Author : Shairee Malhotra

Published on Nov 10, 2025 Updated 0 Hours ago

আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পর ইইউ-চিন সম্পর্ক নতুন করে টানাপড়েনের সম্মুখীন হচ্ছে কারণ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য বিরোধ, কৌশলগত অবিশ্বাসের গভীরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক বিভেদ শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় প্রাধান্য পাচ্ছে।

ইইউ-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর: উদ্‌যাপন নিয়ে বিতর্ক

২০২৫ সালের ২৪ জুলাই ইইউ-চিন শীর্ষ সম্মেলন ছিল ইইউ-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। তবুও ইইউ-চিন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা উত্তেজনার বিতর্কিত পটভূমিতে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উদ্যাপনের মতো পরিবেশ ছিল না

সম্মেলন মূলত ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করার পর শীর্ষ সম্মেলনটি বেজিংয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। বৈঠকটিও পরিকল্পিত দু দিনের পরিবর্তে একদিনে সংক্ষিপ্ত করা হয় দ্বিতীয় দিনটি চিনের আনহুই প্রদেশে একটি ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল সেখানে শি উপস্থিত থাকেননি। বরং প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর সঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা দের লেইন এবং ইউরোপীয়  কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা ইইউ-র প্রতিনিধি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেছেনবাণিজ্য আলোচনায় সামান্য অগ্রগতির কারণে ইইউ চিনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক প্রাক-শীর্ষ সম্মেলন উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংলাপ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিকে, যেখানে বাইডেন যুগের ট্রান্সআটলান্টিক মিত্ররা চিনের বিরুদ্ধে একটি জোটবদ্ধ ফ্রন্ট উপস্থাপন করেছিল, সেখানে মনে হচ্ছিল ইইউ-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে। দাভোসে দের লেইনের বক্তৃতা চিনে সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল এবং চিনের আকর্ষণীয় আক্রমণাত্মক মনোভাব ওয়াশিংটনের পরিবর্তে বেজিংকে ইউরোপের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে চিত্রিত করেছিল ইতিমধ্যে ইইউ বাণিজ্য কমিশনার মারোস শেফকোভিচ ২০২৫ সালের মার্চ মাসে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার জন্য বেজিং সফর করেছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য বিঘ্ন ট্রান্সআটলান্টিক অংশীদারিত্বের উত্থানের কারণে ইইউ-চিন পুনর্নির্মাণের সুযোগ তৈরি হওয়ায়, সম্ভাব্য ইইউ-চিন পুনর্মিলনের সম্ভাবনা আশাব্যঞ্জক বলে মনে হয়েছিল। তবে ব্রাসেলস বেজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিত সীমিত ট্রাম্পের শুল্কের ফলে বাণিজ্য বিচ্যুতির বিষয়টি চিনের বিরুদ্ধে ইইউ-র অভিযোগের তালিকাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

বিরক্তি উদ্রেককারী পণ্য বাতিলের তালিকা

বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি), অ্যালকোহল, শূকরের মাংস, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রেয়ার আর্থ সংক্রান্ত বাণিজ্য নিয়ে বিবাদের ফলে একে অপরের শিল্প নীতি এবং বাণিজ্য পদ্ধতিতে অভিযোগ, প্রতিশোধ তদন্ত শুরু করেছে। এই বিরোধগুলি কাঠামোগত সমস্যাগুলির দ্বারা আকার পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চিনে ইউরোপীয় সংস্থাগুলির সীমিত প্রবেশাধিকার ক্রমাগত বাণিজ্য  ঘাটতি।

শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ-র একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হল - যা তার রেয়ার আর্থ সরবরাহের ৯৮ শতাংশের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল - অনেক ইইউ উৎপাদন খাত দূষণহীন প্রযুক্তির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলিতে প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করা।

শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ-র একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হল - যা তার রেয়ার আর্থ সরবরাহের ৯৮ শতাংশের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল - অনেক ইইউ উৎপাদন খাত দূষণহীন প্রযুক্তির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলিতে প্রবেশাধিকার সুনিশ্চিত করা। এই বছরের শুরুতে চি রেয়ার আর্থের উপর রফতানি বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু তা ইইউ শিল্পকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্লকে রেয়ার আর্থের চালানের মূল্য ৮৪ শতাংশ হ্রাস পায় এবং পাশাপাশি ইউরোপীয় নির্মাতাদের জন্য সরবরাহ শৃঙ্খলও ব্যাহত হয়। কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দের লেইন চিনকে রেয়ার আর্থ সরবরাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আধিপত্য, নির্ভরতা ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ করেন, যার তীব্র নিন্দা করে বেজিং।

