এই নিবন্ধটি ‘চায়না ক্রনিকলস’ সিরিজের অংশ।
ফিলিপিনসের চিন নীতি একটা উথাল-পাথালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে যখন দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ক্ষমতায় এলেন, তখন ফিলিপিনসের আমেরিকা ও চিন সংক্রান্ত বিদেশনীতিতে একটা লক্ষণীয় পরিবর্তন এসেছিল। তার আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো ৩–এর সময় পুরনো মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পথে চলেছিল ফিলিপিনস। তিনি সক্রিয় ভাবে, প্রকাশ্যে ফিলিপিনসের সার্বভৌমত্বে চিনের হস্তক্ষেপে বাধা দিয়েছিলেন, এবং দক্ষিণ চিন সমুদ্রে চিনের ‘নাইন–ড্যাশ লাইন’-এর দাবি খারিজ করতে পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন (পিসিএ)–এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিপরীতক্রমে, দুতার্তে ক্ষমতায় আসার পর চিনের দলে যোগ দেওয়ার জন্য ঝাঁপ দিলেন। তিনি এমনকি অনেক দূর এগিয়ে চিনকে ফিলিপিনসের মিত্র বলেও ঘোষণা করলেন। আশা ছিল এর ফলে চিন অন্তত ফিলিপিনসের ক্ষেত্রে দক্ষিণ চিন সমুদ্রে আগ্রাসন বন্ধ করবে, এবং ফিলিপিনসের পরিকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে, বিশেষ ভাবে প্রেসিডেন্ট দুতার্তের নিজের ‘বিল্ড বিল্ড বিল্ড’ উদ্যোগে, বড় ভাবে সহায়তা করবে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেখা যাচ্ছে চিনের প্রতি এই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, এবং নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস শুরু হয়েছে। ঠিক কী কারণে দুতার্তে এই নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাইছেন? আমেরিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্কই বা কেমন করে গড়ে উঠছে? চিনের প্রতি মনোভাবের এই পরিবর্তন কি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায়, চিনের ভুল পদক্ষেপের প্রতিফলনের সূচনা?
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার নিরাপত্তা সম্পর্ক ও আস্থার পরিবেশ পুরোপুরি আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে ম্যানিলা, যার লক্ষ্য যে করেই হোক বেজিংকে ঠেকানো। এর প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন ঘটনায়: একগুচ্ছ উচ্চ পর্যায়ের সফর, বড় মাপের প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদন, ম্যানিলার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সামান্য কয়েকটা দেশের অন্যতম হওয়া যারা অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অউকাস নিরাপত্তা চুক্তি পুরোপুরি অনুমোদন করেছে, ফিলিপিনস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সংলাপ আবার শুরু হওয়া, এবং ২০২২ সালে পুরোদস্তুর সামরিক মহড়া (বালিকাতান এক্সারসাইজ) আবার চালু করার পরিকল্পনা এবং তাতে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ২০২১–এর জুলাই মাসে মার্কিন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স লয়েড অস্টিনের ম্যানিলা সফরের সময়, যখন দুতার্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুরনো ভিজিটিং ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট (ভিএফএ) সম্পর্কে তাঁর আপত্তি তুলে নিয়ে চুক্তিটা আবার বহাল করলেন। এ ছাড়া ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি ফিলিপিনসের বিদেশ দফতরকে ক্ষমতা দিলেন চিনকে নোটিশ দিতে যাতে বেজিং দ্য হেগের ২০১৬ সালের পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশন–এর রায় মেনে চলে। এই রায়ে বিতর্কিত জলে চিনের দাবি নস্যাৎ করা হয়েছিল। চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার জন্য দীর্ঘদিন এই রায় সম্বন্ধে নীরব থাকার পর গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে একটা বিবৃতিতে দুতার্তে বললেন, ‘‘২০১৬ সালে ফিলিপিনসের পক্ষে রায় ‘সমঝোতার ঊর্ধ্বে’, এবং তা খাটো করে দেখার যে কোনও চেষ্টা প্রত্যাখ্যাত হবে।’’ এই সব কিছুই পরিষ্কার ভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে চিনের সঙ্গে মৈত্রীর নীতি থেকে এখন দূরে সরে আসা হচ্ছে, এবং আপাতত আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন বাড়ছে।
