-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
উচ্চ মানের স্বচ্ছ অবকাঠামো কৌশল কোয়াডকে বিশ্বাসযোগ্য ইন্দো-প্যাসিফিকের উন্নয়ন অংশীদার এবং বিআরআই-এর একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে পারে।
১ জুলাই কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ (কোয়াড) দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা - ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০১৭ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দশম বারের মতো বৈঠক করেছেন। তাঁদের যৌথ বিবৃতিতে মন্ত্রীরা দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের যুদ্ধবাজ মনোভাব, পহেলগামে পাকিস্তানের রাষ্ট্র-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করেছেন এবং উন্নত উৎপাদন ও গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা খনিজ সরবরাহ শৃঙ্খলে বেজিংয়ের অস্ত্রায়ণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিটি বর্তমান হোয়াইট হাউস প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির অবস্থানের সঙ্গেও অনুরণিত, যা চিনকে কৌশলগত প্রতিযোগী হিসেবে চিত্রিত করে, অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার অবিভাজ্যতার উপর জোর দেয় এবং একটি উন্মুক্ত, নিয়ম-ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, সংযোগ, শক্তি ও যৌথ ভাবে বাণিজ্য-সক্ষম অবকাঠামো বিকাশের উল্লেখ যৌথ বিবৃতিতে অনুপস্থিত ছিল, যা বর্তমান প্রশাসনের অধীনে মার্কিন অগ্রাধিকারগুলিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তবুও এই ধরনের উদ্যোগগুলি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বৃহৎ-শক্তি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ২০১৫-৩০ সালের মধ্যে ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের উন্নয়ন অর্থ ঘাটতির সম্মুখীন। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) মাধ্যমে বেজিং শিল্পের অতিরিক্ত ক্ষমতা রফতানি করে এবং বাণিজ্য নির্ভরতা বৃদ্ধি করে ইন্দো-প্যাসিফিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং উন্নয়ন সহায়তার দৃষ্টান্তগুলিতে তার প্রভাব আরও গভীর করেছে, যার ফলে অর্থনৈতিক লাভ ও কৌশলগত সুবিধা… উভয়ই সুরক্ষিত হয়েছে।
বহুপাক্ষিক দেশগুলির একটি গোষ্ঠী হিসেবে - যারা প্রত্যেকেই চিনকে কৌশলগত প্রতিযোগী হিসেবে দেখে এবং বেজিংয়ের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় - বিআরআই-এর ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবকে উপেক্ষা করা কৌশলগত ভাবে অদূরদর্শী কাজই হবে। কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক এই ক্ষেত্রে হৃত সুযোগ হতে পারে এবং আসন্ন ২০২৫ সালের কোয়াড নেতাদের নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনকে সেগুলি মোকাবিলা করার জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। এই প্রতিবেদনটিতে ইন্দো-প্যাসিফিকে কোয়াডের সংযোগ সহযোগিতা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের বাধা ও সুযোগগুলির বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এটিতে এই ক্ষেত্রগুলিতে কোয়াডের সীমিত সহযোগিতার সমালোচনামূলক মূল্যায়নও করা হয়েছে।
বাধা এবং সুযোগ
যোগাযোগ, সহযোগিতা ও অবকাঠামো উন্নয়ন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বেজিংয়ের বিআরআই দেখিয়েছে যে, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব অর্জনে বহুমাত্রিক সংযোগ সহযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কোয়াড দেশ তাদের সংযোগ বিকল্পের ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে, যদিও তা ঘটেছে শুধু মাত্র প্রতিবেশী দেশগুলির ক্ষেত্রেই। এখনও পর্যন্ত কোয়াডের যৌথ পদক্ষেপ সীমিতই থেকেছে। এর মধ্যে রয়েছে পালাউতে একটি সাব-সি কেবল এবং ১০টিরও কম ছোট ছোট, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবুজ শক্তি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যার মোট পরিমাণ প্রায় ০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর বিপরীতে বিআরআই দ্রুত তার পরিধি প্রসারিত