Published on Dec 19, 2024 Updated 0 Hours ago

অর্থনৈতিক নির্ভরতা নয়াদিল্লিকে বেজিংয়ের জন্য চিরতরে অরক্ষিত করে তুলবে

ভারতের চিন কৌশলের মারাত্মক ত্রুটি

অক্টোবর মাসে চি ভারত তাদের দীর্ঘ বিতর্কিত অভিন্ন সাধারণ সীমান্তে প্রসারিত টহল দেওয়ার বিষয়ে শেষমেশ একটি চুক্তিতে এসে পৌঁছেছে। এই চুক্তিটি আপাতত হিমালয়ের উচ্চ পর্বতগুলিতে চার বছরের স্থবিরতার অবসান ঘটিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে মারাত্মক ভাবে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর রাশিয়ায় দেখা করা পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো আলোচনা করার সুযোগ করে দেয়। ২০২০ সালে গলওয়ান উপত্যকায় একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বহু সংখ্যক সেনা নিহত হ এবং দুই এশীয় মহাশক্তির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীর স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। ভারতীয় জনসাধারণ এটিকে চিনা আগ্রাসন মনে করে ক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং মোদী সরকার দেশগুলির মধ্যে সরাসরি উড়ান চলাচল বাতিল করার পাশাপাশি চিনকে শাস্তি দেওয়ার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক-কে নিষিদ্ধ করেছিলবর্তমানে অনেক বিশ্লেষকই দুই দেশের সম্পর্ক ফের ঘনিষ্ঠ হওয়ার এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখছেন।

কিন্তু চি ও ভারতের কাছে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো কোন ‘সাধারণ’ স্থিতাবস্থা নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং চিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের কাজ করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে চলেছে। সীমান্ত বরাবর বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ বিন্দু রয়েছে এবং শি-র আগ্রাসী শাসনের দ্বারা সেগুলি যে কোনও সময় পুনরায় সক্রিয় হতে পারে। মোদী তাঁর পূর্বসূরিদের তুলনায় চিনা সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী সীমানা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেষ্ট হলেও ভারতের অর্থনীতি চিনের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। গত পাঁচ বছরে চিনে ভারতের রফতানি কিছুটা কমে গেলেও চিন থেকে ভারতে আমদানির পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম এবং মোবাইল ফোন তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য ভারত চিনের উপর নির্ভরশীল। চিনা প্রযুক্তির আগমন রোধ করার আশায় ভারত সরকার যখন ২০২৩ সালের গস্ট মাসে ল্যাপটপ ব্যক্তিগত কম্পিউটিং যন্ত্রাংশের আমদানিতে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনপত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি শুরু করে, তখন ভারতীয় শিল্প গোষ্ঠীগুলির তরফে দ্রুত প্রতিক্রিয়া ভারতকে তার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য করে।

মনটা করার মাধ্যমে ভারত অবশেষে এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিতে পারবে যে, অর্থনৈতিক শক্তি একটি দেশের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি একটি বড় সমস্যা অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় নেতারা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নিরাপত্তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়গুলিকে পৃথক করে দেখেছেন। কিন্তু সেগুলি অবিচ্ছেদ্য। চিন যে হুমকি উত্থাপন করে, সে বিষয়ে ভারতের আরও ব্যাপক বোঝাপড়া প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের উচিত একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রক প্রতিষ্ঠা করা, যার কাজ হবে ভারতে চিনা অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার মাত্রা ও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা এবং এই সম্পৃক্ততার ঝুঁকি থেকে ভারতকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করা মনটা করার মাধ্যমে ভারত অবশেষে এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিতে পারবে যে, অর্থনৈতিক শক্তি একটি দেশের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে। কিন্তু ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা যদি অর্থনীতি নিরাপত্তার মধ্যে ধারণাগত বাধা অতিক্রম করতে সমর্থ না হন, তা হলে ভারত চিন এবং এশিয়ায় তার একাধিপত্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সামনে অরক্ষিত থাকবে।

