Author : Arya Roy Bardhan

Published on Jun 13, 2025 Updated 0 Hours ago

ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাকার প্রতি তাদের আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে—বাইক থেকে শুরু করে এসইউভি পর্যন্ত, গাড়ির মালিকানা অর্থনৈতিক  গতিশীলতাকে নতুন করে রূপ দিতে প্রস্তুত।

চাকা এবং আকাঙ্ক্ষা: ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃদ্ধির চালিকাশক্তি

ভারতের নীতিগত অগ্রাধিকারগুলিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব এখনও কম বলে মনে করা হয়। তবুও, আকার, আকাঙ্ক্ষা ও ক্রয়ক্ষমতার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির দ্বারা চিহ্ণিত এই অংশটি দেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটকে নীরবে পুনর্গঠন করছে। এই বিষয়টির সঙ্গে কার্যকরভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য মধ্যবিত্ত শ্রেণি কারা তা নির্ধারণ করা অপরিহার্য। ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে ভারতের জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ — যারা বার্ষিক ৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আয় করে — তাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, গৃহস্থালি উপভোগ ব্যয়ের সমীক্ষার তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ বার্ষিক মাত্র ২.৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। সংজ্ঞার অস্পষ্টতার কারণে, ২০১২ সালের কার্নেগি এনডাউমেন্ট পত্রিকায় গাড়ি সূচককে একটি বিকল্প মেট্রিক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, এবং যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল যে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে এমন ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত যারা একটি সীমার উপরে আয় করেন। এটি তাদের অটোমোবাইলের মতো ইচ্ছানির্ভর পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম করে।


বিগ ম্যাক সূচক ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) এবং মুদ্রার পার্থক্য মূল্যায়নের জন্য একটি হ্যামবার্গারের দামকে মাপকাঠি হিসাবে ব্যবহার করে।



অর্থনীতিবিদরা প্রায়শই অর্থনীতির মেজাজ পরিমাপ করার জন্য নির্দিষ্ট পণ্য বা ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি সূচক ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, মন্দা (‌রিসেশন)‌ বা আর-শব্দ সূচক পরিমাপ করে মন্দার মনোভাব সনাক্ত করার জন্য প্রধান সংবাদপত্রগুলিতে 'মন্দা' শব্দটির ব্যবহারের পৌনঃপুনিকতা। অন্যদিকে, বিগ ম্যাক সূচক ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) ও মুদ্রার পার্থক্য মূল্যায়নের জন্য একটি হ্যামবার্গারের দামকে মাপকাঠি হিসাবে ব্যবহার করে। গাড়ি সূচক একটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী মেট্রিক, কারণ এটি অর্থনীতির প্রকৃত খরচ এবং ক্রয়ক্ষমতা প্রদর্শন করে। তবে, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে চিহ্নিত করার জন্য গাড়ির মালিকানা ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যানবাহনের মালিকানা শুধু আয় দ্বারা নয়, বরং অর্থায়নের প্রাপ্তিযোগ্যতা, নগর-গ্রামীণ গতিশীলতার চাহিদা, এবং সাংস্কৃতিক পছন্দের মতো বিষয়গুলির দ্বারাও প্রভাবিত হয়। সুতরাং, গাড়ি সূচক কার্যকর হলেও, মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃদ্ধির সূক্ষ্মতা সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করতে পারে  না।

অর্থনৈতিক সূচক হিসাবে গাড়ির মালিকানা

চিত্র ১-এ দেখানো হয়েছে যে, মাথাপিছু গাড়ির মালিকানা এবং মাথাপিছু আয়ের স্তরের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কটি এঙ্গেলের সূত্রর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বলা হয়েছে যে পারিবারিক আয় বৃদ্ধির সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর ব্যয়ের অনুপাত হ্রাস পায়, এবং যানবাহনের মতো ইচ্ছানির্ভর ব্যয়ের জন্য সম্পদ মুক্ত হয়। নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দিকে উত্তরণকারী দেশগুলিতে গাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি পায়, আর তারপর উচ্চ আয়ের স্তরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থিতিশীল হয়। এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবণতা পারিবারিক- স্তরের গতিশীলতাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে ক্রমবর্ধমান মধ্যম আয়ের জনসংখ্যা যানবাহনের মালিকানাকে চালিত করে। তবে, যানবাহনের মালিকানা এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্প্রসারণের মধ্যে সম্পর্ক শর্তহীন নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, দুর্বল গণপরিবহণ পরিকাঠামো, শেষ মাইল সংযোগ সমস্যা, এবং যাতায়াতের উচ্চ সময় প্রায়শই ব্যক্তিগত যানবাহনের মালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে ইচ্ছানির্ভর অর্থনৈতিক পছন্দের পরিবর্তে একটি প্রয়োজনীয়তা করে তোলে।

