-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের মাঝেই বিশেষ করে ভারতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চিন তার সংস্থাগুলিকে মুনাফার চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ক্রমশ চাপ দিচ্ছে।
পানামা বন্দরের ঘটনা চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝড় তুলেছে। ২০২৫ সালের ৪ মার্চ হংকংয়ের টাইকুন লি কা-শিং এবং তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন চেউং কং হাচিসন - যারা বর্তমানে পানামা খালের উভয় প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পরিচালনা করছে - মূল ভূখণ্ড চিন ও হংকংয়ের বাইরে হাচিসন বন্দরের সমস্ত সম্পদ – অর্থাৎ ২০টি দেশের মোট ৪৫টি বন্দর - ২২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ব্ল্যাকরক-টিআইএল কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রি করার জন্য একটি ব্যাপক চুক্তির কথা ঘোষণা করে।
এই চুক্তির সূচনা জানুয়ারিতে হয়েছিল, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে পানামা খালের উপর চিনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। পরবর্তী মাসগুলিতে মার্কিন শীর্ষস্থানীয়দের চাপের মুখে পানামা কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শেষের দিকে হাচিসন পোর্টসের পানামা সহায়ক সংস্থার আর্থিক নিরীক্ষা শুরু করে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্ক রুবিওর সফরের পর পানামা কর্মকর্তাদের উপর চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। ফলস্বরূপ, চেউং কং হোল্ডিংস তাদের সমস্ত পানামা বন্দর সম্পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে এবং যার ফলে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।
হংকংয়ের টাইকুন লি কা-শিং একজন ‘বিশ্বাসঘাতক’
শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনা চিনা সরকারকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং চিনের জনসাধারণের মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যে প্রশ্নগুলি এখন উঠে এসেছে: যদি টিকটক বা হুয়াইয়ের মতো সংস্থাগুলি মার্কিন চাপ প্রতিরোধ করতে পারে, তাহলে লি কা-শিং গ্রুপ কেন ‘নগদ অর্থ নিয়ে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে? কেন সংস্থাটি হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল বা স্পেশ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়ন (এসএআর) সরকারের কাছ থেকে সময়োপযোগী হস্তক্ষেপ ও সমন্বয় চায়নি? কেন চিনা সংস্থাগুলিকে - যেমন চায়না মার্চেন্টস পোর্ট ও চায়না ওশান শিপিং গ্রুপ - চুক্তির জন্য বিবেচনা করা হয়নি? তা ছাড়া সংস্থার ব্যবসার একটি ছোট অংশ থাকলেও কেন হংকং ও মূল ভূখণ্ডের বন্দর সম্পদ ধরে রাখা হয়েছিল? এ সবই কি আদতে চিনা সরকারি অনুমোদন এড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল?
নতুন বন্দর পরিচালনাকারীরা চিনা শিপিং সংস্থাগুলির কাছে অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারে অথবা এমনকি নির্দিষ্ট বন্দরে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকারও করতে পারে।
চিনের প্রধান উদ্বেগ হল, এই লেনদেনে বিশ্বব্যাপী অনেক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর জড়িত। লেনদেন সম্পন্ন হলে মার্কিন সংস্থা এই বন্দরগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং চিনা শিপিং সংস্থাগুলির জন্য পৃথগীকরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। নতুন বন্দর পরিচালনাকারীরা চিনা শিপিং সংস্থাগুলির কাছে অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারে অথবা এমনকি নির্দিষ্ট বন্দরে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকারও করতে পারে। এই ধরনের পদক্ষেপ চিনা রফতানির খরচ বৃদ্ধি করতে পারে এবং চিনের সামগ্রিক বিশ্বব্যাপী শিল্প প্রতিযোগিতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
এক ক্ষুব্ধ চিনা ভাষ্যকার লি-র পরিবারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, লি-এর পরিবার দেশ থেকে প্রচুর অনুগ্রহ পেলেও বিনিময়ে তাদের পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত হতাশাজনক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য চিনা উদ্যোগের জন্য বেজিং থেকে আসা বার্তাটিও স্পষ্ট: ‘যারা এখনও সীমান্ত ছাড়াই পুঁজির স্বপ্ন দেখছেন তাদের জেগে ওঠার সময় এসেছে।’ ‘ব্যবসা যে আসলে শুধু ব্যবসাই’… এ হেন যুক্তি আর টেকসই নয় এবং ‘যারা ভোক্তাদের সহায়তার উপর নির্ভর করে সমৃদ্ধ হয়েছিলেন, তাদের এ বার বাণিজ্যিক স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
