-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
যদিও এই প্রকল্পটি লক্ষ লক্ষ পরিবারের আবাসন সরবরাহ নিশ্চিত করেছে, তবে বস্তি পুনরুন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় একটি ফোকাসড কর্মপদ্ধতির প্রয়োজন।
পি এম এ ওয়াই–ইউ কি সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদানে সফল হয়েছে?
শহরগুলি জীবিকা এবং কর্মসংস্থানের জন্য চুম্বক হিসাবে কাজ করে। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অভিবাসন দ্রুত নগরায়ণের দিকে নিয়ে গেছে। দ্য ওয়র্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টস অনুমান করে যে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শহরাঞ্চলে বসবাস করবেন। টি জি ১২ রিপোর্ট অনুসারে, শহরগুলির প্রায় ১৯ মিলিয়ন (১৮.৭৮) পরিবার আবাসনের অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটি আগত ও বিদ্যমান ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তাদের জন্য সাশ্রয়ী বলে গণ্য করা হয় যাদের পরিবারের আয় মাঝামাঝি স্তরের। আবাসনজনিত পছন্দ হল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক আবেগের জটিল সমষ্টির প্রতিক্রিয়া, যার মধ্যে ব্যয়, অর্থনীতি ও পরিবহণ অন্তর্ভুক্ত। জমির বাজার মূল্য এবং অর্থের প্রাপ্যতা হল বাড়ির দামের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক। ক্রমবর্ধমান জমির দাম এবং আর্থিক সংস্থানের অভাবের কারণে লক্ষ লক্ষ পরিবারের জন্য আবাসন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, এবং আবাসনের দাম ও আয়ের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন বেড়ে চলেছে। আবাসনকে ‘সাশ্রয়ী’ হিসাবে তখনই বিবেচনা করা হয় যখন একটি পরিবার ভাড়া বা বন্ধকের জন্য নির্ধারিত মাসিক পারিবারিক আয়ের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যয় করে একটি উপযুক্ত সুযোগসুবিধাযুক্ত হাউজিং ইউনিটে জায়গা পায়।
ক্রমবর্ধমান জমির দাম এবং আর্থিক সংস্থানের অভাবের কারণে লক্ষ লক্ষ পরিবারের জন্য আবাসন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এবং আবাসনের দাম ও আয়ের মধ্যে ব্যবধান দিন দিন বেড়ে চলেছে।
২০১৫ সালে ভারত সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা–শহুরে (পি এম এ ওয়াই–ইউ) চালু করে। এতে একটি শহুরে প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট সমস্যাগুলি মোকাবিলার জন্য পরিকল্পিত চারটি উল্লম্ব রয়েছে, এবং এমন একটি চাহিদাচালিত পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির চাহিদা মূল্যায়নের ভিত্তিতে আবাসনের ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলিকে ২০২২ সালের মধ্যে নিম্নলিখিত কর্মসূচি উল্লম্বগুলির মাধ্যমে যোগ্য সুবিধাভোগীদের বাড়ি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রদান করা হয়:
১। বেনিফিশিয়ারি লিঙ্কড কনস্ট্রাকশন (বি এল সি): সুবিধাভোগীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ/বর্ধিতকরণের জন্য ভর্তুকি।
২। ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি স্কিম (সি এল এস এস): ঋণ ভর্তুকির মাধ্যমে দুর্বল শ্রেণির মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরি করা।
৩। অ্যাফর্ডেবল হাউজিং ইন পার্টনারশিপ (এ এইচ পি): সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ি তৈরি করা।
৪। ইন-সিটু স্লাম রিডেভলপমেন্ট (আই এস এস আর): জমিকে সম্পদ হিসাবে ব্যবহার করে বেসরকারি ডেভলপারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এখনকার বস্তিগুলিতে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন।
পি এম এ ওয়াই–ইউ পারফরম্যান্স– লাখে সংখ্যা
পি এম এ ওয়াই–ইউ উল্লম্ব | অনুমোদিত বাড়ি | নির্মীয়মান বাড়ি | নির্মিত |
বি এল সি | ৭৩.৭৬ | ৫৯.৮৮ | ২৮. ১১ |
সি এল এস এস | ২৩.৯৭ | ||
এ এইচ পি | ২০.৬৩ | ১৩.২৭ | ৬.৬৩ |
আই এস এস আর | ৪.৩৩ | ৬.৪৩ | ৪.৯০ |
সূত্র: আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক – এম আই এস, জুন ২০২২
ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি স্কিম (সি এল এস এস) হল কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রের প্রকল্প। তা ব্যতীত পি এম এ ওয়াই–ইউ একটি কেন্দ্র-অর্থায়িত প্রকল্প (সি এস এস)। পি এম এ ওয়াই–ইউ–এর অধীনে সরকার ১২৩ লক্ষ বাড়ি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ৬০ লক্ষ বাড়ি সম্পূর্ণ হয়েছে। ৪০ লাখ বাড়ি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে, আর ২৩ লাখ বাড়ি এখনও ধরা হয়নি। সহজ কথায়, ৫১ শতাংশ আবাসস্থল হয় অসম্পূর্ণ বা সেগুলির নির্মাণ এখনও শুরুই হয়নি।
