Published on Jan 15, 2022 Updated 0 Hours ago

কায়িক সাফাই কাজের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো স্বীকার করা সত্ত্বেও, বছরের পর বছর ধরে সত্যিকারের পরিবর্তন আনার জন্য কোনও দৃঢ় প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়নি।

অস্বীকৃতিকে আলোচনায় পরিণত করা: কায়িক সাফাই কর্মীদের প্রসঙ্গ

গত নভেম্বরে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ পুরস্কার বিতরণ করার সময় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ কায়িক সাফাই কাজকে একটি লজ্জাজনক ঘটনা বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, একে নির্মূল করা শুধু সরকারেরই দায়িত্ব নয়, সেই সঙ্গে সমাজেরও। কারণ কায়িক সাফাই কাজের বিষয়টির মূলে রয়েছে ভারতের ঐতিহাসিক শ্রেণিবিন্যাস ও বর্জন–প্রথা: বর্ণ ব্যবস্থা। সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ৪৩,৭৯৭ জন চিহ্নিত কায়িক সাফাইকর্মীর মধ্যে ৪২,০০০ তফসিলি জাতি (এসসি) বা দলিত শ্রেণিভুক্ত।

ইউএন ইন্ডিয়া-র মতে, কায়িক সাফাই বলতে শুষ্ক শৌচাগার ও নর্দমা থেকে যে কোনও উপায়ে মানুষের মল পরিষ্কার করা, বহন করা বা ফেলার কাজকে বোঝায়। ভারতে বর্ণপ্রথার ব্যাপকতার কারণে এই ধরনের ক্ষতিকর কাজগুলো বেশিরভাগই জাতিগত শ্রেণিবিন্যাসের তলায় পড়ে থাকা দলিতরাই করে থাকেন। অন্য অনেক বিপজ্জনক কাজের মতো, কায়িক সাফাইকর্মীরা কলেরা, হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা, টাইফয়েড ও আরও অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ২০১৮ সালে ওয়াটার এইড ইন্ডিয়া–র একটি সমীক্ষা অনুসারে, মোট চারটি রাজ্যে মাত্র ৩৬টি বসতিতে শুষ্ক শৌচাগারের কায়িক সাফাইয়ে নিযুক্ত ছিলেন ১,১৩৬ জন মহিলা। কিন্তু এত ঝুঁকির পরেও, টিইআরওয়াই(‌টেরি) সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তাঁরা যা মজুরি পান তা সাধারণত কম হয়। প্রায় ৫০টি শুষ্ক শৌচাগার পরিষ্কার করার জন্য তাঁরা পান ৪০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে, এবং চারটি ড্রেনেজ লাইন ও নর্দমা পরিষ্কারের জন্য সর্বাধিক ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা। মজুরির পরিমাণ নিয়োগকর্তাদের মর্জির উপর নির্ভর করে।

ভারতে কোভিড–১৯–এর দুটি তরঙ্গের অভিঘাতে চিকিৎসক, পুলিশ ও সাফাই কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কোভিড যোদ্ধারা তাঁদের জীবনকে এতটাই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে কাজ করছিলেন যে সরকার গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করে তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অথচ ২০২১ সালে, কোভিড-১৯–এর দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়, সুরক্ষা উপকরণের অভাবে ২৫ জন সাফাই কর্মী জীবন হারালেও এখনও সাফাই কর্মীদের কল্যাণের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের তরফে সত্যিকারের তেমন কোনও প্রয়াস লক্ষিত হয়নি। তাঁদের পরিচিতির কারণে সামাজিক বর্জন আরও তীব্র হয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়, যখন রটে গিয়েছিল যাঁরা কাজ করতে বেরোচ্ছেন তাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ভারতীয় সংবিধান ও ভারতীয় বিচারবিভাগ সমস্ত নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত করে সকলকে যে সুরক্ষা প্রদান করেছে, তা সকলে পাচ্ছেন কি না তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে কায়িক সাফাই কর্মচারীদের ক্ষেত্রে। ১৯৯৩ সালের স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন অফ ড্রাই ল্যাটরিনস (প্রোহিবিশন) অ্যাক্ট ও ২০১৩ সালের প্রোহিবিশন অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাজ ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড দেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট (‌পিইএমএসআর)‌–এর মতো বিভিন্ন আইন আনা হয়েছে এই মানুষদের প্রাপ্য অধিকার প্রদানের জন্য। এই অধিকারসমূহ তাঁদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্যও প্রয়োজনীয়। তবে এই সংস্কার অভিযানে গতি না–থাকায় আশানুরূপ পরিবর্তন ঘটেনি।