চিন্ডিয়া থেকে ইন্ডিয়া ফার্স্ট

১৯৬২ সালে চি ভারতের হিমালয়াঞ্চলে এক বিশাল একতরফা যুদ্ধ হয়েছিল, যার ফলে ভারত নিজের বিশাল ভূখণ্ড চিনের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এই সুদীর্ঘ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সীমান্ত বিবাদ এখনও চলছে। দুই দেশ তাদের অভিন্ন সাধারণ সীমান্তের সঠিক বিভাজনরেখা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কখনই একমত হয়নি। এই সীমান্ত ২০০০ মাইলের বেশি দীর্ঘ, সর্পিলাকার, মূলত উঁচু ও অবন্ধুর ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে গিয়েছে১৯৬২ সালের পরাজয় কয়েক দশক ধরে ভারতের রাজনৈতিক অভিজাতদের তাড়া করে বেরিয়েছে। ১৯৮০-র দশকে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের প্রয়াস উভয় দেশকে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার দিকে ঠেলে দিলেও বিতর্কিত সীমান্ত সমস্যার সমাধান ভবিষ্য প্রজন্মের জন্য অমীমাংসিত রেখে দেওয়া হয়। ১৯৯০-এর দশকে প্রতিবেশী দুই দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, যেখানে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার না করার নীতির উপর জোর দেওয়া হয়। ভারত বিশ্বাস করেছিল যে, তারা শান্তি অর্জনে সমর্থ হয়েছে; যদিও সীমান্ত সম্পর্কে কোন চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছনো হয়নি। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলিতে চিমোতায়েন করা সেনার ব্যবস্থাকে আরও শক্তি জোগানোর জন্য সীমান্তে তার অবকাঠামো শক্তিশালী করেছে। ভারত এই পদক্ষেপগুলি সম্পর্ক অবগত থাকলেও সে তার সীমান্তের নিজ পাশে অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি এই ভয়ে যে, চিনা আগ্রাসন ভারত নির্মিত রাস্তার মাধ্যমে প্রতিহত করা যেতে পারে।

ভারত সরকার এই আশা করেছিল যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব অতীতের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর অধীনে - যিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন - অনেক কর্মকর্তা বিশ্লেষক অনুমান করেছিলেন যে, চিভারত একসঙ্গে নিজেদের উত্থান ঘটাতে পারে এবং এর ফলে কিছুটা আপত্তিজনক চিন্ডিয়া’ নামক অদ্ভুত শব্দবন্ধের জন্ম হয়। চিনের সঙ্গে সম্ভাব্য নতুন সম্পর্ক সেই যুগের ভারতীয় প্রশাসনকে কোয়াড-এ (কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে  নিয়ে গঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব) সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে সতর্ক করে দিয়েছিল। এর পাশাপাশি ভারতে ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ কৌশলের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য চিনা হস্তক্ষেপকে খাটো করে দেখায়। এই কৌশলের লক্ষ্য হল অন্য দেশের ভূখণ্ডে বাণিজ্যিক ও সামরিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে চিনের সামুদ্রিক উপস্থিতি প্রসার ঘটানো।

