-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
চিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং স্বাধীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য তার চাপ স্বল্পমেয়াদে মার্কিন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা তার বর্তমান বিশ্বব্যাপী আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করবে
২০ মার্চ, ২০২৫ তারিখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউনাইটেড স্টেটস কোড-এর শিরোনাম ৩-এর ধারা ৩০১-এর অধীনে জরুরি বিধান জারি করে দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উৎপাদন (খনন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধন এবং গলানো সহ) বৃদ্ধি এবং বিদেশি উৎসের উপর মার্কিন নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ (ইও) জারি করেন। যেমনটি আমরা আজ জানি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলি চিহ্নিত হয়েছে আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি হিসাবে। যদিও সেমিকন্ডাক্টরগুলি বেশিরভাগই বর্তমান প্রযুক্তির জন্য ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে, তাদের উন্নয়নের কাঁচামাল সিলিকন, গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে। যদিও চিন সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে নিজেকে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণের বিকল্প উপায়গুলি অনুসরণ করতে প্ররোচিত করেছে। এটি এমন একটি প্রচেষ্টা যা মার্কিন অর্থনীতির পাশাপাশি বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
যদিও চিন সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খলে নিজেকে একটি প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো।
খনিজ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ
ইও ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) দ্বারা সংকলিত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ তালিকার (সিএমএল) অধীনে তালিকাভুক্ত ৫০টি খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। এছাড়াও এতে ইউরেনিয়াম, তামা, পটাশ, সোনা এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল এনার্জি ডমিন্যান্স কাউন্সিল (এনইডিসি) -এর চেয়ারম্যান কর্তৃক ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত অন্যান্য উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তদুপরি, ইও প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র বিভাগ, কৃষি বিভাগ এবং জ্বালানি বিভাগ-সহ একাধিক বিভাগের অধীন সংস্থাকে খনিজ প্রকল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য উৎসাহিত করে, এবং একইসঙ্গে ভূমি ব্যবহার এবং মূলধন বিনিয়োগ (সরকারি ও বেসরকারি উভয়)-এর মতো সম্পর্কিত বিষয়গুলি সুবিন্যস্ত করে, এবং প্রতিটির জন্য কঠোর সময়সীমা (১০ থেকে ৪৫ দিন) নির্ধারণ করে। এটি এই বিভাগগুলিকে উক্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য উপযুক্ত কর্তৃত্ব প্রদান করে।
আদেশের পিছনে প্রেরণা
গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির জন্য মার্কিন চাপ অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়। এটি চিন থেকে প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খল বিচ্ছিন্ন করার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার একটি স্বাভাবিক পরিণতি, এবং একইসঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত সক্ষমতা হ্রাস করার পাশাপাশি নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধির কৌশলগত প্রচেষ্টার অংশ। গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলি সেমিকন্ডাক্টর, পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রযুক্তি (বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) এবং সৌর প্যানেল সহ) এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মতো প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির কাঁচামাল সরবরাহ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য চিনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, কারণ চিন শুধু (৬০ শতাংশ) উৎপাদন করে না, বরং বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহের বেশিরভাগ অংশ (৮৫ শতাংশ) প্রক্রিয়াজাত করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২০-২৩ সাল পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিন থেকে কমপক্ষে ১৯টি খনিজ পণ্য আমদানি করেছে। তবে, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির উপর আমেরিকার রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য চিনের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, কারণ চিন শুধু (৬০ শতাংশ) উৎপাদন করে না, বরং বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহের বেশিরভাগ অংশ (৮৫ শতাংশ) প্রক্রিয়াজাত করে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাইডেন প্রশাসনের চিনে সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায়, চিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনির চালান নিষিদ্ধ করে, যা সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খল এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে গ্রাফাইট রপ্তানির উপরও অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল, যা ইভি ব্যাটারি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায়, চিন টাংস্টেন, ইন্ডিয়াম, বিসমাথ, টেলুরিয়াম এবং মলিবডেনামের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা করে।
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সংগ্রহের জন্য আমেরিকার চলতি প্রচেষ্টা
চিন থেকে স্বাধীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি দ্বিদলীয় ইস্যু, যা ট্রাম্প বা রিপাবলিকান পার্টির দ্বারা প্ররোচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, অন্য অনেক উদ্যোগের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনের সময় পাস হওয়া পরিকাঠামো বিনিয়োগ ও চাকরি আইন ২০২১, মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইন (২০২২) এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইনে (২০২২) এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, এবং সেগুলি সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলতি প্রচেষ্টার প্রতিনিধিত্ব করে।