এই সব আইন থাকা সত্ত্বেও কায়িক সাফাইকর্মীদের অবস্থার কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি পরিলক্ষিত হয়নি। সংসদে সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণার মধ্যেও এই পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। দেশে কায়িক সাফাই কাজের কারণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া না–গেলেও নর্দমা/সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় ৯৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কোভিড যোদ্ধারা তাঁদের জীবনকে এতটাই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে কাজ করছিলেন যে সরকার গোলাপের পাপড়ি বর্ষণ করে তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে, এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অথচ ২০২১ সালে, কোভিড-১৯–এর দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়, সুরক্ষা উপকরণের অভাবে ২৫ জন সাফাই কর্মী জীবন হারালেও এখনও সাফাই কর্মীদের কল্যাণের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের তরফে সত্যিকারের তেমন কোনও প্রয়াস লক্ষিত হয়নি।

এই বিষয়টিকে অস্বীকার করে চলার ঘটনাটি সাম্প্রতিক স্বচ্ছ ভারত মিশন (এসবিএম) এর সঙ্গেও সম্পর্কিত বলে ধরা যেতে পারে। এই মিশন সমালোচিত হয়েছে এর মাধ্যমে কায়িক সাফাইয়ের প্রযোজন হবে এমন শৌচাগারের সংখ্যা বাড়িয়ে ভারতে কায়িক সাফাইয়ের ব্যবস্থাকে স্থায়ী করার জন্য। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এসবিএম-এর অধীনে নির্মিত শৌচাগারগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ১৩ শতাংশের জোড়া পিট রয়েছে, ৩৮ শতাংশের সেপটিক ট্যাঙ্ক রয়েছে, এবং ২০ শতাংশের সিঙ্গল পিট রয়েছে, এবং এই সবগুলিই শুষ্ক শৌচাগার যার জন্য কায়িক সাফাইয়ের প্রয়োজন হয়৷ ভারতীয় রেলওয়ে হল ভারতে শুষ্ক শৌচাগারের বৃহত্তম ব্যবহারকারী, যাদের ২৯৬,০১২টি শুষ্ক শৌচাগার আছে, এবং সেগুলির কায়িক সাফাই প্রয়োজন। অর্থাৎ ভারতীয় রেলওয়ে হল সবচেয়ে বড় আইন লঙ্ঘনকারী। ভারতীয় রেলপথ সমস্ত দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেনে ২৫৮,৯০৬টি বায়ো-ভ্যাকুয়াম শৌচাগার বসিয়েছে, যা শুধু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাড়তি ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সাহায্য করছে। যদি এই ধরনের ব্যবস্থা চালু সব ধরনের ট্রেনে ব্যবহার করা হয়, তবে তা সরকারি উদ্যোগগুলিতে কায়িক সাফাইয়ের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এবং তা অন্য যে সব ক্ষেত্র এখনও কায়িক সাফাইয়ের উপর নির্ভরশীল তাদের কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করবে ।

রেলওয়েতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারের উচিত আরও পরিবেশবান্ধব শৌচাগার নির্মাণ করা। নম্মা টয়লেটের মতো মডেল, যা তামিলনাড়ু মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মস্তিষ্কপ্রসূত, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিভিন্ন দেশে তৈরি করা অন্যান্য পরিবেশ-বান্ধব মডেলের কথা প্রচার করা উচিত এসবিএম-এর আওতায় তথ্য আদান-প্রদান ও সহায়তার মাধ্যমে। সর্বজনীন নকশা ও দক্ষ জল প্রযুক্তির উপর নজর রেখে তৈরি এই মডেলগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আয়তন পরিবর্তনের বিকল্পও আছে।। ফলে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় সহজেই এগুলো ব্যবহার করা যায়।

ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারিজ-এর (এনসিএসকে) সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে, চেয়ারপারসন স্বীকার করেছেন যে সংস্থাটির সম্পদের অভাব রয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে মেলেনি। এটি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তারা কী ভাবে সংস্কারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তার মধ্যে পার্থক্য দেখায়।

এগুলি ছাড়াও প্রকাশিত বিভিন্ন লেখায় দেশ থেকে কায়িক সাফাই দূর করার জন্য শনাক্তকরণের সমস্যা, বিকল্প অর্থনৈতিক সুযোগের অনুপস্থিতি এবং সম্প্রদায়গত কলঙ্কের মতো বিষয়গুলিও আলোচিত হয়েছে। যদিও এসবিএম কায়িক সাফাইয়ের সমস্যা তৈরির জন্য সমালোচিত হয়েছে, একটু অন্য ভাবে দেখলে কিন্তু বলা যায় এসবিএম ও স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ উপরে তালিকাভুক্ত হয়েছে এমন বেশ কিছু বিষয়ের সমাধান করতে পারে।

