Author : Amoha Basrur

Published on Oct 22, 2025 Updated 0 Hours ago

কোয়াড সদস্যদের মধ্যে খনিজ সম্পদের উপর ক্রমবর্ধমান সারিবদ্ধতা থাকলেও কেবল বিশ্বাসযোগ্য বাস্তবায়নই এটিকে বিদ্যমান প্রচেষ্টা থেকে আলাদা করতে পারবে

কোয়াড-এর ক্রিটিক্যাল মিনারেল সংক্রান্ত উদ্যোগ

১ জুলাই কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে কোয়াড ক্রিটিক্যাল মিনারেলস ইনিশিয়েটিভ-এর কথা ঘোষণা করেন, যা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুরক্ষিত ও বৈচিত্র্যময় করার জন্য সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সম্মিলিত স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করতে অংশীদারিত্বের একটি উচ্চাভিলাষী সম্প্রসারণ। চিনের নাম না করে বিবৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলের আকস্মিক সঙ্কোচন এবং ভবিষ্যতের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, পণ্য এবং খনিজ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির জন্য অ-বাজার নীতি অনুশীলনের ব্যবহারের বিষয়টিও উত্থাপন করে। কোনও একটি দেশের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা শিল্পগুলিকে অর্থনৈতিক জবরদস্তি, দামের হেরফের এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করার সুযোগ করে দেয়

কোয়াড দেশগুলির প্রায় ৩০টি থেকে ৪০টি সংস্থা বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিলিত হয়েছিল, যার মধ্যে পরিকল্পিত উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কোয়াড ক্রিটিক্যাল মিনারেলস ইনিশিয়েটিভ নির্ভরযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষিত ও বৈচিত্র্যময়করণ এবং ইলেকট্রনিক বর্জ্য, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পুনরুদ্ধার পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মতো অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলিতে সহযোগিতা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে। কোয়াড দেশগুলির প্রায় ৩০টি থেকে ৪০টি সংস্থা বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিলিত হয়েছিল, যার মধ্যে পরিকল্পিত উদ্যোগও অন্তর্ভুক্ত ছিল। জাতীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিকে স্পষ্ট ভাবে কাঠামোগত করার এই পদক্ষেপটি আলাদা হলেও, এটি চিন থেকে দূরে সরবরাহ শৃঙ্খলকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য ক্রমবর্ধমান সমান্তরাল প্রচেষ্টার অন্যতম

চিনের উদ্বেগ

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে চিনের একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী অবস্থান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য অভ্যন্তরীণ মজু থাকার পাশাপাশি এটি আফ্রিকা দক্ষিণ আমেরিকার খনিতে একটি প্রধান বিনিয়োগকারী এবং খনিজ প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে তাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আনুমানিক ৬০ শতাংশ লিথিয়াম, ৯০ শতাংশ রেয়ার আর্থের উপাদান এবং ৬২ শতাংশ কোবাল্ট পরিশোধন উপকরণ।

২০১০ সালে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বিরোধের সময় চিন প্রথম তার আধিপত্য বিস্তার করে। জাপান তখন থেকে তার কিছু খনিজ প্রক্রিয়াকরণ শিল্প পুনরায় চালু করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ চিন সাগরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপান গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির উৎসগুলিকে আরও বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতার কারণে অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয় এবং আমেরিকান শিল্পগুলির সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু চিনকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেগুলি এতটাই অনুন্নত যে পরবর্তী কালে এটিকে তার সুবিধার জন্য ব্যবহার করেছে। ২০২৪ সালে অর্ধপরিবাহী প্রযুক্তিতে চিনের প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য মার্কিন নীতিমালার একটি ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিন সম্ভাব্য দ্বৈত-ব্যবহারের প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, অ্যান্টিমনি গ্রাফাইট রফতানি নিষিদ্ধ করে। ২০২৫ সালে মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধের অংশ হিসেবে চিন সাতটি ভারী রেয়ার আর্থ ধাতুর রফতানি স্থগিত করে, যার মধ্যে রয়েছে সামারিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, লুটেটিয়াম, স্ক্যান্ডিয়াম,
ইট্রিয়াম এবং রেয়ার আর্থ চুম্বক।