কিন্তু ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে এবং শি-র অধীনে চিন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। চিন সীমান্ত অঞ্চলে বিদ্যমান চুক্তি লঙ্ঘন করে সংবেদনশীল এলাকায় সৈন্যদের স্থানান্তরিত করার মাধ্যমে এবং ভারতীয় সৈন্যদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার উসকানি দিয়ে স্থিতাবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছিল। এর ফলে ভারতের নিরাপত্তা সমীকরণেও পরিবর্তন আসে। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ ভারতকে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্বের অনুসন্ধানে ব্রতী করে। ২০১৭ সালে সীমান্তে ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে উত্তেজনার পরে নয়াদিল্লি কোয়াড-কে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করে, যদিও ২০০৭ সালে স্থাপিত হওয়ার পরে ভারত কোয়াডের প্রতি তেমন আগ্রহ প্রদর্শন করেনি। ২০২০ সালে ভারতীয় চিনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে একাধিক হতাহতের পর ২০২১ সালে রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে কোয়াড তার প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্স ভাগ করে নেওয়া ও যৌথ সামরিক সক্ষমতা তৈরিতে আরও বেশি মনোযোগ দিতে তাদের অংশীদারিত্ব প্রসারিত করে। ২০২২ সালে এই দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান প্রযুক্তিগুলির ক্ষেত্রে একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা শিল্প, ভারতে জেট ইঞ্জিন নির্মাণ এবং চিনা প্রভাব থেকে মুক্ত অর্ধপরিবাহী সরবরাহ শৃঙ্খলের নির্মাণে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা। ২০২৩ সালের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সফরের সময় মোদী জোর দিয়ে বলেন তিনি বিশ্বাস করেন যে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির অংশীদারিত্ব আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।

ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্স ভাগ করে নেওয়া ও যৌথ সামরিক সক্ষমতা তৈরিতে আরও বেশি মনোযোগ দিতে তাদের অংশীদারিত্ব প্রসারিত করে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর ভারতের বর্তমান মনোভাবকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাবের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ বা ‘প্রথমে ভারত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। বাস্তবে ভারত চিনের প্রতি আরও সংঘর্ষমূলক মনোভাব গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য হল চিনের দাদাগিরিকে প্রতিহত করা। ভারতীয় কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের দরুন তার নীতি পছন্দগুলিকে খর্ব করতে অথবা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে দেশটির অংশীদারিত্ব সীমিত করতে দেবে না।

বর্তমানে নিজের ক্ষমতার তৃতীয় মেয়াদে মোদী বেজিংয়ের নিরিখে আরও ইতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করার চেষ্টা করছেন। ভারতের সরকার তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে এমন সময়ে, যখন চিন দ্বীপটিকে পৃথক করার চেষ্টা করছে। মোদী তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা জোরদার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনটা করার জন্য দুই দেশ অর্ধপরিবাহী উত্পাদনকারী অবকাঠামো গড়ে তোলার যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত একটি শ্রম-গতিশীলতা চুক্তি মেনে চলবে, যা ভারতীয় শ্রমিকদের কিছু ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে শ্রমের ঘাটতি প্রশমিত করতে সহায়তা করবে। ভারতও তাইওয়ানের শিল্পের পক্ষাবলম্বন করছেফক্সকন-এর চেয়ার ইয়াং লিউ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের তৃতীয়-সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে সম্মানিত হন এবং ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। মোদী সরকারও তিব্বতের অবস্থার দিকে বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে নির্বাসনে ভারতে বসবাসকারী দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভারত একটি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের অনুমোদন করে এবং জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন একটি আইনে স্বাক্ষর করেন, যা তিব্বতি সংস্কৃতি ধর্ম সংরক্ষণে সহায়তা করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা বহুপাক্ষিক উদ্যোগকে শক্তিশালী করে। ভারত এ বছর ফিলিপিন্সে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রও সরবরাহ করেছেকারণ দ্বীপপুঞ্জটি দক্ষিণ চিন সাগরে সামুদ্রিক আঞ্চলিক দাবি নিয়ে চিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনের সরবরাহ কেবলমাত্র চিনা আগ্রাসনকে মোকাবিলাকারী অন্য দেশের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনের জন্যই নয়, বরং এ কথাও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে, মোদী সরকার দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ান তিব্বতে তার মূল স্বার্থ সম্পর্কে চিনের বিপদরেখার কাছাকাছি যেতে ইচ্ছুক।

