-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নেপাল কি বৌদ্ধ কূটনীতিকে কাজে লাগিয়ে ভারত ও চিনের ক্ষমতার লড়াইয়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে পারবে?
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ২০২২ সালের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভগবান বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লুম্বিনিতে আনুষ্ঠানিক সফরে যান। এই সফরটি এমন এক সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে যখন সমগ্র বিশ্ব ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বিভাজিত হয়ে পড়ছে, যখন রাষ্ট্রপুঞ্জ (ইউ এন) এবং নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং যখন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলির উপরে ছোট দেশগুলির ভরসা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
লুম্বিনিতে মোদীর উপস্থিতি শুধু মাত্র কৌশলগত বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্বারা নয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (আই পি আর) ক্ষমতার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠার কথা মাথায় রাখলে এই সফর ভূ-কৌশলগত কারণ দ্বারাও প্রভাবিত।
মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফায় চার বার নেপাল সফরে যান। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বারের মতো শপথ গ্রহণের তিন বছর পরে তিনি গৌতম বুদ্ধের ২৫৬৬ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে লুম্বিনিতে উপস্থিত হন। এই সফর আপাতদৃষ্টিতে আধ্যাত্মিক বলে মনে হলেও এটি বাস্তবে ছিল এক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক কৌশল। এই সফরে ছ’টি মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) বা সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয় যেগুলির মূল উপজীব্য ছিল সংযোগ ব্যবস্থা, জ্বালানি ও শিক্ষা। এই মউগুলির প্রধান লক্ষ্য হল জনসাধারণকে অর্থনৈতিক ভাবে চাঙ্গা করা এবং ভারত ও নেপালের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করা।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সাম্প্রতিক হলেও লুম্বিনি বরাবরই ভারত ও চিন উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ থেকেছে। লুম্বিনিতে মোদীর উপস্থিতি শুধু মাত্র কৌশলগত বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্বারা নয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (আই পি আর) ক্ষমতার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠার কথা মাথায় রাখলে এই সফর ভূ-কৌশলগত কারণ দ্বারাও প্রভাবিত। ‘শান্তির আবাস’ লুম্বিনি ক্রমশ প্রতীকী অর্থের একটি স্থান হয়ে উঠছে এবং ‘বৌদ্ধ ধর্ম’ ভারত ও চিনের ক্ষমতার সংঘাতের একটি বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন বৌদ্ধ ধর্মকে অস্ত্র রূপে ব্যবহার করে হিমালয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং বৃহত্তর দক্ষিণ পূর্ব এশীয় অঞ্চলে ভারতের প্রভাবের বলয়ের মধ্যে তার নিজস্ব কৌশলগত প্রভাব বিস্তার করতে তৎপর হয়েছে। অঞ্চলটিতে বৌদ্ধ কূটনীতির কেন্দ্র হিসেবে লুম্বিনির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। লুম্বিনির মোনাস্টিক জোনে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী দেউবা দ্বারা ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিটেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এই জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী দেউবা ৭৬.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচে নির্মিত গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন, যেটি একটি চিনা সংস্থা দ্বারা নির্মিত। দক্ষিণ এশীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য ও পি ই সি ফান্ড (১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দ্বারা প্রদত্ত অর্থ ব্যতীত প্রকল্পটির অবশিষ্ট অর্থ নেপাল সরকারের তরফে প্রদান করা হয়েছে।
২০১১ সালের জুলাই মাসে এশিয়া প্যাসিফিক এক্সচেঞ্জ এবং কো-অপারেশন ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাও উনান ইউনাইটেড নেশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইউ এন আই ডি ও) সঙ্গে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল বৌদ্ধ ধর্মের সকল অনুশীলনকে একত্রিত করা। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগের পরিমাণ নেপালের জি ডি পি-র ১০ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম এবং এটি শুধু মাত্র চিনা সরকার নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো অর্থের দ্বারা অর্থায়িত। ‘দ্য নেপাল-চায়না ট্রান্স-হিমালয়ান মাল্টি-ডায়মেনশনাল কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্কের পরিপূরক হিসেবে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বি আর আই) দ্বিতীয় সমাবেশের যৌথ ঘোষণার অংশ রূপে বহুল ব্যয়ে নির্মিত একটি রেল সংযোগের কথা ঘোষণা করা হয় যেটি তিব্বতের লাসা-শিগাৎসে থেকে শুরু করে কেরাং হয়ে প্রথমে কাঠমান্ডু এবং সবশেষে লুম্বিনিকে সংযুক্ত করবে।
সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগের পরিমাণ নেপালের জি ডি পি-র ১০ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম এবং এটি শুধু মাত্র চিনা সরকার নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো অর্থের দ্বারা অর্থায়িত।
এই উদ্যোগ গ্রহণের তিনটি প্রেক্ষিত ছিল। প্রথমত, আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার উপরে জোর দিয়ে এক ‘সমন্বয়পূর্ণ সমাজ’-এর প্রচার চালানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-এর মতাদর্শের সম্প্রসারণের এটি এক প্রচেষ্টা। দ্বিতীয়ত, ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত হিমালয়ের মধ্য দিয়ে ৭২.২৫ কিমি দীর্ঘ আন্তঃসীমান্ত রেলপথের মাধ্যমে তিব্বতের সীমান্তবর্তী শহরকে কাঠমান্ডু এবং পর্যটন কেন্দ্র পোখরা ও লুম্বিনির সঙ্গে সংযুক্ত করা একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। যদিও প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, খরচ বৃদ্ধি, ঋণের ফাঁদ এবং ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সর্বোপরি, এই দর্শন সংক্রান্ত মতানৈক্য যে এই প্রকল্পটিকে কমিউনিস্ট মতাদর্শের সফট পাওয়ার বা সমন্বয় সাধনের এক প্রয়াস রূপে দেখা যেতে পারে। এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, নেপাল কি বৌদ্ধ ধর্মকে একটি সফট পাওয়ার টুল বা সমন্বয় সাধনের উপায় রূপে ব্যবহার করে নিজে একটি নিরাপদ অঞ্চল রূপে বিরাজ করবে এবং একই সঙ্গে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে বৌদ্ধ কূটনীতির সংযোগ স্থাপক ও কেন্দ্র হিসেবে লুম্বিনিকে পুনরুজ্জীবিত করবে?
