Author : Farheen Nahvi

Expert Speak Young Voices
Published on Nov 10, 2022 Updated 0 Hours ago

বর্তমান প্রশাসন হিজাবকে ইরানের জাতীয় পরিচয়ের এক বৈশিষ্ট্য বলে মনে করে। সে দেশে ঘটে চলা বিক্ষোভ কি কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে?

ইরানে নারী আন্দোলন
ইরানে নারী আন্দোলন

যথাযথ ভাবে হিজাব না পরার কারণে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি মাশা আমিনি ইরানি মরালিটি পুলিশ বা নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। মাশা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, পুলিশের তরফে এ কথা দাবি করা হলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। হাসপাতালে ক্ষতবিক্ষত ও রক্তে ভেজা মাশার ছবিগুলি প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবিকে আরও জোরালো করেছে। মাশার মৃত্যুর পর সমগ্র ইরানে এক তীব্র প্রতিষ্ঠান-বিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়েছে।

ঘটনাটির প্রায় এক মাস পরেও ইরানে অসন্তোষ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অসন্তোষ থেকে বিক্ষোভে পরিণত হওয়া এই আন্দোলনের মৌলিক বৈশিষ্ট্যটি হল এতে ব্যাপক সংখ্যায়  নারীদের অংশগ্রহণ। বয়স ও সামাজিক ক্রম নির্বিশেষে ইরানি নারীরা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানে এগিয়ে এসেছেন এবং তাঁরা ন্যায়বিচার, সংস্কার ও তাঁদের অধিকারের দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে হাজার হাজার ইরানি পুরুষ সংহতি দেখিয়েছেন এবং এই আন্দোলন তেহরান থেকে ইরানের আরও ৫০টি বড় ও ছোট শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানের রাস্তাগুলি বর্তমানে ক্রুদ্ধ বিক্ষোভকারীদের ‘স্বৈরাচারীর মৃত্যু হোক’ স্লোগানে অনুরণিত হচ্ছে এবং ইরানি মহিলাদের উপর রাষ্ট্রের কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রত্যক্ষ প্রতিবাদে সে দেশের মহিলারা প্রকাশ্যে তাঁদের মাথার চুল কেটে ফেলছেন এবং হিজাব পুড়িয়ে দিচ্ছেন।

বয়স ও সামাজিক ক্রম নির্বিশেষে ইরানি নারীরা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানে এগিয়ে এসেছেন এবং তাঁরা ন্যায়বিচার, সংস্কার ও তাঁদের অধিকারের দাবিতে সরব হয়েছেন।

অন্য দিকে ইরানি কর্তৃপক্ষ এই বিক্ষোভকারীদের বিপজ্জনক তকমা দিয়েছে এবং অভিযোগ করেছে যে, তাঁরা পাশ্চাত্যের দেশগুলি দ্বারা প্রভাবিত। রাষ্ট্রের তরফে সরকারি বয়ানের প্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশব্যাপী হিংসাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইরান হিউম্যান রাইটস বা ইরানি মানবাধিকার সংস্থার মতে নাগরিক বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২০০-রও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র প্রাণঘাতী বল প্রয়োগেও পিছপা হয়নি: এ হেন এক বিক্ষোভ চলাকালীন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ২০ বছর বয়সি হাদিস নাজাফির মুখে, গলায় ও বুকে ছ’বার গুলি চালায়।

ইরানে নারীদের অধিকার: এক চিরন্তন স্বাধীনতা সংগ্রাম

ইরানি মহিলারা তাঁদের প্রাপ্য অধিকারের জন্য দীর্ঘ সময় যাবৎ লড়াই করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অধিকাংশ সাফল্য এসেছে ১৯৭৯ সালের আগের সময়কালে। শাহ-এর আধুনিকীকরণ নীতি নারী গোষ্ঠীগুলিকে তাঁদের সমস্যাগুলি নিয়ে সরব হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। তাঁদের কাছে হিজাব পরা বা না পরার স্বাধীনতা ছিল, তাঁরা ১৯৬৩ সালে ভোট দানের অধিকার লাভ করেন এবং ক্রমশ তাঁদের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টিকারী পুরুষতান্ত্রিক বিধানগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেন। এই নারীরা ইরানের সমাজের সর্বস্তরে সক্রিয় ছিলেন। ফ্যামিলি প্রোটেকশন অ্যাক্ট নারীদের বিয়ের সময়সীমা বৃদ্ধি করে, বহুবিবাহের সংখ্যা হ্রাস করে, অস্থায়ী বিবাহ সীমিত করে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ধর্মযাজকের গুরুত্বকে কমিয়ে আনে।

