Author : Vivek Mishra

Expert Speak Raisina Debates
Published on Oct 17, 2022 Updated 8 Days ago

ন্যাটোর কৌশলগত ধারণা বা স্ট্র‌্যাটেজিক কনসেপ্টটি সময়োপযোগী হতে পারে, তবে যেহেতু এটি বারবার মিত্র দেশগুলির প্রতি ইঞ্চি ভূখণ্ড রক্ষা করার কথা বলেছে, তাই এটি তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষাও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ন্যাটোর অষ্টম কৌশলগত ধারণা: ইউরোপে শক্তির বিন্যাসে পরিবর্তন
ন্যাটোর অষ্টম কৌশলগত ধারণা: ইউরোপে শক্তির বিন্যাসে পরিবর্তন

২০২২ ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন ২৯–৩০ জুন মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ইউরোপ ও এশিয়া–প্যাসিফিকের অংশীদারদের সঙ্গে জোটের নেতারা একত্র  হয়েছিলেন। মাদ্রিদ শীর্ষ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এশিয়া–প্যাসিফিক নেতাদের প্রথমবার ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ। সম্মেলনের প্রধান ফলাফল ছিল ন্যাটোর অষ্টম কৌশলগত ধারণা বা স্ট্র‌্যাটেজিক কনসেপ্ট প্রকাশ করা। উপরন্তু, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ায় দু’‌দিনের শীর্ষ সম্মেলন তার মুক্ত–দ্বার নীতির পুনর্নিশ্চিতকরণের মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে ছিল ন্যাটো উদ্ভাবন তহবিল চালু করা, যা বিশ্বের প্রথম বহুসার্বভৌম উদ্যোগ মূলধন তহবিল। জোটের প্রাথমিক ফোকাস ছিল ইউক্রেন সংঘাত সংক্রান্ত আলোচনা;‌ তবে খাদ্য নিরাপত্তা,  সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা এবং মহাকাশের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ন্যাটো কৌশলগত ধারণা ২০২২–এর তাৎপর্য

ন্যাটোর স্থায়িত্বের একটা বড় কারণ নিরাপত্তা এবং বিপদের ধারণার পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে ক্রমাগত অভিযোজন। ন্যাটোর নতুন নতুন কৌশল এবং অভিযোজিত পুনর্গঠনগুলি প্রকাশ করার প্রধান প্রক্রিয়া হল এর কৌশলগত ধারণা। এটি পরিবর্তনশীল বিপদের মূল্যায়নের মধ্যে ইউরো–আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোটের রূপান্তরের একটি গাইডবুক। নথিটি প্রায় প্রতি ১০ বছর অন্তর পর্যালোচনা এবং হালনাগাদ (আপডেট) করা হয়, এবং তা  জোটটিকে বিদ্যমান বিপদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুত হতে সক্ষম করে। পূর্ববর্তী কৌশলগত ধারণাটি ২০১০ সালে ন্যাটো লিসবন শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল। ১২ বছর কেটে যাওয়ার পর, বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে একটি নতুন কৌশলের প্রয়োজনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

ন্যাটোর নতুন কৌশল এবং অভিযোজিত পুনর্গঠনগুলি প্রকাশ করার প্রধান প্রক্রিয়া হল এর কৌশলগত ধারণা। এটি পরিবর্তনশীল বিপদের মূল্যায়নের মধ্যে ইউরো–আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোটের রূপান্তরের একটি গাইডবুক।

২০২২ কৌশলগত ধারণাটি ন্যাটোর ২০৩০ কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ২০২১–এর শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল। সর্বশেষ নথিটি উত্তর আটলান্টিক চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫–এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জোটের তিনটি মূল কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি: “প্রতিরোধক ব্যবস্থা (‌ডেটারেন্স)‌ ও প্রতিরক্ষা; সংকট নিবারণ ও ব্যবস্থাপনা; এবং সহযোগিতামূলক নিরাপত্তা।’‌’‌ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলগত ধারণা ইউক্রেনের যুদ্ধের যেকোনও প্রভাবের জন্য প্রস্তুত থাকার উপর জোর দিয়েছে, এবং রাশিয়ার দ্বারা ‘‌সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা’‌ লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা করেছে। নথিটি স্পষ্টভাবে রাশিয়াকে ‘‌মিত্রদের নিরাপত্তা এবং ইউরো–আটলান্টিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সরাসরি বিপদ’‌ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ইউরোপে একটি পুরোদস্তুর স্থলযুদ্ধের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ভিশন স্টেটমেন্টের লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে পারলে তা হবে ন্যাটোর রূপান্তরের চাবিকাঠি। গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, নথিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রাশিয়া ও চিনের মধ্যে ‘‌ক্রমশ গভীর হতে থাকা কৌশলগত অংশীদারি’‌, যা ন্যাটোর স্বার্থের সরাসরি বিরোধী।