প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে আছে। এই বিলম্বের কারণ হিসাবে কোভিড–প্ররোচিত লকডাউনকে দায়ী করা যেতে পারে। যাই হোক, প্রকল্পের কর্মসম্পাদনকে সামগ্রিকভাবে অনুধাবনের জন্য প্রতিটি উল্লম্বকে বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
যেসব সুবিধাভোগী জমি মালিককে চাহিদা সমীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের বাড়ি নির্মাণের জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হয়। রাজ্যগুলি তাদের দিক থেকে ভর্তুকি প্রদান করে, যা রাজ্যে রাজ্যে পরিবর্তিত হয়।
অনেক সম্ভাব্য বি এল সি সুবিধাভোগী জমির মালিকানা সংক্রান্ত নথি নিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। অনেক ভারতীয় শহরে, প্রধানত পুরনো শহরে, জমির রাজস্ব নথিতে অস্পষ্টতা রয়েছে। এটি অনেক মানুষকে সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখে।
সরকার বাড়ি ক্রয়, নির্মাণ বা বর্ধিতকরণের জন্য সি এল এস এস–এর অধীনে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল/নিম্নআয়ের এবং মধ্যআয়ের গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীদের গৃহঋণের উপর সুদে ভর্তুকি প্রদান করে।
সরকার গ্রাম অঞ্চলে সার্ভে অফ ভিলেজেস অ্যান্ড ম্যাপিং উইথ ইমপ্রোভাইজড টেকনোলজি ইন ভিলেজ এরিয়াজ (স্বামিত্ব) প্রকল্প চালু করেছে,যার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলিকে জমির মালিকানা অস্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সম্পত্তি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। একই ধরনের প্রকল্প শহরাঞ্চলে নেই। জমির মালিকানা হল বি এল সি কম্পোনেন্টের অধীনে সুবিধাভোগী হওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। তাই, শহুরে এলাকায় জমির নথিপত্রের সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য স্বামিত্ব প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রকল্প তৈরি করাই এই সময়ের প্রয়োজন।
সরকার বাড়ি ক্রয়, নির্মাণ বা বর্ধিতকরণের জন্য সি এল এস এস–এর অধীনে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল/নিম্ন আয়ের ও মধ্যম আয়ের গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীদের গৃহঋণের উপর সুদে ভর্তুকি প্রদান করে। উদ্দেশ্য হল সুবিধাভোগীকে বাড়ি কিনতে বা নির্মাণ করতে সক্ষম করে শহরাঞ্চলে এই বিভাগের আবাসন চাহিদা পূরণ করা। সি এল এস এস প্রকল্পের অবস্থা বর্তমানে অস্পষ্ট। নির্দেশিকাগুলিতে ৩১ মার্চ ২০২২–কে চূড়ান্ত সময়সীমা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক সময় সম্প্রসারণ করা হয়নি। যখন সি এল এস এস চালু ছিল, এটি সুবিধাভোগীদের অর্থপ্রদানের বোঝা কমিয়েছিল। তবে, এটি আবাসন ঋণের নাগাল প্রসারিত করতে খুব কমই কাজে লেগেছে, বিশেষ করে ই ডব্লু এস বিভাগে। অনানুষ্ঠানিক আয়–উপার্জনকারী গোষ্ঠী থেকে ই ডব্লু এস সুবিধাভোগীরা এখনও আনুষ্ঠানিক আবাসন ঋণ পেতে সংগ্রাম করেন। ভারত সরকারের ক্রেডিট রিস্ক গ্যারান্টি ফান্ড ট্রাস্ট স্কিমও এই ফ্রন্টে ব্যর্থ হয়েছে।
এ এইচ পি সরবরাহের দিক থেকে একটি হস্তক্ষেপ। সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে বাড়ির সরবরাহ বাড়ানোই এর লক্ষ্য। হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র, বেসরকারি উদ্যোগ ও প্যারাস্টেটাল এজেন্সিগুলির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান ইউনিটগুলির সরবরাহ বৃদ্ধি করা। সরকার সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য (ই ডবলু এস) বাড়িগুলিকে প্রতি ইউনিট ১.৫ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করে, যেখানে নির্মিত আবাসনের ৩৫ শতাংশ এই শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যগুলি এ এইচ পি প্রকল্পগুলিতে সহায়তা করে, তবে সহায়তার হার বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকম হয়।
এখনও পর্যন্ত প্রয়াসিত কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে জমির নিবিড় উপযোগের অনুমতির বিনিময়ে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য ব্যক্তিগত জমি ব্যবহার করা বা উচ্চমূল্যের আবাসন নির্মাণের অনুমতির সঙ্গে পারমিট বিনিময় করে নেওয়া।