১৯৭৯ সালে ইরানে এক ইসলামিক বিপ্লব ঘটে। রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং আয়াতোল্লা খোমেইনিকে সুপ্রিম লিডার বা সর্বোচ্চ নেতার পদে বহাল করে সে দেশে এক ইসলামি শাসনের সূচনা হয়। এই আন্দোলন সমাজের নিম্ন স্তর থেকে শুরু হয়ে ক্রমশ উপরের স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এটিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই সময় ইরান বছরের পর বছর যাবৎ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সাক্ষী থেকেছে। এর পাশাপাশি নারীরাও এই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন: পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তাঁরা নার্স ও পরিচারিকার কাজে ব্রতী হন। এমনকি গেরিলা কার্যকলাপেরও অংশ হয়ে ওঠেন তাঁরা।

এই আন্দোলন সমাজের নিম্ন স্তর থেকে শুরু হয়ে ক্রমশ উপরের স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এটিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই সময় ইরান বছরের পর বছর যাবৎ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সাক্ষী থেকেছে।

এই বিপ্লবী নারীরা তাঁদের সংগ্রামের কথা ভুলে না গেলেও নতুন প্রশাসনের অধীনে নারী অধিকারের বিষয়টি নিয়ে তলিয়ে ভেবে দেখেননি এবং এর ফলে তাঁদের উদ্বেগগুলির সমাধানে তাঁরা অবিলম্বে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক সে ভাবেই ধীরে ধীরে নারীদের শরীরের উপর তীব্র আইনি নিয়ন্ত্রণ জারি করার মাধ্যমে তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। নারীদের জনজীবনে মূলস্রোতের বাইরে ছুড়ে ফেলা হয় এবং শাহ প্রশাসনের অধীনে হওয়া সব অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যায়। সর্বোপরি পরিবার সুরক্ষা আইন বা ফ্যামিলি প্রোটেকশন ল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এবং হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়।

মহিলাদের স্বাধীনতা পদ্ধতিগত ভাবে খর্ব করা হলেও তাঁরা এই নিয়ন্ত্রণ চুপচাপ মেনে নেননি। বরং হিংসা প্রয়োগ করে তাঁদের তা মেনে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে সামাজিক জীবনে স্বাভাবিক ভাবে অংশগ্রহণ করা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ১৯৯০-এর দশকে মহিলা সমাজকর্মীরা পরিবার আইনের আওতায় তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া অধিকারগুলির কয়েকটির পুনরর্জনে সচেষ্ট হন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সূচনা করার স্বাধীনতা-সহ নিজের হেফাজতে সন্তানের দায়িত্ব পেতে সফল হন। সংশ্লিষ্ট সময়ব্যাপী অসংখ্য নারী তাঁদের জীবনযাপনের করুণ অবস্থা তুলে ধরার জন্য বার বার নিয়ম ভেঙে দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হোমা দারাবি জনসমক্ষে তাঁর হিজাব খুলে ফেলেন এবং বাধ্যতামূলক পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ নিজেকে আগুনে দগ্ধ করেন। ২০১৯ সালে সহর খোদায়ারি মহিলাদের উপর প্রশাসনিক বর্বরতার প্রতীক হয়ে ওঠেন যখন মাঠে চলা একটি ফুটবল ম্যাচ দেখার চেষ্টা করার দরুন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলে তিনি নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

ইরানে নারী শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ চালানোর নিরিখে রাজনৈতিক প্রভাবের ইতিহাস নতুন নয়। হিজাবের রাজনীতিকরণের ঘটনা প্রথম ঘটে ১৯৩৬ সালে রেজা শাহ পহলভির শাসনকালে, যখন তিনি জনসমক্ষে নারীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন (কশফ-এ-হিজাব)। তাঁর শাসনকালে পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা নারীরা এক ধর্মনিরপেক্ষ, পশ্চিমীকৃত ইরানের প্রতীক ছিলেন। পরবর্তী কালে ১৯৮৩ সালে যখন ইসলামিক রিপাবলিক হিজাবকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে, তখন হিজাব পরিহিত নারীদের এক নতুন ইরানের ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতীক করে তোলা হয়। না ভেবেচিন্তেই এই প্রশাসনগুলি হিজাবকে ইরানের জাতীয় পরিচয়ের এক বৈশিষ্ট্য করে তোলে।

মহিলা সমাজকর্মীরা পরিবার আইনের আওতায় তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া অধিকারগুলির কয়েকটির পুনরর্জনে সচেষ্ট হন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সূচনা করার স্বাধীনতা-সহ নিজের হেফাজতে সন্তানের দায়িত্ব পেতে সফল হন।

তা হলে ২০২২ সালের এই প্রতিবাদ আলাদা কোথায়?