এক দিকে যখন চিন ও ভারত উভয়েই হিমালয় অঞ্চলের সামরিকীকরণে ব্যস্ত এবং দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের মীমাংসার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, তখন অন্য দিকে নেপাল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের কূটনৈতিক বিনিয়োগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অঞ্চলটিতে চিনের সক্রিয়তা এ কথা থেকেই স্পষ্ট যে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বি আর আই) অংশ রূপে অঞ্চলস্থিত আটটি দেশের মধ্যে ছ’টি দেশ চিনের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে। তার অতিমারি কূটনীতির অংশ রূপে চিন ২০২০ সালের জুলাই, ২০২০ সালের অক্টোবর এবং ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তান, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি ভার্চুয়াল সমাবেশ চালায়। বিদেশমন্ত্রী ইয়াং ই ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে মলদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা পরিদর্শন করেন এবং এর এক মাস পরে তিনি আফগানিস্তান, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান সফরেও যান।
তার অতিমারি কূটনীতির অংশ রূপে চিন ২০২০ সালের জুলাই, ২০২০ সালের অক্টোবর এবং ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল আফগানিস্তান, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে তিনটি ভার্চুয়াল সমাবেশ চালায়।
এ সব কিছুই চিনের তিনটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলকে তুলে ধরে: প্রথমত, ভারতের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমি গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে চিনের নিজ স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা। দ্বিতীয়ত, অঞ্চলটিতে ভারতের আধিপত্য সীমিত রাখতে ছোট দেশগুলির সঙ্গে চিনের সম্পর্ক মজবুত করা। তৃতীয়ত, বৌদ্ধ পারম্পর্যের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।
২০১১ সাল থেকেই নেপাল এবং চিনের মধ্যে বৌদ্ধ কূটনীতি লক্ষ করা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল, বৌদ্ধ ধর্মের জন্মস্থানের সঙ্গে চিনের মূল ভূখণ্ডকে সংযোগকারী পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প যেটির সূচনা ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট শি-এর নেপাল সফরের সময়ে করা হয়েছিল। নেপাল ও চিন এখনও পর্যন্ত সংযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহায়তা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করে ‘নেপালের একটি ভূখণ্ড দ্বারা আবদ্ধ দেশ থেকে ভূখণ্ড দ্বারা সংযুক্ত দেশ হয়ে ওঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের’ প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ভারত তার ‘প্রতিবেশ প্রথম’ বা ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কৌশলগত বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একই সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মকে নিজ স্বার্থে সংজ্ঞায়িত করা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সেটিকে কৌশল রূপে ব্যবহার করার বেজিংয়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নয়াদিল্লি তৎপর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, ভারত ও নেপালের পারস্পরিক সম্পর্ক হিমালয়ের মতোই অটল এবং তিনি এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, চিনের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্য ভারত নেপালের সঙ্গে তার দৃঢ় সাংস্কৃতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যবহার করবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে, ভারত ও নেপালের পারস্পরিক সম্পর্ক হিমালয়ের মতোই অটল এবং তিনি এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, চিনের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্য ভারত নেপালের সঙ্গে তার দৃঢ় সাংস্কৃতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যবহার করবে। মোদী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে উদীয়মান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মাঝে ভারত ও নেপালের ক্রমবর্ধমান এবং শক্তিশালী বন্ধুত্ব সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে। ভগবান বুদ্ধের প্রতি ভক্তি আমাদের সকলকে এক জোট করে এবং আমাদের সকলকে একই পরিবারের সদস্য করে তোলে।’ বৌদ্ধ কূটনীতিকে এক ভূ-কৌশলগত অস্ত্র রূপে ব্যবহার করে এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে নেপাল-ভারত সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা অর্জন করতে তৎপর। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়াও শুরু হয়েছে।
চিন এখন আর বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান দেশ না হলেও চিনের অর্থনৈতিক লাভ, আধ্যাত্মিক ইচ্ছা এবং এশীয় বৈশিষ্ট্য বৌদ্ধ ধর্মকে অঞ্চলটিতে পুনরায় এক প্রধান চর্চা রূপে ফিরিয়ে আনতে চলেছে। তবে ভারতের আলাপ-আলোচনামূলক কূটনীতির সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। ধর্মীয় কূটনীতির পুনরুজ্জীবন পরিলক্ষিত হচ্ছে যেখানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ধর্ম এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি সংস্কৃতিকে কেন্দ্রে রেখে আঞ্চলিক শক্তিগুলির শান্তিপূর্ণ একত্রীকরণের পথে একটি সম্ভাবনাময় কূটনৈতিক কৌশল। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে চলেছে। যে প্রশ্নটি রয়েই যাচ্ছে, তা হল: নেপাল কি নিজের সুবিধার্থে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারবে?
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Binoj Basnyat is a Strategic Analyst and former Major General of the Nepali Army.
Read More +