কায়িক সাফাইকর্মীদের শনাক্ত করার কাজটি ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারিজ (এনসিএসকে)–কে দেওয়া হয়েছে, তবে তারা প্রকৃত তথ্যের জন্য রাজ্য সরকারগুলোর উপর নির্ভরশীল। তথ্যের অভাব কাজের সময় মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়াকেও বাধার সম্মুখীন করছে। যদিও কায়িক সাফাইয়ের কাজে নিযুক্ত কেউ কাজের সময়ে প্রাণ হারালে তাঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ১২৩ জন তেমন কর্মীর পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।

ভারতে বর্তমানে ন’‌টি বিভিন্ন ধরনের স্যানিটাইজেশন–এর কাজে নিযুক্ত আছেন ৫০ লক্ষ কর্মী। ২০২১ সাল পর্যন্ত স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ–এর সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে ভারতের ৪,২৪২টি শহর  ১৭,৪৭৫টি গ্রামে, যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষায় পরিণত করেছে। এই ভাবে সর্বেক্ষণ–এর মাধ্যমে ভারতে কায়িক সাফাইকর্মীর সংখ্যা চিহ্নিত হওয়ার ফলে যেমন আরও বেশি কর্মী এর আওতায় আসবেন, সেই সঙ্গেই বিভিন্ন রাজ্যের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে অভিন্ন করে তোলা যাবে পরিষেবা–স্তরের অগ্রগতি (স্থানীয় সংস্থাগুলির দ্বারা সংগৃহীত তথ্য), নাগরিকদের প্রতিক্রিয়া ও শংসাপত্র তৈরির প্রক্রিয়ার মতো আনুষ্ঠানিক উপায়গুলোর মাধ্যমে।

সত্যিকারের পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রয়াস

কায়িক সাফাই কর্মচারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে আনা হয়েছিল সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট স্কিম ফর লিবারেশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অফ স্ক্যাভেঞ্জারস (এসআরএমএস)। কিন্তু ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি মাত্র ৬ শতাংশের কাছে পৌঁছেছিল। যে সব কারণে প্রয়োজনীয় সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে প্রকল্পটি ব্যর্থ হচ্ছে তার মধ্যে আছে সুবিধাভোগীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব, স্বনিযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বড় ধরনের ঝুঁকি, এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পরে তার পরবর্তী ধাপে পৌঁছনোর জন্য অপেক্ষার সময়কাল। এই অবস্থায় সমস্ত চিহ্নিত সাফাই কর্মীকে তাদের শনাক্তকরণের পরপরই স্বচ্ছ ভারত মিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত কাজে নিয়োগ করা হলে তা তাদের দ্রুত পুনর্বাসনে সাহায্য করতে পারে। এসবিএম-এর আওতায় শৌচাগার নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে কায়িক সাফাই কর্মীদের নিয়োগ করা যেতে পারে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির খতিয়ান অনুসারে, শুধু এসবিএম-এর মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলে আনুমানিক ৯০ কোটি ব্যক্তি–দিবস কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া, যে হেতু স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ শহর ও গ্রামগুলির ক্রমিক স্থান নির্ণয় করে তাদের কাজের নিরিখে, এবং তার মধ্যে মূল্যায়ন ম্যাট্রিক্সের অংশ হিসেবে থাকে কায়িক সাফাই প্রক্রিয়ার যান্ত্রিকীকরণ, তাই এ ভাবে স্থানীয় সংস্থাগুলিকে তাদের এলাকা থেকে কায়িক সাফাই নির্মূল করার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে৷ ২০১৩ সালের স্ক্যাভেঞ্জিং অ্যাক্ট–কে সংযুক্ত করা যেতে পারে এম এন আর ই জি এ ও অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সঙ্গে। একটা সংশোধনী এনে ২০০৮-এর আনঅরগানাইজড সেক্টর ওয়র্কর্স সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সহ এম জি এন আর ই জি এ সংক্রান্ত অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে ২০১৩ সালের স্ক্যাভেঞ্জিং অ্যাক্ট–কে সংযুক্ত করা যেতে পারে। এই ভাবে গ্রামীণ এলাকায় কায়িক সাফাই কিছুটা হলেও দূর করা যেতে পারে।

ন্যাশনাল কমিশন ফর সাফাই কর্মচারিজ-এর (এনসিএসকে) সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে, চেয়ারপারসন স্বীকার করেছেন যে সংস্থাটির সম্পদের অভাব রয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে মেলেনি। এটি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তারা কী ভাবে সংস্কারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে তার মধ্যে পার্থক্য দেখায়। যখন কোভিড–১৯-এর কারণে অর্থনৈতিক মন্দা আরও খারাপ হওয়ার ফলে বেকারত্ব বাড়ছে, সেই সময় এই কায়িক সাফাইকর্মীরা বাধ্য হচ্ছেন বহু দশকের সেই কষ্টদায়ক কাজের সঙ্গেই যুক্ত থেকে যেতে যা ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিচয়ের কলঙ্ক। কাজেই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এযাবৎ কালের সমস্ত অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.