-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মার্কিন সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ ইউক্রেনের অবস্থানকে দুর্বল করে দেওয়ার পাশাপাশি রাশিয়াকে সাহসী করেছে, এবং যুদ্ধ টিকিয়ে রাখার জন্য কিয়েভের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। শান্তি পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে— প্রকৃতপক্ষে, উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট হবে এমনভাবে এটি আদৌ কার্যকর করা সম্ভব কি না সেটাই প্রশ্ন। ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করে, এবং তারপর পুনর্বহাল করে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তাদের শর্তে যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দিয়েছে। ইউক্রেন এখন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন কথোপকথনের পরেও ভ্লাদিমির পুতিন এগিয়ে আসছিলেন না।
ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের উপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ কিয়েভ ও ইউরোপের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। যদিও ইউরোপীয়রা ইউক্রেনে তাদের সহায়তা অনেক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বাস্তবতা হল যে মার্কিন সিস্টেমগুলি রাশিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং হাইমার্স-নির্দেশিত মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণের পাশাপাশি রাশিয়ার উপর দূরপাল্লার হামলার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বড় প্রশ্ন হল ইউক্রেন মার্কিন সাহায্য ছাড়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে কি না—এবং যদি তাই হয়, তাহলে কতক্ষণ।
ইউক্রেন এখন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন কথোপকথনের পরেও ভ্লাদিমির পুতিন এগিয়ে আসছিলেন না।
রুশ বাহিনী বর্তমানে ইউক্রেনের ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং যদিও তাদের বেশি সংখ্যা এবং হতাহতের ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছার কারণে গত এক বছর ধরে তারা স্থিতিশীল চাপ বজায় রেখেছে, তবুও তারা খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার অনুমান করেছে যে, ২০২৪ সালে বেশ কয়েকটি আক্রমণ সত্ত্বেও রাশিয়ানরা "ইউক্রেনীয় সীমানা ভেঙে ফেলতে বা এমনকি তাদের খুব বেশি দূরে তাড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে"। ২০২৪ সালের আগস্টে, রাশিয়ানরা পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহর পোকরোভোস্ক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু ছয় মাস পরেও তারা এখনও শহরে প্রবেশ করেনি, যদিও ইউক্রেনীয়রা কমবেশি শহরটি ছেড়ে চলে গিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত বছর, ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক জেলার একটি অংশ দখল করেছিল, কিন্তু এখন তাদের বেশিরভাগ অংশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সহায়তার সাময়িক বিরতি কুরস্কে রাশিয়ার আক্রমণের সাফল্যের একটি কারণ হতে পারে।
বাস্তবতা হল রাশিয়া ইউক্রেনের একটি বড় অংশ দখল করেছে, এবং ইউক্রেনীয়দের জন্য দখল করা অঞ্চলগুলি মুক্ত করার উপায় খোলা নেই। তাদের পূর্বতন মার্কিন মিত্ররা এখন স্পষ্টভাবে তাদের বলে দিয়েছে যে তারা তাদের হারানো সমস্ত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের কথা ভুলে যেতে পারে। এদিকে, রাশিয়ার রকেট ও ড্রোনগুলি ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে বিদ্যুৎ গ্রিড, স্কুল, বাড়িঘর বা গণ-পরিকাঠামো ধ্বংস করে আতঙ্কিত করে চলেছে।
এখন পর্যন্ত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা মূলত কিয়েভের উপর চাপ প্রয়োগের উপরই কেন্দ্রীভূত। ন্যাটো সদস্যপদ বিবেচনা করা হবে না বলে ঘোষণা করা থেকে শুরু করে ইউক্রেনকে জাতীয় ভূখণ্ড হারানোর বিষয়টি যে মেনে নিতে হবে তা স্পষ্ট করে বলা পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর জন্য চুক্তিটি সুস্বাদু করে তুলেছে। সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা স্থগিত করার ফলে এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যা ইউক্রেনের অবস্থানকে দুর্বলতর করে তুলেছে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার মূল্যায়ন করেছে যে এটি রুশিদের ইউক্রেনের উপর তাদের সামরিক চাপ বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে। এখনও পর্যন্ত, রাশিয়া শান্তি আলোচনায় কোনও ছাড় দেওয়া বা কোনও প্রস্তাব গ্রহণ ও আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মার্কিন-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এবং তারপরে আলোচনার সম্ভাবনা গ্রহণের জন্য চাপ দিতে সক্ষম কিনা তা দেখার বিষয়।
