Authors : Sameer Patil | Ayjaz Wani

Published on Sep 11, 2024 Updated 0 Hours ago

জম্মুতে সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতার সাম্প্রতিক পর্যায়টিকে নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য, কারণ এই অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব আগস্ট ২০১৯-এর পরের অর্জনকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে

নিছক প্রতিক্রিয়া নয়: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনের জন্য আগে থেকেই  সক্রিয় কৌশল প্রয়োজন

সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতা, দেখা যাচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরে কয়েক মাসের বিরতির পরে ফিরে আসছে। জুন-‌জুলাইয়ে জম্মু অঞ্চলে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা ও এনকাউন্টার এই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে জঙ্গিবাদ, যেটি অতীতে তার চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল, এই অঞ্চলে কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে।

এর শুরু হয়েছিল ৯ জুন ২০২৪-এ,  যখন
উগ্রবাদীরা রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলা চালায়। এতে ১০ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হন। দুই দিন পরে ডোডা ও কাঠুয়ায় জোড়া হামলায় ছয়জন সেনা আহত হন। ৭ জুলাই রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় সন্ত্রাসবাদীরা একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালালে একজন সেনা আহত হন। এর পরে ৮ জুলাই আরেকটি হামলা হয়, যখন ভারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসবাদীরা কাঠুয়া জেলায় একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার-‌সহ পাঁচজন সেনাকে হত্যা করে এবং ছয়জনকে আহত করে। জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে ডোডা জেলায় চার জন সেনা, একজন অফিসার, এবং এক জেএন্ডকে পুলিশ (জেকেপি) অফিসার একটি এনকাউন্টারের সময় নিহত হয়েছিলেন। জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর সঙ্গে যুক্ত ছায়া গোষ্ঠী কাশ্মীর টাইগারসপিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, এই হামলাগুলির দায় স্বীকার করেছে।


পির পাঞ্জালের দক্ষিণে এই আক্রমণগুলি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ২০১৯ সাল থেকে নিরাপত্তা গ্রিড কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতা মোকাবিলায় অনেকাংশে সফল হয়েছে।



পির পাঞ্জালের দক্ষিণে এই আক্রমণগুলি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ২০১৯ সাল থেকে নিরাপত্তা গ্রিড কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতা মোকাবিলায় অনেকাংশে সফল হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতার এই হ্রাসের সময় কাশ্মীরি যুবকদের মনোভাবের একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে যুবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের থেকে তা স্পষ্ট হয়েছিল, যখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি
৫৮ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখেছিল৷ এই পরিবর্তিত গতিশীলতা নিজেদের প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য ভৌগোলিক ও কৌশলগত পদ্ধতির পরিবর্তন করতে পাকিস্তান এবং সেখানে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

২০১৯-‌পরবর্তী ক্র্যাকডাউন

আগস্ট ২০১৯-‌এর পরে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দক্ষিণ কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল, যেটি তখন জঙ্গিবাদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল। একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্রিডের সাহায্যে তারা সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে দমন করতে এবং বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সফল হয়েছে৷

এই ক্র্যাকডাউনের মধ্যে স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন বা তাদের আশ্রয়দানকারী ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স (ওজিডাবলু) এবং
জামাত-এ-ইসলামির (জেইআই) ক্যাডার  রয়েছে। হিজবুল মুজাহিদিন-সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনটি উপত্যকায় দূর-দূরান্তে তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে জেকেপি জননিরাপত্তা আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে ৯০০ জনেরও বেশি ওজিডাবলু-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও, জাতীয় তদন্ত সংস্থা সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি তদন্ত শুরু করে। এগুলি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্ট্যালিজেন্স (আইএসআই) এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে গভীর সম্পর্ক উন্মোচন করেছে।

এদিকে, শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের লক্ষ্য করে বিদ্রোহ-‌বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির উপর চাপ তৈরি করা অব্যাহত ছিল। ২০২১ ও ২০২৩-‌এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ১২৭ জন বিদেশী সন্ত্রাসবাদী-‌সহ ৪৪৩ জনের মতো সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে (চিত্র ১ এ দেখানো হয়েছে)।