২০১০ থেকে ২০২২: ন্যাটোর নতুন সেনাবিন্যাস

২০১০ কৌশলগত ধারণা এবং ২০২২ নথির মধ্যে সুস্পষ্ট কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হল, রাশিয়া ন্যাটোর ‘‌কৌশলগত অংশীদার’‌‌ থেকে ‘‌সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সরাসরি বিপদ ’‌–এ পরিণত হয়েছে। পরিভাষায় এই পরিবর্তনটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ইউরোপে চলতি যুদ্ধের সরাসরি পরিণতি। এই আক্রমণটিকে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সর্বাধিক গুরুতর নিরাপত্তা সংকট’‌ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, যা ন্যাটোকে পূর্ব সীমান্তে জোটের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করতে বাধ্য করেছে। সেনাবিন্যাসের পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘‌পুতিন তাঁর সীমান্তে কম ন্যাটো চেয়েছিলেন, কিন্তু তার কর্মের কারণে তিনি আরও বেশি পাচ্ছেন।’‌ জোটের উচ্চপ্রস্তুতি বাহিনী (রেসপন্স ফোর্স) ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০,০০০ থেকে সৈন্য সাত গুণ বাড়িয়ে ৩০০,০০০ করবে; এবং এই বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের ন্যাটো–রাশিয়া সীমান্ত বরাবর করা হবে। সমস্ত ক্ষেত্র, অর্থাৎ স্থল, বায়ু, সমুদ্র, সাইবার ও মহাকাশ, জুড়ে সক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এইভাবে, বর্ধিত প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই নতুন ফোর্স মডেল ন্যাটোর সামরিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।

ইউরোপে একটি পুরোদস্তুর স্থলযুদ্ধের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ভিশন স্টেটমেন্টের লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে পারলে তা হবে ন্যাটোর রূপান্তরের চাবিকাঠি।

মার্কিন বাহিনীর বিন্যাসে একটি পরিবর্তন

ন্যাটোর পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মার্কিন সমর্থন। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপে একটি বর্ধিত শক্তি বিন্যাসের কথা ঘোষণা করেছেন। এটি পোল্যান্ডে একটি রোটেশনাল আর্মি ব্রিগেড কমব্যাট টিম (বিসিটি) বজায় রাখবে, আর রোমানিয়ায় থাকবে একটি সেনা বিসিটি সদর দপ্তর। রোমানিয়ায় ৩,০০০ সৈন্য এবং ২,০০০ অন্য কর্মীর একটি পর্যায়ক্রমিক ব্রিগেডও মোতায়েন করা হবে। দুটি বিসিটি ইউরোপের পূর্ব দিকের দেশগুলিতে, বিশেষ করে বাল্টিক দেশগুলিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী সার্বিক উপস্থিতির ব্যবস্থা করবে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পঞ্চম আর্মি কোর ফরওয়ার্ড কমান্ড পোস্টের জন্য পোল্যান্ডে একটি স্থায়ী সদর দপ্তর তৈরি করবে। উপরন্তু, ফিল্ড সাপোর্ট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে আর্মি গ্যারিসন সদর দপ্তরও পোল্যান্ডে থাকবে। এগুলি ইউরোপিয়ান এরিয়া অফ রেসপনসিবিলিটিতে (এ ও আর) প্রশিক্ষণে ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে বর্ধিত আন্তঃকার্যকারিতা প্রদান করবে।

নন–গ্রাউন্ড ফোর্স সক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে স্পেনের রোটা-র মার্কিন নৌঘাঁটিতে নেভি ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হবে। এফ–৩৫ ফাইটার জেটের দুটি অতিরিক্ত স্কোয়াড্রনও ব্রিটেনে থাকবে। বাইডেন জার্মানি ও ইতালি উভয় দেশেই ‘‌বিমান প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য সক্ষমতা’‌ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন।

ইউরোপীয় শক্তিবিন্যাসের পরিবর্তন

২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর, ন্যাটো বাল্টিক রাষ্ট্রগুলি ও পোল্যান্ডে চারটি পর্যায়ক্রমিক বহুজাতিক যোদ্ধাগোষ্ঠীর সমন্বয়ে সামনের সারিতে আরও বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এটি রুশ আগ্রাসন প্রতিরোধকারী একটি ট্রিপ অয়্যার হিসাবে কাজ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। ব্ল্যাক সি সামরিক মহড়ার সময়ের ব্যবধান কমানো হয়েছিল, এবং আয়তন বাড়ানো হয়েছিল। যাই হোক, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পরে বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় অতিরিক্ত যোদ্ধা দল গড়ে উঠেছে। এর সঙ্গে ৪০,০০০ এরও বেশি সৈন্যকে সরাসরি ন্যাটো কমান্ডের অধীনে রাখা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পঞ্চম আর্মি কোর ফরওয়ার্ড কমান্ড পোস্টের জন্য পোল্যান্ডে একটি স্থায়ী সদর দপ্তর তৈরি করবে।