প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতার কারণে অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয় এবং আমেরিকান শিল্পগুলির সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু চিনকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেগুলি এতটাই অনুন্নত যে পরবর্তী কালে এটিকে তার সুবিধার জন্য  ব্যবহার করেছে।

সরবরাহ শৃঙ্খলকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টা

বিশেষ করে ২০২০ সালের অতিমারির পর থেকে সরবরাহ শৃঙ্খল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চারটি কোয়াড দেশই গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিকে নীতিগত অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির জাতীয় তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকাগুলিতে উল্লেখযোগ্য অভিন্ন সাধারণ উপকরণ রয়েছে, যা এগুলিকে সহযোগিতার জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে।

চিত্র ১: কোয়াড সদস্যদের মধ্যে সাধারণ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ

The Quad Critical Minerals Initiative

সূত্র: ওআরএফ

অনশোর ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টার পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে এই দেশগুলির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলকে সুরক্ষিত এবং বৈচিত্র্যময় করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততাও গভীর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি তৈরি করা, দীর্ঘমেয়াদি অফটেক চুক্তি নিশ্চিত করা, সম্পদ সমৃদ্ধ তৃতীয় দেশগুলিতে বিনিয়োগ করা এবং বহুপাক্ষিক মঞ্চে অংশগ্রহণ করা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং বহুপাক্ষিক কাঠামোর সমন্বয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের কৌশলের একটি প্রধান স্তম্ভ হল খনিজ নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব (এমএসপি), যা ২০২২ সালের জুন মাসে চালু হয়েছিল। এই গোষ্ঠীতে এখন চারটি কোয়াড সদস্য এবং আরও ১০টি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল জনসাধারণের অর্থায়ন সমন্বিত করা এবং দায়িত্বশীল উৎসের সমন্বয় করা। খনিজ সম্পদের উপর অন্যান্য বহুপাক্ষিক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সাস্টেনেবল ক্রিটিক্যাল মিনারেলস অ্যালায়েন্স (অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান সদস্য) এবং এনার্জি রিসোর্স গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভ (অস্ট্রেলিয়া সদস্য)। জি৭ সদস্যরা (যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান অন্তর্ভুক্ত) ২০২৫ সালে একটি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস অ্যাকশন প্ল্যানে সম্মত হয়েছিল, যা ভারতও অনুমোদন করেছিল।

খনিজ সম্পদের লব্ধতা ক্রমবর্ধমান ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশলের একটি মূল সাধনী হয়ে উঠছে, যা তার সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপগুলিকে আকার দেয়। ২০২৫ সালে আমেরিকা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং কৌশলগত খনিজ পদার্থের লব্ধতা বৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো রুয়ান্ডার মধ্যে একটি শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় খনিজ পদার্থকে সাধনী হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে।

খনিজ সম্পদের লব্ধতা ক্রমবর্ধমান ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশলের একটি মূল সাধনী হয়ে উঠছে, যা তার সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপগুলিকে আকার দেয়।

ভূতাত্ত্বিক সম্পদের কারণে অস্ট্রেলিয়া মিত্র অংশীদারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জলবায়ু, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ এবং দূষণহীন শক্তি রূপান্তর চুক্তির অধীনে মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা তীব্রতর হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে অস্ট্রেলিয়া জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ অংশীদারিত্ব স্বাক্ষর করেছে। ২০২২ সালে এটি অস্ট্রেলিয়া-ভারত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ বিনিয়োগ অংশীদারিত্বকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।

দীর্ঘকাল ধরে খনিজ আমদানির উপর নির্ভরশীল ভারত তার খনিজ অধিগ্রহণকে বৈচিত্র্যময় করার জন্য সিদ্ধান্তমূলক ভাবে এগিয়েছে। ২০১৯ সালে খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া (কাবিল) তৈরি করা হয়েছিল, যাতে বিদেশে খনিজের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়। ২০২৪ সালে কাবিল আর্জেন্টিনার সঙ্গে একটি লিথিয়াম চুক্তি সম্পাদন করে, যা লাতিন আমেরিকা, মধ্য এশিয়া আফ্রিকা জুড়ে এই জাতীয় বেশ কয়েকটি চুক্তির মধ্যে একটি। ভারতও ২০২৩ সালে এমএসপি-তে যোগ দেয় এবং জোটের প্রথম উন্নয়নশীল দেশ হয়ে ওঠে। ২০২১ সালে চালু হওয়া সাপ্লাই চেন রেজিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভ-এর (এসসিআরআই) অধীনে জাপান অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ত্রিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা চিন নিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলার উপর নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়ভারত-মার্কিন ট্রাস্ট (স্ট্র্যাটেজিক টেকনোলজি ব্যবহার করে সম্পর্ক পরিবর্তন) কৌশলগত খনিজ প্রক্রিয়াকরণ পুনরুদ্ধারের উপরও জোর দেয়।