নরমে-গরমে

কিন্তু বেজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নীতিতে মোদীর অধীনে ভারতের তুলনামূলক ভাবে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার ফল ভাল হবে না। ভারত চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পরিস্থিতিমাফিক পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী। এক দশক আগে যখন শি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উন্মোচন করেছিলেন — বিশ্বের ডজনখানেক দেশে অবকাঠামো নির্মাণের একটি সুবিশাল পরিকল্পনা — ভারত তার বিরোধিতা করেছিল এই কারণে যে, ই প্রকল্প চিনের অংশীদারদের অস্থিতিশীল ঋণের জালে জড়িয়ে ফেলবে। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের মতো উদ্যোগের একটি অংশ নিয়েও নয়াদিল্লি জোর দিয়ে বলেছে যে, এটি এমন ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যা ভারতের অন্তর্গত পাকিস্তানের দ্বারা অবৈধ ভাবে অধিকৃত। কিন্তু বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এড়িয়ে গেলেও নয়াদিল্লি বেজিং-এর নেতৃত্বে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠায় উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়ে উঠেছে। ভারত বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রদানের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম এবং ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারত ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ গ্রহণ করেছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন, রাস্তা নির্মাণ এবং শহুরে রেল প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

চিনা টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এবং মোবাইলফোন সরঞ্জাম নির্মাতারা ভারতে বিনিয়োগ করে এই সুযোগটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন

২০১৪ সালে মোদী ভারতীয় উত্পাদনকে সশক্ত করার জন্য মেক ইন ইন্ডিয়া’ নামক উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পের পরিকল্পনা করেন, যার মাধ্যমে রেলের অবকাঠামো প্রতিরক্ষার মতো খাতগুলিকে বিদেশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দেন। চিনা টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এবং মোবাইলফোন সরঞ্জাম নির্মাতারা ভারতে বিনিয়োগ করে এই সুযোগটি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ২০১৯ সালে ভারত আঞ্চলিক সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। এই অংশীদারিত্ব ছিল আসলে চিন এবং অন্যান্য ১৪টি এশীয় দেশের মধ্যে হওয়া একটি বাণিজ্য চুক্তি। এই প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে ভারত বলে যে, শুল্ক হ্রাস অভ্যন্তরীণ উত্পাদকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়িয়ে তুলবে। তবুও একই বছরে, মোদী এবং শি-র মধ্যে অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে বাণিজ্য উৎপাদনে সহযোগিতার উন্নতির উপায় নিয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। মোদীর প্রথম মেয়াদে এ ভাবে বেজিংয়ের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। কারণ ভারত বিশ্বাস কর যে, চিনের উত্পাদন সংক্রান্ত জ্ঞান ভারতকে তার উন্নয়নমূলক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে সহায়তা করতে পারে এবং চিন ভারতীয় শিল্পগুলিকে চিনা বাজারে সমানুপাতিক প্রবেশাধিকার প্রদান করবে।

চিন থেকে উদ্ভূত করোনা ভাইরাস অতিমারি কল দেশের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তবে কঠোর জিরো কোভিড লকডাউনের মাধ্যমে বেজিং অন্তত শুরুর দিকে ভাইরাসটির অভ্যন্তরীণ বিস্তার ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যত্র বিশৃঙ্খলা উচ্চ হারের মৃত্যুর তুলনায় চিনের প্রাথমিক সাফল্য চিনের একটি প্রধান শক্তি হিসাবে উত্থানকে দর্শিয়েছিল। স্টক মার্কেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারত অন্যত্র অনেক পর্যবেক্ষক উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, শক্তিশালী চিনা পুঁজি দুর্দশাগ্রস্ত সংস্থাগুলিকে গ্রাস করবে। এই ভয় আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন চিনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে একটি প্রধান ভারতীয় ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি-তে তার অংশীদারিত্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে, কোভিড-১৯ ধাক্কায় জর্জরিত সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হয়। ভারত সরকার ২০২০ সালে নতুন নিয়ম জারি করেছে, যেগুলিতে ভারতে কী ভাবে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহিত হবে, তার সংস্কার করা হয় এবং এর লক্ষ্যই ছিল চিনের বিনিয়োগকে সীমিত করা

