Author : Harris Amjad

Expert Speak Young Voices
Published on Nov 25, 2022 Updated 18 Days ago

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সংকট এই দেশগুলিকে তাদের ভবিষ্যৎ শক্তির ভূদৃশ্য ও নীতিগুলি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে

দক্ষিণ এশিয়ায় ব্ল্যাকআউট: বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় শক্তি নীতি বিতর্ক ফিরে দেখা
দক্ষিণ এশিয়ায় ব্ল্যাকআউট: বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় শক্তি নীতি বিতর্ক ফিরে দেখা

সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান  শ্রীলঙ্কা এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে যা কখনও কখনও দিনে ১০–১৪ ঘণ্টা স্থায়ী হচ্ছিল। জ্বালানি ঘাটতির মুখে এসব দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এই  ধরনের ‘‌লোডশেডিং’‌ ও ক্রমবর্ধমান ব্যয় এই তিনটি দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, এবং তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে গেছে রেকর্ড নিম্নে। এই নিবন্ধটি এই দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে ব্যাপক শক্তির নিরাপত্তাহীনতাকে বিশ্লেষণ করেছে, এবং এই যুক্তি উপস্থাপিত করেছে যে অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক কারণগুলির একটি বড় হাত থাকলেও তাদের দুর্দশার জন্য অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিগুলিও দায়ী৷

জীবাশ্ম জ্বালানির উচ্চ আমদানি মূল্য

উপর উপর থেকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুতের অভাবের প্রাথমিক কারণ বলে মনে হয়। যেহেতু রাশিয়া ইউরোপে তার গ্যাস রপ্তানি সীমিত করেছে, তাই ওই মহাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। সেখানে কিন্তু গ্যাসের খরচের ৮৩ শতাংশই যায় আমদানিতে। ফলস্বরূপ, সরবরাহ প্রতিস্থাপনের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলি বিশ্বব্যাপী স্পট বাজারে প্রবেশ করেছে, এবং তা প্রবল প্রভাব ফেলেছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এল এন জি)–এর এশীয় স্পট বাজারে। এশীয় বাজারে এল এন জি–র দাম গ্রীষ্মের গড় হার থেকে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, এবং অনেক উদীয়মান এশীয় অর্থনীতির পক্ষে ধনী ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে, যখন বিশ্বব্যাপী এল এন জি–র চাহিদা সর্বোচ্চ হবে, দাম আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এশীয় বাজারে এল এন জি–র দাম গ্রীষ্মের গড় হার থেকে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে, এবং অনেক উদীয়মান এশীয় অর্থনীতির পক্ষে ধনী ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।

দামের ঊর্ধ্বগতি এবং কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে যে ইসলামাবাদের এত বেশি দামে এল এন জি কেনার ‘‌ সামর্থ্য নেই ’‌। বাংলাদেশেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা  গেছে, যেখানে চড়া দামের কারণে গ্যাস কেনার গতি কমে গেছে

যাই হোক, এ কথা অবশ্যই উল্লেখ করা উচিত যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই এল এন জি বাজারের একটি বৈশিষ্ট্যই ছিল এই ধরনের অস্থিরতা, এবং তখনই দক্ষিণ এশিয়ার সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ২০১৯ সাল থেকে এল এন জি–র দাম রেকর্ড নিচে নেমে গেছিল, কিন্তু তারপরে ২০২১ সালে তা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যায়, কারণ বাজারে তখন অতিমারির কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। তারপরেই আবার বিশ্বব্যাপী চাহিদার হঠাৎ পুনরুত্থান সরবরাহ–চাহিদা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

এই একই ঘটনাগুলি তেলের দামে একই রকমের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। যখন সরবরাহ–চাহিদা প্রতিবন্ধকতা তেলের দামকে বাড়িয়ে তুলছিল, তখনই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাতের ফলে দাম আরও বেড়েছে। সম্প্রতি  ওপেক+ সরবরাহ হ্রাস এবং রুশ অপরিশোধিত তেলের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা  অদূর ভবিষ্যতে তেলের বাজারকে আরও সমস্যাসঙ্কুল করে তুলবে। উচ্চ খরচের ফলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে, কারণ এর দেউলিয়া অর্থনীতি তেল আমদানির জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে লড়াই করছে।

বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে এই ধরনের অস্থিরতা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতি এবং তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর। তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার মতো অত্যাবশ্যক জীবাশ্ম জ্বালানির সংস্থানগুলিকে ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অনুপস্থিতির অর্থ এই যে এই দেশগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির সরবরাহ অনেকাংশে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা জীবাশ্ম জ্বালানির উপর তাদের অত্যধিক নির্ভরতার জন্য বড় রকম মূল্য দিয়েছে, এবং তাদের আমদানি বিল অস্থিতিশীল স্তরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে এই দেশগুলির পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও উচ্চ ব্যয়ের কারণে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই দেশগুলির বর্তমান পরিস্থিতি ইউক্রেন যুদ্ধের ঢেউয়ের প্রভাবে আরও খারাপ হয়েছে, এবং তা এ কথাই তুলে ধরেছে যে অস্থির পণ্যগুলির উপর নির্ভরশীল শক্তি সুরক্ষা দীর্ঘমেয়াদে একটি উচ্চ–ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল ব্যাপার।

(দ্রষ্টব্য: কোভিড–১৯ অতিমারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের আগে বিদ্যুতের মিশ্রণ প্রদর্শনের জন্য ২০১৯ সালের ডেটা নেওয়া হয়েছিল) উ‌ৎস: ডেটা কান্ট্রি প্রোফাইল–এ আওয়ার ওয়ার্ল্ড

দেশীয় বিদ্যুৎ নীতির ত্রুটি

তবুও দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলির বর্তমান শক্তি সমস্যাগুলি মূল্যায়ন করার সময় অবশ্যই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জাতীয় নীতিগত সিদ্ধান্তগুলির দিকে নজর দিতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বাজারের ধাক্কার বেশি প্রতিরোধী উপায়ের (‌অর্থাৎ গ্যাস সরবরাহকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির)‌ পরিবর্তে তাদের প্রায় অর্ধেক এল এন জি স্পট বাজার থেকে আমদানি করা অব্যাহত রেখেছে। গত এক দশকে তাদের এল এন জি আমদানির কৌশলগুলি এই ধারণার  উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল যে প্রাকৃতিক গ্যাস অদূর ভবিষ্যতে প্রচুর পাওয়া যাবে এবং সস্তা থাকবে। যেহেতু সেই আশা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, তাই এই দুই দেশ বাজার মূল্যের অস্থিরতার মুখোমুখি হয়েছে।

বাংলাদেশে স্বাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের (আই পি পি) ক্ষমতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রের নীতি হল প্ল্যান্ট যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে তার উপর একটি ফি প্রদান করা, এবং প্ল্যান্টটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও তা দেওয়া হয়। এই বিষয়টি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড–এর (পি ডি বি) জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। এই নীতি অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার সমস্যা তৈরি করেছে, কারণ ১৫,০০০ মেগাওয়াটের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০২০–২১ অর্থবছরে আই পি পি–তে সক্ষমতা প্রদানের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন টাকা (১.‌৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), এবং সমপরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ ইউটিলিটিগুলিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। এই মূলধনকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পরিকাঠামো নির্মাণে আরও ভালভাবে ব্যবহার করা যেত।

পাকিস্তানের বিল্ডিং এনার্জি কোড ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু তা বর্ধিত চাহিদা ও নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করা হয়নি।

অন্যদিকে পাকিস্তান জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিষয়গুলিকে অবহেলার জন্য কুখ্যাত। যদিও সরকার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে, পরবর্তী জাতীয় নীতিগুলিতে কিন্তু সংরক্ষণের মাধ্যমে চাহিদা কমানোর বিষয়টির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানে বিতরণ করা মোট বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ যদিও পরিবারগুলি ব্যবহার করে, তবুও তা শক্তি সংরক্ষণ নীতিতে স্থান পায়নি। পাকিস্তানের বিল্ডিং এনার্জি কোড ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু তা বর্ধিত চাহিদা ও নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করা হয়নি। পাকিস্তানে একটি ভাল কার্যকরী শক্তি দক্ষতা ব্যবস্থা বর্তমান সরবরাহ–চাহিদা ব্যবধান কমাতে সাহায্য করতে পারে, এবং বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখতে পারে।