প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ধরনও বদলাচ্ছে। মডেস্টি ল-এর প্রতি অনানুগত্য প্রদর্শনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এক নতুন মঞ্চ হয়ে উঠেছে, যেখানে নারীরা হিজাব ছাড়া তাঁদের ছবি পোস্ট করছেন। ইরানের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ইরানি নারীদের ভার্চুয়ালি সমর্থন জোগানোর জন্য একটি মঞ্চ প্রদান করেছে ইন্টারনেট। ফেসবুকে মাসিহ আলিনেজেদ-এর শুরু করা মাই স্টিলদি ফ্রিডম এবং মাই ক্যামেরা ইজ মাই ওয়েপন নামক সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার অভিযানগুলি সংশ্লিষ্ট মহিলাদের সংযুক্ত এবং একত্রিত হতে, তাঁদের হেনস্থা হওয়ার প্রমাণ জড়ো করতে এবং সকলের সামনে সেগুলি উপস্থাপন করে ইরানের বর্তমান প্রশাসনের নিপীড়নের আসল ছবি তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।

বাজির মুখে রইল কী কী?

এই মুহূর্তে ইরানকে আচ্ছন্নকারী অস্থিরতার একাধিক প্রেক্ষিত রয়েছে। যে প্রতিবাদ মাশার হত্যার ন্যায়বিচারের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল, তা বর্তমানে ক্ষমতাসীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তর আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে ‘বিপ্লব পরবর্তী প্রজন্ম’ বর্তমান ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বোপরি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিসরে ঘটা ঘটনাপ্রবাহ থেকে উদ্ভূত ক্ষোভ কঠোরপন্থী সরকারকে ক্রমশ বৃহত্তর জনসমাজের দাবি থেকে বিচ্ছিন্ন করে তুলেছে।

একই সঙ্গে ইরানি নারীদের জন্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন লক্ষ করা গিয়েছে। ইরান ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর থেকে ইতিমধ্যেই কড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দফতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে ইরানে প্রশাসন ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সাত জন বরিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর পাশাপাশি, মাশার মৃত্যুর পরপরই ইরানের নীতি পুলিশ, বয়স্ক নেতৃবৃন্দ এবং নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য নেতার বিরুদ্ধেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

হিজাব স্পষ্টতই ইসলামিক রিপাবলিকের তাদের জনসাধারণের উপর নিয়ন্ত্রণের প্রতীক হওয়ার দরু্ন বর্তমান প্রতিবাদগুলি দেশের অভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে ইরানের পরিচয়ের নেপথ্যে থাকা ইসলামিক প্রশাসনের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর এক প্রত্যক্ষ আক্রমণ।

হিজাব স্পষ্টতই ইসলামিক রিপাবলিকের তাদের জনসাধারণের উপর নিয়ন্ত্রণের প্রতীক হওয়ার দরুন বর্তমান প্রতিবাদগুলি দেশের অভ্যন্তরে এবং বহির্বিশ্বে ইরানের পরিচয়ের নেপথ্যে থাকা ইসলামিক প্রশাসনের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর এক প্রত্যক্ষ আক্রমণ। প্রশাসন, বিশেষত গার্ডিয়ান কাউন্সিল, তাঁদের নারী সংক্রান্ত অবস্থানে অনড় থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ নারীদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়টিকে মান্যতা দিলে প্রশাসনের বৈধতা এবং ইরানে ক্ষমতা ধরে রাখার সামর্থ্য, দুই-ই প্রশ্নের মুখে পড়বে।

৫০,০০০ ইরানির মধ্যে চালানো ২০২০ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ ইরানি বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরোধিতা করেছেন। এই পরিসংখ্যান বিপ্লবের দিনগুলির তুলনায় এক ব্যাপক পরিবর্তনকেই চিহ্নিত করে, যে সময়ে ইরানের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক চতুর্থাংশ হিজাবের বিরোধিতা করেছিলেন। আয়াতোল্লা খোমেইনির পৌত্র হাসান খোমেইনি একটি গণবিবৃতি জারি করে প্রশাসনকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিক্ষোভের নেপথ্যে যুবক-যুবতীরাই প্রধান চালিকাশক্তি এবং খোমেইনির প্রধান সমর্থক হলেন কট্টর রক্ষণশীলরা। চিরাচরিত ভাবে রক্ষণশীল অভিজাতদের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্ট যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভই এই আন্দোলনের প্রধান কারণ রূপে উঠে এসেছে।

কোন পক্ষ অপর পক্ষকে হারাতে সমর্থ হয় এবং এই লড়াইয়ের শেষে ইরানের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তার প্রভাব সে দেশে বর্তমান নারী আন্দোলনের উপর ব্যাপক ভাবে পড়বে। হয় মহিলাদের শাসন সংক্রান্ত আইনগুলি আরও কঠোর হবে অথবা ইরান সংস্কারের এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। যদিও এর কোনওটিই রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর্যায় ব্যতীত সম্ভব হবে না। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক থাকতে পারে না যে, ইরানের বর্তমান সঙ্কট এক গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। এখন ইরান যে অস্তিত্বগত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি হল, বর্তমান প্রশাসন কি নিজেদের সংশোধন করবে? না কি নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি নেবে? তবে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আচরণ ইসলামিক রিপাবলিকের সংশোধনের পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেয় না।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.