২০২০ সালের জুন মাসে গলওয়ানে সামরিক সংঘর্ষের ফলে ভারতীয় নাগরিক সমাজের নানা অংশ থেকে চিনা পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সরকার রাষ্ট্রীয় বেসরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলিকে চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করা এবং ভারতীয় বাজার থেকে চিনা টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়। ফলস্বরূপ, চিন থেকে ভারতে মূলধনের প্রবাহ ক্ষীণ হয়ে আসে এবং ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রাপ্ত মোট বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ০.৪৩ শতাংশ (২.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ভারত সরকার চিনা নাগরিকদের ভিসা প্রদান করার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে।

কিন্তু ২০২৪ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে – যেটিতে প্রশাসনের অভ্যন্তর থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও প্রভাব হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও মোদী আবার প্রধানমন্ত্রীর পদে ফেরত আসেন - সরকারের সংকল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। অর্থনীতির সর্বশেষ বার্ষিক বিশ্লেষণে ভারতের অর্থ মন্ত্রক ভারতে আরও চিনা বিনিয়োগ এবং বেজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা পুনরুদ্ধার করার বৃহত্তর আহ্বান জানিয়েছে। সরকার প্রকাশ্যে এ কথা অস্বীকার করলেও চিনের প্রতি ভারতের মনোভাব নরম হওয়ার লক্ষণ সুস্পষ্ট। ভারত চিনা পেশাদারদের জন্য ভিসা ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে একটি পোর্টাল চালু করেছে এবং চিনা বিনিয়োগের প্রস্তাবগুলি দ্রুত ট্র্যাক করার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করেছে২০২০ সালে স্থগিত হওয়ার পর থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী উড়ান পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা করতে উভয় দেশের  বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীরা সেপ্টেম্বরে বৈঠক করেছিলেন।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অপরিহার্যতা

চিনকে এক দিকে নিরাপত্তা হুমকি অন্য দিকে অর্থনৈতিক আশীর্বাদস্বরূপ মনে করার হেন ইচ্ছা ভারতের ক্ষতি করতে পারে। এটি ভারতের চিন নীতির অ্যাকিলিস হিল বা মারাত্মক দুর্বলতা। গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরঞ্জামের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীলতা ভারতকে বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলেঅর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনকে সুযোগ দেওয়ার একাধিক মূল্য চোকাতে হতে পারে: এটি চিনা আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে সক্ষম এমন এক উদীয়মান শক্তি হিসাবে ভারতের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, বেজিংয়ের সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে ভারতের একটি বাধা হিসেবে কাজ করার ভাবমূর্তিকে খর্ব করবে এবং চিনের বাইরে সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার কাজে ভারতের সংযুক্তি রয়েছে এ হেন উদ্যোগগুলিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। এর পাশাপাশি চিনের প্রতি ভারতের ক্ষমাশীল অর্থনৈতিক নীতি ভুটানের মতো ছোট আঞ্চলিক দেশগুলিকে উৎসাহিত করতে পারে, যেটি দু শক্তির মধ্যে একটি কৌশলগত বাফার হিসেবে কাজ করে এবং ভারতের অনিবার্য প্রতিরোধ সত্ত্বেও চিনের সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রাখতে চায়।

ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই সীমান্তে সরকারের কঠোর অবস্থানের অসঙ্গতি ও চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের আরও অনুমতিমূলক পদ্ধতিগুলির বিবেচনা করতে হবে। নিরাপত্তা অর্থনীতিকে অবজ্ঞা করা সম্ভব নয়। ভারতীয় অর্থনীতি, উত্পাদন বা পরিষেবাগুলির নেপথ্যে কোন শক্তি থাকবে, তা নিয়ে ভারত সরকারকে একটি বড় নীতি বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে হবে। বিদ্যমান আখ্যান অনুযায়ী, পরিষেবাগুলি ভারতকে তার কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি প্রদান করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের গোঁড়ামির ফলে বিশেষ করে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে। যন্ত্রাংশ ও শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী সরঞ্জামের জন্য চিনের উপর নয়াদিল্লির নির্ভরতা ও উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারতের অদক্ষতা এমন এক দুর্বলতা তুলে ধরতে পারে, যা চিন ভূ-রাজনৈতিক সুবিধার জন্য কাজে লাগাতে পারে। ভারতকে চিনা পণ্যের হাত থেকে তার বাজারকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদনে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই সীমান্তে সরকারের কঠোর অবস্থানের অসঙ্গতি ও চিনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের আরও অনুমতিমূলক পদ্ধতিগুলির বিবেচনা করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদে চিনা সম্প্রসারণবাদের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য ভারতকে কেবল মাত্র উন্নত সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করলে এবং নমনীয় কূটনীতিতে নিযুক্ত হলেই চলবে না, বরং ব্যাপক অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ধারণাকেও গ্রহণ করতে হবে। বাস্তবে এর অর্থ হল প্রতিপক্ষরা কাজে লাগাতে পারে, এ হেন অর্থনৈতিক দুর্বলতাগুলি হ্রাস করা এবং সেই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা, যেগুলি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশী ও যেগুলিতে নিরাপত্তার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা চিনের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তাকে অর্থনীতি থেকে পৃথক করে রেখেছেন। তবে অন্যান্য দেশ আগামী দিনে আরও উন্নত নীল নকশা প্রদান করছে। উদাহরণস্বরূপ, অতিমারি দ্বারা প্ররোচিত ধাক্কার পরে জাপান দ্বারা স্থাপিত অর্থনৈতিক সুরক্ষা মন্ত্রক থেকে ভারত শিখতে পারে। ভারতে এই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য প্রবাহ, সরবরাহ শৃঙ্খল প্রযুক্তি সম্পর্কে গভীর বোঝাপড়া-সহ ব্যক্তিগত ক্ষেত্রের পেশাদারদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারে। এই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্র ঝুঁকি চিহ্নিত করতে সরবরাহ শৃঙ্খলের অডিট করতে পারে এবং আমদানিতে বৈচিত্র্য আনতে বিকল্প সরবরাহকারীদের সন্ধান করতে পারে। এই ধরনের বৈচিত্র্যকরণ ভারতকে তার সীমানায় প্রভাব বিস্তারের জন্য চিনা প্রচেষ্টার প্রতি কম ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। বিশ্লেষকরা জোর দিয়ে বলেন যে, সবুজ রূপান্তরের মতো যে সব ক্ষেত্রে চিনাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সে সব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রককে বিকল্প পথের সন্ধান করতে হবে। এটি ভারতে সেই ক্ষেত্রগুলিকে আরও উন্নত করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে চিন এগিয়ে রয়েছে। যেমন দূষণহীন প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনে। ভারতীয় বেসরকারি খাতকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে এই প্রযুক্তিগুলিতে নিজস্ব উদ্ভাবনের অন্বেষণে আরও বেশি শক্তি বিনিয়োগ করতে হবে।

উত্তরের প্রতিবেশীর দৈত্যসম ছত্রচ্ছায়ায় ভারতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সহজ হবে না। তবে মোদী তাঁর তৃতীয় মেয়াদ ব্যবহার করে এই পরিবর্তন আনতে পারেন। নয়াদিল্লি যে কোনও চিনা আগ্রাসনকে বলপূর্বক প্রত্যাহার করবেবেজিং এই বার্তা দেওয়ার পর মোদীকে অবশ্যই তাঁচিন নীতিতে ধারাবাহিকতা আনতে হবে এবং ব্যবসা ও জাতীয় নিরাপত্তার বাধাগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। যদি মোদীর সরকার এমনটি করতে না পারে, তা হলে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় বৃহত্তর ভূমিকা পালনের মোদীউচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে চিনের অতিমাত্রিক উপস্থিতির আড়ালে চাপা পড়ে যাবে।

 


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম ফরেন অ্যাফেয়ার্স-এ প্রকাশিত হয়।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.