Published on Apr 22, 2024 Updated 0 Hours ago

কালাদান প্রকল্পের পথ বরাবর গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি আরাকান আর্মি দখল করে নেওয়ায় ভারতকে তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য হুন্তা ও অন্যান্য দলের মাঝে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে।

অনিশ্চয়তার মাঝে পথ খুঁজে নেওয়া: মায়ানমারে ভারতের কৌশলগত দ্বিধা

সামরিক অভ্যুত্থান মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার তিন বছর পর থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অধীনে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের কারণে দেশটিতে হুন্তার ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। এই যুদ্ধগুলি - বিশেষ করে রাখাইন এবং চিন স্টেটের উল্লেখযোগ্য অংশের উপর আরাকান আর্মির (এএ) নিয়ন্ত্রণ - ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যার মধ্যে ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্ট(কেএমটিটিপি) রয়েছে। এই প্রকল্প মায়ানমারের মধ্য দিয়ে ভারতের পূর্ব উপকূলরেখাকে দেশটির উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করার জন্য অত্যাবশ্যক এবং প্রকল্পটির লক্ষ্য হল লজিস্টিক সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলি দূর করা এবং আঞ্চলিক সমন্বিতকরণকে উন্নত করা।

ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ বা ‘প্রাচ্য অভিমুখী’ নীতির ভিত্তিস্বরূপ কেএমটিটিপি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী এবং শিলিগুড়ি করিডোরের বিকল্প তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংযোগের প্রচারে ভারতের দায়বদ্ধতাকেই দর্শায়। যাই হোক, মায়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত প্রকল্পের সমাপ্তি ভবিষ্যতের কার্যক্রমকে বিপন্ন করে তুলেছে এবং ভারতকে এই অঞ্চলে তার স্বার্থ রক্ষা ও সঙ্কটের মাঝেই হেন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের সাফল্য সুনিশ্চিত করার জন্য নিজের পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

 

কালাদান প্রকল্পের অবস্থা

ভূমি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিরোধ, সমন্বয়ে ব্যর্থতা ও প্রতিবন্ধকতাময় ভূখণ্ডের কারণে প্রথমে ২০১৪ সাল ও পরে ২০২০ সালে এই প্রকল্পের সমাপ্তির সময়সীমা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও ভারত কালাদান প্রকল্পটি দ্রুত সমাপ্ত করার লক্ষ্যে অবিচল। ভারতীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত কালাদান প্রকল্পের রাস্তার প্রায় ৯৮ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে মায়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী উ অং নাইং ও ঘোষণা করেছিলেন যে, মিজোরামের জোরিনপুই থেকে পালেতোয়াকে সংযোগকারী রাস্তাটির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে।

 

এএ ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে কালাদান প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করে, যখন এএ বাহিনীকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ভারত মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।

 

রাস্তা নির্মাণের জন্য দায়বদ্ধ ইরকন ইন্টারন্যাশনাল প্রাথমিক ভাবে মায়ানমারে স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে এবং প্রকল্পের উপর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণ থেকে ঝুঁকি কমানোর পরিকল্পনা করেছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এএ ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে কালাদান প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করে, যখন এএ বাহিনীকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ভারত মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। এর ফলে এএ প্রকল্পে কর্মরত পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করে২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে, প্রকল্প সাইটের কাছে এএ এবং হুন্তা বাহিনীর মধ্যে আর কটি সংঘর্ষ হয়েছিল।

এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে গত বছর ইরকন অসমাপ্ত মহাসড়কের বিভিন্ন অংশের কাজ শেষ করার উদ্দেশ্যে মায়ানমারের দুটি সংস্থা অর্থাৎ মায়ানমার নিউ পাওয়ার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং সু তু সেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাই হোক, এই চুক্তিগুলি পরিবেশগত, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের কারণে সম্ভাব্য বিলম্ব হওয়ার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্য ৪০ মাসের সময়কাল নির্দিষ্ট করে। বিদ্যমান হিংসা, সামরিক কার্যকলাপ সশস্ত্র দলগুলির তরফে ঘন ঘন আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে এই কারণগুলি বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রকল্পের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সমাপ্তির পূর্বাভাসকে উল্লেখযোগ্য ভাবে জটিল করে তোলে।

 