ভারতে বিনিয়োগ করা আসলে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’রই নামান্তর
উপরোক্ত ঘটনাটি কোনও বিচ্যুতি নয় এবং এটি ক্রমশ চিনে এমন একটি প্রবণতা হয়ে উঠছে, যেখানে চিনা উদ্যোগগুলিকে প্রায়শই দেশপ্রেমের নিক্তিতে মাপা হচ্ছে। ২০২৩ সালে যখন চিনা নির্মাণ প্রকৌশল সংস্থা জুঝো কনস্ট্রাকশন মেশিনারি গ্রুপ (এক্সসিএমজি) তাদের ভারতীয় কারখানায় ২০০০তম খননকারী যন্ত্রের উদ্বোধন উদ্যাপন করেছিল, তখন চিনের অনলাইন পরিসরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের একটি অংশ এই সংস্থার বিরুদ্ধে শত্রুকে সহায়তা করা ও নিজের দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ এনেছিল। তখন থেকেই যে সব চিনা উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ভারতে কেন্দ্র স্থাপন করেছে অথবা ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিরোধিতার প্রয়াস করা হয়ে এসেছে। তাদেরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ এবং ‘শত্রু সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, ‘ক্ষুদ্র লাভের’ জন্য চিনের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার অভিযোগে তাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে। চিনা বিশ্লেষণে প্রায়শই উদ্ধৃত একটি উদাহরণ হল ভারতের মোবাইল ফোন শিল্পের উত্থান। অনেক চিনা পর্যবেক্ষকই দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, চিনা মোবাইল ফোন সংস্থাগুলির বড় অবদানের জন্যই ভারতের মোবাইল ফোন শিল্পের উত্থান হয়েছে।
চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের একটি অংশ এই সংস্থার বিরুদ্ধে শত্রুকে সহায়তা করা ও নিজের দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ এনেছিল।
চিনা কৌশলগত মহলগুলির মধ্যে এ বিষয়ে দৃঢ় ঐকমত্য রয়েছে যে, সরকারকে চিনা সংস্থাগুলিকে ভারতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে হবে অথবা অন্তত পক্ষে তাদের একটি সম্পূর্ণ শিল্প শৃঙ্খল স্থাপন করা থেকে বিরত রাখতে হবে। প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে, এই বছরের শুরুতে চিন চিনা কর্মীদের ভারতে ফক্সকনের আইফোন কারখানায় ভ্রমণ করতে বাধা দিয়েছে এবং সেখানে নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করেছে। তারা ভারতে আইফোন উৎপাদনের জন্য বিশেষ উৎপাদন সরঞ্জামের চালানও বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতে টানেল বোরিং মেশিনের উপর চিনের রফতানি নিষেধাজ্ঞাও ব্যাপক ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। চিনা গাড়ি নির্মাতাদের ভারতে বিনিয়োগ ও এর ফলে তাদের মূল প্রযুক্তি ধরে রাখার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করার খবরও এসেছে।
ভারতীয় ইস্পাতে চিনা বিনিয়োগ নিয়ে বিতর্ক
চিনের আর একটি ক্ষোভ হল ভারতের ইস্পাত খাতে চিনা সংস্থাগুলির তরফে বিনিয়োগ করা নিয়ে। চিনা কৌশলগত মহলগুলিতে উত্তপ্ত বিতর্কের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল চায়না মিনমেটালস কর্পোরেশন - যা চায়না মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কর্পোরেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানও বটে - টাটা স্টিলের সঙ্গে সহযোগিতা করে ৪.৩৭৫ মিলিয়ন টন বার্ষিক উৎপাদন-সহ একটি ব্লাস্ট ফার্নেস তৈরি করছে। চিনা ইন্টারনেটের বিভিন্ন নিবন্ধে এই ঘটনাপ্রবাহের সমালোচনা করা হয়েছে। চিনা সংস্থাগুলিকে ভারতের উৎপাদন শিল্পকে সহায়তা করে নিজেদের পায়ে আখেরে কুড়ুল মারার অভিযোগ করা হয়েছে, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন ভারত চিনা ইস্পাতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ভাবছে।
চিনা কৌশলগত মহলগুলিতে উত্তপ্ত বিতর্কের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল চায়না মিনমেটালস কর্পোরেশন - যা চায়না মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কর্পোরেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানও বটে - টাটা স্টিলের সঙ্গে সহযোগিতা করে ৪.৩৭৫ মিলিয়ন টন বার্ষিক উৎপাদন-সহ একটি ব্লাস্ট ফার্নেস তৈরি করছে।