গত বছর ইইউ চিনা ইভিগুলির উপর ৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, কারণ চিনের ভর্তুকিযুক্ত অতিরিক্ত ক্ষমতার কারণে ইউরোপে এই ইভিগুলির উপস্থিতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ব্লকের দেশীয় অটো শিল্পের জন্য অন্যায্য প্রতিযোগিতা  সৃষ্টি হয়েছে। একই ধরনের সমস্যা সৌর প্যানেল, বায়ু টারবাইন ইস্পাত-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রকে বিপর্যস্ত করেছে। চিন এর প্রত্যুত্তরে ১.৭৫ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের ইউরোপীয় শূকরের মাংস রফতানির উপর অ্যান্টি-ডাম্পিং তদন্ত শুরু করে এবং ইউরোপীয় ব্র্যান্ডির উপর শুল্ক আরোপ করে প্রতিশোধ নেয়। বাণিজ্য প্রবাহের পুনঃনির্ধারণ পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ যে আমদানি নজরদারি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল তাতে দেখা গিয়েছে যে, ট্রাম্পের চিনা পণ্যের উপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরে ব্লকে চিনা রফতানি ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইউরোপীয় বাজারগুলি এই সব পণ্যে প্লাবিত হওয়ার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চিনা বাজারে সরকারি ক্রয়ের সীমিত প্রবেশাধিকারের প্রতিক্রিয়ায় ইইউ ২০২২ সালে গৃহীত তার আন্তর্জাতিক ক্রয় সাধনী (আইপিআই) ব্যবহার করে প্রথম বারের মতো ৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ইইউ মেড-টেক টেন্ডারে চিনা প্রবেশাধিকার  সীমিত করেছে। এই সমস্যাগুলি চিনের সঙ্গে ইইউ-র বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিতে অবদান রেখেছে, যা ২০২২ সালে ৪০০ বিলিয়ন ইউরো ২০২৩ সালে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ইউরোতে এসে দাঁড়িয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ইইউতে চিনা রফতানি ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে আমদানি ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। উভয় পক্ষই এখন আলোচনায় তাদের নিজ নিজ শক্তি ব্যবহার করে ছাড় চাইছে। উদাহরণস্বরূপ, চিন ইইউ-র বিদ্যমান ইভি শুল্ককে চিনা ইভির জন্য ন্যূনতম মূল্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চায়।

রাশিয়া-চি সীমাহীন অংশীদারিত্ব গভীরতর হওয়ার পাশাপাশি দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি সরবরাহ জ্বালানি ক্রয়ের মাধ্যমে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতি বেজিংয়ের নীরব সমর্থনের কারণে ইউরোপীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

ইতিমধ্যে রাশিয়া-চি সীমাহীন অংশীদারিত্ব গভীরতর হওয়ার পাশাপাশি দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি সরবরাহ জ্বালানি ক্রয়ের মাধ্যমে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতি বেজিংয়ের নীরব সমর্থনের কারণে ইউরোপীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসে শি-র রাশিয়ায় তৃতীয় সফর ছিল, যেখানে তিনি বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানিত অতিথি ছিলেন। পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন চিনের ফরেন মিনিস্টার ওয়াং ই সম্প্রতি বলেছেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধে হেরে যাওয়া তাঁর দেশের স্বার্থে জন্য অনুকূল নয় কারণ এটি আমেরিকার মনোযোগ চি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফিরিয়ে আনবে। সর্বোপরি, ইউরোপীয় লক্ষ্যবস্তুতে চিনা সাইবার আক্রমণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে দেশটির সামরিক গঠন ইউরোপীয়দের অস্থির করেছে। পরিবর্তে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইইউ-র ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর পাশাপাশি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার চিরন্তন সমস্যা রয়েছে, যাদের নিজস্ব স্বার্থ বেজিংয়ের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং প্রায়শই ইইউ-র উগ্রতর দৃষ্টিভঙ্গিকে তা দুর্বল করে দেয়। বেজিং প্রায়ই এই পার্থক্যগুলিকে কাজে লাগিয়েছে এবং ইউরোপে বিভাজন ও শাসনের খেলা খেলছে। এই বছরের শেষের দিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের চিন সফর - যাঁ সঙ্গে প্রথাগত ভাবে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল ছিল - আবারও ব্লকের সংহতির পরীক্ষা নেবে।

