Published on Feb 03, 2025 Updated 0 Hours ago

বাংলাদেশের নতুন সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলায় একটি নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিক পদ্ধতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট: বাংলাদেশের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও তার মানবিক প্রভাব

Image Source: Getty

বাংলাদেশে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী সম্পর্কিত রোহিঙ্গা সঙ্কট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মানবিক চ্যালেঞ্জ। ২০১৭ সালে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নৃশংস দমন-পীড়ন চালানোর পর এই সঙ্কট আরও তীব্র হয়, যা শেষমেশ এক দীর্ঘায়িত শরণার্থী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার পাশাপাশি এই দুর্বল মানুষজনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক চাপের সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধি, ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন মায়ানমারের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে এই সঙ্কট এখন এক জটিল সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে।

অতীতের রাজনৈতিক মনোভাব

রোহিঙ্গাদের ভাগ্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভূখণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যেখানে জাতীয় স্বার্থ মানবিক বাধ্যবাধকতা প্রায়শই পরস্পরবিরোধী থেকেছেপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর প্রশাসনের অধীনে রাখাইন স্টেটে মায়ানমারের সহিংস সামরিক অভিযানের পর এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে তাঁর সরকার উল্লেখযোগ্য সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শরণার্থীদের খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বা যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা চালু করে।

বাংলাদেশে এখন উদ্বাস্তুদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে এবং এর পাশাপাশি উগ্রপন্থীকরণ চরমপন্থী গোষ্ঠীর দ্বারা উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য নিয়োগের আশঙ্কাও নেহাত অমূলক নয়

প্রাথমিক ভাবে, এই মানবিক সিদ্ধান্তগুলি জনসমর্থন অর্জন করেছিল। যাই হোক, উদ্বাস্তু সঙ্কট বৃদ্ধি পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে মনোভাব পরিবর্তিত হতে থাকে। বাংলাদেশে এখন উদ্বাস্তুদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে এবং এর পাশাপাশি উগ্রপন্থীকরণ চরমপন্থী গোষ্ঠী দ্বারা উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য নিয়োগের আশঙ্কাও নেহাত অমূলক নয়। এই ক্রমবর্ধমান  উদ্বেগ, সম্পদ সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ক্রমবর্ধমান স্থানীয় চাপানউতোর এক অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতির ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও জটিল করে তুলেছিল। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানিয়েছিল এবং এমনকি তাঁদের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে ২০১৮ সালে মায়ানমারের সঙ্গে একটি সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করেছিল। তবে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমারের অনীহার দরুন তেমন কোনও অগ্রগতিই হয়নি।

হাসিনা এ প্রসঙ্গে বিশেষ করে চিন ও ভারতের কাছ থেকে আঞ্চলিক সমর্থনও চেয়েছিলেনতবে উভয় দেশই এই অঞ্চলে তাদের কৌশলগত স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গকে সরাসরি মোকাবিলা করতে দ্বিধান্বিত ছিল। উদাহরণস্বরূপ, চিন বাংলাদেশকে সহায়তা দিলেও মায়ানমারের রোষ এড়াতে তাঁদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে উল্লেখ করার পরিবর্তে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিল। একই ভাবে, ভারত তার সীমান্তে শরণার্থীদের পৌঁছনোর বিষয়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মায়ানমার সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়তে থাকায় হাসিনার সরকার ক্রমশ নিরীক্ষণের আওতায় পড়তে থাকে। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা বিরোধী মনোভাব স্থানীয় সম্প্রদায় উদ্বাস্তুদের মধ্যে উত্তেজনাকে উস্কে দিয়েছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কর্তৃত্ববাদ শাসন সংক্রান্ত সমস্যার অভিযোগ এনে ছাত্র বিক্ষোভের দরুন হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। এই আকস্মিক রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভবিষ্য ও তাঁদের শিবিরের ব্যবস্থাপনা তীব্র অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হয়।

নতুন সরকার: রোহিঙ্গাদের জন্য আশা?

একটি বিপর্যস্ত দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে দায়িত্বে আসেন নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূস এবং তাঁর নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দীর্ঘকাল ধরে দুর্বল জনসংখ্যার পক্ষে তাঁর সমর্থনের জন্য পরিচিত ইউনূস এখন বাংলাদেশের জটিল রাজনৈতিক পরিসরের মাঝে এই মানবিক সঙ্কট মোকাবিলা করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। ইউনূস নানাবিধ জটিল সমীকরণের মাঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা বিরোধী মনোভাব এবং শরণার্থী শিবিরে ও তার আশপাশে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধির দরুন স্থানীয় সম্প্রদায়ের তরফে উঠে আসা চাপের সম্মুখীন হয়েছেন। এই শিবিরগুলি প্রতিষ্ঠায় হাসিনা সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিবিরগুলিকে হাসিনার প্রশাসনের প্রতীক হিসাবে মনে করা হয়হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে শিবিরগুলির উপর স্থানীয়দের সন্দেহ বাড়তে থাকে, যা আখেরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আরও বৈরিতা বৃদ্ধি করেছিল