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আলোচনার মাধ্যমেও সেগুলি অর্জনের চেষ্টা করছে। ২০২৪ সালে মার্কিন-নরওয়ে ক্রিটিক্যাল মিনারেলস স্মারক স্বাক্ষরের পর, মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ এবং নরওয়েজিয়ান বাণিজ্য, শিল্প ও মৎস্য মন্ত্রক যৌথভাবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে "অ-বাজার নীতি এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ক্ষেত্রে অনুশীলন" শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তীকালে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন একটি পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল প্রতিষ্ঠার জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করে, যেখানে খনিজ সম্পদসহ সমস্ত সরকারি মালিকানাধীন প্রাকৃতিক সম্পদের ভবিষ্যতের নগদীকরণ থেকে অর্জিত সমস্ত রাজস্বের ৫০ শতাংশ ইউক্রেনকে প্রদান করা হবে।
চিন থেকে স্বাধীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি দ্বিদলীয় ইস্যু, যা ট্রাম্প বা রিপাবলিকান পার্টির দ্বারা প্ররোচিত নয়।
গ্রিনল্যান্ডের কথা বলতে গেলে, যদিও আমেরিকার গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ইচ্ছা ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়, তবুও এই যুক্তি দেওয়া যায় যে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে, কারণ দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে মূলত অ-খননকৃত খনিজ সম্পদ রয়েছে। উপরন্তু, ট্রাম্প কানাডা, এবং এমনকি রাশিয়া থেকেও, খনিজ পদার্থ অর্জনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টা হল ২০২২ সালে ঘোষিত খনিজ নিরাপত্তা অংশীদারি (এমএসপি), যা ভারত সহ ১৪টি দেশের মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব। এর লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দায়িত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে অনুঘটন করা। এর পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এমএসপি ফাইন্যান্স নেটওয়ার্ক ঘোষণা করা হয়, যা সহযোগিতা জোরদার করা এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের জন্য বৈচিত্র্যময়, নিরাপদ এবং টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং সহ-অর্থায়ন প্রসারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মার্কিন অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনীতির ভবিষ্যতের উপর প্রভাব
আধুনিক সভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলি জীবনরেখার ভূমিকা পালন করে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বর্তমান শীর্ষস্থানে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে, চিন থেকে প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খল বিচ্ছিন্ন করে এই অবস্থানে ফিরে আসা সব সময়ই একটি কঠিন কাজ ছিল। স্বাধীন প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খল স্থাপন করা যদিও নিজস্বভাবে একটি উল্লেখযোগ্য দ্বিধা তৈরি করে, তবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠা করা আরও বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে উভয় লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করা ইতিমধ্যেই ক্ষয়িষ্ণু মার্কিন অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে, অন্তত স্বল্পমেয়াদে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনা গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়ামের রপ্তানি ৯৭-১০০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে পিছনের দরজা এবং বেলজিয়াম ও জার্মানির মতো দেশগুলি থেকে পুনঃরপ্তানির মাধ্যমে উভয় খনিজ পদার্থের জন্য তার প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চিনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সম্ভবত এই পথটিকে বাধাগ্রস্ত করবে। ইউএসজিএস অনুমান করেছে যে এই ধরনের সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার ফলে গ্যালিয়ামের দাম ১৫০ শতাংশ এবং জার্মেনিয়ামের দাম ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এগুলির সরবরাহ সীমিত হতে পারে, যার ফলে মার্কিন মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পাবে। এছাড়াও, চিপস এবং বিজ্ঞান আইন এবং সম্প্রতি ঘোষিত ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্টারগেট প্রকল্পের মতো মার্কিন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের আলোকে, গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাতের ফলে সেমিকন্ডাক্টর, এআই চিপস, ইভি এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সহ প্রায় প্রতিটি প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলে এক বিশাল প্রভাব পড়বে। এটি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই নয়, তার ঘনিষ্ঠ ন্যাটো মিত্রদেরও প্রভাবিত করবে, যারা ইইউ চিপস অ্যাক্টের অনুসরণে তাদের প্রযুক্তিগত উদ্যোগগুলি তৈরি করছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সরবরাহ শৃঙ্খলের ধাক্কা প্রতিরোধ করতেও পারে, তার ইইউ মিত্রদের কী হবে? তারা কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সারিবদ্ধতা অব্যাহত রাখবে, নাকি সম্ভবত নতুন ব্যবস্থা খুঁজবে?
চিপস এবং বিজ্ঞান আইন এবং সম্প্রতি ঘোষিত ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের স্টারগেট প্রকল্পের মতো মার্কিন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের আলোকে, গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় প্রচেষ্টাই তাদের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। নতুন খনি তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময়সীমা রয়েছে, গড়ে ২৯ বছর। সাম্প্রতিক সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, দেশীয় খনির খননকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা এখনও একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টা। পরিবেশগত, সামাজিক ও শাসন (ইএসজি) মান এবং মানবাধিকার ও শ্রম আইন মেনে চলার মতো বিষয়গুলির কারণে এমএসপি-র মতো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে খনি কার্যকর করতেও সময় লাগবে।
ফলস্বরূপ, সরকারি সহায়তা এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ, গভীর সমুদ্র খনির মতো বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, বিকল্প জ্বালানি উৎস উন্নয়ন এবং এমএসপি-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মার্কিন আধিপত্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এখন ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব হল প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক সতর্কতার মধ্য দিয়ে পথ খুঁজে বার করা, এবং সেইসঙ্গে মার্কিন অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতে দেশের নেতৃত্ব বজায় রাখা।
প্রতীক ত্রিপাঠী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির জুনিয়র ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Prateek Tripathi is a Junior Fellow at the Centre for Security, Strategy and Technology. His work focuses on emerging technologies and deep tech including quantum technology ...
Read More +