রাশিয়ার রকেট ও ড্রোনগুলি ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে বিদ্যুৎ গ্রিড, স্কুল, বাড়িঘর বা গণ-পরিকাঠামো ধ্বংস করে আতঙ্কিত করে চলেছে।
তাই, আমাদের আগামী মাসগুলিতে, যদি তা বছরের পর বছর না হয়, যুদ্ধ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাও বিবেচনা করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বৃহত্তম একক সামরিক দাতা, যারা ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা এবং প্রায় একই পরিমাণ অ-সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। ইউরোপীয়রা এখন তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে, পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া ফ্রন্টে যদি পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত ঠিক না হয় তবে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্যও।
মার্কিন সহায়তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অভ্যন্তরীণভাবে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং ইউক্রেনীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। তবে, আর্টিলারি শেল, সাঁজোয়া যান, অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সহ সরবরাহগুলি ইউক্রেনীয় যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য অমূল্য। সম্মিলিতভাবে, ইউরোপীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা (৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সরবরাহ করেছে, তবে এটি বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে এবং প্রায়শই বিভিন্ন সিস্টেম নিয়ে গঠিত। মার্কিন সিস্টেমগুলি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। যেমন, প্যাট্রিয়টই একমাত্র সিস্টেম যা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করতে পারে।
লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক বাস্তিয়ান গিগেরিচ বলেছেন যে, ২০২৪ সালে কোনও পক্ষই কৌশলগত সুবিধা অর্জন করতে পারেনি এবং রুশ বাহিনী "শুধুমাত্র সামান্য লাভের জন্য উল্লেখযোগ্য হতাহত ও সরঞ্জামের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।" তাঁর মতে, রাশিয়া এখন যুদ্ধাস্ত্র ও উপকরণের জন্য উত্তর কোরিয়া ও ইরানের উপর নির্ভর করছে, এবং যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে, তবে ভবিষ্যতে যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। আইআইএসএস অনুমান করে যে, ২০২৬ সালের প্রথম দিকে আক্রমণ চালনা করার জন্য রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক থাকবে না।
ইউক্রেনও ভাল অবস্থায় নেই; কিন্তু রাশিয়ার তুলনায় এর আপেক্ষিক আকার বিবেচনা করে বলা যায় দেশটি কোনওভাবেই যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে না। ২০২৩ সাল থেকে রাশিয়ানরা তাদের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক হতাহতের সম্মুখীন হয়েছে, পরিবর্তে ইউক্রেনের ভূখণ্ড অল্প অল্প করে দখল করেছে। অনুমান করা হচ্ছে যে ১৫০,০০০ থেকে ২০০,০০০ পর্যন্ত রাশিয়ান প্রাণ হারিয়েছেন, যার অর্ধেক ২০২৪ সালে।
২০২৩ সাল থেকে রাশিয়ানরা তাদের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক হতাহতের সম্মুখীন হয়েছে, পরিবর্তে ইউক্রেনের ভূখণ্ড অল্প অল্প করে দখল করেছে।
ইউক্রেনীয় কৌশলের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল ‘দ্রুত উদ্ভাবনী চক্র’-এর উপর নির্ভরতা এবং রাশিয়াকে আক্রমণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইউএভি তৈরি করা। যদিও এটি একটি দৃঢ় প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ লড়ছে, তবুও হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারে এটি খুব কম অগ্রগতি অর্জন করেছে। মার্কিন সাহায্য কমে এলে ইউরোপ যদি তার সামরিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না করে, তবে এর পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবুও, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কম।