ইউরোপীয় লক্ষ্যবস্তুতে চিনা সাইবার আক্রমণ এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে দেশটির সামরিক গঠন ইউরোপীয়দের অস্থির করেছে। পরিবর্তে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইইউ-র ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন চিনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হল ২০২১ সালে আরোপিত যথাযথ’ (টিট ফর ট্যাট) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, যা জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চিনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইইউ-র পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত বিশ্লেষকদের উপর চিনের নিষেধাজ্ঞার পরপরই কার্যকর হয়। এর ফলে ইইউ-চিন ব্যাপক বিনিয়োগ চুক্তি (সিএআই) অনুমোদন স্থগিত করা হয়, যার লক্ষ্য ছিল বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা এবং চিনে কর্মরত ইউরোপীয় সংস্থাগুলির অবস্থার উন্নতি করা। তবে অন্য বেশিরভাগ বিরক্তিকর বিষয়ের ক্ষেত্রে খুব কমই অর্থবহ অগ্রগতি হয়েছে।

ইইউ-চিন পুনর্গঠন?

চিনের উপর ইইউ-র ২০১৯ সালের ত্রিমুখী কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও ইউরোপীয়  ধারণাগুলি ক্রমশ প্রতিযোগিতা পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে সরে এসেছে এবং অংশীদার উপাদানটি মূলত জলবায়ু কর্মের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখেছে। ইইউ চিনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে একটি অভিযান শুরু করেছে; সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির ফলে এমন একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে গঠনমূলক সংলাপের মঞ্চ হিসাবে বিবেচিত শীর্ষ সম্মেলনগুলি প্রতি বছর ক্রমশ আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে, যার মধ্যে প্রত্যাশা কম এবং অর্জন সীমিত। ২০২২ সালের ইইউ-চিন শীর্ষ সম্মেলনকে তৎকালীন ইইউ ফরেন পলিসি চিফ জোসেপ বোরেল কুখ্যাত ভাবে বধিরদের সংলাপ নামে অভিহিত করেছিলেন ২০২৩ সালের সংস্করণের মতো এই শীর্ষ সম্মেলনটিতেও আবারও দ্বিপাক্ষিক ভাবে সম্মত যৌথ বিবৃতির পরিবর্তে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে।

ইইউ চিনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে একটি অভিযান শুরু করেছে; সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতির ফলে এমন একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে গঠনমূলক সংলাপের মঞ্চ হিসাবে বিবেচিত শীর্ষ সম্মেলনগুলি প্রতি বছর ক্রমশ আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে, যার মধ্যে প্রত্যাশা কম এবং অর্জন সীমিত।

ইইউ চিন উভয়ই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমান্তরাল বাণিজ্য আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত। জুন মাসে চিন কিছুটা অস্থির চুক্তি করতে সক্ষম হলেও, ইইউ-কে ৩০ শতাংশ শুল্ক হারে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের সময়সীমার আগে ইইউ-চিন শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি সম্ভাব্য অস্থায়ী ট্রান্সআটলান্টিক বাণিজ্য চুক্তি চিনের প্রতি ইইউ-র অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছিল। তবে এটা স্পষ্ট যে, ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনার পটভূমিতে ইউরোপীয় চিনা বাজারগুলির একে  অপরের প্রয়োজন।

শীর্ষ সম্মেলনে পরে মৌলিক বিচ্যুতিগুলির আরও উল্লেখযোগ্য প্রতিকার ছাড়ের প্রস্তাব কার্যকর হবে না কি তা কেবল পার্থক্য প্রকাশের একটি মঞ্চ হিসাবে থেকে যাবে, তা সময় বলবে। একটি বর্ধিত প্রতিরক্ষামূলক সাধনীতে সজ্জিত আরও দৃঢ় ইইউকে শান্ত হতে বলা অনেক সহজ, অন্তত যতক্ষণ না বেজিং এই ম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টিকারী কাঠামোগত সমস্যাগুলিকে সত্যিকার অর্থে স্বীকার করে এবং তার নিজের গতিপথ পরিবর্তন করে।

 


শায়েরী মলহোত্র অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর।


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.