অংশীদারিত্বে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন (এ এইচ পি) উল্লম্বের গ্রাহকের সংখ্যা একাধিক অংশীদারের উপর নির্ভর করে, এবং বেসরকারি ক্ষেত্র তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের অংশগ্রহণ অবশ্য সীমিত, এবং অপ্রতুল প্রণোদনা ও প্রকল্প বিলম্ব থেকে শুরু করে রাষ্ট্র ও বেসরকারি ডেভলপারদের মধ্যে তথ্যের অসামঞ্জস্যের মতো অনেক চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত প্রয়াসিত কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে জমির নিবিড় উপযোগের অনুমতির বিনিময়ে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য ব্যক্তিগত জমি ব্যবহার করা, বা উচ্চমূল্যের আবাসন নির্মাণের অনুমতির সঙ্গে পারমিট বিনিময় করে নেওয়া। স্বল্প খরচে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের জন্য ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার সম্ভাবনা সীমিত। যাই হোক, উপযুক্ত পিপিপি কাঠামো বেসরকারি ক্ষেত্রকে এই দিকে আকৃষ্ট করতে পারে। অন্যান্য সুবিধা যেমন কর ছাড়, কম জি এস টি হার, এবং স্ট্যাম্প শুল্ক এই প্রকল্পকে বেসরকারি কর্তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।
ভারতে বস্তি পুনর্বাসনের বিষয়টি উচ্ছেদ, অবৈধ সাবলেটিং, দুর্নীতি ও বর্জনে জর্জরিত। আই এস এস আর উল্লম্বের উদ্দেশ্য হল সমস্ত বস্তির জন্য উপযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা। সরকার বস্তির জায়গাটিতে উপযুক্ত আবাসন বিকাশের জন্য একজন ব্যক্তিগত বিকাশকারীকে প্রতি ইউনিট ১ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করে। বেসরকারি বিকাশকারীরা তারপর জমিকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে লাভের জন্য। তবে সমস্ত পি এম এ ওয়াই–ইউ উল্লম্বগুলির মধ্যে আই এস এস আর হল সবচেয়ে কম সফল উল্লম্ব। এর মধ্যে রয়েছে অনুমোদিত বাড়িগুলির মাত্র ৩.৫২ শতাংশ (৪.৪৪ লক্ষ)। নগর বিষয়ক মন্ত্রকের মতে, রাজ্যসভায় উপস্থাপিত ২০১৯ ডেটা দেখায় যে ৬.৫ কোটি মানুষ বস্তিতে বাস করেন। এই আলোকে, আই এস এস আর–এর ৪.৪ লক্ষ সংখ্যাটি সবার জন্য আবাসনের লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে খুবই কম।
বস্তি উন্নয়ন এবং পুনরুন্নয়নের প্রথম ধাপ হল এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যে শহরাঞ্চলের সমস্ত বস্তি ও বস্তিসদৃশ বসতিগুলিকে গণনার মধ্যে নিয়ে আসা।
অনেক ক্ষেত্রে, রাজ্য সরকার একটি বস্তি এলাকাকে বস্তি হিসেবে ঘোষণাই করে না। এটি আই এস এস আর উল্লম্বে একটি প্রধান বাধা। বস্তি উন্নয়ন ও পুনরুন্নয়নের প্রথম ধাপ হল এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যে শহরাঞ্চলের সমস্ত বস্তি ও বস্তিসদৃশ বসতিগুলিকে গণনার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সেগুলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যেমন জমির মালিকানা, পরিকল্পনা, জোনিং শ্রেণিবিভাগ, এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য উপযোগিতা চিহ্নিত করা উচিত। তৃতীয়ত, চিহ্নিতকরণে নাগরিক ও প্রাথমিক পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। চতুর্থত, প্রতিটি বস্তির স্থায়িত্ব এবং সম্ভাব্যতা বিচার করতে হবে। বস্তি স্তরে একটি হস্তক্ষেপ কৌশলের জন্য উপরের সমস্ত পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
পি এম এ ওয়াই –ইউ সফলভাবে ৪.৮ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারে আবাসন সরবরাহ নিশ্চিত করেছে, তবে বস্তি পুনর্বাসনে আরও অগ্রসর হতে হবে। বস্তি পুনরুন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ফোকাসড পন্থা প্রয়োজন। সরকারি ভর্তুকি অবশ্যই আবাসন সরবরাহের জন্য কোনও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই বিকল্প নয়, এবং সুবিধাভোগী অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থায় তাদের প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। এর মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আয়ের উৎস, ঝুঁকির নিশ্চয়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বল্প সুদের হার সহ স্বল্পআয়ের ঋণগ্রহীতাদের জন্য কম খরচে ঋণের প্রাপ্যতা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে ঋণদাতাদের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করা দরকার, কারণ আনুষ্ঠানিক গৃহঋণ পাওয়ার পথের পরিসর উন্নত করার জরুরি প্রয়োজন আছে। অভিবাসী এবং এই ধরনের সুযোগ–সুবিধা যাঁদের প্রয়োজন এমন অন্যান্য শ্রেণির মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য ভাড়ার আবাসনের প্রাপ্যতার সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
মতামত লেখকের নিজস্ব।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.