আরাকান আর্মির (এএ) গুরুত্ব

কাচিন স্টেটের মায়ানমার-চিন সীমান্তে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিষ্ঠিত এএ কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) থেকে সমর্থন পেয়েছে। গোষ্ঠীটির লক্ষ্য একটি আরাকান রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করা, যা জাতীয় স্বাধীনতা এবং আরাকানের জনগণের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

বিশ্লেষকরা ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এএ-র সংঘাতকে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের তীব্রতম সংঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। এএ সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির অন্যতম, যারা একটি রাষ্ট্রের সমান্তরাল পরিকাঠামো চালাচ্ছে এবং এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রদান করছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের আগে জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভাজন ও শাসনের কুখ্যাত কৌশল ব্যবহার করে সামরিক শাসন এবং এএ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল।

 

নিপ্পন ফাউন্ডেশনের একজন জাপানি দূতের সহায়তায় এএ এবং সামরিক বাহিনী ২০২২ সালের নভেম্বরে আর কটি যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করে।

 

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পরে প্রাথমিক ভাবে দেশব্যাপী প্রতিরোধে এএ-র ভূমিকা অস্পষ্ট বলে মনে হয়েছিল। যাই হোক, রাখাইনে ক্ষমতার জন্য হুন্তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, হুন্তার বিরুদ্ধে অন্যান্য জাতিগত শক্তির সঙ্গে সহযোগিতা করা, প্রতিরোধী শক্তিকে সমর্থন জোগানো এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কৌশলটি বিবর্তিত হয়েছিল। ২০২২ সালে এএ এলাকায় সামরিক বাহিনীর আক্রমণ প্রথম যুদ্ধবিরতি সমাপ্তি ঘটায়। নিপ্পন ফাউন্ডেশনের একজন জাপানি দূতের সহায়তায় এএ এবং সামরিক বাহিনী ২০২২ সালের নভেম্বরে আর কটি যুদ্ধবিরতিতে প্রবেশ করে। তা সত্ত্বেও, এএ নিজের অবস্থান বজায় রেখেছিল এবং সতর্ক করেছিল যে, যুদ্ধবিরতি ছিল অস্থায়ী এবং হুন্তার তরফে যে কোনও পদক্ষেপ আবারও হিংসার জন্ম দিতে পারে।

২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর অপারেশন ১০২৭-এর অংশ হিসাবে এএ রাজ্যের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে বর্ডার গার্ড পুলিশ স্টেশনগুলিতে আক্রমণ চালায়। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এএ পাউকতাও, কিউকতাও, ম্রাউক-উ, মিনবিয়া এবং মাইবোন এবং মংডু বুথিডাং-এর মতো কালাদান নদীর তীরে উল্লেখযোগ্য শহরগুলিকে দখল করেছে। দলটি সিওয়ে সংলগ্ন কালাদান নদীর মোহনার কাছে পোন্নাগিউনের কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশনও দখল করে নেয়। কালাদান নদীর তীরে উন্নয়ন প্রচেষ্টায় মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে সরকার এখন রাখাইন স্টেটের রাজধানী রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছে।

সিওয়ের পরিস্থিতি এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের বাহিনী কাছাকাছি অবস্থান করায় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অঞ্চলটিতে ইন্টারনেট বন্ধ, অবিরাম যুদ্ধ, খাদ্যের ঘাটতি, এবং মূল্যস্ফীতি ব্যাপক হারে মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে এবং বাকি মানুষ আরও বেশি সংখ্যক বিমান হামলা সড়ক সংঘাতের সম্মুখীন হচ্ছেন। সিওয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ জাহির করতে হুন্তা তিনটি সেতু ভেঙে ফেলে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর তরফে সিওয়ের দখল প্রায় আসন্ন বলে মনে করা হচ্ছে।

 

এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অঞ্চলটিতে ইন্টারনেট বন্ধ, অবিরাম যুদ্ধ, খাদ্যের ঘাটতি, এবং মূল্যস্ফীতি ব্যাপক হারে মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে এবং বাকি মানুষ আরও বেশি সংখ্যক বিমান হামলা সড়ক সংঘাতের সম্মুখীন হচ্ছেন

 

এএ-র এক মুখপাত্র একটি প্রথম সারির ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তাঁরা কালাদান প্রকল্পের ক্ষতি করবে না। মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) সঙ্গে মিলে এএ মায়ানমারে সামরিক শাসনের পতন ঘটানোর উপর মনোনিবেশ করেছে। যা আসলে দর্শায় তা হল, ভারত সরকারকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।