করেছে। ২০২৩ সাল নাগাদ বেজিং তার নীতিনির্ধারণী রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ২০,০০০ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, যা চিনা রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং যার ফলে কার্যত তারা ভূ-অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, শ্রীলঙ্কার ঋণ খেলাপির ফলে হাম্বানটোটা বন্দর একটি চিনা রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর গোয়াদর গভীর সমুদ্র বন্দরে তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে চিন নির্মিত পরিবহণ, জ্বালানি এবং ডিজিটাল অবকাঠামো স্থানীয় অর্থনীতিকে বেজিংয়ের সঙ্গেই সম্পৃক্ত করে। এই প্রতিশ্রুতির বিশালতা প্রায়শই পশ্চিমি বিকল্পগুলির প্রতিযোগিতার নিরিখে অনেক দেরিতে হয়েছে।
তবুও এই চিন-কোয়াড প্রতিযোগিতা কোয়াডের জন্য একটি সুযোগও তৈরি করে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ বিআরআই-এর ঋণের বোঝা এবং অস্বচ্ছ শর্তাবলি সম্পর্কে সতর্ক হয়ে উঠেছে। গ্লোবাল সাউথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্বচ্ছ, স্থিতিশীল চুক্তির মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের উপর নির্ভর করে। কোয়াডের উচিত একটি বিকল্প উন্নয়ন মডেল প্রস্তাব করে এই চাহিদাকে পুঁজি করা: এমন একটি মডেল যা তাদের বৈদেশিক নীতির লক্ষ্যগুলিকে তাদের বিদেশি উন্নয়ন সহায়তার সঙ্গে মিশ্রিত করে (যা মূলত ওডিএ আর্থিক প্রবাহের উপর ভিত্তি করে)। নতুন চালু হওয়া আমেরিকা ফার্স্ট ফরেন অ্যাসিস্ট্যান্স - যা আসলে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউএসএআইডি সংস্থার একটি পুনর্গঠন - এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এই নতুন সংস্থাটি ‘আমাদের অংশীদার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে এমন কৌশলগত বিনিয়োগ’ করার উপরেই মনোযোগ দেয়। আসন্ন নয়াদিল্লি নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন কোয়াডের জন্য সাধারণ অগ্রাধিকার অঞ্চলে কৌশলগত বিদেশি সহযোগিতা আরও গভীর করার একটি সুযোগ। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং উপসাগরীয় অঞ্চল চারটি সদস্যের জন্য অগ্রাধিকারের অঞ্চল। সর্বোপরি, কোয়াড ডিএফসিগুলি ব্লু ডট নেটওয়ার্ক, কোয়াড পোর্টস অফ দ্য ফিউচার (কিউএফপিএফ) অংশীদারিত্ব এবং ক্রিটিক্যাল মিনারেলস জোটের মতো উপাদানগুলিতে সহযোগিতা করতে পারে। যদি কোয়াড এই অংশগুলিকে একটি বৃহত্তর, বহুমুখী সংযোগ প্রকল্প হিসেবে একীভূত করতে পারে, তা হলে এটি একটি বিশ্বাসযোগ্য প্যাকেজ প্রদান করতে পারে। গ্লোবাল সাউথের বেশ কয়েকটি সরকার উচ্চ মানের, স্বচ্ছ প্রকল্পে আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, যা এই বিকল্পের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য দর্শককেই ইঙ্গিত দেয়।
কোয়াডের ভবিষ্যতের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আস্থাও অপরিহার্য। এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে শক্তিশালী করার জন্য এটিকে স্বচ্ছ, মাইলফলক-ভিত্তিক অবকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রদান করতে হবে।
সম্মিলিত ভাবে চারটি দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন মূলধনের অধিকারী। ২০১৭-২০২৪ সালের মধ্যে এই দেশগুলি অনুদান, ছাড়কৃত ঋণ, ঋণ লাইন এবং অর্থনৈতিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে আঞ্চলিক অবকাঠামোতে ৩৪১.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(১) বিনিয়োগ করেছে। কোয়াড দেশগুলির ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশনগুলির (ডিএফসি) মধ্যে গভীর সহযোগিতা তাদের বৈদেশিক সহায়তার প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি ঝুঁকি ছড়িয়ে দিতে পারে, খরচ কমাতে পারে, বৃহত্তর প্রকল্পগুলি মোকাবিলা করতে পারে এবং আরও অনুকূল ঋণের শর্তাবলি প্রদান করতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হওয়া উচিত ২০২১ কোয়াড অবকাঠামো তহবিলকে পুনরুজ্জীবিত করা। কোয়াডের সম্মিলিত অর্থনৈতিক ওজন একটি শক্তি গুণক হতে পারে, যা যে কোনও একক দেশের পরিধির বাইরে প্রকল্পগুলিকে সক্ষম করে।