জাপান প্রক্রিয়াকরণে এক সময়ে শীর্ষস্থানীয় ছিল এবং ২০১০ সাল থেকে তার অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে আসছে। যেহেতু এটি সম্পদের সীমাবদ্ধতায় ভুগছে, তাই এটি বহুপাক্ষিক সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থিতিশীল সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য ধারাবাহিক ভাবে সমর্থনকারী। জাপান এমএসিপি এবং এসসিআরআই-এর একটি সক্রিয় সদস্য এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন রাইজ-এর (স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্ত সরবরাহ-শৃঙ্খল বৃদ্ধি) জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের মধ্য-প্রবাহ এবং নিম্ন প্রবাহের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

কোয়াডের প্রচেষ্টা কেন আলাদা?

কোয়াড ক্রিটিক্যাল মিনারেলস ইনিশিয়েটিভ হল ব্যর্থতার একক বিন্দুর উপর নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার একটি সম্প্রসারণ। আজ চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যে কৌশলগত খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে তার আধিপত্যের উপর বিশ্বব্যাপী নির্ভরতা হ্রাস করা অন্তর্ভুক্ত। এটি কোয়াডকে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ ভাবে উপযুক্ত মঞ্চ করে তোলে। কোয়াডের অধীনে সহযোগিতায় নিরাপত্তার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। এই কাঠামো বাণিজ্যিক বিবেচনার চেয়ে ঝুঁকিমুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে পারে এবং কৌশলগত হিসাবে এই সম্পদের ধারণাকে শক্তিশালী করতে পারে।

মার্কিন শুল্ক তিনটি অংশীদারের সঙ্গে তার বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে, ভারত জাপানের সঙ্গে ১৩ বছরের পুরনো রেয়ার আর্থ ফতানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক নীতি পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসাবে অউকাস-কে পর্যালোচনার অধীনে রেখেছে।

তবে অন্য কোনও প্রতীকী বা দুর্বল ফলাফল প্রদানকারী বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টার পরিবর্তে এই উদ্যোগ যাতে সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য হাতিয়ারে পরিণত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এখনও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়ে গিয়েছে। মার্কিন শুল্ক তিনটি অংশীদারের সঙ্গে তার বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে, ভারত জাপানের সঙ্গে ১৩ বছরের পুরনো রেয়ার আর্থ ফতানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক নীতি পুনর্নির্ধারণের অংশ হিসাবে অউকাস-কে পর্যালোচনার অধীনে রেখেছে। দীর্ঘ সময়, অংশীদারদের মধ্যে উত্তেজনা এবং অমীমাংসিত বাণিজ্য সমস্যা উদ্যোগের গতি কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।

উপসংহার

কোয়াড ক্রিটিক্যাল মিনারেলস ইনিশিয়েটিভ এমন এক মুহূর্তে হয়েছে, যখন কৌশলগত অভিসারণ বাস্তব, কিন্তু বিশ্বাস সমন্বয় অসম। পূর্ববর্তী প্রচেষ্টা থেকে এই উদ্যোগকে আলাদা করার জন্য একটি সাধারণ দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গির জন্য প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় অগ্রাধিকারগুলির সমন্বয় সাধন করতে হবে। চার সদস্যকেই বিনিয়োগ সময়সীমার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে, যা তাদের অভিন্ন সাধারণ হুমকির ধারণাকে প্রতিফলিত করে এবং তাদের কৌশলগত অভিসারণকে ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য বাস্তব সুবিধায় রূপান্তরিত করে।

 


আমোহা বাসরুর অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেন্টার ফর সিকিউরিটি, স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড টেকনোলজির জুনিয়র ফেলো।


নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.