ইউক্রেনীয় উদ্ভাবন, বিশেষ করে ড্রোনের ক্ষেত্রে, যুদ্ধের চেহারা বদলে দিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক ও পরিখা যুদ্ধের প্রাধান্য ছিল; এখনও এগুলি সবই যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে থেকে গেলেও হত্যার সিংহভাগ এখন ড্রোন দ্বারা করা হয়। উভয় পক্ষই এগুলি অবাধে ব্যবহার করে, এবং এখানে, রাশিয়া সংখ্যার সুবিধা পেয়েছে, যখন ইউক্রেন উদ্ভাবনের উপর নির্ভর করে। ইউক্রেনীয় রোবোটিক সমুদ্র জাহাজগুলি ইউক্রেনের সমুদ্র থেকে রাশিয়ার নৌবাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়েছে, এমনকি ইউক্রেনীয় স্থল আক্রমণকারী ড্রোনগুলিও এখন তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। ডিসেম্বরে, খারকিভ ফ্রন্টে, ইউক্রেনীয়রা রাইফেল ও মেশিনগানে সজ্জিত প্রায় ৫০টি মনুষ্যবিহীন স্থলযান ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ ড্রোন আক্রমণ শুরু করে, এবং তারপর রাশিয়ার জায়গাগুলিতে এরিয়াল রিকনায়সান্স ও ড্রোন আক্রমণ শুরু করে।
তবে এটা মনে রাখা উচিত যে অন্যান্য সিস্টেম, যেমন আর্টিলারি ও ট্যাঙ্কের সঙ্গে একত্রে ব্যবহার করলে ড্রোন সবচেয়ে কার্যকর হয়।। ইউক্রেন তার স্বল্প শক্তির পদাতিক বাহিনীর ক্ষতিপূরণ দিতে কার্যকরভাবে ড্রোন ইউনিট ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেন জানিয়েছে যে তারা ২০২৪ সালে দশ লক্ষেরও বেশি এফপিভি ড্রোন তৈরি করেছে এবং এই বছর এই সংখ্যা তিনগুণ করার পরিকল্পনা করছে। ড্রোনগুলির মধ্যে রয়েছে স্বল্প-পাল্লার এফপিভি ড্রোন থেকে শুরু করে বৃহত্তর ইরানি শাহেদ ও মোহাজের ৬ বা ইউক্রেনের টিইউ-১৪১। এগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য বা গ্রেনেড, মর্টার রাউন্ড ক্লাস্টার গুলি, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে থার্মোবারিক চার্জের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইউক্রেনীয় রোবোটিক সমুদ্র জাহাজগুলি ইউক্রেনের সমুদ্র থেকে রাশিয়ার নৌবাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়েছে, এমনকি ইউক্রেনীয় স্থল আক্রমণকারী ড্রোনগুলিও এখন তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে।
ইউক্রেনীয়দের আরেকটি প্রধান উদ্ভাবন হল ডেল্টা যুদ্ধক্ষেত্র ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা। এটি বিভিন্ন স্ট্রিম — স্যাটেলাইট, ড্রোন, রাডার, গ্রাউন্ড সেন্সর, ফ্রন্টলাইন রিপোর্ট — থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে একটি একক ইন্টারফেসে একীভূত করে, এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রিয়েল-টাইম সচেতনতা প্রদান করে। প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনীয় অ্যাভেঞ্জার্স এআই প্ল্যাটফর্ম ডেল্টার সঙ্গে সংযুক্ত। সিস্টেমটির মূলে রয়েছে মার্কিন প্যালান্টির এআই কোম্পানির সফ্টওয়্যার।
যুদ্ধের আরেকটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র রয়েছে: ইলেকট্রনিক যুদ্ধ। রাশিয়ানরা এই ক্ষেত্রে শক্তিশালী এবং ইউক্রেনীয়রা তাদের মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত উদ্ভাবনের উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ ড্রোনের উড়তে ইলেকট্রনিক সংকেতের প্রয়োজন হয় এবং এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে জিপিএস সিস্টেম, সামরিক যোগাযোগ, নেভিগেশন, রাডার এবং নজরদারি ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার জন্য জ্যামিং সিস্টেমের বিস্তার ঘটেছে। জিপিএস জ্যামিংয়ের ফলে মার্কিন জিপিএস-নির্দেশিত শেলগুলি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। জিপিএস-নির্দেশিত আর্টিলারি শেলের জ্যামিং এড়াতে ইউক্রেনীয়রা রিকনায়সান্স ড্রোনে একটি লেজার ডিজাইনার সংযুক্ত করেছে। জ্যামিং কাটিয়ে উঠতে ইউক্রেনীয়রা তাদের ড্রোন ও রোবটের জন্য ‘ফ্রিকোয়েন্সি হপিং’ সিস্টেম তৈরি করেছে। এআই দ্বারা পরিচালিত নজরদারি ড্রোনগুলি এখন তৈরি করা হচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই তাদের স্বল্পপাল্লার ড্রোনের সঙ্গে সংযুক্ত ফাইবার-অপটিক কেবল ব্যবহার করছে যা উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন সাহায্যের স্থায়ী ঘাটতি রাশিয়ার ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আক্রমণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। রুশিদের প্রতি বর্তমান মার্কিন টান তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য কোনও শর্তে শান্তি স্থাপনের জন্য রুশিদের আগ্রহ বাড়ানোর পরিবর্তে বরং কমিয়ে দেবে। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ইচ্ছা মার্কিন সমর্থন থাকুক বা না-থাকুক দৃঢ় থাকবে, এবং তাদের নিজস্ব ও দ্রুত বিকশিত ড্রোন বাহিনীর পাশাপাশি বর্ধিত কামান ও মর্টার গোলাবারুদ উৎপাদন রাশিয়ার বিজয়কে অসম্ভব করে তুলবে।
মনোজ যোশী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিশিষ্ট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Manoj Joshi is a Distinguished Fellow at the ORF. He has been a journalist specialising on national and international politics and is a commentator and ...
Read More +