চিত্র ১: জি২০ দেশগুলিতে মাথাপিছু মোট আভ্যন্তর উৎপাদন (জিডিপি) বনাম প্রতি হাজার জনসংখ্যায় গাড়ির মালিকানা
 Wheels And Aspirations Engines Of India S Middle Class Growth
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)

অতিমারির কারণে বাধা সত্ত্বেও ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে নিবন্ধিত মোটর গাড়ির মালিকানা ৮.৩ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক হারে (সিএজিআর) বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, জিডিপি বৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫.৫ শতাংশ, যা আয়-স্থিতিস্থাপক গাড়ির মালিকানার ধারণাকে আরও শক্তিশালী করে। ধনী পরিবারগুলি একাধিক যানবাহন কিনে এই প্রবণতায় অবদান রাখলেও, দ্বিচক্র গাড়ির জন্য ৮.৬ শতাংশ সিএজিআর নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে একাধিক যানবাহনের মালিক ধনী ব্যক্তিদের তুলনামূলকভাবে কম অনুপাতের কারণে, সামগ্রিক গণনায় তাদের অতিরিক্ত ক্রয়কে প্রান্তিক হিসাবে বিবেচনা করা যায়।

অর্থনৈতিক গতিশীলতা এবং যানবাহনের মালিকানা

গাড়ির মালিকানার প্রবণতা পরীক্ষা করলে অর্থনৈতিক গতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ পায়। গত দশকে, সর্বোচ্চ কোয়ান্টাইলে মাত্র ১.৫ গুণের তুলনায় মধ্যম তিন আয়ের কোয়ান্টাইলে গাড়ির মালিকানা ২.২ থেকে ২.৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । দুই চাকার গাড়ির মালিকানা আরও তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে: নিম্নতম শ্রেণির পরিবারগুলিতে নয় গুণেরও বেশি, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য দ্বিগুণেরও বেশি এবং ধনী শ্রেণির জন্য মাত্র ১.৪ গুণ। এই বৈষম্যগুলি এমন একটি কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় যেখানে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি অর্থনৈতিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে — ক্রমবর্ধমান আয় এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষমতা স্পষ্ট।

তা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র গাড়ির মালিকানা মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রবৃদ্ধির সম্পূর্ণ বাস্তবতাকে অন্তর্ভুক্ত করে না। অনেক ঊর্ধ্বমুখী ব্যক্তি এখনও সুবিধা, খরচ বিবেচনা, অথবা নীতিগত প্রণোদনার কারণে গণপরিবহণ বেছে নিতে পারেন। উপরন্তু, ঋণের অসম প্রাপ্তিযোগ্যতা এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের মতো কারণগুলি কে যানবাহন কিনতে পারে এবং কে পারে না তাকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, দুই এবং চার চাকার গাড়ির গ্রামীণ মালিকানা শহরাঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।

চিত্র ২: আয় শ্রেণির মধ্যে গাড়ি এবং দুই চাকার গাড়ির মালিকানা
 Wheels And Aspirations Engines Of India S Middle Class Growth
সূত্র:
ডেটা ফর ইন্ডিয়া

যদি যানবাহনের মালিকানা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্তির জন্য একটি প্রতীক  হিসাবে কাজ করে, তাহলে এই অংশটি প্রসারিত হয়েছে। অতিমারির পরের দুই বছরে, যাত্রিবাহী যানবাহনের বিক্রয়
৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে দ্বিচক্র গাড়ির বিক্রয় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটি স্বতন্ত্র প্রবণতা দৃশ্যমান: দ্বিচক্র গাড়ি কেনার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে প্রবেশ, এবং চার-চাকার গাড়ি নেওয়ার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা। চিত্র ২ দেখায় যে দ্বিচক্র মালিকানার বৃদ্ধি গাড়ির মালিকানাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে নতুন প্রবেশকারীরা উচ্চ-‌মধ্যম আয়ের মর্যাদায় রূপান্তরিতদের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত একটি প্রবণতা এবং প্রায়শই মধ্যম আয়ের ফাঁদের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত।

