্রবেশ করেছে কোনও সম্ভাব্য অগ্রগতি ছাড়াই। কেন বাণিজ্য আলোচনা এত দীর্ঘ সময় নেয়? বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে  অর্থনীতিবিদরা মনে করেন যে তা মোটেই সুখের নয়, কারণ আলোচনায় আরও দেশ জড়িত থাকে বলে চুক্তিতে পৌঁছনো অনেক বেশি কঠিন হয়। যদিও এ থেকে মনে হতে পারে যে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলিতে তুলনামূলকভাবে দ্রুত গতিতে ঐকমত্য হতে পারে, বাস্তবে সেগুলি এখনও দীর্ঘমেয়াদি বিলম্ব এবং রাজনৈতিক অনুপ্রেরণার সাপেক্ষ।


ভারত-ইইউ ব্রড-বেসড ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (বিটিআইএ) গত এক দশক ধরে ১৫ রাউন্ড আলোচনার পরেও অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে।



এমনকি, এফটিএ ও আরটিএ হল দুই-স্তরের খেলা। তা শুধু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার জন্যই নয়, বরং দেশীয় অংশীদারদেরও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন;‌ কারণ, এই ধরনের বাণিজ্য চুক্তি তাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আরসিইপি আলোচনার সময় তারা ভারতে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল যারা ভারতের বাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়ার বিরুদ্ধে ছিল। যাই হোক, ভারতের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের উপর বাণিজ্য চুক্তি এবং অর্থনৈতিক করিডোরের উপলব্ধিযোগ্য প্রভাবও লক্ষ করা দরকার। উপসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এটি বিশেষভাবে স্বীকৃত।

এফটিএ, এফডিআই এবং ওডিএ-‌র কৌশলগত খেলা

অর্থনৈতিক কূটনীতির এই আকর্ষণীয় খেলাটি খেলার সময় ভারতের অবস্থান তাই তাত্ত্বিক নির্মাণ ও ব্যবহারিক বিবেচনার মধ্যে দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি হয়, যা ওডিএ-এর মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং এফটিএ ও অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মধ্যে দোদুল্যমান থাকে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, দুটি উপকরণের (ওডিএ এবং এফটিএ) সম্পূর্ণ ভিন্ন উপযোগিতা রয়েছে। তবে ভূ-রাজনৈতিকভাবে তারা উভয়ই অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কের মান উন্নত করতে সহায়তা করে। একটি এফটিএ বা একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা বা একটি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মাধ্যমে অন্যথায় কম প্রবেশযোগ্য বাজারে অংশগ্রহণের লেনদেনের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যার ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগের উপর ভাল লাভের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়। আইএমইইসি-‌র উদীয়মান গল্প এই প্রসঙ্গে একটি প্রধান উদাহরণ। একদিকে এটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষ পথ চলা প্রদর্শন করে,‌ এবং অন্যদিকে বৈশ্বিক মঞ্চে তার কৌশলগত পদক্ষেপগুলিও প্রদর্শন করে, এবং ভূ-রাজনীতির জটিল মঞ্চে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসাবে বাণিজ্যকে লাভবান করে। আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি) থেকে সরে যাওয়ার জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও ভারত ২০২১ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (ইএফটিএ)-‌এর মতো পাওয়ারহাউসগুলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি করে চলেছে, যেমনটি আগেই বলা হয়েছে৷ এই পদক্ষেপগুলি শুধু বাণিজ্য সম্পর্কিত নয়, আরও কার্যকরভাবে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলের (জিভিসি) মধ্যে ভারতের অবস্থান সংক্রান্তও বটে। বর্তমানে, জিভিসি-তে ভারতের অংশগ্রহণ বিশ্বব্যাপী গড় থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তবুও, বৈশ্বিক অতিমারি ও ইউক্রেন সংকট দ্বারা ডেকে আনা পরিবর্তনের বাতাস জলকে আলোড়িত করেছে, এবং পণ্য মূল্যের শৃঙ্খলে একটি প্রবাহ তৈরি করেছে। এই অশান্তি ভারত সহ দেশগুলির জন্য এই পরিবর্তনশীল স্রোতে ডুব দেওয়া, নতুন সুযোগগুলি ব্যবহার করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের একটি বৃহত্তর অংশ দাবি করার জন্য দরজা খুলে দেয়। যে কোনও ধরনের বাণিজ্য চুক্তির অধীনে বিনিয়োগের সুযোগ বর্ধিত বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (এফডিআই) পথ খুলে দেয়।


একটি এফটিএ বা একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা বা একটি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মাধ্যমে অন্যথায় কম প্রবেশযোগ্য বাজারে অংশগ্রহণের লেনদেনের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, যার ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগের উপর ভাল লাভের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়।