কোয়াডের ভবিষ্যতের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আস্থাও অপরিহার্য। এই বিশ্বাসযোগ্যতাকে শক্তিশালী করার জন্য এটিকে স্বচ্ছ, মাইলফলক-ভিত্তিক অবকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রদান করতে হবে। বিদ্যুৎ, ডিজিটাল সংযোগ বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিবহণ অবকাঠামোর উন্নতির মতো প্রাথমিক ও বাস্তব সাফল্য প্রমাণ করতে পারে যে, কোয়াডের মডেল কার্যকরী এবং উন্নয়ন অংশীদারিত্বের উপর বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম।
কোয়াডের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
কোয়াড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ওয়ার্কিং গ্রুপ, কোয়াড পার্টনারশিপ ফর কেবল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (কিউপিসিসিআর) এবং কিউএফপিএফ-এর মতো সহযোগিতামূলক প্রক্রিয়া চালু করলেও ফলাফল অস্পষ্ট ও নগণ্য। আর্থিক প্রতিশ্রুতিগুলি ধারাবাহিক বণ্টন বা স্থল বাস্তবায়নে রূপান্তরিত হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক নীতি ও কৌশলগত অগ্রাধিকারের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় আর্থিক সীমাবদ্ধতা ধারাবাহিকতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
এই বাধাগুলি অতিক্রম করার জন্য কোয়াড ২+১ ত্রিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে, যার মধ্যে দু’টি কোয়াড অংশীদার এবং একটি সুবিধাভোগী অংশীদার দেশ জড়িত। এই পদ্ধতিটি উত্তর-দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার শক্তিগুলিকে মিশ্রিত করে এমন দেশ-নির্দিষ্ট, স্থানীয় হস্তক্ষেপগুলিকে সক্ষম করে। এটি যৌথ সৃষ্টি, জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং সাহায্যের দক্ষ ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে, চতুর্পাক্ষিক ব্যবস্থায় পরিলক্ষিত বিলম্বের বিকল্প প্রদান করবে। ভারত-মার্কিন-নেপাল এমসিসি চিনের বিআরআই-এর উচ্চ মানের বিকল্পগুলির সম্ভাবনা দেখায়।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া - যারা উপনিবেশবাদের বাইরে বিশ্বস্ত শক্তি হিসেবে বিবেচিত-- তাদের বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ অবকাঠামোগত কাজ জোরদার করা উচিত। তাদের পরিপূরক ক্ষমতা: ভারতের আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা ও বন্দর অটোমেশন এবং দূষণহীন জাহাজ চলাচলে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতা কার্যকরভাবে সামুদ্রিক অবকাঠামোগত ব্যবধান পূরণ করতে পারে। একই ভাবে জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংযোগ সহযোগিতা আরও গভীর করা উচিত, যেখানে তাদের উন্নয়নমূলক লক্ষ্যগুলি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থাগুলি পরবর্তীতে পিজিটু, গ্লোবাল গেটওয়ে অথবা ইতালীয় মাত্তেই প্ল্যানের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতায় রূপান্তরিত করা যেতে পারে। তবে অভ্যন্তরীণ কোয়াড প্রক্রিয়া কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরেই এমনটা করতে হবে।
তবুও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গিয়েছে: সমন্বয় জটিলতা, গোষ্ঠীর মধ্যে অসম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, ভিন্ন আইনি ব্যবস্থা এবং (সম্ভবত) প্রাপক দেশগুলিতে সীমিত প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা। সম্পৃক্ত দেশগুলিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ত্রিপাক্ষিক সাফল্যকে আরও বাধাগ্রস্ত করে। তবুও কোয়াড দেশগুলির শক্তিশালী রাজনৈতিক আস্থা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার জাল এই মডেলটিকে অতীতের প্রচেষ্টার চেয়ে আরও কার্যকর করার জন্য একটি অনন্য ভিত্তি প্রদান করে।