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হাজার হাজার শরণার্থী এ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে২০ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ উত্তরের উপকূলে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে, যা এমনকি দূরবর্তী দেশগুলিতেও এই অস্থিরতার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকেই দর্শায়।

অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ ছাড়াও বাংলাদেশের সীমান্তে পশ্চিম মায়ানমারে ক্রমাগত সংঘাতের কারণে এ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়ছে। জঙ্গিগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ২০২৩ সালের শেষের দিকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল-কে (এসএসি) পরাজিত করার পর থেকে রাখাইনের অনেকটা অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছে এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের শহরগুলি দখল করে নিয়েছেমায়ানমারে এই দখলের পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শরণার্থীরা নিরাপত্তার জন্য বঙ্গোপসাগরের অপর প্রান্তে বিপজ্জনক যাত্রার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থেকে হাজার হাজার শরণার্থী এ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে ২০ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ উত্তরের উপকূলে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০২ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে, যা এমনকি দূরবর্তী দেশগুলিতেও এই অস্থিরতার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকেই দর্শায়। এই ঘটনাপ্রবাহ মায়ানমারের সঙ্গে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি ভিন্ন পন্থা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেকারণ ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সুদূরপ্রসারী আঞ্চলিক প্রভাব ফেলবে

এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় নতুন বাংলাদেশি সরকার মায়ানমারের সঙ্গে তার কৌশলের একটি মূল উপাদান হিসাবে কূটনৈতিক আলোচনার উপর জোর দিয়ে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিক পদ্ধতি সংক্রান্ত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে ইউনূস মায়ানমারে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার পাশাপাশি ইউনূস দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও জোর দেন। এটি বাংলাদেশের পূর্ববর্তী প্রশাসনের শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক চুক্তির উপর মনোনিবেশ করা থেকে সরে আসাকে দর্শায় এবং ইউনূস মায়ানমারের সঙ্গে বৃহত্তর কূটনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করার উপর বৃহত্তর মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেন।

বাংলাদেশ যেহেতু কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই জটিলতাগুলি মোকাবিল রার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই এটি ক্রমবর্ধমান ভাবে সাহায্যের জন্য পশ্চিমমুখী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্যের প্রত্যাশী হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সঙ্কটে সবচেয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অন্যতম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়কে প্রায় ১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। যাই হোক, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসা এ হেন সঙ্কটে মার্কিন সম্পৃক্ততার সমীকরণকেও বদলে দিতে পারে। ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মেয়াদে অভিবাসন শরণার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গৃহীত হয়েছিল, যার মধ্যে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যায় হ্রাস এবং আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগে সম্পৃক্ততার হ্রাস ঘটানো হয়েছিল। ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট পদ্ধতির পরিপ্রেক্ষিতে - যেটিতে আন্তর্জাতিক মানবিক দায়বদ্ধতার চেয়ে অভ্যন্তরীণ উদ্বেগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে - দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশে শরণার্থী ত্রাণ এবং কূটনৈতিক সহায়তার জন্য মার্কিন তহবিল হ্রাস করেছে। এটি সঙ্কট পরিচালনার জন্য নতুন সরকারের বহুপাক্ষিক পদ্ধতিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষার জন্য আরও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মায়ানমারের উপর বৃহত্তর দায়বদ্ধতার জন্য চাপ দেওয়ার মধ্যে ইউনূসের তরফে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাকে দর্শায়।

বাংলাদেশ যেহেতু কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই জটিলতাগুলি মোকাবিলা রার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই এটি ক্রমবর্ধমান ভাবে সাহায্যের জন্য পশ্চিমমুখী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্যের প্রত্যাশী হয়ে পড়েছে।

ভবিষ্যতে সঙ্কটের মধ্য দিয়ে পথ খুঁজে নেওয়া

এই পরিবর্তনশীল সমীকরণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিযোগী স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ঢাকা প্রশাসনের সক্ষমতা রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্য নীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হবে। বাংলাদেশ তার উন্মুক্ত-দ্বার নীতি পুনর্বিবেচনার জন্য ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখে পড়েছে এবং এক মিলিয়নের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার চাপ একটি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। বহুপাক্ষিক পদ্ধতির জন্য পক্ষাবলম্বনকারী ইউনূস সরকার অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির জন্য একটি কাঠামো প্রদান করতে পারেন, যা নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি করতে সহায়তা করবে এবং এ কথা সুনিশ্চিত করে যে, প্রত্যাবর্তনকারী শরণার্থীরা আরও নিপীড়নের শিকার না হ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মায়ানমারকে চাপ দিতে এবং সশস্ত্র সামরিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উস্কানি রোধে সহায়তা করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংস্থা আঞ্চলিক কূটনীতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক স্রোতের দরুন এগুলি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ। যেহেতু বিশ্বব্যাপী মনোযোগ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা সঙ্কটের মতো সংঘাতের উপরেই নিবদ্ধ, তাই রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট উপেক্ষিতই থাকছে। কিন্তু এটি মন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা অবশ্যই জরুরি সমাধানের দাবি রাখে

 


মালাইকা থাপার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।

আদিত্য গৌদারা শিবমূর্তি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.