-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে ধ্বংস করার কাজ অব্যাহত রাখলেও তাদের পরাজিত করার জন্য এ বার অতীতের কৌশলের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।
২০২১ সালের পর প্রথম বারের মতো উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত দূত অ্যাডাম বোহলার কাবুল সফর করেছেন। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা এক মার্কিন নাগরিকের মুক্তির বিনিময়ে ওয়াশিংটন কুখ্যাত হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিরাজউদ্দিন হাক্কানি-সহ কিছু তালিবান নেতার উপর থেকে গ্রেফতারির বদলে আর্থিক পুরস্কারের বিষয়টি প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। ৯/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর আফগানিস্তানে আল-কায়েদা ও তালিবানদের মধ্যেকার যোগসাজশকে ভেঙে দেওয়ার জন্য আমেরিকা দুই দশক ধরে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে অবশ্য সেই আখ্যানের সম্পূর্ণ এক ভিন্ন পরিণতি দেখা যাচ্ছে। সেখানে আলোচনা, দর কষাকষি, আপসের পাশাপাশি কেউ কেউ এই পরিণতিকে পরাজয়ের পরোক্ষ স্বীকারোক্তিও বলতে পারেন।
আল-কায়েদা, হামাস, হিজবুল্লাহ এবং এখন হুতিদের মতো অ-রাষ্ট্রীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সামরিক পরাজয়ের ধারণাটি নতুন নয়। অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করে গতিশীল বিজয় অর্জন এবং ‘ধাক্কা ও বিস্ময়’-এর (শক অ্যান্ড অ) মতো ধারণাগুলি বুশ প্রশাসনের সময়েই জনপ্রিয় হয়েছিল। ইরাকে যখন ওয়াশিংটন দেশটির গণবিধ্বংসী অস্ত্র বা ওয়েপন অফ মাস ডেসট্রাকশন (ডব্লিউএমডি) কর্মসূচি সম্পর্কে জাল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দাম হোসেনকে অপসারণের ন্যায্যতা প্রমাণ করেছিল, তখনও এটির ব্যবহার করা হয়েছিল। জো ড্র্যান্সফিল্ড এবং কেভিন রোল্যান্ডসের মতো বিশ্লেষকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, যুদ্ধের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ধাক্কা ও বিস্ময়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় আংশিক ভাবে আমেরিকাকে আরও বিচ্ছিন্ন, এমনকি বিচ্ছিন্নতাবাদী করে তোলার উপর ভিত্তি করেই গড়া হয়েছিল এবং অন্তত বিশ্ব ব্যবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরাশক্তির ভূমিকা পালন করেছে, তার তুলনায় তো অবশ্যই।
উল্লেখযোগ্য ভাবে পশ্চিমিদের কাছে সাদ্দামের প্রস্তাব সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পরবর্তী কালে অনুকরণ করার চেষ্টার অনুরূপ ছিল। স্বৈরশাসক সাদ্দাম তাঁর রাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণ ব্যবহার করেছিলেন এবং সেই সঙ্গে এমন একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন, যেখানে তিনি নিরঙ্কুশ ক্ষমতার বিনিময়ে চরমপন্থী ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। যাই হোক, সাদ্দামের অভ্যন্তরীণ নীতিই শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, যার মধ্যে গণহত্যা, ন্যায়বিচার অস্বীকার ও নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়। অভ্যন্তরীণ বাস্তবতার মধ্যে বৈদেশিক নীতির প্রস্তাবে একটি মৌলিক ত্রুটি ছিল।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েল উভয়ই একাধিক অ-রাষ্ট্রীয় জঙ্গি গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে একই ভাবে অবমূল্যায়ন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও মঞ্চ অবশ্য ইরাক ও আফগানিস্তানের থেকে আলাদা। তবে অ-রাষ্ট্রীয় জঙ্গি হুমকি মোকাবিলার মূল নীতিগুলি ২০০০-এর দশকে নির্মিত কৌশল ও চিন্তাভাবনার মধ্যে নিহিত রয়েছে। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন জড়িত রাষ্ট্রগুলি সরাসরি ‘সামরিক শক্তি’র সাফল্যকে উচ্ছ্বসিত ভাবেই উদযাপন করত, তখন গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহর মতো বিধ্বংসী শক্তির সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রেও একই রকম দৃষ্টান্ত কার্যকর। গতিশীল কৌশলগুলি পূর্ববর্তী যুগের তুলনায় প্রায় স্থবির হলেও প্রযুক্তি বিকশিত হয়েছে এবং আরও ফলস্বরূপ হল এই যে, রাজনীতি উপলব্ধিযোগ্য ভাবেই এগিয়ে গিয়েছে এবং ‘চিরকালীন যুদ্ধের’ যুগকে খারিজ করে দিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় আংশিক ভাবে আমেরিকাকে আরও বিচ্ছিন্ন, এমনকি বিচ্ছিন্নতাবাদী করে তোলার উপর ভিত্তি করেই গড়া হয়েছিল এবং অন্তত বিশ্ব ব্যবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরাশক্তির ভূমিকা পালন করেছে, তার তুলনায় তো অবশ্যই। ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে নতুন করে বিমান হামলা শুরু হওয়ায়, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান অব্যাহত থাকায় ট্রাম্পের প্রচারণার এই অংশটি ইতিমধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অসংগঠিত ও অশ্রেণিবদ্ধ মিলিশিয়াদের জন্য নীতি কী ভাবে তৈরি করা হয়, সেই দ্বন্দ্ব অবশ্য চিরস্থায়ী।
একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে আত্মসমর্পণে ঠেলে দেওয়ার জন্য অতুলনীয় সামরিক শক্তি মোতায়েনের নেপথ্যে যে যুক্তি দেওয়া হয়, তা হল, শ্রেণিবদ্ধ অবক্ষয় পুরোপুরি ধ্বংস না করতে পারলেও, অন্ততপক্ষে কাঠামো ভেঙে ফেলার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে আদর্শগত প্রধানদের অপসারণের মাধ্যমে এই ধরনের ভাঙন আসলে ক্যাডারদের মধ্যে বিভ্রান্তির একটি অন্তর্নিহিত চাপা উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে এবং স্থানীয় প্রধান ও কম্যান্ডারদের মধ্যে ক্ষমতা ও প্রভাব বজায় রাখার জন্য এক প্রকার তাড়াহুড়োই শুরু হয়, যা নতুন প্রচার ও প্রভাবের বলয় তৈরির সুযোগ করে দেয়। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে নির্মূল করার পর আল-কায়েদার মধ্যেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। তার উত্তরসূরি আয়মান আল-জাওয়াহিরি কিন্তু বিন লাদেনের মতো গোষ্ঠীর উপর একই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেননি। আনোয়ার আল আওলাকির মতো আল-কায়েদার আর এক চমকপ্রদ নেতা – যিনি আবার আদতে মার্কিন নাগরিক ছিলেন - মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। তার পর থেকে শ্রেণিবদ্ধ অনিশ্চয়তার বাইরে বিস্তৃত কারণের দরুন আল-কায়েদা তার পূর্বের স্বভাবের একটি ছায়া মাত্র হয়ে থেকেছে। তবে গোষ্ঠীটি এখনও টিকে আছে এবং এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই যে, আবার আল-কায়েদা একত্রিত হবে না এবং কাজেকর্মে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠবে না।
আল-কায়েদার বিপরীতে আবার তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (যাকে আরবি ভাষায় আইসিস বা দায়েশও বলা হয়) অনেক কম শ্রেণিবদ্ধ ছিল। এমনকি গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা খলিফা আবু বকর আল বাগদাদির অধীনেও একবার বায়াত (আনুগত্যের অঙ্গীকার) করা হলে স্থানীয় আইসিস কম্যান্ডারদের জন্য কৌশলগত ভাবে আরও অনেক বেশি সুযোগ ছিল, যদি তারা গোষ্ঠীর বৃহত্তর আদর্শগত ও কৌশলগত লক্ষ্যের সীমানার মধ্যেই নিজেদের আটকে রাখে। আইসিসের তুলনায়, আল-কায়েদা আরও কঠোর ছিল এবং এর গঠনমূলক মানসিকতাও ছিল ব্যাপক রকমের প্রাচীনপন্থী, যাকে ‘ওল্ড স্কুল’ বলা যেতে পারে। আইসিস ডু-ইট-ইয়োরসেল্ফ (ডিআইওয়াই) পদ্ধতির উপর নির্ভর করেছিল, যাকে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৫ সালের জাতীয় হুমকি মূল্যায়নে (ন্যাশনাল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট) ‘উদ্যোক্তামূলক’ বা ‘অঁত্রপ্রেনরিয়াল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ হল এটি স্থানীয় স্তরে দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত আদর্শগত ইসলামপন্থী গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি উভয়কেই একটি ব্র্যান্ড বা মোড়ক প্রদান করেছিল। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অসংগঠিত ও অশ্রেণিবদ্ধ মিলিশিয়াদের জন্য নীতি কী ভাবে তৈরি করা হয়, সেই দ্বন্দ্ব অবশ্য চিরস্থায়ী।
তবে হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয়ই আল-কায়েদা ও আইসিসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। হামাস ও হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক লক্ষ্য দৃঢ়। উভয়েই নির্বাচনেও লড়েছে, যা স্বভাবতই আল-কায়েদা ও আইসিসের মতাদর্শের বিরুদ্ধে। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য প্রায়শই আদর্শগত ও ধর্মতাত্ত্বিক লক্ষ্যগুলিকে ছাড়িয়ে যায়। বাস্তববাদের প্রতি এই রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গেই আফগানিস্তানের তালিবানদের সম্মুখীন হওয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জও আসে, যারা এক দিকে কাবুলে বসে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাস্তবসম্মত সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে, অন্য দিকে আর এক দল কান্দাহারে বিদ্যমান এবং আদর্শগত অতি-রক্ষণশীলতার মূলের প্রতি অটল থাকার বিষয়ে অনমনীয়। সন্ত্রাসবাদ দমনে রাষ্ট্রগুলি যদি নীতিগত সঙ্কটের সম্মুখীন হয়, তবে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির প্রায়শই নিজস্ব নীতিগত সঙ্কট থাকে। এটি তখনই ঘটে, যখন তারা কৌশলগত বিজয় অর্জন করে এবং একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতে বাধ্য হয়। শাসন থেকে শুরু করে ন্যায্য ন্যায়বিচারের ধারণা পর্যন্ত এই জটিলতাগুলি মোকাবিলায় তালিবানের দ্বিতীয় দলটি অর্থাৎ কান্দাহারের দলটি কাবুলে শাসনকারী দলটির মতো অত সুগঠিত নয়।
ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই হামাস ও হুতিদের বিরুদ্ধে মূলত বিমানবাহিনী ব্যবহার করে অভিযান চালানোর নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইয়েমেনে গত কয়েক মাস ধরে পরিচালিত বিমান অভিযানের ফলে কী লক্ষ্য অর্জন করা হয়েছে এবং হুতিদের কতটা ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে ফলাফল স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা হুতিদের সম্পর্কে স্পষ্টতই তেমন ভাবে উত্তর না দেওয়ায় বিষয়টি আরও ধোঁয়াশাময়। বিমানবাহিনীই এ ক্ষেত্রে একমাত্র কার্যকর বিকল্প। কারণ স্থল অভিযান - এমনকি গোপন অভিযানও - ব্যাপক ঝুঁকি বহন করে। তারা দূরবর্তী সংঘাতে মার্কিন সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারণারও বিরোধিতা করে। তালিবান এবং এখন সিরিয়ায় আহমেদ আল শারা (নিজে একজন প্রাক্তন আল-কায়েদা এবং আইসিস সদস্যও বটে) তাদের শাসনকে শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গেই উভয়ই অবশেষে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাবে। অন্যান্য অনুরূপ সাধনীর মধ্যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
মার্কিন সক্ষমতা আরও হ্রাস পেলে - যা সম্ভবত ওয়াশিংটন নিজেই করতে পারে - দীর্ঘমেয়াদে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আপস না করেও কী ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা এই মুহূর্তে মেলেনি।
হামাস ও হিজবুল্লাহ উভয়ই যে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমতা ও নেতৃত্বের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। গত বছর হিজবুল্লাহর সংযোগের পরিসরের উপর ইজরায়েলি বিস্ফোরণমূলক অভিযান ঘটিয়ে এই গোষ্ঠীগুলিকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা যে সমান, তা প্রমাণিত হয়েছে। তবুও সন্দেহের অবকাশ রয়েই যায়। ২০০০-এর দশক থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষিতটি অনেক কিছুই শেখায়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ও ইরাক উভয় ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসবাদ দমন থেকে রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে, ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, হাজার হাজার সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে, কাবুলে ফের তালিবান ক্ষমতা কায়েম করেছে এবং আজও বাগদাদে কিছু পরিমাণে হলেও প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
ভূ-রাজনীতি ও আধুনিক সংঘাত অজানা পর্যায়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি রাজনৈতিক ও আদর্শগত ভাবে উভয়ের সঙ্গে মিলে কাজ করার জন্য আরও অনেক বড় পরিসর খুঁজে পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাস-বিরোধী শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করলেও দৃশ্যমান পরিধির মধ্যে অন্য কোনও শক্তির এই ভূমিকা গ্রহণ করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা সামরিক ক্ষমতা কার্যত নেই। মার্কিন সক্ষমতা আরও হ্রাস পেলে - যা সম্ভবত ওয়াশিংটন নিজেই করতে পারে - দীর্ঘমেয়াদে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আপস না করেও কী ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা এই মুহূর্তে মেলেনি।
কবীর তানেজা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Kabir Taneja is a Deputy Director and Fellow, Middle East, with the Strategic Studies programme. His research focuses on India’s relations with the Middle East ...
Read More +