এর পাশাপাশি বিআরআই-এর সংযোগ অবকাঠামোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য কোয়াডকে পরিবহণ ও বাণিজ্য করিডোরগুলিতে অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। করিডোরগুলি (স্থল, সমুদ্র, বা বহুমুখী) চিনের প্রভাব কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু এবং সমান ভাবে কৌশলগত বিনিয়োগের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হতে হবে। এশিয়া-আফ্রিকা সংযোগের দৃষ্টান্তগুলি সম্প্রসারণ করার জন্য এশিয়া-আফ্রিকা গ্রোথ করিডোর (এএজিসি) পুনরুজ্জীবিত করা উচিত, বিশেষ করে আফ্রিকার কৌশলগত ও অর্থনৈতিক মূল্যের প্রতি কোয়াড অংশীদারদের মধ্যে নতুন আগ্রহের কারণে। লোবিতো করিডোর বা ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ের সঙ্গে এএজিসি-কে সংযুক্ত করলে তা অর্থনৈতিক সমন্বয় ও ভূ-রাজনৈতিক সমন্বয়কে উৎসাহিত করতে পারে।
সর্বোপরি, আইটুইউটু জোটের (ভারত, ইজরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে অংশীদারিত্ব মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতিশীল পথ প্রদান করতে পারে। আবুধাবি এখন আফ্রিকার শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার এবং তার যথেষ্ট মূলধন ও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। অবকাঠামো ও শক্তিতে কোয়াড ও আইটুইউটু উন্নয়ন প্রচেষ্টার মধ্যে মধ্যমেয়াদি সমন্বয় প্রভাবকে আরও গভীর করতে পারে এবং প্রকল্পের বিশ্বাসযোগ্যতাকে উন্নত করতে পারে।
একটি সমন্বিত, স্বচ্ছ ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো কৌশল কোয়াডকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্থাপন করবে, যা বিআরআই-এর একটি কার্যকর বিকল্প প্রদান করবে।
বিআরআই-এর একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, কোয়াডকে বাস্তবায়নের ব্যবধান পূরণ করতে হবে, নমনীয় ত্রিপাক্ষিক মডেল গ্রহণ করতে হবে এবং কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ করিডোরগুলির অর্থায়নের উপর মনোযোগ দিতে হবে, যা সংযোগ এবং আঞ্চলিক আস্থা বৃদ্ধি করে।
উপসংহার
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নকে অর্থবহ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোয়াডকে অবশ্যই তার সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে দূষণহীন শক্তি, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং সামুদ্রিক সংযোগের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা এবং উচ্চ গুণমান মেনে চলা। ভারতের উচিত যৌথ বিশ্বাসযোগ্যতা জোরদার করতে, অবকাঠামোগত মান সমন্বয় করতে এবং বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে বিডিএন-এ যোগদানের কথা বিবেচনা করা। এএজিসিকে পুনরুজ্জীবিত করা চিনের বিআরআই-এর বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধাও প্রদান করতে পারে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ও আফ্রিকার মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি করতে পারে। কোয়াড ডিএফসি ও পলিসি ব্যাঙ্কগুলিকে তহবিল প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করতে, বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোয়াডকে অবশ্যই আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান যেমন আসিয়ান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, যার মধ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি, যেমন পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, ফিজি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা অনুসারে অবকাঠামো প্রকল্পগুলি তৈরি করার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তি ও আঞ্চলিক ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে এমনটা করা জরুরি। পরিশেষে, একটি সমন্বিত, স্বচ্ছ ও স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো কৌশল কোয়াডকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্থাপন করবে, যা বিআরআই-এর একটি কার্যকর বিকল্প প্রদান করবে।
পৃথ্বী গুপ্তা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
১) লেখকের নিজস্ব গণনা
নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখক(দের) ব্যক্তিগত।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Prithvi Gupta was a Junior Fellow with the Observer Research Foundation’s Strategic Studies Programme. He worked out of ORF’s Mumbai centre, and his research focused ...
Read More +