আলাদাভাবে কিয়েভের জন্য আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠিয়ে ন্যাটোর পূর্ব দিকের অংশকে শক্তিশালী করা হবে। ব্রিটেন নিশ্চিত করেছে যে এস্তোনিয়ায় ন্যাটো যোদ্ধাগোষ্ঠীর প্রতি তার দায়বদ্ধতা ১,৭০০ থেকে প্রায় ১,০০০ সেনা হবে; এই বাহিনী ব্রিটেনে থাকবে, কিন্তু তাদের সংক্ষিপ্ত নোটিসে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। এস্তোনিয়া থেকে বুলগেরিয়া পর্যন্ত আটটি ফ্রন্টলাইন ন্যাটো যোদ্ধাগোষ্ঠী ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ সৈন্যের ব্রিগেড স্তরে বৃদ্ধি পাবে। জার্মানি লিথুয়ানিয়াতে তার সেনা একটি ব্রিগেড আকারে বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বৈশ্বিক শক্তিবিন্যাসের উপর প্রভাব

ন্যাটোর শক্তিবিন্যাস আরও শক্তিশালী করার মূল ভিত্তি হল এই মূল্যায়ন যে ইউরো–আটলান্টিক অঞ্চল শান্তিতে নেই। আরও গুরুত্বপূর্ণ, ন্যাটোর কৌশলগত ধারণা এটি স্পষ্ট করে যে ন্যাটো যে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে তা বিশ্বব্যাপী। যদিও রাশিয়াকে ইউরোপের শান্তিপূর্ণ ও পূর্বাভাসযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করার  প্রাথমিক কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ন্যাটো কিন্তু ‘মিত্রদের লক্ষ্য করে জোটের নিরাপত্তার ক্ষতি করতে দুরভিসন্ধিমূলক হাইব্রিড ও সাইবার অপারেশন এবং এর মাধ্যমে সংঘাতমূলক ভাষ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর ক্ষমতার ক্ষেত্রে সমানভাবে চিনের’‌ কাছ থেকে আসা চ্যালেঞ্জকেও গুরুত্ব দিয়েছে। কৌশলগত ধারণাটি ইন্দো–প্যাসিফিকের সঙ্গে ন্যাটোর চ্যালেঞ্জকে সংযুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত ও শিল্প ক্ষেত্র, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো, এবং কৌশলগত উপকরণ ও সরবরাহ শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে চিনের ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছে।

ন্যাটোর বাহিনী পুনর্গঠন রাশিয়াকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তবে ইউরোপে যুদ্ধ চলতে থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ তৈরিতে ন্যাটোর প্রয়াস প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সম্ভবত, ন্যাটোর প্রতিরোধকে চ্যালেঞ্জ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল পারমাণবিক প্রশ্ন এবং রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষমতা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলতি যুদ্ধের শুরুতেই পরমাণু সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো রাশিয়ার একটি প্রতীকি সিদ্ধান্ত ছিল। গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে যে ইউক্রেনে এনারগোদারের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে ধারাবাহিক গোলাবর্ষণের ফলে একটি পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। এই ঘটনাগুলি কৌশলগত ভঙ্গিমা পুনর্গঠনের সময় ন্যাটোর ফোকাসে উঠে এসেছে। যাই হোক, কৌশলগত ধারণার বেশিরভাগ সংশোধনই হল দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, যা ইউরোপে চলতি যুদ্ধের উপর সম্ভবত সামান্যই প্রভাব ফেলে। তা সত্ত্বেও, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষামূলক–আক্রমণাত্মক প্রতিস্পর্ধা তৈরির জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেনে ন্যাটোর তাৎক্ষণিক সহায়তাকে ছোট করে দেখা যায় না। ন্যাটোর কৌশলগত ধারণা বা স্ট্র‌্যাটেজিক কনসেপ্টটি সময়োপযোগী হতে পারে, তবে যেহেতু এটি বারবার মিত্র দেশগুলির প্রতি ইঞ্চি ভূখণ্ড রক্ষা করার কথা বলেছে, তাই এটি তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষাও হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি রাশিয়া ন্যাটোর কোনও সদস্য দেশকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.