 

ভারত সরকারের দ্বিধা

১৯৯০ সাল থেকে মায়ানমারের প্রতি ভারতের নীতিতে শাসক শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিবেশী দেশগুলিতে নিরাপত্তা রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক নীতির প্রচারের উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সামরিক সহযোগিতা এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরজিৎ সিং সাহির নেতৃত্বে একটি ভারতীয় সেনা প্রতিনিধিদলের সম্প্রতি মায়ানমার সফরের মতো উদ্যোগ এই নীতির উদাহরণস্বরূপ।

পালেতোয়া সিওয়ের মতো অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির মাঝে এবং এএ-এর সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষিতে ভারত এক জটিল সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং মায়ানমারের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির পুনর্মূল্যায়ন সম্ভাব্য পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন। এই আবশ্যিকতার মধ্যে শুধু মাত্র ভারতীয় নাগরিকদের এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়াই নয়, বরং অংশীদারদের বৃহত্তর বর্ণালীসঙ্গে সক্রিয় ভাবে সম্পৃক্ত হওয়াও জড়িত।

বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং কেএমটিটিপি-র মতো সংযোগ প্রকল্পগুলির জন্য মায়ানমারের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রকল্পটি শুধুমাত্র আঞ্চলিক সংযোগমূলক প্রচেষ্টা নয়, বরং চিনা প্রভাব মোকাবিলায় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভারতের কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও।

 

ভারতকে মায়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য এএ-র মতো গোষ্ঠীর সঙ্গে বাহ্যিক ভাবে জড়িত থাকার মধ্যে সতর্ক ভারসাম্য আনতে হবে।

 

কালাদান প্রকল্পের পথ বরাবর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এএ-র আধিপত্য এবং প্রকল্পটি ব্যাহত না করার আশ্বাস বিরোধপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিদের সঙ্গে জড়িত থাকার জটিলতাগুলিকে তুলে ধরে। ভারতকে মায়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার জন্য এএ-র মতো গোষ্ঠীর সঙ্গে বাহ্যিক ভাবে জড়িত থাকার মধ্যে সতর্ক ভারসাম্য আনতে হবে।

এর পাশাপাশি, এএ-র পরিবর্তিত রাজনৈতিক অবস্থান, ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তার মিথস্ক্রিয়া মায়ানমারে একটি পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিসরেরই ইঙ্গিত দেয়। এ সব কিছুই দর্শায় যে, মায়ানমারের প্রতি ভারতের নীতিকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে, যা দেশের মধ্যে জোট ক্ষমতা কাঠামোর গতিশীল প্রকৃতির জন্য দায়বদ্ধ থাকবে।

এ ছাড়া, মায়ানমার হুন্তা কর্তৃক একটি নিয়োগ আইন প্রবর্তন, তরুণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক পরিষেবা, নাগরিক অস্থিরতার সামনে শাসকদের হতাশাকেই দর্শায়। এর ফলে বহু সংখ্যক মানুষ এই বাধ্যতামূলক পরিষেবার জাল এড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা তাই দূতাবাসে ভিসার আবেদন সংখ্যার বৃদ্ধিতেই আরও বেশি করে প্রকাশ্যে এসেছে।

মায়ানমারের ৪৫০০০ জনেরও বেশি নাগরিক ভারতীয় সীমান্ত রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন এবং নিজের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টা ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর) পুনর্মূল্যায়ন করা মায়ানমারের অস্থিতিশীলতার প্রতি এক প্রতিক্রিয়াকেই দর্শায়, যার লক্ষ্য হল জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা। যাই হোক, শরণার্থীদের আগমন পরিচালনার বিষয়টি সমস্যাজনক এবং তা দর্শায় যে, মানবিক সহায়তা প্রদান করা মায়ানমারের জনগণকে সমর্থন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হতে পারে, যা গণতান্ত্রিক শাসনের অভিমুখে দেশের ভবিষ্য গতিপথের কেন্দ্রে রয়েছে। জোটের তরল প্রকৃতি এবং শক্তির গতিশীলতা বিবেচনা করে মায়ানমারের প্রতি ভারতের নীতিকে অভিযোজিত হতে হবে।

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.