কলম্বোর বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ নীতিতেও ত্রুটি দেখা দিয়েছে। সৌর এবং বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য শক্তির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা এই বিষয়ে সামান্যই প্রত্যয় দেখিয়েছে। এমনকি ২০৫০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নবীকরণযোগ্য রূপান্তরের পরিকল্পনার ঘোষণার পরেও কলম্বোর তৈরি তিনটি দীর্ঘমেয়া্দি জেনারেশন এক্সপ্যানশন প্ল্যান (এল টি জি ই পি)–এ ২০৩৯ পর্যন্ত আরও কয়লা প্রকল্প যোগ করার কথা বলা হয়েছে। সিলোন ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (সি ই বি) দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একচেটিয়া আধিপত্য উপভোগ করে, এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা থেকে লাভবান হয়। এটি স্পষ্ট করে যে কীভাবে সি ই বি–র পরিকল্পনাগুলি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নীতি লঙ্ঘন করে চলেছে, এবং শ্রীলঙ্কার জনসাধারণের কয়লা প্ল্যান্টের চারপাশে ব্যাপক পরিবেশগত উদ্বেগ উপেক্ষা করে চলেছে।

সম্ভবত ‌এই তিনটি দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রের শক্তির ভূদৃশ্যের একটি অতি–উল্লেখযোগ্য ব্লাইন্ড স্পট হল যে তারা পুনর্নবীকরণযোগ্য প্রকল্পগুলির জন্য কম প্রেরণা প্রদান করেছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বাংলাদেশের বিদ্যুতের মিশ্রণের একটি নগণ্য অংশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকলেও এই দেশগুলির উপর খরা  বন্যার মতো জলবায়ু ঘটনাগুলির বড় ধরনের প্রভাব এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে অনির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রমবর্ধমান খরচ এবং অঞ্চলের জলচক্রের প্রতিকূল জলবায়ু ঘটনাগুলির প্রভাব থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তাহীনতা প্রশমিত করার জন্য তাদের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিকাঠামোকে বৈচিত্র্যময় করার বড় ধরনের প্রয়োজন রয়েছে৷

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বাংলাদেশের বিদ্যুতের মিশ্রণের একটি নগণ্য অংশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকলেও এই দেশগুলির উপর খরা ও বন্যার মতো জলবায়ু ঘটনাগুলির বড় ধরনের প্রভাব এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে অনির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।

উপসংহার

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি দেখিয়েছে যে অস্থির পণ্য আমদানির উপর প্রচুর নির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়। তার সঙ্গে যখন গার্হস্থ্য শক্তি নীতিতে অদূরদর্শিতা এবং আরও নিরাপদ পুনর্নবীকরণযোগ্য উপায়ে রূপান্তরিত হওয়ার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার অভাব যুক্ত হয়, তখন বাহ্যিক ধাক্কার মুখে বিপর্যয়ের নিখুঁত উপকরণ তৈরি হয়।

বর্তমান সংকট এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে তাদের ভবিষ্যৎ শক্তির ভূদৃশ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। পুনর্নবীকরণযোগ্যের দিকে তাকালে বলতে হয়, গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ নীতির ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করা, তার প্রতিকার করা, এবং সমমনা দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করা আঞ্চলিক বিদ্যুতের গ্রিডগুলি অন্বেষণ করা হল এমন কিছু উপায় যাতে এই রাষ্ট্রগুলি তাদের আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারে, এবং বিদ্যুতের বৃহত্তর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে৷ এই ব্যবস্থাগুলি অবশ্যই তাদের দ্বিধাদ্বন্দ্বের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, এবং তার জন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের প্রয়োজন।

মতামত লেখকের নিজস্ব।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.