এছাড়াও, চার-চাকার গাড়ির ক্রেতাদের পছন্দ প্রিমিয়াম যানবাহনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গত চার বছরে, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলস (এসইউভি)-‌এর বাজার অংশ
দ্বিগুণ হয়েছে, যা এখন মোট বিক্রয়ের অর্ধেকেরও বেশি। এই পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান ব্যয়যোগ্য আয় এবং ঋণের প্রাপ্তিযোগ্যতাকে প্রতিফলিত করে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি  থেকে, তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি থেকে যানবাহন ঋণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে, যা ক্রমবর্ধমান ভোক্তা-‌আস্থা নির্দেশ করে। অতিমারি-পরবর্তী সুদের হার অর্থায়নকে আরও ব্যয়বহুল করে তুললেও, গাড়ি ঋণের ক্রমাগত বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। ভারতীয় মধ্যবিত্ত শ্রেণি শুধু সম্প্রসারিতই হচ্ছে না, বরং ধনীও হচ্ছে এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি আরও আত্মবিশ্বাসীও হচ্ছে।


অতিমারি-পরবর্তী সুদের হার অর্থায়নকে আরও ব্যয়বহুল করে তুললেও, গাড়ি ঋণের ক্রমাগত বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়।



যাই হোক, শুধুমাত্র আয়ের গতিশীলতার সঙ্গে গাড়ির মালিকানা বৃদ্ধিকে সম্পর্কিত করার ক্ষেত্রে আরও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন। যদিও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি একটি কারণ, সহজতর ঋণের লভ্যতা, ভোক্তাদের পছন্দের পরিবর্তন, এবং অটোমোবাইল সংস্থাগুলির বিপণন কৌশলগুলিও ক্রয়ক্ষমতার ধরনকে প্রভাবিত করে। সুতরাং, যানবাহনের মালিকানার প্রবণতা মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, তবে অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকের পরিপ্রেক্ষিতে এগুলি বিবেচনা করা উচিত। গাড়ি সূচক একটি সহায়ক প্রতিরূপ, তবে এটিকে নীতিগত পরামিতি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়।


চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের বিবেচনা

গাড়ি সূচকে প্রতিফলিত অতিমারি-পরবর্তী অগ্রগতি সত্ত্বেও, ভারত এখনও  মাথাপিছু গাড়ির মালিকানার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। জি২০ দেশগুলির মধ্যে মাথাপিছু গাড়ির ক্ষেত্রে ভারত সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে - যদিও এর দ্বিচক্র যানের মালিকানা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই বৈষম্য দুটি মূল কারণের কারণে দেখা দেয়। প্রথমত, গাড়ির উচ্চ আপেক্ষিক মূল্য ইঙ্গিত দেয় যে ভারত এখনও কাঠামোগত রূপান্তরের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ক্রয়ক্ষমতা  ছাড়াও ব্যবহারিক উদ্বেগ ভোক্তাদের পছন্দকে চালিত করে। যানজট ও দীর্ঘ যাতায়াতের সময় গাড়ির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে, যার ফলে দুই চাকার গাড়ি একটি সুবিধাজনক এবং দক্ষ বিকল্প হয়ে ওঠে। এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকাঠামোগত এবং নীতিগত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।


গ্রামীণ ভারতে অটোমোবাইল অর্থায়নের প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি করলে চার চাকার গাড়ির তুলনামূলক খরচ কমানো যেতে পারে এবং গাড়ির বাজারে প্রবেশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

বৈদ্যুতিক যানবাহনের (ইভি) প্রসার জ্বালানি খরচের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। চার্জিং পরিকাঠামো সম্প্রসারণ, দেশীয় উৎপাদনের জন্য প্রণোদনা, এবং ভারতের বৃহত্তর পরিবেশগত ও নগর গতিশীলতা পরিকল্পনার সঙ্গে একীভূতকরণের মাধ্যমে এটিকে আরও বাড়ানো উচিত। গ্রামীণ ভারতে অটোমোবাইল অর্থায়নের প্রাপ্তিযোগ্যতা বৃদ্ধি চার চাকার গাড়ির আপেক্ষিক খরচ কমাতে পারে এবং গাড়ির বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করতে পারে। জাতীয় মহাসড়ক এবং সড়ক পরিকাঠামোর টেকসই উন্নয়ন ব্যক্তিগত যানবাহনের মালিকানাকে আরও বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর বিকল্প করে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ভারতের ক্রমবর্ধমান কর্মক্ষম জনসংখ্যার সঙ্গে এই শ্রেণির মধ্যে গাড়ির  মালিকানার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি সরাসরি যানবাহন ক্রয়ের উচ্চ সংখ্যা তৈরি করে, যা আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মবিশ্বাসের দ্বারা সমর্থিত বৃদ্ধির একটি স্থির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে। তবে, এ কথা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে যানবাহন বিক্রয়কে অন্তিম লক্ষ্য হিসাবে দেখা উচিত নয়। পরিবর্তে, বাস্তব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হওয়া উচিত উপায় এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য।



আর্য রায় বর্ধন অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন-‌এর সেন্টার ফর নিউ ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির গবেষণা সহকারী

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.