‌সূত্র: লেখকের দ্বারা নিরাপত্তা সংস্থার তথ্য সংকলন

এই সব তৎপরতার ফলস্বরূপ ২০২১ সালের পর স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ হ্রাস পেয়েছিল। ২০২২ সালে মাত্র ১০০ জন স্থানীয় যুবক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগদান করেছিল। এটি ২০২৩ সালে মাত্র ২৫-এ নেমে আসে। বর্তমানে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জেঅ্যান্ডকে-তে প্রায় ১১০ বিদেশী এবং ২৭ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীর উপস্থিতি
অনুমান করে

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সম্পর্কে স্থানীয় তরুণদের ধারণাও বদলে গিয়েছে। তারা এ কথা উপলব্ধি করেছিল যে ইসলামাবাদ ধর্মকে শোষণ করে এবং উপত্যকায় বিদ্রোহের অর্থায়নের জন্য মাদক চোরাচালানের মতো অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত করে
কাশ্মীরিদের প্রজন্মগুলিকে প্রতারিত করে চলেছে

কাশ্মীর উপত্যকা থেকে জম্মু

নিরাপত্তা সংস্থাগুলি উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ অর্জনের সঙ্গেসঙ্গে পাকিস্তান বিদ্রোহ টিকিয়ে রাখতে তার কৌশল ও ভূগোল পরিবর্তন করে, এবং এইভাবে কাশ্মীরের উপর বিশ্বব্যাপী ফোকাস বজায় রাখে। ২০২১ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলি বেশিরভাগই পির পাঞ্জালের দক্ষিণে ঘটেছে, এবং প্রধানত বিদেশী সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা চালিত হয়েছে। এরা নিরাপত্তা বাহিনীকে অতর্কিত আক্রমণ করার জন্য জটিল ভূখণ্ড এবং
ঘন বন ব্যবহার করেছিল। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে (জুন পর্যন্ত) জম্মু অঞ্চলে যথাক্রমে ৪৩ ও ২৪টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর ৪৮ জন সদস্যের প্রাণ গিয়েছে। 


পাকিস্তান অনুপ্রবেশের জন্য নতুন ব্যবস্থাও অন্বেষণ করছে, যেমন উত্তরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি)-এর পরিবর্তে জম্মু সেক্টরে ছিদ্রযুক্ত আন্তর্জাতিক সীমানা এবং নদী-উপত্যকা অঞ্চল।



পাকিস্তান অনুপ্রবেশের জন্যও নতুন ব্যবস্থা অন্বেষণ করছে, যেমন উত্তরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) পরিবর্তে জম্মু সেক্টরে ছিদ্রযুক্ত আন্তর্জাতিক সীমানা এবং নদী-‌উপত্যকা অঞ্চল ব্যবহার করা। নিরাপত্তা বাহিনী লক্ষ্য করেছে যে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদীরা চার থেকে পাঁচ জনের দলে জড়ো হচ্ছে, এবং সংরক্ষণ ও একত্রীকরণের কৌশল ব্যবহার করেছে, অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য চুপচাপ থাকা এবং হামলা চালানোর আগে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়া। নিরাপত্তা বাহিনী
এম ৪ কার্বাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, নাইট ভিশন গগলস-‌সহ উন্নত এনক্রিপশন-‌সহ টেলিকম সরঞ্জামের (চিনা কাস্টমাইজড ইকুইপমেন্ট যা সাধারণত পাক সেনারা ব্যবহার করে) ব্যবহারও লক্ষ্য করেছে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদীরা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কগুলির, যা ইতিমধ্যে রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় নিষিদ্ধ, পাশাপাশি এনক্রিপ্ট করা মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস ব্যবহার করছে, যেমন টেলিগ্রাম, ট্যাম ট্যাম, মাস্টোডন, চার্পওয়ার, এনিগমা ইত্যাদি।

যাই হোক, অঞ্চলটির নিরাপত্তা গ্রিড, বিশেষত রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায়, দুর্বল হয়ে পড়েছিল, কারণ কিছু নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা আগ্রাসন মোকাবিলা করার জন্য
পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করার এই সুযোগকে কাজে লাগায়, এবং শেষ পর্যন্ত সাম্প্রতিক সন্ত্রাস বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