চিনা পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে যে, চিন ও ভারতের মধ্যে বাজার মডেলের জন্য প্রযুক্তি কার্যকর নয়। কারণ ভারতের ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে (চিনা মূল্যায়ন অনুসারে, ভারতীয় ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে)। বিশ্ব বাজারে ভারতীয় ইস্পাতের প্রতিযোগিতামূলকতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে (চিনের তুলনায় ভারতীয় ইস্পাতের দাম ১৫ শতাংশ কম), যা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, গুণমান নির্ধারণ ও প্রতিভা বিস্তারের ক্ষেত্রে চিনা ইস্পাত শিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ উত্থাপন করেছে। এটি কেবল ভারতে চিনের ইস্পাত রফতানিই হ্রাস করেনি, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ও আফ্রিকার বাজারে চিনা সংস্থাগুলির অংশীদারিত্বও হ্রাস করেছে। চিনা বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, যদি ভারতের ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা আরও উন্নত করা হয়, তা হলে এটি ভারত সরকারকে তার সামরিক বাহিনী বিকাশে এবং চিনকে লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান, আর্টিলারি শেল ও অন্যান্য অস্ত্র উৎপাদনে আরও সম্পদ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে। অতএব চিনা সংস্থাগুলিকে অবকাঠামো নির্মাণ ও মৌলিক শিল্প স্থাপনে ভারতকে সহায়তা করা থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে ইস্পাত, শক্তি, বিদ্যুৎ এবং পরিবহণ ক্ষেত্রে।
লেনোভোর ভারতে স্থানান্তর
এ কথা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, জনমতের এত তীব্র চাপ সত্ত্বেও চিনা কম্পিউটার প্রস্তুতকারক লেনোভো সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের সমস্ত কম্পিউটার উৎপাদন শৃঙ্খল চিন ও মেক্সিকো থেকে সরিয়ে ভারতে স্থানান্তর করবে এবং পন্ডিচেরিতে একটি এআই সার্ভার কারখানা তৈরি করবে। লেনোভোর প্রতিযোগী এইচপি এবং ডেল ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারতে উৎপাদন স্থানান্তর ত্বরান্বিত করছে। এএসরক, জোট্যাক এবং অন্যান্য সংস্থার মতো কিছু সহায়ক সরবরাহকারীও একই পথে হেঁটেছে। চিনা মূল্যায়নে, প্রযুক্তি সংস্থাগুলির বর্তমান স্থানান্তর আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির সরাসরি প্রভাবকেই দর্শায়। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন বাজারের প্রায় ১২ শতাংশ শেয়ার ধারণকারী লেনোভো চিনের উপর ট্রাম্পের ২০ শতাংশ শুল্ক নীতি এবং মেক্সিকোর উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রস্তাবের কারণে ১০-১৫ শতাংশ খরচ বৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে, যা সরাসরি তাদের মূল্য প্রতিযোগিতামূলকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এবং এর ফলে লেনোভো ভারতের মাটিতে ব্যবসা স্থানান্তর করার ‘বড় বাজি’ ধরেছে।
চিনা পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, বৃহত্তর সংস্থাগুলি তাদের মূলধন শক্তির উপর নির্ভর করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয়করণকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট ও মাঝারি আকারের নির্মাতারা ভারত ও অন্যত্র ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিকল্প’র সন্ধান করবে।
নতুন দফার শুল্ক যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী শিল্প শৃঙ্খল ও সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনা কৌশলগত সম্প্রদায় আগামী দিনে আরও বেশি অভিবাসনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। চিনা পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, বৃহত্তর সংস্থাগুলি তাদের মূলধন শক্তির উপর নির্ভর করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয়করণকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট ও মাঝারি আকারের নির্মাতারা ভারত ও অন্যত্র ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিকল্প’র সন্ধান করবে। চিনা সংস্থাগুলির সামনে উপস্থিত দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে, কেউ ভাবতেই পারেন যে, জাতীয়তাবাদের আগুন জ্বালানো আসলে আরও সময় ক্রয় করা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্গঠনের এই নতুন দফায় সুযোগ অর্জনের জন্য চিনা কৌশলের একটি অংশ।
অন্তরা ঘোষাল সিং অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Antara Ghosal Singh is a Fellow at the Strategic Studies Programme at Observer Research Foundation, New Delhi. Her area of research includes China-India relations, China-India-US ...
Read More +