অন্যদিকে, ওডিএ যেহেতু অনুদান-‌ভিত্তিক, খুব কম সময়েই তা কোনও অর্থনৈতিক হারে লাভ আনতে পারে (যদিও সেখানে উচ্চ সামাজিক এবং ভূ-রাজনৈতিক হার রয়েছে)। সরকার কিন্তু ঋণ ও লাইনস অফ ক্রেডিটের জন্য এই ধরনের বিনিয়োগের উপর লাভ অর্জন করতে পারে। ওডিএ বেসরকারি ক্ষেত্রের পরিবর্তে সরকারি হস্তক্ষেপকে অন্তর্ভুক্ত করে। অবশ্যই, উন্নয়নমূলক অনুদান প্রদানে বেসরকারি ক্ষেত্রের ভূমিকা অন্য যে কোনও কিছুর চেয়ে মূলত জনহিতৈষী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। বৈশ্বিক দক্ষিণের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলির ক্রমবর্ধমান স্থায়িত্বের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য উন্নয়ন প্রদানকারীদের সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ও অনুদান সুবিধাভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ প্রায়শই এসডিজি-‌র জন্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্র উপলব্ধ নয়।

আবার,
অধ্যয়নগুলি এফডিআই এবং ওডিএর মধ্যে একটি কার্যকারণ সম্পর্কের পরামর্শ দেয় যা, যদি তার সুযোগ নেওয়া যায়, তাহলে লাভ সর্বাধিক করতে এবং সুবিধাভোগীদের জন্য খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে। উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক জ্ঞানের স্থানান্তর সহজ করার পাশাপাশি, এফডিআই দেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং  অর্থনৈতিক মানকে উন্নততর করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। তবুও, সব ধরনের ওডিএ বিনিয়োগ বৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক অগ্রগতি আনতে পারে না। ওইসিডি দেশগুলি (জাপান, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এ কথাই তুলে ধরে যে কীভাবে ওডিএ হিসাবে একটি উন্নয়ন প্রদানকারীর ঋণপ্রাপক দেশে তাদের নিজ নিজ এফডিআই প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এটি আরও প্রকাশ করেছে যে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি এবং অর্থের মতো বিশেষ প্রকল্পগুলির জন্য দেওয়া এই নির্দিষ্ট ঋণগুলি প্রাপক দেশে এফডিআই আকর্ষণ করার জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যাই হোক, এটা প্রদত্ত যে এফডিআই-‌এর এই ইতিবাচক সুবিধাগুলি একটি অনুকূল নীতি এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ ছাড়া প্রবাহিত হয় না।


উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক জ্ঞানের স্থানান্তর সহজ করার পাশাপাশি, এফডিআই দেশের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নততর মানকে কাজে লাগাতে পারে।



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও চিনের তুলনায় ওডিএ-এর মাধ্যমে উন্নয়ন অর্থায়নের বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারত বড় খেলোয়াড় নয়। যাই হোক, এর "চাহিদা-চালিত" মডেলটি অনন্য এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার জন্য একটি প্রতিলিপিযোগ্য মডেল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, এফটিএ ও অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক কূটনীতি যে কাঠামোর উপর দাঁড়িয়েছে তার ভিত্তি একটি বিস্তৃত মানব পুঁজি (প্রায় ১.৪২ বিলিয়ন জনসংখ্যা যার ৫৫ শতাংশের বেশি ৩০ বছরেরও কম বয়সী) দ্বারা অলঙ্কৃত অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতা, যা ৬.৫ শতাংশের উপরে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উচ্চ হার দ্বারা প্রদর্শিত। এটি একটি বিস্তৃত ফ্যাক্টর বাজার এবং একটি প্রাণবন্ত পণ্য বাজার তৈরি করতে সাহায্য করে, যা ভারতকে এই এফটিএ প্রকল্পের এক কাঙ্ক্ষিত অংশগ্রহণকারী বা অংশীদার করে তোলে। এটি
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক লভ্যাংশও এনে দিয়েছে, যারা অন্যথায় এমন উষ্ণ ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের অংশীদার ছিল না। সন্দেহ নেই ভারতীয় অর্থনৈতিক কূটনীতির পোর্টফোলিওর এই বৈচিত্র্য বিশ্ব সম্পর্কে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানকে আরও গভীরতা ও প্রশস্ততা দিয়েছে।



নীলাঞ্জন ঘোষ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডিরেক্টর

স্বাতী প্রভু অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ‌অ্যাসোসিয়েট ফেলো

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Nilanjan Ghosh

Nilanjan Ghosh

Dr Nilanjan Ghosh is a Director at the Observer Research Foundation (ORF) in India, where he leads the Centre for New Economic Diplomacy (CNED) and ...

Read More +
Swati Prabhu

Swati Prabhu

Dr Swati Prabhu is Associate Fellow with the Centre for New Economic Diplomacy at the Observer Research Foundation. Her research explores the interlinkages between development ...

Read More +