সক্রিয় পাল্টা কৌশল গ্রহণ 

জম্মুতে সন্ত্রাসবাদী হিংস্রতার সাম্প্রতিক পর্যায়টিকে নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য, কারণ এই অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব আগস্ট ২০১৯-এর পরের অর্জনকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এই অঞ্চলে নিরাপত্তা গ্রিড পুনরুদ্ধার করা অবশ্যই অগ্রাধিকার হতে হবে, বিশেষ করে কাঠুয়া, ডোডা, রাজৌরি ও পুঞ্চের সন্ত্রাস-আক্রান্ত সীমান্ত জেলাগুলিতে। এই উদ্দেশ্যে, কাশ্মীর উপত্যকা থেকে অভিজ্ঞ সেনা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের এই অঞ্চলে মোতায়েন করা উচিত। এর প্রয়োজন শুধু সন্ত্রাসবিরোধী গ্রিডকে নতুনভাবে ডিজাইন করার জন্যই নয়, বরং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আন্তঃ-এজেন্সি সমন্বয় তৈরি করার জন্যও।


এই অঞ্চলে নিরাপত্তা গ্রিড পুনরুদ্ধার করা অবশ্যই অগ্রাধিকার হতে হবে, বিশেষ করে কাঠুয়া, ডোডা, রাজৌরি ও পুঞ্চের সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত সীমান্ত জেলাগুলিতে।



অধিকন্তু, বিদেশী সন্ত্রাসীরা আক্রমণের যে অ্যামবুশ স্টাইল গ্রহণ করেছে তার  মোকাবিলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) ও জেকেপি-র স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এই ধরনের আক্রমণগুলিকে কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে যৌথ দল গঠন করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, সিআরপিএফ-এর কোবরা কমান্ডোরা তাদের জঙ্গল ও গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত, এবং তারা এসওজি কর্মীদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ পির পাঞ্জাল এবং চেনাব বেল্ট অঞ্চলে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে যখন জঙ্গিবাদ তুঙ্গে ছিল সেই ২০০০-‌২০১০ দশক থেকে। উপরন্তু, সেনাবাহিনীকে উচ্চতায় আধিপত্য বিস্তার করতে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সতর্কতা বাড়াতে, এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে তার শক্তি প্রয়োগ করা উচিত। আর্মি, সিআরপিএফ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও জেকেপির মধ্যে আন্তঃএজেন্সি সমন্বয়ের উন্নতি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরবর্তীকালে নতুন কৌশল বিকাশের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই অতিরিক্ত জঙ্গি-‌বিরোধী প্রশিক্ষণ নিতে হবে। গত সাত বা আট বছরে, টেকইন্ট-ভিত্তিক তথ্য ব্যবহার করে বেশিরভাগ জঙ্গিবিরোধী অভিযান সফলভাবে সম্পাদিত হয়েছে। যাই হোক, সন্ত্রাসবাদীরা এখন নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে বিভ্রান্ত করার জন্য এনক্রিপ্ট করা অ্যাপ ও অনলাইন কার্যকলাপ ব্যবহার করছে। তাই, টেকইন্ট-এর পরিপূরণ করার জন্য সংস্থাগুলিকে অবশ্যই হিউমিন্ট-‌কে শক্তিশালী করতে হবে। তথ্যদাতাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা সহজ হবে না, কারণ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ২০১৯-‌এর পর থেকে একে অপরের সূত্রদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, এবং তার ফলে বেশিরভাগ সূত্রই এখন সিস্টেমের বাইরে চলে গিয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে যে শুধু কঠিন পদক্ষেপগুলিই ‌সাহায্য করবে তা নয়। স্থানীয়দের আস্থা হারানো এড়াতে নরম পদক্ষেপগুলিও অনেক দূর যেতে পারে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলি উপত্যকায় আগে সেনাবাহিনীর শুরু করা কিছু নরম পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি করতে পারে। তথ্যযুদ্ধের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যা কিনা আইএসআই-এর প্রচার যন্ত্রটি আগস্ট ২০১৯-পরবর্তী কাশ্মীরে প্রসারিত করেছে।



সমীর পাতিল সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির সিনিয়র ফেলো এবং অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর।

আইজাজ ওয়ানি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.