চিনের সঙ্গে মিত্রতা নীতির পুনর্বিবেচনা
চিন নীতিতে এই পরিবর্তনের কারণ পাওয়া যাবে এই ঘটনা থেকে যে ফিলিপিনসের তরফে মৈত্রীর চেষ্টা সত্ত্বেও চিনের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি, বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সমুদ্রের বিতর্কিত জলে ঢুকে পড়ার প্রশ্নে; এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)–এ দুতার্তেকে যে বিশাল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাও পূরণ করা হয়নি। যে দুটো উল্লেখযোগ্য বিআরআই প্রকল্প ফিলিপিনসে হয়েছে তা ছোট আকারের: একটা হল ম্যানিলায় কয়েকটা সেতু তৈরি করা, আর অন্যটা হল একটা বিতর্কিত জলাধার যা সংরক্ষিত প্রাকৃতিক অঞ্চলে বড়সড় ক্ষতি ডেকে আনবে। চিন দক্ষিণ চিন সমুদ্রে তার তৎপরতা বাড়িয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে চিন ফিলিপিনসের থিটু দ্বীপ (পাগ–আসা বলেও পরিচিত) শত শত সামরিক নৌকা দিয়ে ঘিরে রেখেছিল, এবং তার কারণ ছিল সম্ভবত ফিলিপিন কর্তৃপক্ষকে দ্বীপটির রানওয়ে উন্নত করা ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ করতে না–দেওয়া। তারপর ২০২১ সালে দেখা যায় চিনের শত শত মাছ–ধরার নৌকা পৌঁছে গেছে দক্ষিণ চিন সমুদ্রের অনেক ক্ষুদ্র দ্বীপে, যার মধ্যে বিশিষ্ট ছিল ফিলিপিনসের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন–এর হুইটসান রিফ। ফিলিপিনস মনে করেছিল ওই মাছ–ধরার নৌকাগুলো ছিল চিনের সামুদ্রিক মিলিশিয়ার সামরিক নৌকা, আর সেগুলো পাঠানো হয়েছিল রিফটিকে স্থায়ী ভাবে দখল করে নেওয়ার জন্য। প্রত্যুত্তরে ফিলিপিনসও সেখানে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী জাহাজ পাঠায়। অর্থাৎ, চিনের থেকে দুতার্তের প্রত্যাশার পূরণ হয়নি এবং তাঁর চিন–ঘনিষ্ঠতার নীতি থেকে তেমন কোনও ফায়দাও হয়নি।
অউকাস সামরিক জোট তৈরি হওয়ার ঠিক পরেই ২০২২ সালে ফের পুরোদমে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশ যখন বলেছিল এর ফলে এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে, ফিলিপিনস কিন্তু এই সামরিক চুক্তি পুরোপুরি সমর্থন করে বলেছিল ম্যানিলা ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সব দেশের সঙ্গে দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু সঙ্কটের সময় ফিলিপিনসের পাশে দাঁড়াতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, সেই সঙ্গে ১ কোটি ২৫ লক্ষ মার্কিন ডলার বরাদ্দও করেছে একটি চুক্তি রূপায়ণের জন্য যা ফিলিপিনসের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মার্কিন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফিলিপিনসের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে যাওয়ার অধিকার শুধু দক্ষিণ চিন সমুদ্রে চিনের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নয়, সেই সঙ্গে তাইওয়ান প্রণালীর মতো এশিয়ার অন্যত্রও। চিনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্যই দুতার্তের মার্কিন–ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। জোট আরও জোরদার করতে ২০২১–এর আগস্টে মার্কিন ইন্দো–প্যাসিফিক কম্যান্ডের কম্যান্ডার অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো ফিলিপিনসে যান। ২০২১–এর সেপ্টেম্বরে ফিলিপিনো বিদেশসচিব টিওডোরো এল লকসিন জুনিয়র ও জাতীয় প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লোরেনজানা তাঁদের সমতুল মার্কিন অফিসারদের সঙ্গে সাক্ষাত ও ইউএস–ফিলিপিনস মিউচুয়াল ডিফেন্স ট্রিটি–র ৭০তম বর্ষ উদযাপনের জন্য ওয়াশিংটনে যান। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হল এনহ্যান্সড ডিফেন্স কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (ইডিসিএ) রূপায়ণ। ২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি দুতার্তে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় এসে থেকে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ইডিসিএ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিপিনসের সামরিক ঘাঁটিতে ডিফেন্স অ্যাসেটস রাখার ও নিজস্ব নির্মাণকাজের অনুমতি দিয়েছে। এই ঘাঁটিগুলো হল অ্যান্টনিও বাওটিস্টা বিমানঘাঁটি, বাসা বিমানঘাঁটি, ফোর্ট ম্যাগসাইসাই, লুম্বিয়া বিমানঘাঁটি ও ম্যাকটান–বেনিটো এবুয়েন বিমানঘাঁটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু সঙ্কটের সময় ফিলিপিনসের পাশে দাঁড়াতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, সেই সঙ্গে ১ কোটি ২৫ লক্ষ মার্কিন ডলার বরাদ্দও করেছে একটি চুক্তি রূপায়ণের জন্য যা ফিলিপিনসের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মার্কিন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
দক্ষিণ চিন সমুদ্রের বিতর্কিত জলে ও দ্বীপগুলোতে চিনের ক্রমাগত আগ্রাসী কাজকর্ম তার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অনেক প্রতিবেশী দেশকেই নিজেদের চিন নীতি নিয়ে ফের ভাবতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ফিলিপিনসের ঘটনা। বহু দিনের মার্কিন মিত্র ফিলিপিনসে দুতার্তে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই হয়ে ওঠে বিদেশনীতির মুখ্য বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি বর্জন করা এবং পুরনো সব সামরিক চুক্তি শেষ করে দেওয়ার ভাবনা নিয়ে ফিলিপিনসের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দেয়, কিন্তু দুতার্তে অনড় ছিলেন। এখন চিন নীতিতে এই পরিবর্তনের থেকে প্রশ্ন উঠছে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রতিবেশী নীতি কি ধোপে টিকবে? এই অঞ্চলে বিআরআই প্রকল্প কি আসিয়ান দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনস্ক ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে জোট বাঁধার থেকে বিরত রাখতে পারবে?
চিনের কাছে অবশ্যই আসিয়ান–এর কাজকর্ম নিজের লক্ষ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করার বা ওই অঞ্চলে নিজের আধিপত্য তৈরির জন্য একটা বড় অস্ত্র হল অর্থনৈতিক কূটনীতি। কিন্তু যখন বিআরআই প্রকল্পগুলোই কোনও কাজে আসছে না, এবং বিনিয়োগও আঞ্চলিক নেতাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না, তখন চিনকে তার দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া নীতি নতুন করে ভাবতে এবং ছকতে হবে। ফিলিপিনসের ঘটনাটি সেই দিকেই দিকনির্দেশ করছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, এবং তা প্রায় সবাইকে বিস্মিত করেছে। এই জল্পনাও তৈরি হয়েছে যে তিনি তাঁর মেয়ে সারা দুতার্তে–কারপিওর জন্য পথ তৈরি করছেন। সারা দুতার্তে–কারপিও এখন ফিলিপিনসের দাভাও শহরের মেয়র। এখন প্রশ্ন হল একটা নতুন সরকার এলে কি ফিলিপিনসের চিন নীতিতে পরিবর্তন আসবে? আগের প্রেসিডেন্টদের থেকে ভিন্ন পথে গিয়ে, এমনকি জনমতেরও বিপরীতে গিয়ে, দুতার্তে চিনের বন্ধু হওয়ার নীতি নিয়েছিলেন। ফিলিপিনোরা কিন্তু অনেক বছর ধরে চিনকে সম্পূর্ণ অবিশ্বাস করে আসছেন এবং পুরোপুরি আস্থা রাখছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি। ছ’জন প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন: সেনেটর রোনাল্ড ডেলা রোজা, ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র, ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রোব্রেডো, সেনেটর পানফিলো ল্যাকসন, ম্যানিলা মেয়র ফ্রানসিসকো মোরেনো, ও সেনেটর ম্যানি পাকিয়াও। মনে করা হয় যে সেনেটর রোজা ও মার্কোস জুনিয়র এখনও চিন–ঘনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী। তাঁরা চিনের থেকে বিনিয়োগ ও চিনের সঙ্গে বাণিজ্যই এখন আশু প্রয়োজন বলে দুতার্তের মনোভাবের প্রতিধ্বনি করেছিলেন। অন্যরা সব সময়েই চিনের থেকে অর্থনৈতিক লাভ পাওয়ার জন্য দুতার্তের চিনপন্থী নীতিতে ও ২০১৬–র পিসিএ রুলিংকে কোনও গুরুত্ব না–দেওয়ার বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে চিন যতটা বলেছিল তার থেকে ততটা অর্থনৈতিক লাভ না–পাওয়ায়, এবং দক্ষিণ চিন সমুদ্রে চিন আরও আগ্রাসী মনোভাব নেওয়ায়, এখন সম্ভবত নতুন সরকারের কাছে যুক্তিসঙ্গত পথ একটাই। তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে, ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.